Emranul Haque, Co-founder, HR DESK

Emranul Haque, Co-founder, HR DESK HR Professional || Content Creator

(একটি সংগৃহীত লেখা... এটা আমার লেখা না।)আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে স্মার্ট আর স্যাভেজ জেনারেশন। রাতে একজন একজন করে তাদেরকে ধ...
06/12/2023

(একটি সংগৃহীত লেখা... এটা আমার লেখা না।)

আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে স্মার্ট আর স্যাভেজ জেনারেশন। রাতে একজন একজন করে তাদেরকে ধরে ফেলা হবে।

২৯ আগস্ট আর ৩০ আগস্ট ঢাকা শহর তছনছ করে, পাকড়াও করা হবে বিচ্ছুদের। আমাদের ক্র্যাক প্লাটুনকে ।

এই দলের একজন শহিদ রুমি।
আমেরিকায় স্কলারশিপ পেয়েও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান নি তিনি। যেতে চেয়েছিলেন রণক্ষেত্রে। তার মা জাহানারা ইমাম ছেলের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনে অবশেষে বলবেন- 'যা তোকে দেশের জন্য কুরবানী দিলাম'। তারপর সারাজীবন আফসোস করবেন ওই মুহুর্তে আমি কেন 'কুরবানী' শব্দটা উচ্চারণ করলাম!

এই দলের একজন শহিদ আজাদ।
ঢাকা শহরের সবচে' বড়লোক পরিবারের একমাত্র ছেলে। শুকনো রুটি খেয়ে যুদ্ধে থ্রি নট থ্রি চালাবেন।
আজ রাতে ধরা পড়বার পর একদিন ভাত খেতে চাইবেন। টর্চার সেলে বসে বলবেন- ''মা ওরা খুব মারে!''
মা বলে আসবেন- ''তুমি মুখ খুলবে না বাবা। কোন সহযোদ্ধার নাম বলবে না। খুব মারলেও।'' তারপর সেই মা ভাত রাঁধবেন। জেলের ভেতর সেই ভাত নিয়ে গিয়ে দেখবেন- তার ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে হায়েনারা। সেই মা আরও ১৪ বছর ভাত খাবেন না, জীবিত অবস্থায় ভাত ছুঁয়ে দেখবেন না।

এই দিনে চলে যাবেন শহিদ আলতাফ মাহমুদ
আমাদের সুরের শহিদ। মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং নেবার রুট আর অস্ত্রের মজুদ জানার জন্য যার হাড়গুলো সব একটা একটা করে ভেঙ্গে দেওয়া হবে,প্লায়ারস দিয়ে তুলে নেওয়া হবে সবগুলো নখ।

এই দলের একজন শহিদ জুয়েল।
দেশের হয়ে ওপেনিং ব্যাটিং করার স্বপ্ন ছিল যার। মেলাঘরের বৃষ্টিমাখা ক্যাম্পে বসে যিনি আকঁবেন স্বাধীন বাংলা ক্রিকেট দলের স্বপ্ন। একদিন দেশ স্বাধীন হবে। তাকে আর পাকিস্তানের হয়ে খেলতে হবে না।
নিজের একটা দেশ। নিজের পতাকা। নিজেদের ক্রিকেট টিম। সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে। নারায়নঞ্জে পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দিতে গেলে যার পা উড়ে যাবে।

আজ রাতেই হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করবে পাকিস্তানী বাহিনী, রাজাকারদের সহায়তায়।
পরশু ভোরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা হবে। মৃত্যুর আগে যিনি উচ্চারণ করবেন 'জয় বাংলা'।

এই দলের একজন বদি। হুমায়ূন আহমেদ এর 'আগুণের পরশমনির' বদি।
মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত যিনি অসম্ভব গাম্ভীর্যে নিতান্তই অবহেলার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তানি শুয়োরগুলোর দিকে, ভাটার মত জ্বলতে থাকা চোখ দুটোতে থাকবে কেবল অসম্ভব ঘৃণা...

পুরো ঢাকা শহর কাঁপানো বিচ্ছুদের বেশিরভাগ আজই ধরা পড়বে।

আমাদের ক্র্যাক প্লাটুন। আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে স্মার্ট আর স্যাভেজ জেনারেশন। যাদেরকে দিয়েই ইতিহাসের শুরু...

নামাজে মন ফেরানো.. (১)দুনিয়ার সব অহেতুক চিন্তা মাথায় আসে নামাজে দাঁড়ালে। যেখানে আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর নামাজে এক রাকাতেই স...
05/12/2023

