Abdur Rahim

Abdur Rahim chattagram

Permanently closed.
22/02/2024

সংগঠন যেন আমাদেরকে হিংসা বিদ্বেষ না শেখায়।

03/02/2024

কোন অমুসলিম ভাই যদি নিজের মাতৃভাষায় কোরআন পড়ার আগ্রহ থাকে, চাইলে ফ্রি কফি নিতে পারেন প্রতি মাসে একটি করে একজনকে দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ। সবাই পোস্টটি শেয়ার করবেন।WhatsApp 01300081323

📌চট্টগ্রাম দক্ষিণ খুলশীস্থ আহলে হাদিস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন, পোট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'র ছাত্রদের আন্দ...
25/01/2024

📌চট্টগ্রাম দক্ষিণ খুলশীস্থ আহলে হাদিস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন, পোট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'র ছাত্রদের আন্দোলন

#শরীর থেকে শরীফা মানি না মানবো না! #সমকামীতাকে না বলুন 🚫
#টান্সজেন্ডার নিপাত করুন।
#বয়কট ব্রাক বিকাশ আড়ং

#ট্রান্সজেন্ডার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সকল ছাত্রদের প্রতি রইল দোয়া ও ভালোবাসা জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

19/11/2023

ইচ্ছাকৃত ভাবে সালাত ছেড়ে দেয়া কুফরী কাজ।

সালাত জামায়াতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব।
মুমিন কখনোই ইচ্ছেকৃত ভাবে সালাত ছেড়ে দিতে পারে না, পাগল বা অজ্ঞান হ‌ওয়া ছাড়া।

15/11/2023

🚫মিথ্যা তাফসিরে নিয়ে যা বললেন।

প্রিয় ওস্তাদ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ হাফিজাহুল্লাহ

13/11/2023

#আব্বু আর বক্তব্য দেবেন না! ক্লিয়ার বলে দিলেন

#আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক

📌সালাতের নিষিদ্ধ সময় তিনটি-------------------------------প্রশ্ন: সালাতের নিষিদ্ধ সময়গুলো কি কি?উত্তর:সালাতের নিষিদ্ধ সম...
10/11/2023

📌সালাতের নিষিদ্ধ সময় তিনটি
-------------------------------
প্রশ্ন: সালাতের নিষিদ্ধ সময়গুলো কি কি?

উত্তর:
সালাতের নিষিদ্ধ সময় তিনটি। এ সময়গুলোতে সাধারণ কোন নফল পড়া ঠিক নয়।
সাহাবি উকবা বিন আমের জুহানী রা. বলেন,
ثَلاثُ سَاعَاتٍ نَهَانَا رَسُولُ الله صَلَّى الله عَلَيهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُصَلِّي فِيهِنَّ, وَأَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ, وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ, وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ) [رواه مسلم
‘তিনটি সময়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সালাত পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য ডুবার আগ মূর্হুতে সূর্য হলুদাভ হওয়া থেকে শুরু করে সূর্য ডুবা পর্যন্ত ’। [সুবুলুস সালাম : ১/১১১, মুসলিম : ১/৫৬৮]
নিষিদ্ধ সময় সমূহ হচ্ছেঃ
🔸 ১) ফজর সালাতের পর থেকে তীর বরাবর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ সূর্য উদিত হওয়ার পর ১৫/২০ মিনিটি পর্যন্ত।
🔸 ২) ঠিক দুপুরের সময়। অর্থাৎ যোহরের সময় হওয়ার ১০ মিঃ আগে থেকে যোহরের সময় হওয়া পর্যন্ত।
🔸 ৩) আসর সালাতের পর থেকে পরিপূর্ণরূপে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত।
তবে তাহিয়াতুল মসজিদ বা মসজিদের প্রবেশর দু রাকআত সালাত যে কোন সময় আদায় করা শরিয়ত সম্মত। যখনই মসজিদে প্রবেশ করে বসতে যাবে তখনই দু’রাকাআত সালাত আদায় করবে। যদিও তা নিষিদ্ধ সময়ে হয়ে থাকে।

জানা উচিৎ, বিদ্বানদের মতামতের মধ্যে প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে, কারণ বিশিষ্ট নফল সালাত সমূহ আদায় করার ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ সময় বলতে কোন কিছু নেই। নিষিদ্ধ সময়েও তা আদায় করতে কোন বাধা নেই।
সুতরাং ফজর সালাত বাদ বা আসর সালাত বাদ বা সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলার সামান্য পূর্বে বা রাতে দিনে যখনই মসজিদে প্রবেশ করবে, বসার আগে দু’রাকাআত সালাত আদায় করবেন। অনুরূপভাবে তাহিয়াতুল ওযুর দু রাকআত সালাতও যে কোন সময় আদায় করা যায়।

অনুরূপভাবে ঘুম বা ভুল বশত: ছুটে যাওয়া যে কোন ওয়াক্তের ফরজ সালাত, ফজরে দু রাকাআত সুন্নাত সালাত (তবে এ দু রাকআত সূর্য উঠার পর পড়াই অধিক উত্তম), তাওয়াফ শেষে দু রাকাআত সালাত, সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণের সালাত, জানাযার সালাত ইত্যাদি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে। অর্থাৎ এগুলো নিষিদ্ধ সময়েও পড়া জায়েয আছে। এ ব্যাপারে এটাই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য অভিমত।
আল্লাহু আলাম।
-------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।

📌প্রশ্ন: মদপান করার বিধান কী?ধূমপান ও মদপান কি সমান অপরাধ? “ধূমপান করলে ৪০ দিনের ইবাদত কবুল হয় না” এ কথা কি সঠিক?▬▬▬◆◯◆▬...
09/11/2023

📌প্রশ্ন: মদপান করার বিধান কী?
ধূমপান ও মদপান কি সমান অপরাধ? “ধূমপান করলে ৪০ দিনের ইবাদত কবুল হয় না” এ কথা কি সঠিক?
▬▬▬◆◯◆▬▬▬
উত্তর:
নি:সন্দেহে তামাক (To***co) থেকে তৈরি সকল প্রকার নেশা বস্তু গ্রহণ করা হারাম। যেমন: আগুন দিয়ে সিগারেট, বিড়ি, চুরুট, হুঁকো, সীসা বা অন্য কোন মাধ্যমে ধূমপান করা। অনুরূপভাবে পানের সাথে চিবিয়ে জর্দা খাওয়া, ঠোঁটের ফাঁকে গুঁজে গুল বা নাকে ঠুসে (নস্যি) ব্যবহার করা ইত্যাদি। এগুলো হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। কেননা মানব দেহে এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব মারাত্মক ভয়ঙ্কর। আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে, এর ফলে শরীরে বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগ-ব্যাধি সৃষ্টি হয় যা ধূমপানে অভ্যস্ত মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে।

তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞগণ বলেন, “তামাক অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ। একখানি সিগারেটে যতখানি তামাক আছে তা চিবিয়ে খেলে পুরোপুরি শরীরে যদি প্রবেশ করত তা থেকে দ্রুত মৃত্যু অনিবার্য। তবে ধূমপানের ফলেও ধীরে ধীরে আয়ু কমে আসতে থাকে-শুধু ক্যান্সারের প্রবণতার জন্যেই নয় হৃদরোগের জন্যেও বটে।” [উইকিপিডিয়া]
সুতরাং যারা এ সকল ক্ষতিকর দ্রব্য গ্রহণে অভ্যস্ত তাদের জন্য ফরজ হল, অনতিবিলম্বে এগুলো বর্জন করা এবং খাঁটি অন্তরে আল্লাহর নিকট তওবা করা।

