Fayzia Printing Press

Fayzia Printing Press Offset printing, graphic design, order suppliers. Total Printing, Graphic Design, Book Binding & Suppliers

28/02/2024

আসন্ন রমাদানে “ডায়াবেটিস” রোগীর জন্য পরামর্শ

25/02/2024

শাবান মাসের শিক্ষা ও আমল

ক্ষমা ও মার্জনায় মহিমান্বিত রাত শবে-বরাত: তাৎপর্য ও আহকামহযরত আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.)-------------------------...
25/02/2024

ক্ষমা ও মার্জনায় মহিমান্বিত রাত শবে-বরাত: তাৎপর্য ও আহকাম
হযরত আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (দা.বা.)
-------------------------------
মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর চিরন্তন ধারা অনুযায়ী কোন মুহূর্তকে অন্য মুহূর্তের উপর, কোন মাসকে অন্য মাসের উপর, কোন দিবসকে অন্য দিবসের উপর, কোন রজনীকে অন্য রজনীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য দান করেছেন। মাহে-রমযান সকল মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও সুমহান। জুমার দিন অন্য দিনের তুলনায় অধিক মর্যাদাবান। অনুরূপ শবে-ক্বদর ও শবে-বরাত অপরাপর রজনীর চেয়ে সর্বাধিক বরকত, ফযীলত ও কল্যাণের অধিকারী।
ক্ষণিকের এ পান্থশালায় মানবজাতি একটি নির্দিষ্ট কাল অতিবাহিত করে চিরস্থায়ী জগতের এক শাশ্বত ঠিকানায় ফিরে যাবে। এখানে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী, সীমাবদ্ধ তার আয়ু। চিরস্থায়ী জীবনকে সুখ ও শান্তিতে সমৃদ্ধ করে তুলতে মহান পরওয়ারদিগার স্বীয় করুণায় বান্দাগণকে ইহজগতের এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিশেষ মওকা ও সুযোগ দান করেছেন। যাতে বান্দা সেই সুবাদে নিজ পাপাচার সমূহের উপর অনুতপ্ত হয়ে তওবা-ইস্তেগফার করতঃ আমলে-সালেহ্ তথা পুণ্যের কার্য দ্বারা পরজগতের জন্য পাহাড়সম সওয়াবের স্তুপ গড়ে তুলতে পারে এবং অফুরন্ত সুখ সীমাহীন প্রশান্তির স্থায়ী আধার জান্নাতুল ফেরদাউসকে তার একমাত্র ঠিকানা বানাতে পারে। শবে-বরাত হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত অনুরূপ এক বরকতময় সুবর্ণ সুযোগ। অসীম কল্যাণে ভরপুর এই রজনী বান্দার জন্য মহান আল্লাহর বিশেষ এক নিয়ামত।
শবে-বরাত কী?
--------------
বারাত শব্দের আভিধানিক অর্থ অব্যাহতি, দায়মুক্তি ও নিস্কৃতি। শবে-বরাত অর্থ নাজাত বা নিস্কৃতির রাত, এই রাত্রিতে বান্দা যিকির-আযকার, কোরআন তেলাওয়াত, তওবা-ইস্তেগফার ইত্যাদি আমল দ্বারা মহান প্রভুর গযব ও দোযখের আযাব থেকে নিস্কৃতি ও মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয় বলেই এই রজনীকে লাইলাতুল বারাত বা শবে বারাত বলা হয় (তফসীরে কবীর ২৭/২৩৮)। হাদীস শরীফে ইহা লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান নামে এসেছে। শরীয়তের পরিভাষায় শাবান মাসের ১৪তারিখ দিন সমাপ্তির পর সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে শবে-বরাত শুরু হয়।
হাদীসের আলোকে শবে বারাত
-------------------------
হযরত মুআজ বিন জাবাল (রাযি.) হতে বর্ণিত হযরত রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেন যে, আল্লাহপাক মাহে শাবানের ১৫তম রজনীতে (শবে বারাতে) স্বীয় সৃষ্টিকুলের দিকে তাকিয়ে আপন বান্দাগণকে ক্ষমা করে দেন মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন লোক ব্যতীত, (মাজমাউয যাওয়াঈদ ৮/৬৫, তারগীব তারহীব ২/২৪১, শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকী ৩/৩৮২ পৃষ্ঠা)।