নামাজে মন ফেরানো.. (১)
দুনিয়ার সব অহেতুক চিন্তা মাথায় আসে নামাজে দাঁড়ালে। যেখানে আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর নামাজে এক রাকাতেই সুরাহ বাকারাহ, আলে ইমরান পড়ে শেষ করে ফেলতেন, সেখানে "কুল হু আল্লাহু আহাদ" পড়ে কোনোমতে নামাজ শেষ করাটাই আমাদের জন্যে একটা স্ট্রাগল! নামাজে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে রাসূল ﷺ এর পা ফেটে রক্ত বের হয়ে যেত, অথচ তার জীবনের অতীত, বর্তমান — সমস্ত গুনাহ মাফ। তাহলে কেন তিনি এভাবে নামাজ পড়তেন? কারণ, তিনি আসলেই তাঁর নামাজকে অনেক enjoy করতেন। রাসূল ﷺ বলতেন যে, নামাজ হচ্ছে তার জন্যে চক্ষু শীতলতাকারী! আমরা কেন নামাজ পড়ে সেরকম মজা পাই না? নামাজ enjoy না করার একটা বড় কারণ হচ্ছে নামাজের মধ্যে যা পড়া হয়, সেটার অর্থ না জানা। আমরা যদি অর্থগুলি জানি, তাহলে আশা রাখা যায় যে, আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের নামাজগুলিকে আনন্দ নিয়ে meaningful ভাবে পড়ার তাওফিক দিবেন।
❒ "𝐀𝐥𝐥𝐚𝐡𝐮 𝐀𝐤𝐛𝐚𝐫"
নামাজে "আল্লাহু আকবার" এর অর্থ:
নামাজের বিভিন্ন সময়ে প্রায় একটু পরে পরে আমরা বলি "আল্লাহু আকবার". এটার সবচেয়ে কমন ট্রান্সলেশন হচ্ছে — "আল্লাহ সবচেয়ে বড়/মহান!" "Allah is the greatest." কিন্তু, ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, এটার অর্থ আসলে "Allah is greater" (Not greatest). আরবি গ্রামার খুঁটে পড়লে দেখা যায় যে, "আল্লাহু আকবার" আসলে comparative form এ আছে, not superlative. সহজ বাংলায় আল্লাহু আকবার মানে "আল্লাহ অন্য কোনোকিছুর থেকে বড়"।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে "অন্যকিছু" টা কি? আর কেনই বা আমরা নামাজে আল্লাহকে "কোনকিছুর" থেকে বড় বলছি? এটার Wisdom টা হচ্ছে — আমরা দুই হাত বেঁধে একবার নামাজটা শুরু করার পরে, যে জিনিসের চিন্তাটা আমাকে আল্লাহ থেকে অমনোযোগী করে আমার মনকে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে, সেটার থেকে আল্লাহ বড়।
যেমন ধরুন, নামাজ পড়তে পড়তে assignment কথা মনে পড়লো, যেই আমি বললাম, "আল্লাহু আকবার" — তার মানে আমার এই Assignment এর চিন্তার থেকে আল্লাহ বড়! সিজদাহ থেকে উঠতে উঠতেই অফিসের কাজের কথা মনে পড়লো, যেই বললাম "আল্লাহু আকবার" সাথে সাথে নিজেকে মনে করিয়ে দিলাম যে, অফিসের কাজের থেকে আল্লাহ বড়। নামাজে দাঁড়িয়ে চুলায় বসানো রান্না কথা মনে হচ্ছে — কিন্তু রান্নার থেকে আল্লাহ বড়।
তাহলে "আল্লাহু আকবার" এর proper অর্থ দাঁড়ায় "Allah is greater than....." এই blank এ আমরা সেটাই বসিয়ে নিবো, যেটা আমাকে নামাজের মধ্যে আল্লাহর থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। দুনিয়ার যেই কাজটার কথাই আমি নামাজের মধ্যে ভেবে ভেবে নামাজে অমনোযোগী হচ্ছি — সেই কাজের থেকে আল্লাহ বড়! এজন্যেই প্রায় প্রতিটা ধাপেই আমরা "আল্লাহু আকবার" বলি, রুকুতে যেতে, সিজদায় যেতে, দুই সিজদার মাঝে, আবার সিজদা থেকে উঠতে। এমন ভাবেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে যেন আল্লাহ কে ভুলে যেতে নিলেও আবার "আল্লাহু আকবার" বলার সাথে সাথে এটা মনে করিয়ে দেয় যে, আসলে এই মুহূর্তে নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় আমার কাছে আল্লাহর থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই! আল্লাহু আকবার।
❒ "𝐌𝐞𝐚𝐧𝐢𝐧𝐠 𝐨𝐟 𝐒𝐚𝐧𝐚𝐚"
নামাজে পড়া সানা:
"সুবহানাকা আল্লাহুম্মা, ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারকাসমুকা, ওয়া তাআ'লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা"
অর্থঃ "আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র, আপনার কোনো ভুল নেই। আমি সারাজীবন আপনার প্রশংসা করেই যাবো, আপনার নামগুলি সবচেয়ে বরকতপূর্ণ, আপনার নির্ধারিত হুকুম সবচেয়ে উচ্চ, আমি কখনোই আপনি ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদাত করবো না এবং কাউকে আপনার থেকে বেশি গুরুত্ব দিবো না।"
ইন শা আল্লাহ, চলবে...
● 𝐒𝐨𝐮𝐫𝐜𝐞: "𝑀𝑒𝑎𝑛𝑖𝑛𝑔𝑓𝑢𝑙 𝑃𝑟𝑎𝑦𝑒𝑟" 𝐶𝑜𝑢𝑟𝑠𝑒 𝑏𝑦 𝑆ℎ𝑎𝑦𝑘ℎ 𝐴𝑏𝑑𝑢𝑙 𝑁𝑎𝑠𝑖𝑟 𝐽𝑎𝑛𝑔𝑑𝑎. (More details in their website: https://tinyurl.com/rs5zxx8)
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
লেখাঃ শারিন সফি অদ্রিতা (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)

সৌজন্যতাঃ ওহী।

01/12/2023

Excellence

মাঝে মাঝে সিজদায় যেয়ে শুধু এজন্য কৃতজ্ঞতার অশ্রু ঝরানো উচিত যে, আপনার একজন রব আছেন, যার কাছে আপনি সব কিছু বলতে পারেন, চা...
01/12/2023

মাঝে মাঝে সিজদায় যেয়ে শুধু এজন্য কৃতজ্ঞতার অশ্রু ঝরানো উচিত যে, আপনার একজন রব আছেন, যার কাছে আপনি সব কিছু বলতে পারেন, চাইতে পারেন।

চরম অসহায় অবস্থায় আকাশের দিকে তাকিয়ে “আল্লাহ” বলে ডাকতে পারা, সিজদায় যেয়ে সব কষ্ট নিংড়ে দিতে পারা এমন এক অনুগ্রহ, যে একবার এর স্বাদ পেয়ে যায়, “হতাশা” শব্দটি তার জীবনে আর আসে না কখনই। যে একবার শিখে যায় তার রবের কাছ থেকে চেয়ে নিতে, বিশ্বাস করুন তার অভিধান থেকে “অভাব” শব্দটি মুছে যায় সেদিনই।

আমার পরিকল্পনার চেয়ে আল্লাহর পরিকল্পনা তুলনাহীন বেশি ভাল, যার মনে একবার ঢুকে যায় এ কথা, শত কষ্টেও সে হাসতে পারে, মন থেকে বলতে পারে “আলহামদুলিল্লাহ্”।

ফারজানা পারভীন চাচীর ওয়াল থেকে।।

When you see a dirty cat:🔺 Cats can tolerate hunger for up to a week on average, but cannot go no more than 2-3 days wit...
30/11/2023

When you see a dirty cat:

🔺 Cats can tolerate hunger for up to a week on average, but cannot go no more than 2-3 days without water.

🔺 Cats are usually very clean, they groom themselves several times a day. If you see a cat that does not look clean, it is DEHYDRATED and has been so for many days.