❒ মদপান করলে ৪০ দিনের সালাত কবুল হবে না:

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মদ পান করে কেউ যদি নেশাগ্রস্ত হয় তথা মদের প্রভাবে মাতাল বা মস্তিষ্ক বিকৃত হয় অথবা কেবল মদ পান করে তাহলে তার ৪০ দিনের সালাত কবুল হবে না। (অন্যান্য ইবাদতের ব্যাপারে এ কথা আসেনি।)

এ প্রসঙ্গে হাদিস হল, আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

مَنْ شَرِبَ الْـخَمْرَ وَسَكِرَ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِيْنَ صَبَاحًا، وَإِنْ مَاتَ دَخَلَ النَّارَ، فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ عَادَ فَشَرِبَ فَسَكِرَ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِيْنَ صَبَاحًا، فَإِنْ مَاتَ دَخَـلَ النَّارَ، فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ عَادَ فَشَرِبَ فَسَكِرَ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِيْنَ صَبَاحًا، فَإِنْ مَاتَ دَخَلَ النَّارَ، فَإِنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ عَادَ كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ أَنْ يَّسْقِيَهُ مِنْ رَدْغَةِ الْخَبَالِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، قَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! وَمَا رَدْغَةُ الْـخَبَالِ؟ قَالَ: عُصَارَةُ أَهْلِ النَّارِ

‘‘কেউ মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হলে তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল করা হবে না এবং এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তবে যদি সে তওবা করে নেয় তা হলে আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করবেন।
এরপর আবারও যদি সে মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয় তা হলে আবারও তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল করা হবে না এবং এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অবশ্য যদি সে তওবা করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করবেন।
এরপর আবারও যদি সে মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয় তা হলে আবারও তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল করা হবে না এবং এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। কিন্তু যদি সে তওবা করে নেয় তা হলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন।
এরপর আবারও যদি সে মদ পান করে নেশাগ্রস্ত হয় তখন আল্লাহর হক হয়ে যায়, কিয়ামতের দিন তাকে ‘রাদগাতুল খাবাল’ পান করানো।
সাহাবিগণ বললেন: হে আল্লাহর রসুল, ‘রাদগাতুল খাবাল’ কী?
তিনি বললেন, তা হচ্ছে জাহান্নামীদের পুঁজ।”
[সহিহ ইবনে মাজা, হা/২৭৩৮, সহিহুল জামে-শাইখ আলবানী, হা/৬৩১৩ নাম্বার হাদিস]

◆ অন্য বর্ণনায় এসেছে,
من شرب الخمر لم تقبل له صلاة أربعين صباحاً
"যে ব্যক্তি মদ পান করবে তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল হবে না।”

◆ অন্য বর্ণনায় এসেছে,
لا يَشْرَبُ الخمرَ رجلٌ من أُمَّتِي ، فيَقْبَلُ اللهُ منه صلاةً أربعينَ يومًا
“আমার উম্মতের যে ব্যক্তি মদ পান করবে আল্লাহ তার চল্লিশ দিনের সালাত কবুল করবেন না।” [নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, সহিহুল জামে, হা/৭৭১৭]

❒ মাদকাসক্ত মূর্তিপূজারীর মত:

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مدمن الخمر كعابد وثن
“মাদকাসক্ত মুর্তিপূজারীর মত।” [ইবনে মাজাহ, হাসান-আলবানি, দ্রষ্টব্য: সিলসিলা সহিহাহ, হা/৬৭৭]

◆ এ হাদিসের হাদিসের অর্থ কী?

- ইবনে আব্বাস রা. বলেন,

يشبه أن يكون فيمن استحلها

"যে মদপান করাকে হালাল মনে করে সে মুর্তিপূজারীর সাথে সাদৃশ্য রাখে।" (অর্থাৎ উভয়েই কাফের)। [মুনাবি-ফয়যুল কাদীর]

-সিন্ধী ইবনে মাজাহ-এর হাশিয়ায় বলেন,

هما سواء في عدم قبول الصلاة، فإن الكافر لو صلى لم تقبل صلاته

"সালাত কবুল না হওয়ার দিক দিয়ে তারা উভয়েই সমান। কেননা কা/ফের যদি সালাত আদায় করে তার সালাত কবুল হবে না।"

- শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, "সম্পর্ক রাখার দিক দিয়ে উভয়ে সমান। অর্থাৎ মূর্তিপূজারী যেমন সবসময় তার মূর্তির সাথে সম্পর্ক রাখে, সহজে সেখান থেকে সরে আসতে পারে না তেমনি যে মদ ও নেশাপানে অভ্যস্ত সে এগুলো সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। সহজে এই অন্ধকার পথ থেকে বের হয়ে আসতে পারে না।”

❑ ধূমপান ও মদপান কি সমান অপরাধ?

ধূমপান, গুল-জর্দা ইত্যাদি সেবন আর মদপান সমান অপরাধ নয়:

বিশ্ববিখ্যাত ফতোয়া বিষয় ওয়েব সাইট islamweb-এ বলা হয়েছে,
قد اختلف أهل العلم في شارب الخمر، هل يجلد ثمانين جلدة أم أربعين؟ والذي عليه الجمهور هو الأول

أن تحريم شرب الدخان قد ثبت بأدلة صحيحة ولكنها غير صريحة، وأما الخمر فثبت تحريمها بالكتاب والسنة وإجماع الأمة، وأدلتها في كل ذلك صريحة، وقد ثبت فيها الحد في الدنيا مع ما توعد به شاربها في الآخرة.

وعليه؛ فشرب الدخان أمر محرم، ولكن فاعله لا يبلغ درجة شارب الخمر

“মদপানকারীর শাস্তি ৮০ দোররা নাকি ৪০ দোররা সে বিষয়ে আহলে ইলমগণ দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে জুমহুর বা অধিকাংশ আলেম প্রথম মতের পক্ষে। আর মদপান করার ব্যাপারে দলিলগুলো সহিহ ও স্পষ্ট কিন্তু ধূমপানের দলিলগুলো সহিহ হলেও সুষ্পষ্ট নয়। কিতাব, সুন্নাহ এবং উম্মতের ইজমা দ্বারা মদপান হারাম হওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত দলিলগুলোও সুষ্পষ্ট। মদপানের ব্যাপারে আখিরাতে শাস্তির হুমকির পাশাপাশি দুনিয়ায় দণ্ডবিধি রয়েছে।
এর উপর ভিত্তি করে বলা যায়, ধূমপান হারাম কিন্তু ধূমপান কারী মদপানকারীর স্তরে পৌঁছবে না।” [slamweb net]

সুতরাং বিড়ি-সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি হারাম ও ক্ষতিকর দ্রব্যাদি সেবনের ফলে গুনাহগার হলেও তাকে মদপান করার মত অপরাধ বলা যাবে না।
◆ আরেকটি বিষয় হল, পূবোর্ক্ত হাদিস সমূহে একমাত্র সালাতের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং ’মাদকাসক্ত ব্যক্তির ৪০ দিন সালাত ছাড়া অন্য কোন ইবাদত কবুল হবে না-বলার সুযোগ নেই। আল্লাহু আলাম।