ব্যাখ্যাঃ হযরত মুআজ বিন জাবালের (রাযি.) উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা এ কথা প্রতীয়মান হলো যে, মহান রাব্বুল আলামীন শাবানের ১৫তম রজনীতে দুনিয়াবাসীর দিকে বিশেষ রহমতের সাথে দৃষ্টিপাত করেন, এ রাতে তাঁর বিশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়, স্বীয় দয়া ও করুণা দ্বারা তিনি বান্দাগণের যাবতীয় পাপাচারকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু যারা আল্লাহর সাথে শিরিক করে এবং মানুষের সাথে হিংসা-বিদ্বেষের আচরণ করে, তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।
হযরত আয়শা (রাযি.) বর্ণনা করেন যে, এক রাতে আমি হযরতকে বিছানায় পাইনি। যখন আমি খুঁজতে লাগলাম তখন হঠাৎ দেখি তিনি জান্নাতুল বাকীতে অবস্থান করছেন। আমাকে দেখে তিনি বললেন, তোমার কি ভয় হচ্ছিল যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর জুুলুম করবেন? আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি মনে করেছিলাম আপনি আপনার অন্য কোন বিবির ঘরে তাশরীফ নিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তা’আলা শা’বান মাসের ১৫তম রাত্রিতে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের লোম থেকেও অধিক হারে গোনাহগারদের ক্ষমা করে দেন (জামে তিরমিযী, তারগীব-তারহীব ৪/২৪০, মুসনাদে আহমদ ১৮/১১৪ পৃষ্ঠা)।
ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসের কালব গোত্রের কথা এজন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ গোত্রের জনসংখ্যা ও বকরির সংখ্যা অন্য গোত্রের চেয়ে অধিক ছিল, প্রিয় নবীজী (সা.) উপরোক্ত হাদীসের শবে বরাতের রজনীতে আল্লাহর মাগফিরাত ও ক্ষমার আধিক্যতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
হযরত আলী (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেন, যখন শাবান মাসের ১৫তম রাত্রি আসে তখন তোমরা রাত জেগে ইবাদত করবে এবং তার পরের দিন রোযা রাখবে। কেননা সে রাত্রিতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূর্যাস্তের পর পরই প্রথম আসমানে অবতরণ করেন (অর্থাৎ আপন করুণার সাথে মনোযোগী হন) এবং বলতে থাকেন, কেউ ক্ষমা প্রত্যাশী আছো কি? যাকে আমি ক্ষমা করে দেব। কেউ রিযিক অন্বেষণকারী আছো কি? যাকে আমি রিযিক দান করব, কেউ দুর্দশাগ্রস্ত-বিপর্যস্ত আছো কি? যাকে আমি বিপর্যয় থেকে মুক্তি দান করব। কেউ অমুক অমুক জিনিস ভিক্ষাকারী আছো কি? এভাবে সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত ডাকতে থাকেন (ইবনে মাজাহ- ৯৯ পৃষ্ঠা, শুয়াবুল ঈমান- ৩/৩৭৯ পৃষ্ঠা)।
শবে বারাত সম্পর্কীয় বর্ণনাগুলোর তাত্ত্বিক গবেষণা
---------------------------
শবে-বরাত সম্পর্কে কোন কোন মহলের ধারণা যে, রাতের ফজীলত সম্পর্কীয় বর্ণনা যা হাদীসের গ্রন্থাবলীতে বিদ্যমান, সম্পূর্ণ মওজু বা ভিত্তিহীন অথবা শেষ পর্যায়ের দুর্বল, এ ভূল ধারণার কারণে তারা এ রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করতে লাগল। কিন্তু একথা বাস্তব সত্য যে, শবে-বরাত সম্পর্কে যদি হাদীসের গ্রন্থাবলীকে গভীরভাবে পাঠ করা হয়, এবং হাদীস শাস্ত্রেও মূলনীতি সম্পর্কে কিছু ধারণা লাভ করা যায়, তবে একথা দিবালোকের ন্যায় পরিস্ফুট হয়ে যাবে যে, এসব লোক চরম ভুল ভ্রান্তির শিকার। হাদীস শাস্ত্র সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা ও অনভিজ্ঞতাই সে ভুল ধারণার একমাত্র কারণ। তাছাড়া তাদের সে মতবাদ সালফে সালেহীন তথা পূর্বসূরী উলামায়ে কেরামের রায় ও আমলের সাথে সংঘর্ষশীলও বটে।