🔺Their saliva glands are not functioning properly because they require moisture to groom their fur.

🔺 If you see a stray cat that looks dirty, DO NOT turn the other way or see it as disgusting, because it is suffering and probably hasn't had anything to eat or drink in a long time.

🔺 Find kindness in your heart to give it food and WATER🙏🙏🙏. The life of a homeless animal is not an easy one. It lives in constant fear of other animals and humans, and it has never known the comfort of a soft bed or a restful night’s sleep.

Helping a less fortunate being is the opportunity for you to become a better person and to make this a better world🙏.

This Thanksgiving, my hope is for everyone who reads this post to find it in your heart to go do something good for others who are less fortunate. Being thankful for your good fortune is simply not enough.

Courtesy: Hakula Matata

It is a huge waste of your mental resources and energy to keep holding onto grudges. The longer you hold on to that nega...
28/11/2023

It is a huge waste of your mental resources and energy to keep holding onto grudges. The longer you hold on to that negative feeling, the more you poison yourself. It is much better to let go and forgive the other person for Allah’s sake. You will be relieved of the heavy burden, and Allah will reward you as well.

“The comfort zone is a psychological state in which one feels familiar, safe, at ease, and secure. You never change your...
17/11/2023

“The comfort zone is a psychological state in which one feels familiar, safe, at ease, and secure. You never change your life until you step out of your comfort zone; change begins at the end of your comfort zone.”

Evercare Hospital Chattogram -CR 10K 2023 | 17 November 2023

12/11/2023

যাদের অনেক বড় ঋণের বোঝা তাদের জন্য দুটো হাদীস এবং দুটো দুয়া।

১. আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমি বড় দুশ্চিন্তায় আছি, আমার ঘাড়ে ঋণ চেপে আছে। এ কথা শুনে তিনি স. বললেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি কালাম (বাক্য) বলে দেবো না, যা পড়লে আল্লাহ তোমার চিন্তা দূর করবেন ও ঋণ পরিশোধ করবেন। সে বললো, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই বলুন, হে আল্লাহর রসূল স.!
তখন তিনি স. বললেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যায় পড়বে,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ .
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিত দ্বীন, ওয়া ক্বহরির রিজাল।

অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুশ্চিন্তা হতে মুক্তি চাই। আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা এবং কৃপণতা ও কাপুরুষতা হতে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের কঠোরতা হতে।

সে বললো, পরিশেষে আমি তা-ই করলাম। আর আল্লাহ আমার দুশ্চিন্তা করে দিলেন এবং ঋণও পরিশোধ করে দিলেন।
[সুনানে আবূ দাঊদ, ১৫৫৫ ]

২. আলী রাঃ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন তাঁর কাছে একজন চুক্তিবদ্ধ দাস এসে বললো, আমি আমার মুনিবের সাথে সম্পদের লিখিত চুক্তিপত্রের মূল্য পরিশোধ করতে পারছি না, আমাকে সাহায্য করুন। উত্তরে ‘আলী রাঃ বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালাম (বাক্য) শিখিয়ে দেবো, যা রসূলুল্লাহ স. আমাকে শিখিয়েছেন? এ দু‘আর মাধ্যমে যদি তোমার ওপর বড় পাহাড়সম ঋণের বোঝাও থাকে, আল্লাহ তা পরিশোধ করে দেবেন। তুমি পড়বে,
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
‘‘আল্ল-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন্ হারা-মিকা, ওয়া আগ্‌নিনী বিফাযলিকা ‘আম্মান্ সিওয়াক’’

অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হালাল জিনিসের সাহায্যে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো এবং তুমি তোমার রহমতের মাধ্যমে আমাকে পরমুখাপেক্ষী হতে রক্ষা করো।
[তিরমিযী, ৩৫৬৩, বায়হাক্বী- দা‘ওয়াতুল কাবীর]
Mahfuzur Rahman ভাইয়ের ওয়াল থেকে। আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা ভাইকে উত্তল্ম জাযা দান করুন।।

11/11/2023

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
‘‘আল্ল-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন্ হারা-মিকা, ওয়া আগ্‌নিনী বিফাযলিকা ‘আম্মান্ সিওয়াক’’

অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হালাল জিনিসের সাহায্যে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো এবং তুমি তোমার রহমতের মাধ্যমে আমাকে পরমুখাপেক্ষী হতে রক্ষা করো।
[তিরমিযী, ৩৫৬৩, বায়হাক্বী- দা‘ওয়াতুল কাবীর]

09/11/2023

কয়েকটি সহীহ দুরুদ মুখস্থ করুন।

দুরুদ ফারসী শব্দ, যার অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহ তাআ’লার কাছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য রহমত, বারাকাত ও শান্তির জন্য দুয়া করা।

অনেকে সব সময় পড়ার মতো কিছু ‘সহীহ দুরুদ’ জানতে চান। নীচে কয়েকটি সহীহ দুরুদ আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ বর্ণনা করছি।

উল্লেখ্য, এখানে বা অন্য লেখাগুলোতে উচ্চারণের ক্ষেত্রে নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে।