◯ উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পড়ুন:

প্রশ্ন: “মদ পান করলে ৪০ দিন নামাজ কবুল হয় না” এ কথা সত্যতা কতটুকু?
আর এ কথা কি ঠিক যে, “মদ-গাজা সেবন করলে কি চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে?” ইসলামের দৃষ্টিতে মদ ও নেশা গ্রহণের শাস্তি কি?
https://www.facebook.com/AbdullahilHaadi/posts/918295551923324

- বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা, সিসা, হুক্কা ইত্যাদি গ্রহণের বিধান
https://www.facebook.com/AbdullahilHaadi/posts/915627162190163
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬◆◯◆▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

📌প্রশ্ন: 'সালাফে সালেহিন' কাদের বলা হয় এবং সালাফি কারা?উত্তর:'সালাফে সালেহিন' অর্থ: পুণ্যবান পূর্বসূরি। আর সালাফে সালেহি...
07/11/2023

📌প্রশ্ন: 'সালাফে সালেহিন' কাদের বলা হয় এবং সালাফি কারা?
উত্তর:
'সালাফে সালেহিন' অর্থ: পুণ্যবান পূর্বসূরি। আর সালাফে সালেহিন বা সালাফ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, ইসলামের প্রথম তিন শতাব্দীর ঐ সকল পুণ্যবান ব্যক্তিবর্গ যাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই উম্মতের ‘শ্রেষ্ঠ মানুষ’ হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। যেমন: বুখারি ও মুসলিম সহ অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে মুতাওয়াতির সূত্রে একদল সাহাবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ، ثُمَّ الَّذيِنَ يَلُونَهُمْ ، ثُمَّ الَّذيِنَ يَلُونَهُمْ
“সর্বোৎকৃষ্ট মানুষ হল, আমার যুগের মানুষ অত:পর তাদের পরবর্তী যুগের মানুষ অত:পর তাদের পরবর্তী যুগের মানুষ।” [বুখারি ও মুসলিম]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমরান ইবনে হুসাইন রা. সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
خَيْرُ أُمَّتِي الْقَرْنُ الَّذِينَ بُعِثْتُ فِيهِمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَذَكَرَ الثَّالِثَ أَمْ لَا، ثُمَّ يَظْهَرُ قَوْمٌ يَشْهَدُونَ، وَلَا يُسْتَشْهَدُونَ، وَيَنْذِرُونَ، وَلَا يُوفُونَ، وَيَخُونُونَ، وَلَا يُؤْتَمَنُونَ، وَيَفْشُو فِيهِمُ السِّمَنُ
“আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হল তারা যাদের মধ্যে আমি প্রেরিত হয়েছি। অতঃপর যারা তাদের সঙ্গে সংলগ্ন। আল্লাহই ভালো জানেন যে, তিনি তৃতীয় স্তরটি উল্লেখ করেছেন কি না। তারপর এমন সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা সাক্ষী হিসেবে তাদেরকে না ডাকা হলেও সাক্ষ্য দিবে। তারা মান্নত করে তা পূর্ণ করবে না, তারা খিয়ানত করবে; আমানত রক্ষা করবে না। আর তাদের মধ্যে মেদ-ভুঁড়ি প্রকাশ পাবে।” [সুনান আবু দাউদ, অধ্যায়: ৩৫/ সুন্নাহ, পরিচ্ছেদ: ১০. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবিগণের মর্যাদা]

এই তিন যুগের পূণ্যবান মানুষদেরকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’ হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। ‌আর সালাফিগণ এই পূর্বসূরিদের সাথে সম্পৃক্ত।

➤ শাইখ আলাবানি রাহ. বলেন,

“মুসলিম বিশ্বে বর্তমানে বিভিন্ন জামায়াত বা দলের মত সালাফি আন্দোলন কোন এক বা একাধিক ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং এই সম্পৃক্ততা হল, পবিত্র ও নিষ্কলুষ একটি আদর্শের সাথে। কারণ পূর্বসূরিগণ সম্মিলিতভাবে গোমরাহির উপর থাকবেন-এটা সম্ভব নয়। পক্ষান্তরে পরবর্তী যুগের মানুষের ব্যাপারে শরিয়তে প্রশংসা বর্ণিত হয় নি। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের নিন্দাবাদ বর্ণিত হয়েছে। যেমনটি পূর্বোক্ত হাদিসের শেষাংশে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইঙ্গিত করে বলেছেন,

ثُمَّ يأتي مِن بعدِهِم أقوامٌ يَشْهَدُون ولا يُسْتَشْهَدُون إلى آخر الحديث

“এরপর তাদের পরে এমন সব মানুষের আবির্ভাব ঘটবে যারা সাক্ষ্য দিবে কিন্তু তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না...।”
তিনি অন্য আরেক হাদিসেও এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। উক্ত হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, তিনি সেখানে মুসলিমদের একটি দলের প্রশংসা এবং ‘অধিকাংশ’ লোকের নিন্দা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ ِ لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَهُمْ أَمْرُ اللَّهِ أَوْ حَتّى تَقُوْمَ السَّاعَة

“আমার উম্মতের একটি দল সত্যের উপর বিজয়ী থাকবে। বিরোধিতা কারীরা আল্লাহর হুকুম আসা পর্যন্ত তথা কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।” এই হাদিসে শেষ জামানার একটি দলের বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে। আরবি طَائِفَةٌ শব্দের মানে হল, একটি ছোট জামায়াত বা দল। আভিধানিক অর্থে এক বা একাধিক ব্যক্তি বুঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

অত:এব যখন আমরা সালাফিয়াতের অর্থ জানলাম, আরও জানলাম যে সালাফিগণ পূর্বসূরিদের সাথে সম্পৃক্ত এবং কোন মুসলিম যদি এই পূর্বসূরিদের আদর্শকে গ্রহণ করে তবে সেটাই সব চেয়ে নিরাপদ তখন কোন ব্যক্তি সালাফি ছাড়া অন্য অন্য কিছু হতে পারে না; সম্ভব নয়। কারণ, সালাফিয়াতের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার অর্থ হল এক নিরাপদ, নিষ্কলুষ এবং পবিত্র নীতি ও আদর্শের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া।”

[সালাফি মতাদর্শ কী? আল্লামা শাইখ মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন আলবানি রহ.]