একথা প্রকৃত সত্য যে, শবে বরাতের তাৎপর্য ও ফজীলত সম্পর্কে মর্যাদাশীল সাহাবায়ে কেরাম এর এক জামাত থেকে বিভিন্ন সূত্রে রেওয়ায়েত সমূহ বর্ণিত আছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রাযি.), হযরত আলী (রা.), হযরত আয়েশা (রাযি.), হযরত আবূ হুরায়রা (রাযি.), হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাযি.), হযরত আবূ মূসা আশআরী (রাযি.), হযরত মুআজ বিন জাবাল (রাযি.), হযরত আউফ বিন মালেক (রাযি.) প্রমুখ। যদিও এসব বর্ণনাগুলোকে স্বতন্ত্রভাবে সহীহ্ বলা যায় না। কিন্তু যেহেতু কতিপয় বর্ণনা নির্ভরযোগ্য রাবী তথা বর্ণনাকারীর মাধ্যমে বর্ণিত রয়েছে এবং তার সহায়ক বর্ণনাও হাদীসের গ্রন্থাবলীতে বিদ্যমান, সেহেতু সমষ্টিগতভাবে শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কীয় হাদীসগুলো সহীহ্ হাদীসের সমপর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর এখানেই শরীয়তের একটি মূল ভিত্তি শবে বরাতের পাওয়া যায়। তাতে সংশয় সৃষ্টি হওয়ার কোন অবকাশ নেই।
শবে বরাতের বর্ণনাগুলো সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের অভিমত
------------------------------
বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ আল্লামা হাফিজ মুহাম্মদ আব্দুর রহীম মোবারকপূরী (রাহ্.) শবে বরাতের বর্ণনাগুলো প্রসঙ্গে বলেন, অবশ্যই শবে বরাতের ফযীলত নিয়ে একাধিক হাদীস বর্ণিত আছে। সমষ্টিগতভাবে সেসব হাদীস শরীয়তে শবে বরাতের অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে। শবে বরাতের অস্বীকার কারীদের জন্য সেসব হাদীস দলীল-প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট। (তোহফাতুল আহওয়াযী শরহে জামেউত তিরমিজী ৩/৪৪২)। উপমহাদেশের বিখ্যাত হাদীস ব্যাখ্যাকার আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী (রাহ.) বলেন, এটা লাইলাতুল বরাত, এ রাতের ফযীলত সম্পর্কীয় হাদীসগুলো সহীহ্ তথা নির্ভরযোগ্য। (আরফুশ শাযী শরহে তিরমিযী- ১৫৬ পৃষ্ঠা)।
আরব বিশ্বের নন্দিত গবেষক, বিদগ্ধ হাদীস বিশারদ আল্লামা নাসির উদ্দীন আলবানী (রাহ্.) শবে বরাতের বর্ণনাগুলো একত্রিত করে তার সূত্র সমূহের উপর বিশদ আলোচনা করেন। পরিশেষে তিনি বলেন, মোট কথা সমষ্টিগতভাবে সবকটি সূত্রের দ্বারা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কীয় বর্ণনাগুলো নিশ্চয় সহীহ তথা নির্ভরযোগ্য। যারা বলে শবে-বরাত সম্পর্কে কোন সহীহ্ হাদীস নেই তাদের সে মতামত গ্রহণযোগ্য নয় (সিলসিলাতুল আহাদীস আসসহীহা ৩/১৩৮ পৃষ্ঠা)।
শবে বরাতের করণীয় বিষয়
------------------
রাসূলে কারীম (সা.)- এর উল্লিখিত হাদীস সমূহ দ্বারা একথা প্রতীয়মান হলো যে, শবে-বরাত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত। আল্লাহর রহমত ও করুণা অর্জনের রাত। যাবতীয় পাপাচার ও নাফরমানী থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার রাত। এ জন্য সালফে সালেহীন ও খোদায়ী প্রেমে মাতোয়ারা আল্লাহর অলীগণ এ রাতের অধিক মূল্যায়ন করতেন, এ রাতের আগমনের অধীর অপেক্ষায় থাকেতন। গোটা রাত ইবাদত বন্দেগী, যিকির- আযকার, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি আমল দ্বারা কাটিয়ে দিতেন। একাগ্রতার সাথে আল্লাহর কাছে যাবতীয় পাপ-পঙ্কিলতা থেকে তাওবা এবং ইহকালের কল্যাণের জন্য দোয়া প্রার্থনা করার প্রতি তাগিদ দিতেন (দ্রষ্টব্য আল-মাদখাল লিল ইমাম ইবনুল হাজ্ব আল মালেকী ১/২৯৯ পৃষ্ঠা)।
আল্লাহর বান্দা হিসেবে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য এই যে, মহান পরওয়ারদিগার এর বিশেষ নেয়ামত শবে-বরাতকে নিজ নিজ সাধ্যমতে যিকির, কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া-দরূদ পাঠ, দান-খয়রাত, নফল নামায ইত্যাদি আমল দ্বারা সুসজ্জিত করে তোলা। অত্যন্ত নিরিবিলি পরিবেশে একাগ্রতা ও কাকুতির সাথে বিগত দিনের পাপাচারগুলোর উপর অনুতপ্ত খাঁটি অন্তরে তাওবা করা। চোখের অশ্রু প্রবাহিত করে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা।