মনে রাখবেন, আরবীর বাংলা উচ্চারণ দেখে কখনোই ক্বুরআনের আয়াত, দুয়া বা দুরুদ শুদ্ধভাবে পড়া যায় না। সেইজন্য আপনারা সব সময়েই আরবী থেকে দেখে পড়বেন। শুধুমাত্র কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে বাংলা উচ্চারণের সাহায্য নেবেন। কিন্তু শুধুমাত্র বাংলা উচ্চারণ দেখে মুখস্থ করবেন না।
(১) দুরুদে ইব্রাহীম - ১
সর্বোত্তম দুরুদ হচ্ছে দুরুদে ইব্রাহীম, যা আমরা সবাই সালাতে পাঠ করে থাকি। অনেকে প্রচলিত কিছু ওযীফার বইয়ে লিখিত বানোয়াট দুরুদ (যেমন দুরুদের হাজারী, দুরুদে লাখী, দুরুদে নারিয়া, দুরুদে আকবর ইত্যাদি) এইগুলো পড়েন আর এইগুলোর মিথ্যা ফযীলতের কথা শুনে মনে করেন, দুরুদে ইব্রাহীম পড়লে বুঝি কম সওয়াব হয়। সেইজন্যে তাঁরা দুরুদে ইব্রাহীম বাদ দিয়ে প্রচলিত ওযীফার বইয়ে লিখা বানোয়াট ও বিদআ;তী দুরুদ পড়েন। অথচ, আপনি দুরুদে ইব্রাহীম পড়ে যে সওয়াব ও ফযীলত পাবেন, অন্য কোন দুরুদ পড়ে তার সমান সওয়াব ও ফযীলত পাবেন না। দুরুদে ইব্রাহীম হচ্ছেঃ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আ-লি মুহা’ম্মাদ, কামা সল্লাইতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মুহা’ম্মাদ, কামা বা-রাকতা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম। ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করুন, যেমন আপনি ইব্রাহীম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করেছিলেন, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি বরকত দান করুন, যেমন আপনি ইব্রাহিম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি বরকত দান করেছিলেন, নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান।
উৎসঃ সহীহ বুখারীঃ ৩৩৭০, সহীহ মুসলিম।
শব্দার্থঃ
আল্লা-হুম্মা – হে আল্লাহ! সাল্লি – আপনি শান্তি অবতীর্ণ করুন, আ’লা – উপরে, মুহাম্মাদিউ – মুহাম্মাদের, ওয়া – এবং, আ’লা – উপরে, আ-লি মুহাম্মাদিন – মুহাম্মাদের পরিবার, কামা – যেমনিভাবে, সল্লাইতা – শান্তি অবতীর্ণ করেছিলেন, আ’লা – উপরে, ইবরাহীম – ইবরাহীম, ওয়া – এবং, আ’লা – উপরে, আ-লি ইব্রাহীম – ইব্রাহীমের পরিবার, ইন্নাকা – নিশ্চয়ই আপনি, হা’মীদ – প্রশংসিত, মাজীদ – মহান।
অনুরূপভাবে দ্বিতীয় অংশের অর্থ হুবুহু এক। শুধুমাত্র সালাম বা শান্তির জায়গায় বরকতের জন্য দুয়া করা হয়। বরকত অর্থ হচ্ছেঃ অল্প থেকে অনেক বৃদ্ধি পাওয়া।
(২) দুরুদে ইব্রাহীম - ২
দুরুদে ইব্রাহীম সহীহ হাদীসে বিভিন্ন শব্দে বর্ণিত হয়েছে। এখানে প্রথমে যেইভাবে দেওয়া হয়েছে, এই বর্ণনা সবচাইতে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া নীচের এই দুরুদটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। আপনারা সালাতের ভেতরে বা বাহিরে, যেকোন সময়ে এটা পড়তে পারেন।
اللهم صل على محمد وعلى آل محمد وبارك على محمد وعلى آل محمد كما صليت وباركت على إبراهيم وآل إبراهيم إنك حميد مجيد
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আ-লি মুহা’ম্মাদ, ওয়া বারিক আ’লা মুহাম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মুহা’ম্মাদ, কামা সল্লাইতা ওয়া বারাকতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হা’মীদুম মাজীদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি অবতীর্ণ করুন এবং বরকত দান করুন, যেমনিভাবে আপনি ইব্রাহীম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শান্তি ও বরকত দান করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও মহান।

উৎসঃ সুনানে আন-নাসায়ীঃ ৫৯/১৬৪, আত-তাহাবী। আবু সাঈদ ইবনুল আ’রাবী রহি’মাহুল্লাহ তাঁর “আল-মু’জাম” গ্রন্থে সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহি’মাহুল্লাহ এই দুরুদটিকে তাঁর “জালাউল আফহাম” গ্রন্থে সহীহ বলেছেন। এছাড়াও আল্লামাহ নাসির উদ্দীন আলবানী রহি’মাহুল্লাহ তাঁর রচিত “নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি” গ্রন্থে এই দুরুদটি বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলেছেন।

উপরের দুরুদ দুইটি আপনারা সালাতের ভেতরে বা বাহিরে যেকোন সময়ে পড়তে পারবেন। নীচে আমি ছোট আরো কয়েকটি দুরুদ উল্লেখ করছি, যেইগুলো সালাতে পড়া যাবেনা, কিন্তু সালাতের বাহিরে সংক্ষিপ্ত দুরুদ হিসেবে এটা পড়া যাবে।
(৩) ছোট দুরুদ - ১

সাহাবী উকবা ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, “এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এসে বসল এবং বলল, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকে কিভাবে সালাম জানাব তা আমরা জানি। কিন্তু আমরা আপনার উপর কিভাবে ‘সালাত’ তথা দরূদ পাঠ করব? আমাদেরকে তা বলে দিন।” তখন নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম (কিছুক্ষণ) চুপ থাকলেন, এমনকি আমরা ভাবলাম যদি প্রশ্নকারী প্রশ্ন না করতো, তাহলে অনেক ভাল হত! তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তোমরা আমার উপর সালাত (দুরুদ) পাঠ করার জন্য বলোঃ
اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَبىّ الأُمِيِّ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ.
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লি আ’লা মুহা’ম্মাদিনিন-নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ’লা আলি মুহা’ম্মাদিন কামা সল্লাইতা আ’লা ইবরাহীমা ওয়া আ’লা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হা’মীদুম-মাজীদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি নিরক্ষর নবী মুহা’ম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর এমনভাবে রহমত প্রেরণ কর, যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
উৎসঃ ইসমাঈল কাযীঃ হাদীস নং ৫৯, হাদীসটি হাসান।
(৪) ছোট দুরুদ - ২

যায়েদ ইবনু খারিজাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, “আমি নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে (দুয়া ও দুরুদের ব্যাপারে) প্রশ্ন করলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তোমরা আমার উপর সালাত (দরূদ) পড় এবং অনেক বেশী দুয়া করার জন্য চেষ্টা কর। (আমার জন্য দুরুদ পড়ার জন্য তোমরা) এইভাবে বলোঃ
الَّلهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ .
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লি আ’লা মুহা’ম্মাদিওঁ-ওয়া আ’লা আলি মু’হাম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মুহা’ম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর রহমত বর্ষণ কর।
উৎসঃ সুনানে নাসায়ীঃ হাদীস নং-১২২৫, হাদীসটি সহীহ।
(৫) ছোট দুরুদ - ৩
اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহা’ম্মাদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।
(৬) ছোট দুরুদ - ৪
সবচাইতে ছোট যেই দুরুদ পড়া যায়ঃ
صلى الله عليه وسلم
উচ্চারণঃ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম।
অর্থঃ আল্লাহ তাঁর (মুহা’ম্মদের) প্রতি সালাত (দয়া) ও সালাম (শান্তি) বর্ষণ করুন।
দুরুদ কখনো পড়তে হয়?