সালাফি আকিদার ভিত্তি হল, সাহাবি, তাবেয়ি ও তাদের একনিষ্ঠ অনুসারী পূর্ববর্তী আহলে ইলমদের বুঝ ও ব্যাখ্যার আলোকে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করা এবং এই দুটো জিনিসকে আকিদা-বিশ্বাস, ইবাদত-বন্দেগি, আচার-আচরণ, খাদ্য-পোশাক, নীতি-নৈতিকতা, রাজনীতি, অর্থনীতি তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রে অন্য সকল মানুষের মতামত, ফতোয়া, চিন্তা-চেতনা ও আদর্শের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া। সেই সাথে শিরক, বিদআত, অন্ধ অনুকরণ এবং সকল প্রকার অপসংস্কৃতি মূলোৎপাটনে কাজ করা।
আরও পড়ুন:
● প্রশ্ন: সালাফী মতাদর্শ কী এবং তা কিসের সাথে সম্পৃক্ত? (আলবানি রহ.)
https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/361958707557014
● আহলে হাদিস, সালাফি এবং সংগঠন
https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1167986623620881
● ধর্ম, মতবাদ, আহলে হাদিস ও সংগঠন সংক্রান্ত লিংক সমুহ
https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/posts/1352211028531772
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

📌ওয়াজ মাহফিলে বক্তৃতার জন্য বক্তার মধ্যে কী কী গুণ-বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক?(বক্তা, শ্রোতা এবং মাহফিলের আয়োজক সকলের জানা জর...
07/11/2023

📌ওয়াজ মাহফিলে বক্তৃতার জন্য বক্তার মধ্যে কী কী গুণ-বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক?
(বক্তা, শ্রোতা এবং মাহফিলের আয়োজক সকলের জানা জরুরি)
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
ওয়াজ মাহফিলে বক্তা নির্বাচন ও বক্তৃতার ক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা খুবই শোচনীয়। এ ক্ষেত্রে চলছে চরম দুরাবস্থা ও ভয়াবহ শরিয়ত বহির্ভূত কার্যক্রম। তাই এ ব্যাপারে সর্বস্তরের মুসলিমদের সচেতন হওয়ার সময় এসেছে।
কারণ— আমাদের অজানা নয় যে, বর্তমান সময়ে কারও চাপার জোর, সুললিত কণ্ঠ, হাসানো, কাঁদানো, কৌতুক, ড্যান্স, অভিনয়, গান-গজল, ইত্যাদি দ্বারা মাহফিল জমানোর মত কৌশল, উস্কানি ও হুংকার মার্কা কথাবার্তা দিয়ে সাধারণ জনগণকে উত্তেজিত করার মত যোগ্যতা থাকলেই তিনি বিশাল বক্তা ও আন্তর্জাতিক মুফাসসিরে কুরআনে পরিণত হন। অনুরূপভাবে সার্টিফিকেট, পদবী, সুন্দর চেহারা, ইংরেজি বলার দক্ষতা থাকলে তিনি বিশাল আল্লামা!
মাহফিলগুলোতে বিদেশ থেকে আগত, রেডিও-টিভির ভাষ্যকার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ২৬ ইঞ্চি বক্তা, শিশু বক্তা, নারী থেকে পুরুষের রূপান্তরিত হওয়া বক্তা, নওমুসলিম বক্তা ইত্যাদি নানা অদ্ভুত উপাধি ও বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত বক্তার চাহিদা তুঙ্গে। যেন এগুলোই বক্তা নির্বাচনের মানদণ্ড! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বক্তা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এগুলো আদৌ শরয়ী মানদণ্ডের মধ্যে পড়ে না।

যার কারণে— বিশাল বিশাল ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে, সেগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হচ্ছে, এ উপলক্ষে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চলছে, এলাকার যুবকদের মাঝে মাহফিল নিয়ে অনেক উত্তেজনা কাজ করে, মাহফিল উপলক্ষে এলাকায় বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, এগুলো অধিকাংশই সামাজিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক রুটিন ওয়ার্ক এবং অর্থ কালেকশনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। ওয়াজ মাহফিল থেকে মানুষ প্রত্যাশিত উপকার লাভ করে না, সেগুলো থেকে হেদায়েতের আলো বিচ্ছুরিত হয় না এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সঠিক দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য পাওয়া যায় না।

এর কারণ—অধিকাংশ ওয়াজ মাহফিল আয়োজন কারীদের নিয়ত ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সঠিক নয়। ফলে তারা বক্তা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরয়ী মানদণ্ড বিচার না করে মাহফিল জমানো ও আকর্ষণ সৃষ্টি করার মত বক্তা অনুসন্ধান করে। ফলশ্রুতিতে একশ্রেণীর তথাকথিত বাজারি ও পেশাদার বক্তা আরও দ্বিগুণ উৎসাহে মানুষকে কিভাবে আকর্ষণ করে স্টেজ মাতানো যায় সেই চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে—যা খুবই দুর্ভাগ্য জনক এবং শরয়ী দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য।

যাহোক, নিম্নে আমরা ইসলামি আইন বিষয়ক বিশ্বকোষ ‘আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা আল কুয়েতিয়্যা’ থেকে ওয়ায়েজ বা ধর্মীয় বক্তার মধ্যে কী কী শর্তাবলী এবং শিষ্টাচার থাকা কর্তব্য সেগুলো উপস্থাপন করব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তওফিক দানকারী:

❑ ওয়াজ কারী বা বক্তার জন্য কয়েকটি শর্ত (অত্যাবশ্যকীয় বিষয়) রয়েছে। যথা:

◈ এক. শরিয়তের বিধিবিধান আবশ্যিকভাবে অর্পিত হওয়ার মত উপযুক্ত হওয়া অর্থাৎ তিনি সুস্থ বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হবেন।
◈ দুই. ন্যায়-নীতি ও আদর্শবান হওয়া।
◈ তিন. মুহাদ্দিস হওয়া। অর্থাৎ তিনি হাদিস শাস্ত্রের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখবেন, হাদিস পাঠ করবেন, হাদিসের শব্দাবলীর অর্থ বুঝবেন এবং তার শুদ্ধতা-অশুদ্ধতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখবেন-যদিও তা কোনও বড় মুহাদ্দিস অথবা কোনও ফিকহবিদের গবেষণালব্ধ তথ্যাদির ভিত্তিতে হয়।

◈ চার. মুফাসসির হওয়া। অর্থাৎ তিনি কুরআনের দুর্বোধ্য ও কঠিন শব্দাবলীর অর্থ জানবেন এবং (বাহ্যত) সমস্যাপূর্ণ বিষয়গুলোর সঠিক সমাধান জানবেন এবং সে সম্পর্কে পূর্বসূরি তাফসির কারকদের থেকে বর্ণিত তাফসির সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন।
- পাশাপাশি তার জন্য এমন বাগ্মী ও সুভাষী হওয়া উত্তম যে, তিনি মানুষের ধারণ ক্ষমতার বাইরে কথা বলবেন না। সেই সাথে তিনি হবেন নম্র, ভদ্র ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন।
- তিনি দীনের বিষয়গুলোকে মানুষের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করবেন; জটিলতা সৃষ্টি করবে না। [আবজাদুল উলুম ২/৫৩৬-প্রকাশনী: দারুল কুতুবুল ইলমিয়া]

❑ বক্তার কতিপয় শিষ্টাচার:

ওয়ায়েজ (বক্তা), আলেম এবং শিক্ষকের অন্যতম শিষ্টাচার হল, তিনি এমন সব কথাবার্তা, কার্যক্রম ও আচার-আচরণ পরিত্যাগ করবেন যা বাহ্যত ভুল মনে হয়- যদিও তিনি এ ক্ষেত্রে নির্ভুল হন। কারণ তিনি এমনটি করার কারণে (সাধারণ মানুষের মাঝে) বিভিন্ন সমস্যা ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। যেমন:

