Learn with Shamim

Learn with Shamim আগামী ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান সেটি নির্ধারণ করুন এবং লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে করণীয় কাজগুলো নির্ধারণ করে মাঠে নেমে পড়ুন।

05/01/2025

❑ জীবন কী?
একজন শিক্ষক তাঁর ক্লাসরুমে পড়াচ্ছেন। তিনি একটা খালি বয়াম টেবিলের ওপরে রাখলেন। তারপর তার ভেতরে ঢোকালেন কতগুলো বড় পাথরের টুকরা। বয়ামটা ভরে গেল। তিনি বললেন, ‘ছাত্ররা, দেখো তো, আর কোনো পাথরখণ্ড ঢুকবে কি না?’ ‘না, স্যার।’ ‘তাহলে বয়ামটা ভরে গেছে, কী বলো?’ ‘জি, স্যার।’ এবার শিক্ষক কতগুলো ছোট নুড়ি বয়ামটাতে ঢালতে লাগলেন। নুড়িগুলো পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ঢুকে গেল। তিনি বললেন, ‘এবার ভরেছে। কী বলো?’ ‘জি, স্যার।’ তিনি এবার বালু ঢালতে লাগলেন। পাথর আর নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে বালু ঢুকতে লাগল এবং বয়ামটাকে পূর্ণ করে তুলল। শিক্ষক বললেন, ‘আচ্ছা, এবার আমরা পুরো ব্যাপারটাকে উল্টো করে করি। প্রথমেই আমরা যদি বালু দিয়ে বয়ামটা পূর্ণ করে ফেলি, তাহলে কী হবে?’ তিনি বালু দিয়ে পাত্রটা পূর্ণ করলেন। তারপর আর নুড়ি কিংবা পাথর ঢোকানোর জায়গা রইল না। তিনি বললেন, ‘এ থেকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস শিখব। এই যে পাত্রটা দেখছ, এটা হলো আমাদের জীবন। এই যে বড় বড় পাথরখণ্ড, এগুলো হলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আমাদের পরিবার, বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের শিক্ষা। আর নুড়িগুলো হলো আমাদের বিষয়সম্পত্তি, আমাদের গাড়ি-বাড়ি, আমাদের টেলিভিশন, আমাদের টেলিফোন, আমাদের বাগান। আর বালু হলো বাকি সবকিছু, আমাদের জীবনে আর যা যা করতে হয়। প্রথমেই যদি আমরা ছোট ছোট জিনিস দিয়ে জীবনটাকে ভরে ফেলি, তাহলে বড় কাজগুলো করা হবে না। কাজেই সব সময় পরিবারকে সময় দেবে, বাবা-মায়ের যত্ন নেবে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবে, লেখাপড়া করবে। তারপর গাড়ি-বাড়ি, কম্পিউটার-টেলিফোন এসবের দিকে নজর দেবে।

এক ছেলে দাঁড়িয়ে বলল, ‘স্যার, বয়ামটা এখনো ভরেনি। আপনি যদি এর মধ্যে পানি ঢালেন, পানি ভরবে। ঠিক তাই। তিনি পাথরখণ্ড, নুড়ি আর বালুভরা পাত্রটিতে এক কাপ কফি ঢাললেন। কফিটা পাত্রে ঢুকে গেল। এই কফিটা হলো আনন্দ। মানুষের জন্য কিছু করা। সেবার ব্রত। তুমি যা-ই করো না কেন, জীবন আনন্দময়। মানুষের জন্য, মানবতার জন্য সর্বদাই কিছু না কিছু করার সময় তুমি বের করতে পারবে। মানুষের উপকারে আসতে পারবে। তাতেও তুমি অনেক আনন্দ পাবে। জীবনটাকে যত আঁটোসাঁটো মনে হোক না কেন, যতই তুমি ব্যস্ত থাকো না কেন, জীবনকে উপভোগ করো। আর যেন সবচেয়ে ভালোভাবে জীবনটাকে আনন্দপূর্ণ করে তোলা যায়, অপরের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে।

Learn with Shamim

একটি অসাধারন শিক্ষানীয় গল্প:-একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে গিয়...
05/01/2025