(৭) নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল বেলা আমার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকাল বেলা দশবার দরুদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে।” ইমাম তাবরানী হাদীসটি দুইটি সনদে সংকলন করেছেন, যার একটি সনদ হাসান। মাজমাউ’য যাওয়ায়েদঃ ১০/১২০, সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১/২৭৩।

-মুহাম্মাদ আবু হানিফ

07/11/2023

সহজ-সরল, মিশুক প্রকৃতির মানুষদের মর্যাদা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘জাহান্নামের আগুন কোন্ ব্যক্তির জন্য হারাম—আমি কি তোমাদের তা জানাবো না?’’ লোকরা বললো, ‘হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল!’ তিনি বললেন, ‘‘প্রত্যেক নরম, কোমল, সহজ-সরল স্বভাবের মিশুক ব্যক্তি।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২৪৮৮; হাদিসটি হাসান]

দয়া করে, "রাগ" করবেননা। তাহলে জান্নাত আপনার........ইন শা আল্লাহ্। Mahfuzur Rahman ভাইয়ের ওয়াল থেকে। রাগ এমন একটি গুণ, যা...
06/11/2023

দয়া করে, "রাগ" করবেননা। তাহলে জান্নাত আপনার........ইন শা আল্লাহ্। Mahfuzur Rahman ভাইয়ের ওয়াল থেকে।
রাগ এমন একটি গুণ, যা সমগ্র সৃষ্টিকুলের মাঝেই পরিলক্ষিত হয়।

মানুষের ন্যায় পশু-পাখিরাও রাগ করে, আচার আচরণে তাদের রাগ প্রকাশ করে।

তবে পশু-পাখির সাথে মানুষের রাগের প্রধান পার্থক্য হলো, মানুষের ভালো রাগ মন্দকে প্রতিহত করতে অত্যন্ত কার্যকরী, আর খারাপ রাগ অতি মাত্রায় বিধ্বংসী। যেখানে রাগ করা উচিত, সেখানে নীরবতা পালন কাপুরুষতার পরিচায়ক। তেমনি যেখানে নীরব থাকা কাম্য, সেখানে রাগ দেখানো নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। তাই আসল কৃতিত্ব উভয়ের মাঝে ভারসাম্য রাখায়।
কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা রাগের সময় পথচ্যুত হই। রাগের বশে এমন কিছু করে ফেলি, যার জন্য ভবিষ্যতে অনেক মাশুল গুণতে হয়।

রাগের মুখে বলা স্রেফ একটি কথার দরুন কত সংসার ভেঙেছে, কত মন টুকরো টুকরো হয়েছে, কত বন্ধুত্ব শত্রুতায় পরিণত হয়েছে, এর হিসেব নেই। রাগের ক্ষতি নিয়ে ফিরিস্তিরও শেষ নেই। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ অতীব জরুরী একটি বিষয়। পুরাতন কথা হলেও বার বার নিজেকে স্মরণ করাতে হয়। আসুন কিছু জরুরী পদক্ষেপের কথা জানা যাক, রাগের মুহূর্তে যেগুলো টনিকের মতো কাজ করে:
(১) আল্লাহর নিকট পানাহ চাওয়া
সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে দু’ব্যক্তি কথা কাটাকাটিতে প্রবৃত্ত হলো। তাদের একজনের দু’ চোখ (রাগে) লাল হয়ে খাড়া হয়ে গেল রগরেশ। রাসূলুল্লাহ বললেন, ‘আমি এমন একটি কালিমা জানি, যা যে কেউ পাঠ করলে তার রাগ দূর হয়ে যায়। আর তা হচ্ছে أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ (আমি বিতাড়িত শয়তানের থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই)।’ [সহীহ মুসলিম, (৬৪৫৮)]
(২) চুপ হয়ে যাওয়া
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয়, সে যেন চুপ হয়ে যায়।’
[মুসনাদে আহমাদ (১/৩২৯), সহীহ আল জামি (৬৯৩, ৪০২৭)
কেননা রাগের মুহূর্তে আমাদের মুখ লাগামহীন হয়ে পড়ে। হিতাহিত জ্ঞান শূন্যের কোঠায় নেমে যায়, ফলে তখন এমন কথা মুখ থেকে বেরিয়ে পড়ে, যার জন্য পরবর্তী অনেক পস্তাতে হয়। এ ক্ষেত্রে ক্ষণিকের নীরবতা ভবিষ্যৎ অনেক শঙ্কা থেকে মুক্তির মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
(৩) অবস্থান পরিবর্তন করা
আবূ যার (রাযি.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের বললেন ‘যদি তোমাদের কেউ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রাগান্বিত হয়, তবে সে যেন বসে পড়ে। যদি এতে রাগ চলে যায়, তবে ভাল; নয়তো সে শুয়ে পড়বে।’
আতিয়াহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত; আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। আর শয়তান আগুন হতে সৃষ্ট। আগুনকে পানিই নেভাতে পারে। কাজেই তোমাদের কেউ রাগান্বিত হলে সে যেন ওযু করে।’ [আহমাদ (১৮১৪৮), আবু দাউদ (৪৭৮৪)]
(৪) আল্লাহর নবীর অসিয়ত স্মরণ করা
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত; এক লোক নবী (ﷺ)-এর সমীপে আবেদন জানাল, আপনি আমাকে অসিয়ত করুন। তিনি বললেন, ‘তুমি রাগান্বিত হয়ো না।’ লোকটি আবার একই আবেদন জানাল। তিনি (প্রতি বারেই) তাকে এই অসিয়ত করলেন, ‘তুমি রাগান্বিত হয়ো না।’ [সহীহুল বুখারী (৬১১৬), তিরমিযী (২০২০)]
রাসূলুল্লাহ বলেন, ‘ধরাশায়ী করার মাঝে কৃতিত্ব নেই। বরং রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার মাঝেই আসল কৃতিত্ব।’ [আহমাদ (২/২৩৬)]
আলী ইবনে হুসাইন (রাযি.) বলেন, ‘বান্দার রাগ আল্লাহর রাগের নিকটবর্তী করে।’
(৫) রাগ দমনের সাওয়াব
আল্লাহ বলেন, ‘ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। উৎকৃষ্ট দ্বারা মন্দ প্রতিহত করো; তাহলে যাদের সাথে তোমার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এ চরিত্রের অধিকারী কেবল তারাই হয়, যারা ধৈর্যশীল; এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা মহা-ভাগ্যবান। যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ [সূরা ফুসসিলাত, ৪১: ৩৪-৩৬]
মুত্তাকীদের প্রশংসায় আল্লাহ বলেন,
الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ فِی السَّرَّآءِ وَ الضَّرَّآءِ وَ الۡکٰظِمِیۡنَ الۡغَیۡظَ وَ الۡعَافِیۡنَ عَنِ النَّاسِ ؕ وَ اللّٰہُ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় দান করে, ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে থাকে। আর আল্লাহ মুহসিনদের ভালোবাসেন।’ [সূরা আলে ইমরান, ৩: ১৩৪]
নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘রাগ করো না, তাহলে জান্নাত তোমার।’ [সহীহ আল-জামিঈ (৭৩৭৪)]
নবিজি আরও বলেন, ‘যে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাগ দমন করে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার অন্তরকে সন্তুষ্টি তারা পূর্ণ করে দেবেন।’ [তাবারানী (১২/৪৫৩), সহীহ আল-জামিঈ (১৭৬)]
তিনি আরও বলেন, ‘সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তার রাগ দমন করে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাঁর গোটা সৃষ্টির সম্মুখে তাকে ডাকবেন এবং তাকে যে হুর ইচ্ছা নির্বাচন করতে দেবেন।’ [আবু দাউদ (৪৭৭৭), সহীহ আল-জামিঈ (৬৫১৮)]
মহান আল্লাহ যেন আমাদের সঠিক বুঝ দান করেন, ক্ষমা করেন, হেদায়েত করেন এবং সবসময় হেফাজত করেন।