❂ কারও মধ্যে এমন বিষয় জানা গেলে অনেকেই ধারণা করে বসবে যে, এটা সর্বাবস্থায় জায়েজ। ফলে তা শরিয়তের বিধান বা আমল যোগ্য বিষয়ে পরিণত হবে- যে বিশেষ পরিস্থিতিতে তা করা হয়েছিলো তার মধ্যে তা সীমাবদ্ধ থাকবে না।
❂ বক্তা যদি নাজায়েজ কর্মে জড়িত হয় তাহলে মানুষ তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে, তার সমালোচনা করবে এবং তার থেকে দূরে সরে যাবে।
❂ মানুষ তার ব্যাপারে খারাপ ধারণা করে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে এবং মানুষকেও তার ব্যাপারে সাবধান করবে যেন তার থেকে কেউ ইলম গ্রহণ না করে।
❂ তার সাক্ষ্য ও বর্ণনা অগ্রহণযোগ্য হবে। তার দেওয়া ফতোয়ার আমল প্রত্যাখ্যাত হবে এবং তার ইলমি কথা-বার্তার ব্যাপারে মানুষের মন থেকে আস্থা চলে যাবে ইত্যাদি।

❑ ওয়াজ মাহফিলে বক্তার নিজের জন্য অর্থ কালেকশন করা নাজায়েজ:

ফাতাওয়া হিন্দিয়াতে এসেছে, “বক্তার জন্য ওয়াজ মাহফিলে মানুষের কাছে কোনও কিছু চাওয়া জায়েজ নাই। কারণ তা ইলমের মাধ্যমে দুনিয়া উপার্জন।” [ফাতাওয়া হিন্দিয়াহ ৫/৩১৯’
[উৎস: আল মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ আল কুয়েতিয়্যা বা কুয়েতি ফিকাহ বিশ্বকোষ, ৪৪/৮১-৮৩,অনলাইন ভার্সন-সংক্ষেপায়িত]
আল্লাহ তাআলা যেন, আমাদেরকে সবচেয়ে সঠিক ও সুন্দর পদ্ধতিতে আল্লাহর দীনের আহ্বানকে গণ মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়ার তাওফিক দান করেন আর আমরা যে সব হেদায়েতের কথা মানুষকে বলবো তা যেন কর্মে বাস্তবায়ন করতে পারি রাব্বুল আলামিনের নিকট সেই তাওফিক কামনা করি।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
লেখক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

📌কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাক্বলীদ পর্ব ৩লেখকঃ শরীফুল ইসলাম | সম্পাদনাঃ শাবাব শাহরিয়ার খানপর্ব-৩তাক্বলীদপন্থীদের দলীল ও ত...
06/11/2023

📌কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাক্বলীদ পর্ব ৩

লেখকঃ শরীফুল ইসলাম | সম্পাদনাঃ শাবাব শাহরিয়ার খান

পর্ব-৩

তাক্বলীদপন্থীদের দলীল ও তার জবাব:
প্রথম দলীল: তাক্বলীদপন্থীদের নিকট তাক্বলীদ জায়েয হওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দলীল হ’ল আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “আর জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস কর, যদি তোমরা না জেনে থাক।” [নাহল-৪৩]

আর আমরা অজ্ঞ ব্যক্তি। অতএব আমাদের উপর ওয়াজিব হ’ল আলেমদের নিকট জিজ্ঞেস করা ও তাদের দেওয়া ফৎওয়ার তাক্বলীদ করা।

জবাব: আয়াতে বর্ণিত أَهْلُ الذِّكْرِ কারা? তারাও যদি অন্য কারো মুক্বাল্লিদ হয়, তাহ’লে তারা অন্যদেরকেও ভুলের মধ্যে পতিত করবে। আর যদি তারাই প্রকৃত أَهْلُ الذِّكْرِ না হয়, তাহ’লে এতে কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করা হবে।

আয়াতে বর্ণিত أَهْلُ الذِّكْرِ -এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মনীষীগণ বিভিন্ন অভিমত পেশ করেছেন। নিম্নে তা উল্লেখ করা হ’ল। ইমাম ইবনু হাযম (রহঃ) বলেন: ‘তারা হ’লেন أهل السنن তথা সুন্নাতের অনুসারীনুসাগণ অথবাأهل الوحي অর্থাৎ অহী-র বিধানের অরী।‘ [1]

ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, أَهْلُ الذِّكْرِ দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল, أهل القرآن والحديث অর্থাৎ কুরআন ও হাদীছের অনুসারীগণ।

ইমাম ইবনে হাযম (রহঃ) আরো বলেন, أَهْلُ الذِّكْرِ দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে যারা হাদীছ বর্ণনা করেছেন এবং কুরআনের আহকাম সম্পর্কে জ্ঞান সম্পন্ন আলেমগণ। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী’ (হিজর ৯)। অতএব আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে পারদর্শী আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করার নির্দেশ দিয়েছেন। অনুরূপভাবে তাঁদের প্রতিও এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাঁরা যেন মানুষকে কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে যথাযথ সংবাদ দেন। তেমনি তাঁদের ভ্রষ্ট মতামত প্রদান ও মিথ্যা ধারণার ভিত্তিতে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছুকে বৈধ করার অনুমতি দেননি। [2]

আল্লাহ মুসলিম জাতিকে অহি তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)ও আমাদেরকে একই নির্দেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর স্ত্রীদেরকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আর তোমাদের ঘরে আল্লাহ্র যে আয়াতসমূহ ও হিকমত পঠিত হয়, তা তোমরা স্মরণ রেখ। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত।’ (আহযাব ৩৪)

অতএব আমাদের সকলের উপর ওয়াজিব হ’ল কুরআন ও সুন্নাহর ইত্তেবা করা। আর কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিদের যেকোন যোগ্য আলেমের নিকট শরী‘আতের বিধান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির তাক্বলীদ বা অন্ধানুসরণ না করা। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) অন্যান্য ছাহাবীদেরকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কথা, কর্ম এবং সুন্নাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। এছাড়া অন্য কিছু জিজ্ঞেস করতেন না। অনুরূপভাবে ছাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণকে বিশেষ করে আয়েশা (রাঃ)-কে তাঁর বাড়ির অভ্যন্তরের কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। ফক্বীহগণের মধ্যেও অনুরূপ বিষয় লক্ষ্য করা যায়। যেমন ইমাম শাফেঈ (রহঃ) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ)-কে বলেছেন, ‘হে আবু আব্দুল্লাহ! আপনি আমার চেয়ে হাদীছ সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখেন, যখন ছহীহ হাদীছ পাবেন, তখন তা আমাকে শিক্ষা দিবেন। যদিও তা গ্রহণ করার জন্য আমাকে শাম, কুফা অথবা বাছরায় যেতে হয়।‘ [3]

অতীতে আলেমগণের মধ্যে কেউ এমন ছিলেন না যে, তিনি নির্দিষ্ট কোন এক ব্যক্তির বা মাযহাবের রায় বা অভিমত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন এবং অনুসরণীয় ব্যক্তি বা মাযহাবের রায়কেই গ্রহণ করতেন এবং অন্যান্য রায়ের বিরোধিতা করতেন। [4]

দ্বিতীয় দলীল: তাক্বলীদপন্থীরা বলে যে, বিশিষ্ট ছাহাবী ওমর (রাঃ) আবু বকর (রাঃ)-এর তাক্বলীদ করতেন। এমনকি তিনি বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আবু বকর (রাঃ)-এর কথার বিরোধিতা করতে লজ্জাবোধ করি।’ [5]

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মতামত আপনার মতের অনুসরণ করে।’ [6]

জবাব : ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) উল্লেখিত দলীলের জবাব নিম্নোক্ত পাঁচভাবে উল্লেখ করেছেন। যথা:

(১) হাদীছের যে অংশ তাদের দলীলকে বাতিল করবে, তা তারা বিলুপ্ত করে অসম্পূর্ণ হাদীছ উল্লেখ করেছে। পূর্ণ হাদীছ হ’ল, ‘আছেম আল-আহওয়াল শা‘বী হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবু বকর (রাঃ) কালালা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হ’লেন। তিনি বললেন, আমি এই ব্যাপারে আমার রায় বা মতের ভিত্তিতে বলছি, যদি তা সঠিক হয়, তাহ’লে তা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে। আর যদি ভুল হয়, তাহ’লে তা আমার অথবা শয়তানের পক্ষ থেকে। আমার মতে ‘কালালা’ হ’ল পিতৃহীন ও সন্তানহীন। অতঃপর যখন ওমর (রাঃ) খলীফা নিযুক্ত হ’লেন তখন বললেন, আবু বকর (রাঃ) এ ব্যাপারে যা বলেছেন, তার বিরোধিতা করতে আমি লজ্জাবোধ করছি।‘ [7]

অতএব ওমর (রাঃ) আবু বকর (রাঃ)-এর ভুল প্রকাশ হওয়াকে লজ্জাবোধ করেছিলেন, যদিও তাঁর প্রতিটি কথা ছহীহ নয় এবং ভুলেরও ঊর্ধ্বে নয়। তবে তিনি মৃত্যুর পূর্বে স্বীকার করেছেন যে, তিনি কালালা সম্পর্কে কিছুই বুঝতেন না।

(২) ওমর (রাঃ) বেশ কিছু মাসআলায় আবু বকর (রাঃ)-এর বিরোধিতা করেছেন। যেমন আবু বকর (রাঃ) যাকাত অস্বীকারকারীদেরকে বন্দি করেছিলেন। কিন্তু ওমর (রাঃ) তার বিরোধিতা করেছিলেন। আবু বকর (রাঃ) যুদ্ধলব্ধ জমিকে মুজাহিদগণের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছিলেন, কিন্তু ওমর (রাঃ) তা মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ্ করেছিলেন। যদি ওমর (রাঃ) আবু বকর (রাঃ)-এর মুক্বাল্লিদ বা অন্ধানুসারী হ’তেন, তাহ’লে উল্লেখিত মাস‘আলা সহ আরো অনেক মাস‘আলাতে বিরোধিতা করতেন না।

(৩) ওমর (রাঃ) আবু বকর (রাঃ)-এর মুক্বাল্লিদ বা অন্ধানুসারী হ’লে আমরা আপনাদের নিকটে আবেদন করব যে, আপনারা অন্য কারো তাক্বলীদ ছেড়ে শুধুমাত্র আবু বকর (রাঃ)-এর তাক্বলীদ করুন। তাহ’লে সকলেই এই তাক্বলীদের প্রশংসা করবে।

(৪) তাক্বলীদপন্থীদের অনুরূপ লজ্জা নেই, যেমন আবু বকর (রাঃ)-এর বিরোধিতা করতে ওমর (রাঃ) লজ্জা করেছিলেন। বরং কিছু সংখ্যক তাক্বলীদপন্থী তাদের কিছু উছূলের কিতাবে লিখেছেন, আবু বকর ও ওমর (রাঃ)-এর তাক্বলীদ নয়, বরং ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর তাক্বলীদ করা ওয়াজিব। [8]

(৫) ওমর (রাঃ) একটি মাসআলায় আবু বকর (রাঃ)-এর তাক্বলীদ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর প্রত্যেকটি কথার তাক্বলীদ করেননি। [9]

মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী (রহঃ) বলেন, ‘তাক্বলীদপন্থীগণের উল্লেখিত দলীল এক আশ্চর্যের ব্যাপার। কারণ তাদের দলীল হ’ল ওমর (রাঃ) লজ্জা করতেন আবু বকর (রাঃ)-এর বিরোধিতা করতে। অথচ তাক্বলীদপন্থীগণ আবু বকর ও ওমর (রাঃ) সহ সকল ছাহাবী এবং কুরআন-সুন্নাহর বিরোধিতা করতে সামান্যতম লজ্জা করে না। বরং তাদের অনুসরণীয় মাযহাবের ইমামের তাক্বলীদের প্রতি অটল থাকে। এমনকি তারা মনে করে, বর্তমান প্রচলিত চার মাযহাব হ’তে যারা বের হয়ে যাবে তারা পথভ্রষ্ট।‘ [10]

তৃতীয় দলীল: তাক্বলীদপন্থীরা বলেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর কথাকে গ্রহণ করতেন। অতএব, তিনি ওমর (রাঃ)-এর তাক্বলীদ করতেন।

জবাব:

(১) ইবনে মাসউদ (রাঃ) ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর তাক্বলীদ করতেন না। যার স্পষ্ট প্রমাণ হ’ল তিনি প্রায় ১০০টি মাসআলায় ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর মতের বিপরীত মত পোষণ করেছেন। যেমন, ওমর (রাঃ) ছালাতে রুকূর পরে সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে হাত রাখতেন, পক্ষান্তরে ইবনে মাসউদ (রাঃ) প্রথমে হাঁটু রাখতেন। ওমর (রাঃ) এক সঙ্গে তিন তালাককে তিন তালাক গণ্য করেছিলেন, পক্ষান্তরে ইবনে মাসউদ (রাঃ) এক তালাক গণ্য করেছেন। ওমর (রাঃ) যেনাকার নারী-পুরুষের মধ্যে বিবাহ জায়েয করেছেন, পক্ষান্তরে ইবনে মাসউদ (রাঃ) হারাম করেছেন। ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর নিকটে দাসীকে বিক্রয় করলে তা তালাক হিসাবে গণ্য হবে, পক্ষান্তরে ওমর (রাঃ)-এর নিকটে তালাক হিসাবে গণ্য হবে না ইত্যাদি। যদি তিনি ওমর (রাঃ)-এর মুক্বাল্লিদ হ’তেন তাহ’লে উল্লেখিত মাসআলা সহ আরো বহু মাসআলায় কখনই বিপরীত মত পোষণ করতেন না। [11]

(২) ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন,’তাক্বলীদপন্থীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইবনে মাসঊদ (রাঃ) ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর তাক্বলীদ করতেন, অথচ তারা ওমর (রাঃ)-এর তাক্বলীদ না করে তাদের অনুসরণীয় মাযহাবের তাক্বলীদ করে।’ [12]

(৩) প্রকৃতপক্ষে ওমর (রাঃ)-এর কথা গ্রহণ করা তাক্বলীদ নয়, বরং তা দলীলের অনুসরণ বা খলীফাদের সুন্নাতের অনুসরণ।

চতুর্থ দলীল: তাক্বলীদপন্থীরা বলে থাকে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ একে অপরের তাক্বলীদ করতেন। যেমন শা‘বী (রাঃ) মাসরূক (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীদের মধ্যে মাত্র ছয় জন ফৎওয়া প্রদান করতেন। তাঁরা হ’লেন- ১- ইবনু মাসঊদ (রাঃ), ২- ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ), ৩- আলী ইবনে আবি তালেব (রাঃ), ৪- যায়েদ ইবনে ছাবেত (রাঃ), ৫- উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) এবং ৬- আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ)। উল্লেখিত ছয় জন ছাহাবীদের মধ্যে তিন জন অপর তিন জনের মতামত জানলে তাঁদের নিজেদের মতকে প্রত্যাখ্যান করতেন। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর মতকে বেশী প্রাধান্য দিতেন। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) আলী (রাঃ)-এর মতকে অধিক প্রাধান্য দিতেন। যায়েদ ইবনে ছাবেত (রাঃ) উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ)-এর মতকে বেশী প্রাধান্য দিতেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাক্বলীদ জায়েয।