এ প্রসঙ্গে হযরত রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তির চোখের অশ্রু তার মুখমন্ডলের উপর বেয়ে পড়বে, যদিও তা মাছির ডানা পরিমাণ হয়, আল্লাহপাক তার চেহারার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন। (মিশকাত- ৪৫৮)।
পূর্ণ একীন ও বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর দরবারে এভাবে প্রার্থনা করলে নিশ্চয়ই তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিবেন। আপন রহমতের সুশীতল ছায়াতলে অবশ্যই আমাদের ঠিকানা দিবেন।
শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোন আমল নেই
----------------------
শরীয়তের পক্ষ হতে শবে বরাতের জন্য নির্ধারিত কোন আমল বা ইবাদতের বিশেষ কোন পদ্ধতিও নেই। নিজ নিজ সাধ্যানুসারে কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামায, যিকির-আযকার, তাসবীহ-তাহলীল ইত্যাদি আমল করা যাবে। তেমনিভাবে এরাতের নির্দিষ্ট কোন নামাযও শরীয়তে প্রচলন নেই। কোন কোন মহলে শবে বরাতের ১২ রাকাত, ১০০ রাকাত নামাযের যে প্রথা রয়েছে, তা নির্ভরযোগ্য কোন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এরাতের নির্দিষ্ট নামাযের ফযীলত সম্পর্কে কতিপয় বর্ণনা লোকমুখে শুনা যায়। কিন্তু হাদীস বিশারদগণ সেসব বর্ণনাকে মওজু তথা মিথ্যা ও জাল বলে অভিহিত করেছেন। (দ্রষ্টব্য: আল-মাওজুআত ইমাম ইবনুল জাওযী- ২/১২৭ পৃষ্ঠা)।
১৫ শাবানের রোযার হুকুম
--------------
হযরত আলী (রাযি.) বর্ণিত হাদীসে ১৫ই শাবানের দিবসে রোযা রাখার কথাও এসেছে। আল্লামা যারকানী (রাহ্.) উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় ১৫তম শাবানের রোযাকে মুস্তাহাব বলেছেন। তিনি বলেন, “যখন শাবানের ১৫তম রজনীর আগমন হবে তোমরা ইবাদত-বন্দেগী দ্বারা রাতকে জাগ্রত করে রাখবে। অত্যন্ত নিরিবিলি পরিবেশে যাবতীয় ইবাদতের কাজ আঞ্জাম দিবে, আর দিবসে রোযা রাখবে। কেননা রাত্রিকালীন ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা এবং দিনের বেলায় রোযা রাখা মুস্তাহাব”। (শরহে মাওয়াহেব আল্লাদুন্নিয়্যাহ- ৭/৪১২ পৃষ্ঠা)।
শবে বরাতে কবর যিয়ারতের বিধান
-------------
হযরত আয়েশা (রাযি.) এর বর্ণনা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হয় যে, এ বরকতময় রাতে হযরত রাসূলে করীম (সা.) মদীনার কবরস্থান জান্নাতুল বাকীতে তাশরীফ নিয়েছিলেন এবং কবরবাসীদের জন্য ঈসালে সাওয়াব ও তাদের মাগফিরাতের জন্য প্রার্থনাও করেছিলেন। তাই এ রাতে কবরস্থানে যাওয়া এবং মাইয়্যাতের রুহে সাওয়াব পৌঁছানোকে উলামায়ে কেরামগণ উত্তম ও ফযীলতের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। (ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩৫০)।
তবে নারী-পুরুষ দলবদ্ধভাবে কবরস্থানে যাওয়া, কবরস্থানে কবরের উপর অত্যাধিক আলোর ব্যবস্থা করা, কবরকে সিজদা ও কবরের তাওয়াফ করা শরীয়তের আলোকে অবৈধ ও মারাত্মক গুনাহ। আবূদাউদ শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলে করীম (সা.) কবরকে সিজদা ও আলোক-সজ্জাকারীদের উপর অভিশাপ দিয়েছেন। তাই কবর যিয়ারতের সময় আমাদেরকে এসব শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
---------------------------
লেখক– মুহাদ্দিস, মুফতি, মুফাসসির ও সহকারী পরিচালক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী এবং প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব- নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ।