জাযা-কাল্লা-হু খইরান।

06/11/2023
04/11/2023

দান সাদকা কি শুধু টাকা দিয়েই হয়?
নাহ! টাকা ছাড়াও হয়!

রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
"তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎকাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ (অর্থাৎ দৃষ্টিহীনকে পথ দেখানোও সাদকা)।

পথ হতে পাথর, কাটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।"
(সূনান আত তিরমিজী:১৯৫৬)

"পানি পান করানোর চাইতে বেশি নেকি আর কোনো সদকাতে নেই।"
(বায়হাকী শু'আবুল ঈমান ৩১০৫)

আরো হলো,
একবার সুবহানাল্লাহ বলা একটি সদাকাহ।

একবার আলহামদুলিল্লাহ বলা একটি সাদাকাহ।

একবার আল্লাহু আকবার বলা একটি সদাকাহ।

একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা একটি সাদাকাহ।

নিজ হাতে লাগানো গাছের পাতা, ফল কোন প্রাণী খেলে সেটিও একটি সাদাকাহ।

কাউকে একটি বোঝা তার বাহনে তুলে দিতে সহযোগিতা করা একটি সদাকাহ।

কাউকে একটি বোঝা তার বাহন থেকে নামাতে সহযোগিতা করা একটি সদাকাহ।

বিবাদমান দু'ব্যক্তির মাঝে সুবিচার করা একটি সাদাকাহ।

একটি উত্তম কথা একটি সাদাকাহ।

সালাতের জন্যে মসজিদের পথে প্রতিটি পদক্ষেপ একটি সদাকাহ।
(সহীহ মুসলিম: ৭২০, ১০০৬, ১০০৯, ১৫৫৩)

মহান আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলার কত দয়া! আমাদের নেকীর পাল্লা ভারী, জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকতে, পরিবার ও সমাজ সুন্দর করে গঠন করতে কত কত চমৎকার পন্থা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ আমাদের এসকল কাজগুলো শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করার তাওফিক দিন।

সৌজন্যতাঃ মাহমুদ হাসান।

I've received 8,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
03/11/2023

I've received 8,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

31/10/2023
31/10/2023

#আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘‘আল্লাহ (পাপ-পুণ্য লেখক ফিরিশতাকে) বলেন, ‘আমার বান্দা যখন কোন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত তার আমলনামায় পাপ লিপিবদ্ধ করো না। অতঃপর যদি তা কাজে পরিণত করে, তাহলে অনুরূপ (১টি) পাপ লিপিবদ্ধ কর। আর যদি তা আমার কারণে ত্যাগ করে (কাজে পরিণত না করে), তাহলে তার জন্য ১টি নেকী লিপিবদ্ধ কর। পক্ষান্তরে যখন সে কোন নেকীর কাজ করার ইচ্ছা করে এবং তা কাজে পরিণত না করতে পারে, তাহলে তার জন্য ১টি নেকী লিপিবদ্ধ কর। আর যদি তা কাজে পরিণত করে ফেলে, তাহলে তার জন্য ১০ থেকে ৭০০ গুণ নেকী লিপিবদ্ধ কর।’’

(বুখারী ৭৫০১)

28/10/2023

🟥 প্রশ্ন : কিছু কিছু কাজ আছে, যা করলে নাকি আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে। এটি কিভাবে সম্ভব এবং কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

🟥 উত্তর : কেবল সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ)-এর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশে কম্পন সৃষ্টি হয় বলে ছহীহ হাদীছে পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল (বুখারী হা/৩৮০৩; মুসলিম হা/২৪৬৪; মিশকাত হা/৬১৯৭)।

তিনি আরো বলেন, সা‘দ বিন মু‘আযের জানাযায় ৭০ হাযার ফেরেশতা অংশগ্রহণ করেন (মুসনাদে বাযযার, ছহীহাহ হা/৩৩৪৫) এবং ফেরেশতাগণ তাঁর লাশ বহন করেন (তিরমিযী হা/৩৮৪৯; মিশকাত হা/৬২২৮; ছহীহাহ হা/৩৩৪৭)।