জবাব: প্রথমত উল্লেখিত আছারটির সনদ ও মতন উভয়ই যঈফ। সনদ যঈফ হওয়ার কারণ হ’ল আছারটিতে জাবের আল-জু‘ফী নামক একজন রাবী রয়েছে, যে মিথ্যুক। তার বর্ণিত হাদীছ দ্বারা দলীল পেশ করা জায়েয নয়। আর মতন যঈফ হওয়ার কারণ হ’ল আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর কথার অনুসরণের চেয়ে তাঁর বিপরীত মত পোষণ করাটাই বেশী প্রসিদ্ধ। আবু মূসা আশ‘আরী ও আলী (রাঃ)-এর ব্যাপারও ঠিক একই রকম। অনুরূপভাবে যায়েদ ইবনে ছাবেত (রাঃ) ক্বিরাআত ও ফারায়েযের ক্ষেত্রে উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ)-এর মতের বিপরীত মত পোষণ করেছেন বলে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। সুতরাং একদিকে আছারটি একজন মিথ্যুকের বর্ণিত, অপরদিকে তার মতন বাস্তবতার বিপরীত। ফলে এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা জায়েয নয়।

দ্বিতীয়ত যদি ধরা হয় যে, আছারটি ছহীহ তবুও তার অর্থ হবে, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ), আলী ইবনে আবি তালেব (রাঃ) ও উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) সকলেই ইজতিহাদ করে একটি মত পোষণ করতেন। পক্ষান্তরে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ), যায়েদ ইবনে ছাবেত (রাঃ) ও আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) তাঁরাও সকলে ইজতিহাদ বা গবেষণা করে মত পোষণ করতেন। অতঃপর যার ইজতিহাদ শক্তিশালী বা দলীল ভিত্তিক হ’ত সকলেই সেই দলীলের দিকে ফিরে যেতেন এবং নিজেদের মতকে পরিহার করতেন। কিন্তু তাঁরা কোন মানুষের অনুসরণ করতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সুন্নাহকে ছেড়ে দিতেন না। আর আলেমদের এমনটিই হওয়া উচিত। অতএব এর দ্বারা কিভাবে বোধগম্য হয় যে, তাঁরা তাক্বলীদ করতেন? অথচ আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ)-কে যখন কেউ এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন না বলে বলত আবু বকর ও ওমর (রাঃ) বলেছেন, তখন তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ করতেন। এমনকি তিনি বলতেন, তোমাদের উপর আকাশ হ’তে পাথর বর্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আমি বলছি, আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আর তোমরা বলছ, আবু বকর ও ওমর (রাঃ) বলেছেন। [13]

পঞ্চম দলীল: তাক্বলীদপন্থীরা বলে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ও তাঁর রাসূলের এবং আমীরের আনুগত্য করার আদেশ করেছেন। আর আমীর বলতে আলেম ও রাষ্ট্র প্রধানগণকে বুঝায়। অতএব তাঁদের আনুগত্য করার অর্থ হ’ল তাদের দেওয়া ফৎওয়ার তাক্বলীদ করা। যদি তাক্বলীদ জায়েয না হ’ত, তাহ’লে আল্লাহ তা‘আলা খাছ করে তাদের আনুগত্য করতে বলতেন না।

জবাব:

(১) নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত্য করার লক্ষেই আলেম ও আমীরের আনুগত্য করতে হবে। কেননা দ্বীনের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব আলেমগণের এবং তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমীরের। অতএব আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের লক্ষে হকপন্থী আলেম ও আমীরের আনুগত্য করা ওয়াজিব। সুতরাং আয়াতে বলা হয়নি যে, কোন মানুষের মতকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সুন্নাতের উপর প্রাধান্য দিয়ে তার অন্ধানুসরণ করতে হবে।

(২) বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পূর্ণ আনুগত্যশীল হ’তে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতিটি আদেশ-নিষেধের ব্যাপারে পূর্ণ ইলম অর্জন না করে। আর যে ব্যক্তি নিজেই তার অজ্ঞতার স্বীকৃতি দেয় এবং নির্দিষ্ট কোন আলেমের মুক্বাল্লিদ হয়, সে কখনই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রকৃত আনুগত্যশীল হ’তে পারে না।

(৩) যারা প্রকৃত হকপন্থী আলেম তাঁরা সকলেই তাঁদের তাক্বলীদ করতে নিষেধ করেছেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ পর্যন্ত তাঁদের তাক্বলীদ করতে নিষেধ করেছেন।

চতুর্থতঃ আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন: “হে মুমিনগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারীদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর, তাহ’লে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ কর, যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।” [নিসা-৫৯]

অত্র আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা মাযহাবের তাক্বলীদ করা বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন এবং কোন বিষয়ে মতভেদ দেখা দিলে অনুসরণীয় ব্যক্তি বা মাযহাবের দিকে ফিরে না গিয়ে একমাত্র আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রাসূলের দিকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ষষ্ঠ দলীল: তাক্বলীদপন্থীরা বলে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর মুহাজির ও আনছারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, আর তারাও আল্লাহ্র প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। তিনি তাদের জন্য প্রস্ত্তত করেছেন জানণাত সমূহ, যার তলদেশে নদী সমূহ প্রবাহিত। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে। এটাই মহাসাফল্য।” [তওবাহ-১০০]

অন্যত্র তিনি বলেন: “অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বায়‘আত গ্রহণ করেছিল।” [ফাতহ -১৮]

তিনি আরো বলেন: “মুমিনদের মধ্যে যারা কোন দুঃখ-পীড়া ব্যতীতই গৃহে বসে থাকে, আর যারা স্বীয় ধন ও প্রাণ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে, তারা সমান নয়; আল্লাহ ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদকারীগণকে উপবিষ্টগণের উপর পদ-মর্যাদায় গৌরবান্বিত করেছেন এবং সকলকেই আল্লাহ কল্যাণপ্রদ প্রতিশ্রুতি দান করেছেন এবং উপবিষ্টগণের উপর জিহাদকারীগণকে মহান প্রতিদানে গৌরবান্বিত করেছেন।” [নিসা-৯৫]

উল্লেখিত আয়াতসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করে তাক্বলীদপন্থীরা বলে, যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা ইসলামী জ্ঞানে অগ্রগামীদের প্রশংসা করেছেন এবং অন্যদের তুলনায় তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন, সেহেতু তারা ভুল হ’তে অনেক ঊর্ধ্বে এবং তাদের রায় বা মত ছহীহ হওয়াই স্বাভাবিক। অতএব তাদের তাক্বলীদ করা জায়েয।

জবাব: প্রথমত আল্লাহ তা‘আলা যাদের প্রশংসা করেছেন ও মর্যাদা দান করেছেন আমরাও তাদেরকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দান করি। কিন্তু তাদের সম্মান ও মর্যাদার অর্থ এই নয় যে, তাদের তাক্বলীদ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত আনছার ও মুহাজিরদের মধ্যে যারা অগ্রগামী তাঁরা নিজেরাই তাঁদের তাক্বলীদ করতে নিষেধ করেছেন।