23/01/2024
23/01/2024
09/12/2023

হাটহাজারীতে সড়ক
দু'র্ঘ'ট'না'য় নববিবাহিত
যুবকের মৃ-ত্যু

08/12/2023

সরকারি বিভিন্ন দফতরে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী সরকারকে বিপাকে ফেলতে এসব হীন কাজ করছে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন লোগো থেকে ‘হে প্রভু তুমি আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও’ কুরআনিক বাক্যটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা যে ভীষণভাবে মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ হয়েছে, বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমরা অনেকেই ধর্মকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাধা মনে করছি। অথচ মালয়েশিয়া-সহ পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইসলামি মূল্যবোধ ও আদর্শ বহাল থাকার পরও তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে।

শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক-সহ অনেক খ্রিষ্টান প্রধান দেশের জাতীয় পতাকায় খোচিত আছে তাদের ধর্মীয় নিদর্শন ক্রুশের চিহ্ন। পৃথিবীর বহু দেশের জাতীয় সংগীতে উজ্জ্বল হয়ে আছে তাদের ধর্মের অনুষঙ্গ।

এমনকি যাদেরকে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল মনে করি, যাদের উন্নতি দেখে আমরা দিবারাত্র ঈর্ষা করি, সেই তাদের ডলারের গায়ে লেখা আছে IN GOD WE TRUST।

ধর্ম তাদের উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাধা হলো না, অথচ উন্নতির দোহাই দিয়ে আমরা নানাভাবে ধর্মীয় অনুষঙ্গ ছাঁটাই করে চলেছি। এটা করে আমরা কতটুকু উন্নত হতে পেরেছি তা উল্লিখিত দেশগুলোর সাথে নিজেদের তুলনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

পৃথিবীর প্রায় সকল সভ্যতা ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। এ কারণে ধর্মের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। যারা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ধর্ম ত্যাগ করছে, তারা মূলত বিশ্বসভ্যতার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

আজ একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের লোগো থেকে কুরআনিক বাক্য সরিয়ে দেওয়া হলো। কাল অন্য জায়গা থেকে যে সরিয়ে দেওয়া হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মুসলিম নামটাই আমাদের কাছে লজ্জার কারণ হয়ে উঠবে।

নন্দিত ইসলামিক স্কলার শাইখ আহমদ উল্লাহ’র বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা...
07/12/2023

নন্দিত ইসলামিক স্কলার
শাইখ আহমদ উল্লাহ’র বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা...

এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই...দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্রদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা শুরু হতে যাচ্ছে শীঘ্রই।...
05/12/2023

এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই...

দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্রদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা শুরু হতে যাচ্ছে শীঘ্রই।

যা দেশের কওমী মাদরাসাসমুহে প্রথম উদ্যোগ।

04/12/2023

ঋন পরিশোধ করা যায় কিন্তু উপকার কোনদিন শোধ করা যায় না!