এক্ষণে আরশের কম্পন সম্পর্কে বলা যায়- প্রথমতঃ এটা গায়েবের বিষয়।

বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হওয়ায় যুক্তি না খুঁজে এবং কোন প্রকার তাবীলের আশ্রয় না নিয়ে এর প্রতি বিশ্বাস আনাই মূমিনের কর্তব্য।

দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ রববুল ‘আলামীন স্বয়ং আরশের স্রষ্টা। তিনিই তাঁর পরিচালক। তিনি যদি চান আরশে কম্পন সৃষ্টি করতে বা সা‘দের ভালোবাসায় তার মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি করতে, সেটা তাঁর ইচ্ছা মাত্র। যেভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর ভালোবাসায় ওহোদ পাহাড়ে কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১/২৯৭)।

উল্লেখ্য, ইয়াতীম ক্রন্দন করলে (যঈফাহ হা/৫৮৫২), ফাসেকের প্রশংসা করা হ’লে (বায়হাক্বী-শো‘আব হা/৪৮৮৬; মিশকাত হা/৪৮৫৯), স্ত্রী তালাক দিলে (যঈফাহ হা/১৪৭) আল্লাহর আরশ প্রকম্পিত হয় মর্মে বর্ণনাগুলির সবই জাল ও যঈফ।

এছাড়া কারো প্রতি যুলুম করা হ’লে, পিতা-মাতার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকালে আল্লাহর আরশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় মর্মে বর্ণিত কথাগুলি ভিত্তিহীন।

📓 মাসিক আত-তাহরীক।
Mahfuzur Rahman ভাইয়ের ওয়াল থেকে।

27/10/2023

_________________________
إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالإِحْسَانِ وَإِيتَاء ذِي الْقُرْبَى وَيَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَالْبَغْيِ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
_________________________
মোটামুটি উচ্চারণঃ ইন্নাল্লা-হা ইয়া’মুরু বিল্‘আদলি ওয়াল্ ইহ’ছা-নি ওয়া ঈতা-ইযি’ল্ কু’র্বা- ওয়া ইয়ানহা- ‘আনিল্ ফাহ’শা-ই ওয়াল্ মুংকারি ওয়াল বাগই ইয়া‘ইজু’কুম্ লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন্।
_________________________
সরল তর্জমাঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ আদেশ করেন ন্যায় বিচার ও মানুষের সাথে ভালো আচরণ করার জন্যে, এবং আত্মীয়-স্বজনকে দান করার জন্য। আর তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
সুরা আন-নাহলঃ ৯০।

দুনিয়াতে মানুষ নিজের যেকোন প্রাপ্তিকে নিজের যোগ্যতা বা পরিশ্রমের ফসল হিসাবে ব্যাখ্যা করতে পছন্দ করে। আবার অন্যের সফলতায় ...
26/10/2023

দুনিয়াতে মানুষ নিজের যেকোন প্রাপ্তিকে নিজের যোগ্যতা বা পরিশ্রমের ফসল হিসাবে ব্যাখ্যা করতে পছন্দ করে। আবার অন্যের সফলতায় অনেক মানুষের মন খারাপ হয়। আবার অনেকে চেষ্টা করে অন্যকে পিছনে ফেলে দিতে, অন্যের সফলতাকে বাধাগ্রস্থ করতে। মূলত এসবের কিছুই তাদের হাতে নেই।। সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ একমাত্র আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার হাতে।।

24/10/2023

ছদাকা: বেতন (টাকা)-কে মাসের শেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখার পরামর্শপত্র
___________________________________
ঘটনাটি এক সৌদি-যুবকের।

সে তার জীবনের প্রতি মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। তার বেতন ছিল মাত্র চার হাজার রিয়াল। বিবাহিত হওয়ায় তার সাংসারিক খরচ বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। মাস শেষ হওয়ার আগেই তার বেতনের টাকা শেষ হয়ে যেত, তাই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে ঋণ নিতে হত। এভাবে সে আস্তে আস্তে ঋণের কাদায় ডুবে যাচ্ছিল। আর তার বেতনে এমন বিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিল যে, তার জীবন এই অভাবেই কাটবে। অবশ্য তার স্ত্রী তার এ-অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখত। কিন্তু ঋণের বোঝা এত ভারী হযেছিল, যেন নিশ্বাস নেওয়াও দুষ্কর।

একদিন সে তার বন্ধুদের এক মজলিসে গেল। সেদিন এমন একজন বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। যুবকের বক্তব্য এমন ছিল যে, আমার ওই বন্ধুর সকল পরামর্শকে আমি খুব গুরুত্ব দিতাম।

কথায় কথায় যুবক তার সকল অবস্থা বন্ধুকে বলল। বিশেষত আর্থিক সমস্যাটা তার সামনে তুলে ধরল। তার বন্ধু মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনল এবং বলল, আমার পরামর্শ হল- তুমি তোমার বেতন থেকে কিছু টাকা ছদকার জন্য নির্ধারণ কর। যুবক আশ্চর্য হয়ে বলল, জনাব! সাংসারিক প্রয়োজন পুরনেই ঋণ নিতে হয়; আর আপনি আমাকে ছদকার জন্য টাকা নির্ধারণ করতে বলেছেন?

যাইহোক, যুবক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্ত্রীকে জানাল। তার স্ত্রী বলল, পরিক্ষা করতে সমস্যা কী? হতে পারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য রিযিকের দরজা খুলে দিবেন। যুবক বেতনের চার হাজার রিয়াল থেকে ত্রিশ রিয়াল ছদকার জন্য নির্ধারণের ইচ্ছা করল এবং মাসশেষে তা আদায় করতে শুরু করল।

সুবহানাল্লাহ!
তার (আর্থিক) অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেল। সে তো সবসময় টাকা-পয়সার চিন্তা টেনশনেই পড়ে থাকত; আর এখন তার জীবন যেন ফুলের মতো হয়ে গেছে। এত ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে স্বাধীন মনে হত। মনের মধ্যে এমন এক অনাবিল শান্তি হচ্ছিল, যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।

কয়েক মাস পর থেকে সে নিজের জীবনকে সাজাতে শুরু করল। নিজের আয়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করল, আর তাতে এমন বরকত হল, যা পূর্বে কখনও হয়নি। সে হিসাব করে একটা আন্দাজ করল, কত দিনে ঋণের বোঝাটা মাথা থেকে নামাতে পারবে-ইন শা আল্লাহ।