সপ্তম দলীল: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমার ছাহাবীগণ তারকা সমতুল্য। তোমরা তাদের মধ্যে যারই অনুরসণ কর না কেন তোমরা হেদায়াত প্রাপ্ত হবে।’ [14]

এই হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, তাক্বলীদ জায়েয।

জবাব: উল্লেখিত হাদীছটি মাওযূ বা জাল। যা দ্বারা দলীল পেশ করা জায়েয নয়। [15]

অষ্টম দলীল: তাক্বলীদপন্থীরা বলে, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) শুরাইহ (রাঃ)-এর নিকট লিখেছিলেন, হে শুরাইহ! তুমি আল্লাহ তা‘আলার কিতাব (কুরআন) দ্বারা বিচার ফায়ছালা কর। যদি কিতাবে না পাও, তাহ’লে সুন্নাহ দ্বারা ফায়ছালা কর। যদি তাতেও না পাও, তাহ’লে ছালেহ বা নেককার ব্যক্তিগণের ফায়ছালা গ্রহণ কর।[16] অতএব উল্লেখিত আছার দ্বারা প্রমাণিত হয়, তাক্বলীদ জায়েয।

জবাব: ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, তাক্বলীদ বাতিল হওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে স্পষ্ট দলীল। কেননা ওমর (রাঃ) কুরআনের হুকুমকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছেন। অর্থাৎ কুরআনে স্পষ্ট প্রমাণ মিললে অন্য কিছুর দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। কুরআনে প্রমাণ না মিললে সুন্নাতের দ্বারা ফায়ছালা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রেও অন্য দিকে তাকানোর অবকাশ নেই। আর যদি কুরআন ও সুন্নাতের কোথাও না পাওয়া যায়, তাহ’লে ছাহাবীদের ফায়ছালা গ্রহণ করতে হবে। এখন আমরা লক্ষ্য করব তাক্বলীদপন্থীদের দিকে, তারা কি উল্লেখিত কায়দায় দলীল গ্রহণ করে? যখন নতুন কোন ঘটনা ঘটে তখন তারা কি উল্লেখিত পদ্ধতিতে অর্থাৎ প্রথমে কুরআন দ্বারা, তাতে না পেলে সুন্নাহ দ্বারা, তাতেও না পেলে ছাহাবীগণের ফৎওয়া দ্বারা ফায়ছালা গ্রহণ করে? কখনই না, এক্ষেত্রে তারা তাদের অনুসরণীয় মাযহাবের ইমাদের মতকেই সবকিছুর উপরে প্রাধান্য দেয়। তারা কুরআন ও সুন্নাতের দিকে দৃষ্টিপাত করে না। এমনকি কুরআন ও সুন্নাতের স্পষ্ট দলীল তাদের অনুসরণীয় ইমামের মতের বিরোধী হ’লে কুরআন ও সুন্নাতকে জলাঞ্জলী দিয়ে ইমামের মতকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অতএব ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর এই লিখা তাক্বলীদ বাতিল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। [17]

তাছাড়া ওমর (রাঃ) কঠোরভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন, যেমন: ‘হারিস ইবনে অব্দুল্লাহ ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, আমি ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর নিকট এসে এক নারীর সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম যে কুরবানীর দিন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করার পর ঋতুবতী হয়েছে। ওমর (রাঃ) বললেন, তার সর্বশেষ কাজ যেন হয় বায়তুল্লাহ তাওয়াফ। অধস্তন রাবী বলেন, তখন হারিছ (রাঃ) ওমর (রাঃ)-কে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এভাবেই আমাকে ফতোয়া দিয়েছেন। ওমর (রাঃ) বললেন, তোমার আচরণে দুঃখিত হ’লাম। তুমি আমাকে না জানার ভান করে এমন একটি কথা জিজ্ঞেস করেছো যা তুমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে পূর্বেই জিজ্ঞেস করে ওয়াকিফহাল হয়েছো, যাতে আমি তাঁর বিরোধী মত ব্যক্ত করি।’ [18]

অতএব এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট দলীল পাওয়া গেলে আর কোন দিকে তাকানোর অবকাশ নেই। সে যত বড় জ্ঞানীই হোক না কেন।

আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই যে, খুলাফায়ে রাশেদার যুগে একজন আরেকজনের মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। যেমন ওমর (রাঃ) কিছু ক্ষেত্রে আলী ও যায়েদ (রাঃ)-এর বিরোধিতা করেছেন; ওছমান (রাঃ) কিছু ক্ষেত্রে ওমর (রাঃ)-এর বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু কেউ এই কথা বলেননি যে, আমি তোমাদের ইমাম, আমার বিরোধিতা করছ কেন? যদি তাক্বলীদ ফরয বা ওয়াজিব হ’ত, তাহ’লে কেউ এই ফরয ছেড়ে দিতেন না। সকলেই একজন না একজনের তাক্বলীদ করতেন।

পর্ব-১ | পর্ব-২ | পর্ব-৩

[1]. ইমাম ইবনু হাযম, আল-ইহকাম ফী উছুলিল আহকাম, পৃঃ ৮৩৮।
[2]. আল-ইহকাম ফী উছুলিল আহকাম, পৃঃ ৮৩৮।
[3]. ইবনুল ক্বাইয়িম, ই’লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৪; আবু আব্দুর রহমান সাঈদ মা‘শাশা, আল-মুকাল্লিদূন ওয়াল আইম্মাতুল আরবা‘আহ, পৃঃ ৯৪।
[4]. ই’লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৪।
[5]. শাওকানী, মা‘আলিমু তাজদীদিল মানহাজিল ফিক্বহী, পৃঃ ৭।
[6]. ঐ।
[7]. বায়হাক্বী, হা/১৭৫৬।
[8]. ই‘লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৫-১৬৬।
[9]. ই‘লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৫-১৬৬; আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, পৃঃ ৭৯৭; ইমাম শাওকানী, আল-কাওলিল মুফীদ ফী আদিল্লাতিল ইজতিহাদ ওয়াত তাক্বলীদ, পৃঃ ২২-২৪।
[10]. মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী (রহঃ), তাফসীরে আযওয়াউল বায়ান ৭/৫১৩।
[11]. ই‘লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৫-১৬৭।
[12]. ই‘লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৭।
[13]. ই’লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৮; আল-ক্বাওলিল মুফীদ ফী আদিল্লাতিল ইজতিহাদ ওয়াত তাক্বলীদ পৃঃ ২৭।
[14]. ই‘লামুল মুয়াক্কিঈন, ২/২০২
[15]. উছুলুল আহকাম, হা/৮১০; ইমাম শাওকানী, আল-ক্বাওলিল মুফীদ পৃঃ ৩০, নাছিরুদ্দীন আলবানী, সিলসিলা যঈফা, হা/৫৮।
[16]. আদ-দারেমী, হা/১৬৭, হাদীছটিকে আলবানী ছহীহ বলেছেন, ইরওয়াউল গালীল হা/২৬১৯।
[17]. ই’লামুল মুয়ার্ক্কিঈন, ২/১৭৩-১৭৪।
[18] . আবু দাউদ, ‘তাওয়াফে যিয়ারতের পর ঋতুবতী নারীর মক্কা থেকে প্রস্থান’ অনুচ্ছেদ, হা/২০৪।

Address

Chattagram
Chattagram

Telephone

+8801610186401

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdur Rahim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abdur Rahim:

Videos

Share



You may also like