26/04/2025
কাশ্মিরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তান মধ্যকার টেনশনের জন্য আমরা খুব চমৎকার একটা জিনিস মিস করতেছি। কি সেটা? একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় জিও-ইকোনমিক সংঘর্ষ । চীন বনাম আমেরিকা।
আপনারা জানেন রিসেন্টলি আমেরিকা চীনা পণ্যের উপর ১৩৫% পর্যন্ত ট্যারিফ আরোপ করেছে। চীনও চুপ করে বসে থাকেনি। পাল্টা জবাবে তারা ১৪৫% পর্যন্ত রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ চাপিয়েছে আমেরিকান পণ্যে।
কিন্তু আসল খেলা শুরু হয়েছে লাক্সারি মার্কেটকে কেন্দ্র করে। কি রকম খেলা?
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লাক্সারি ব্র্যান্ড প্রোডাকশন হয়ে থাকে চীনে। যেমন: Luis Vuitton, Dior, Chanel, Hermes, Gucci, Armani, Prada, Balenciaga, Burberry, Yves Saint Laurent, এমনকি Apple, Samsung, Sony-এর যন্ত্রাংশ পর্যন্ত ম্যানুফ্যাকচার হয় চীনেই।
তাহলে চীন কী করছে?
শুধু ট্যারিফেই নয়, তারা একটা সাইকোলজিক্যাল ও মার্কেটিং বোমা ফাটিয়েছে। লাক্সারি ব্র্যান্ডগুলোর রিয়েল প্রোডাকশন কস্ট এক্সপোজ করে দিয়েছে। টিকটক খুললেই দেখতে পারবেন কি পরিমাণ মার্কেটিং তারা চালাচ্ছে।
ধরেন:
যে Hermes Birkin Bag বিক্রি হয় $25,000 ডলারে, চীনে সেটার প্রোডাকশন কস্ট মাত্র $180।
Dior-এর একজোড়া হিল বিক্রি হয় $1200-এ, অথচ ফ্যাক্টরি কস্ট $40।
Gucci Belt যা বাজারে $700, চীনে প্রোডাকশন কস্ট $25 । Gucci -র একটা টি শার্ট বাজারে $400 কিন্তু চীনে প্রডাকশন কস্ট - $20
এমনকি আইফোনের মডিউলার পার্টস—প্রতি সেটের কস্ট মাত্র $100 । ক্যান ইউ ইম্যাজিন? শুধু সফটওয়্যার ইনস্টল দিয়ে ওরা আইফোনের প্রাইস বানাই দিচ্ছে $1000- $1500.
মজার বিষয় হচ্ছে চীন শুধু এটা এক্সপোজ করেই থেমে থাকেনি। তারা সরাসরি রিয়েল প্রাইস-এ ওই প্রোডাক্টগুলোর OEM (Original Equipment Manufacturer) ভার্সন বিক্রির জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস পর্যন্ত খুলতেছে।
এই সাইটগুলোতে এখন আপনি ১০,০০০ ডলারের স্যুট পাবেন ১০০ ডলারে। একই মেটেরিয়াল, একই ফিনিশিং, পার্থক্য শুধু লোগোতে। অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনি উৎকৃষ্ট মানের প্রোডাক্ট কেনেন না আপনি কেনেন ব্রান্ডের লোগো।
চীনের এই কৌশল শুধু মার্কেট ডিসরাপ্ট করছে না, বরং আমেরিকার ব্র্যান্ড ইকুইটির উপর বড় ধরনের থ্রেট তৈরি করছে। এটা নিঃসন্দেহে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় Economic Warfare - যেখানে চীন সরাসরি আমেরিকান কনজ্যুমার মার্কেটের পারসেপশন অফ ভ্যালু ভেঙে দিচ্ছে।
চীন বুঝিয়ে দিচ্ছে—Luxu