কিছুদিন পর আল্লাহ তা’লা তার সামনে আরও একটি পথ খুলে দিলেন। সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রপাটি-ডিলিং এর কাজে অংশ নিতে শুরু করে। সে বন্ধুকে গ্রাহক/ক্রেতা এনে দিত, তাতে ন্যায্য প্রফিট পেত।

আলহামদুলিল্লাহ!
সে যখনই কোনো গ্রাহকের কাছে যেত, গ্রাহক অবশ্যই তাকে অন্য গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তা দেখিয়ে দিত। এখানেও সে ঐ আমলের পুনরাবৃত্তি করত। অর্থাৎ প্রফিটের টাকা হাতে আসলে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) অবশ্যই তা থেকে ছদকা নির্ধারণ করত।

আল্লাহর কসম! ‘ছদকা কী’ তা কেউ জানে না; ঐ ব্যক্তি ব্যতিত যে তা পরিক্ষা করেছে। ছদকা কর এবং ছবরের সাথে চল- আল্লাহর ফযলে খায়ের বরকত নাযিল হবে, যা নিজ চোখে দেখতে পাবে।

নোট:- যদি আপনি কোনো মুসলমানকে তার উপার্জনের একটি অংশ ছদকার জন্য নির্ধারণ করতে বলেন এবং এর উপর আমল করে, আপনিও ঐ পরিমাণ ছওয়াব পাবেন যে পরিমাণ ছদকাকারী পেয়েছে। আর ছদকাকারীর ছওয়াবে কোনো কমতি আসবে না।

আপনি দুনিয়া থেকে চলে যাবেন আর আপনার অবর্তমানে কেউ আপনার কারণে ছদকা করতে থাকবে। আপনি ছওয়াব পেতে থাকবেন।

যদি আপনি তালিবে ইলমও হন এবং আপনার আয় একেবারে সীমিত ও নির্ধারিতও হয়। তবুও কম-বেশি, যতদূর সম্ভব (সামান্য কিছু হলেও) ছদকার জন্য নির্ধারণ করুন।

যদি ছদকাকারী জানতে ও বুঝতে পারে যে, তার ছদকা ফকিরের হাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর হাতে যায়। তাহলে অবশ্যই ছদকা গ্রহণকারীর তুলনায় ছদকাদানকারী অনেকগুণ বেশি আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।

ছদকা দানের উপকারিতা:-

ছদকা দানকারী এবং যে তার কারণ হবে সেও এ সকল ফায়েদার অন্তর্ভুক্ত।

১. ছদকা জান্নাতের দরজাসমূহের একটি।

২. সদ আমলের মধ্যে উত্তম আমল।

৩. ছদকা কেয়ামতের দিন ছাঁয়া হবে এবং ছদকা-আদায়কারীকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবে।

৪. ছদকা আল্লাহ তা‘লার ক্রোধকে ঠান্ডা করে এবং কবরের উত্তপ্ততায় শীতলতার উপকরণ হবে।

৫. মৃতব্যক্তির জন্য উত্তম বদলা এবং সবচে’ উপকারী বস্তু হল সদকা। আর ছদকার ছওয়াবকে আল্লাহ তা‘আলা ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে থাকেন।

৬. ছদকা পবিত্রতার আসবাব, আত্মশুদ্ধির মাধ্যম ও সৎকাজের প্রবর্ধক।

৭. ছদকা কেয়ামতের দিন ছদকাকারীর চেহারার আনন্দ ও প্রফুল্লতার কারণ হবে।

৮. ছদকা কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থ্ায় নিরাপত্তা হবে। অতীতের জন্য আফসোস করা থেকে বিরত রাখে।

৯. ছদকা গুনাহের ক্ষমা এবং খারাপ কাজের কাফফারা।

১০. ছদকা উত্তম মৃত্যুর সুসংবাদ এবং ফেরেস্তাদের দোয়ার কারণ।

১১. ছদকা দানকারী সর্বোত্তম বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত এবং ছদকার ছওয়াব প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি পায় যে কোনো না কোনোভাবে অংশিদার হয়।

১২. ছদকা দানকারীর সঙ্গে সীমাহীন কল্যাণ ও বিরাট প্রতিদানের ওয়াদা রয়েছে।

১৩. খরচ করা মানুষকে মুত্তাকীদের কাতারে শামিল করে। ছদকাকারীকে সৃষ্টিকূল মুহাব্বত করে।

১৪. ছদকা দয়া-মায়া ও দানশীলতার আলামত।

১৫. ছদকা দোয়া কবুল এবং জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম।

১৬. ছদকা বালা মসিবত দূর করে দুনিয়াতে সততরটা খারাপির দরজা বন্ধ করে।

১৭. ছদকা হায়াত ও মাল বৃদ্ধির মাধ্যম। সফলতা এবং রিজিকের প্রশস্ততার মাধ্যম।

১৮. ছদকা চিকিৎসা, ঔষধ ও সুস্থতা।

১৯. ছদকা আগুনে পোড়া, পানিতে ডোবা ও অপহরণসহ (সকল) অপমৃত্যুর প্রতিবন্ধক।

২০. ছদকার প্রতিদান পাওয়া যায় চাই তা পশু-পাখিকেই দেওয়া হোক না কেন।

শেষকথা:- এই মুহূর্তে আপনার জন্য সর্বোত্তম ছদকা হল, কথাগুলো ছদকার নিয়তে প্রচার করা।

(উর্দু থেকে তরজমাকৃত এবং সংগৃহীত - R Karim Bukhari)
Mahfuzur Rahman ভাইয়ের ওয়াল থেকে কপিকৃত।

Address

Haven, 2nd Floor, 05 Rajapur Lane, Andarkilla
Chattogram
4000

Opening Hours

Monday 19:00 - 22:00
Tuesday 19:00 - 22:00
Wednesday 19:00 - 22:00
Thursday 19:00 - 22:00
Friday 15:00 - 18:00
Saturday 19:00 - 22:00
Sunday 19:00 - 22:00

Telephone

+8801975233888

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Emranul Haque, Co-founder, HR DESK posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Emranul Haque, Co-founder, HR DESK:

Videos

Share

Category


Other Video Creators in Chattogram

Show All