03/12/2023

মাহফিল নিয়ে দুটি কথা ||
লিখেছেন শ্রদ্ধেয় Sharif Muhammad ভাই

প্রিয় ভাইয়েরা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, নানা রকম অসংযত আয়োজন ও প্রচারণার মধ্যে দ্বীনি মাহফিলগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বড় একটি ইতিবাচক দাওয়াতি ক্ষেত্র এবং দ্বীনি সংস্কৃতির প্রকাশ। এর শান-মান, ইতিবাচকতা, ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুব দরকার। অনেক কারণে দরকার।

দেখুন, অতি উত্তেজক এবং অপরিণামদর্শী কথাবার্তা মাহফিলের জন্য খুব উপযোগী নয়। এতে তাৎক্ষণিক মাতামাতি ভালো হতে পারে, দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির আশঙ্কাটাই বেশি। এসবের জন্য রাজপথের জনসভাই উত্তম জায়গা। মাহফিলে ধার, ভার ও ব্যক্তিত্ব মিলিয়ে এমন জোরালো কথাবার্তার জন্য পরিনামদর্শী দু-চার জনকেই রাখুন। যে কেউ এ পথে হাঁটবেন না। খোঁচা খোঁচা চিকন কথা, ধমক কিংবা গালি জানলেই জনসমক্ষে বলতে হয় না।

দরকারি কথাগুলো, সতর্কতাগুলো, ধমকগুলো সহনযোগ্য নসিহতের ভাষায় ব্যক্ত করুন। তিক্ত ও দরকারি সত্যগুলো বলা অবশ্যই দরকার। তবে উত্তেজনা আর শ্লোগানের পেছনে পড়বেন না। লাগামহীন হবেন না। এতে তাৎক্ষণিক বাহবা পেলেও কিছুদিনের মধ্যে পুরো মাহফিল ব্যবস্থাপনা ও ধারাবাহিকতাই জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে। সেটা মোটেই ঠিক হবে না। না, শুধু সরকার টিকে থাকা ও সরকার বদলের সঙ্গে এর সম্পর্ক নাই, এটি একটি সাধারণ হিসাব ও পরিস্থিতির চাহিদা।

আয়োজকদের দায়িত্ব, মাহফিলের মঞ্চে ও প্রদর্শনে দুনিয়া ও ক্ষমতাকে প্রাধান্য না দেওয়া। স্থানীয় দায়িত্বশীল আলেমদের সঙ্গে নিয়ে বক্তা, সময়, পরিবেশ, বিষয় সাজানোর চেষ্টা করা। স্থানীয় যোগ্য/প্রবীণ/অভিজ্ঞ আলেমদেরকে গুরুত্ব দেওয়া। মানুষের উপকার হয় এবং মানুষের সমাগম হয়- দুটো বিষয়েরই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে বেশি ভালো। মাহফিলের পরিবেশের জন্য এটাই উপযোগী।

ঈমান, আমল, কুরআন, সুন্নাহ, সিরাত, শিক্ষা, মুসলিম জীবন, ইসলামের জাগরনী ইতিহাস/চরিত্র ও দ্বীন গঠন মূলক ইতিহাস, আখেরাতের গুরুত্ব এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মুসলিম জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র ও বিষয়ে সতর্কতা ও বিবেচ্য বিবেচনাগুলো মাহফিলের আলোচ্য বিষয় হতে পারে। ভিত্তিহীন অনিয়ন্ত্রিত কথাবার্তা এবং লক্ষহীন অতি উত্তেজনা এড়িয়ে চলা দরকার। দাওয়াতের ক্ষেত্র বড় হোক। গোটা দেশে নানা আয়োজনে মানুষ দ্বীনের কথা শুনতে পারুক। অশ্লীল ও ভুল কাজে মাতামাতির পরিবর্তে দ্বীনি আলোচনার আয়োজনে সংযুক্ত হওয়া মানুষের স্বভাব ও রুচি হয়ে উঠুক।

@ মাইকের শব্দচাপ কিংবা শব্দপীড়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই সতর্ক থাকুন।

ফয়জিয়া প্রিন্টিং প্রেস এবার যুক্ত হচ্ছে১০০ কেভি ক্যাপাসিটির জেনারেটর। আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের বিরতিহীন সেবা নিশ্চিত কর...
08/06/2023

ফয়জিয়া প্রিন্টিং প্রেস এবার যুক্ত হচ্ছে
১০০ কেভি ক্যাপাসিটির জেনারেটর। আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের বিরতিহীন সেবা নিশ্চিত করতে বিকল্প বিদ্যুৎ সংযোজন।

আশা করছি পূর্বের ন্যয় আপনাদের সহযোগিতা, সুপরামর্শ ও দোয়া আন্তরিকভাবে কামনা করি।

কর্তৃপক্ষ

Address

338, Rahmat Gonj, Anderkilla
Chattogram

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fayzia Printing Press posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category


Other Publishers in Chattogram

Show All