একটি অসাধারন শিক্ষানীয় গল্প:-

একদিন একটা গরীব ছেলে রাস্তায় হাঁটছিলো। সে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতো । ছেলেটার গায়ে ছিলো একটা জীর্ন মলিন পোষাক। সে ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলো। সে ভাবলো যে পরে যে বাড়ীতে যাবে , সেখানে গিয়ে সে কিছু খাবার চাইবে। কিন্তু সে যখন একটা বাড়ীতে গেল খাবারের আশা নিয়ে, সে ঘর থেকে একজন সুন্দরী মহিলা বেরিয়ে এলেন । সে খাবারের কথা বলতে ভয় পেলো। সে খাবারের কথা না বলে শুধু এক গ্লাস জল চাইলো । মহিলা ছেলেটার অবস্থা দেখে বুঝলেন যে সে ক্ষুধার্থ । তাই তিনি ছেলেটাকে একটা বড় গ্লাস
দুধ এনে দিলেন । ছেলেটা আস্তে আস্তে দুধটুকু খেয়ে বলল" আপনাকে আমার কত টাকা দিতে হবে এই দুধের জন্য?" মহিলা বলল "তোমাকে কোন কিছুই দিতে হবে না । ছেলেটা বলল "আমার মা আমাকে বলেছেন কখনো করুণার দান না নিতে । তাহলে আমি আপনাকে মনের অন্ত:স্থল থেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি ।" ছেলেটার নাম ছিলো স্যাম কেইলি । স্যাম যখন দুধ খেয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এল, তখন সে শারীরিকভাবে কিছুটা শক্তি অনুভব করলো । স্যাম এর বিধাতার উপর ছিলো অগাধ বিশ্বাস । তাছাড়া সে কখনো কিছু ভুলতো না ।
অনেক বছর পর ঐ মহিলা মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পরলো । স্থানীয় ডাক্তাররা তাকে সুস্থ করতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হল । তখন তাকে পাঠানো হলো একটা বড় শহরের নামকরা হাসপাতালে । যেখানে দুলর্ভ ও মারাত্মক রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা করা হয় ।
ডা: স্যামকেইলি কে এই মহিলার দায়িত্ব দেওয়া হলো । যখন ডাঃ স্যাম কেইলি শুনলেন যে মহিলা কোন শহর থেকে এসেছেন , তার চোখের দৃষ্টিতে অদ্ভুত একটা আলো যেন জ্বলে উঠলো । তিনি
তাড়াতাড়ি ঐ মহিলাকে দেখতে গেলেন । ডাক্তারের এপ্রোন পরে তিনি মহিলার রুমে ঢুকলেন এবং প্রথম দেখাতেই তিনি মহিলাকে
চিনতে পারলেন । তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে , যেভাবেই হোক তিনি মহিলাকে বাঁচাবেনই । ঐ দিন থেকে তিনি ঐ রোগীর আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া শুরু করলেন । অনেক চেষ্টার পর মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হলো । ডাঃ স্যাম কেইলি হাসপাতালের একাউন্টেন্টকে ঐ মহিলার
চিকিৎসার বিল দিতে বললেন, কারণ তার সাইনছাড়া ঐ বিল কার্যকর হবে না । ডাঃ স্যাম কেইলি ঐ বিলের কোণায় কি যেনো লিখলেন এবং তারপর সেটা ঐ মহিলার কাছে পাঠিয়ে দিলেন । মহিলা ভীষণ ভয় পাচ্ছিলেন বিলটা খুলতে। কারণ তিনি জানেন যে এতো দিনে যে পরিমাণ বিল এসেছে তা তিনি সারা জীবনেও জীবনেও শোধ করতে পারবেন না ।
অবশেষে তিনি বিলটা খুললেন এবং বিলের পাশ দিয়ে লেখা কিছু কথা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো । তিনি পড়তে লাগলেন "আপনার চিকিৎসার খরচ হলো পুরো এক গ্লাস দুধ।" এবং বিলের নিচের সাইন করা ছিলো ডাঃ স্যাম কেইলির নাম। মানুষকে সাহায্য করুন , যতটা আপনার পক্ষে সম্ভব । হয়তো এই অল্প সাহায্যের ফল হিসেবে আপনি এমন কিছু পাবেন যা কখনো আপনি চিন্তাই করেননি!

Learn with Shamim

অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেলে, মানুষ আর ভালোবাসা, মায়া, টান কিছুই অনুভব করে না। অবহেলা, মিথ্যা, এবং অসম্মান সম্পর্ককে ধ্বংস করে ...
04/01/2025

অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেলে, মানুষ আর ভালোবাসা, মায়া, টান কিছুই অনুভব করে না। অবহেলা, মিথ্যা, এবং অসম্মান সম্পর্ককে ধ্বংস করে দেয়। যেখানে যত্ন, সম্মান, এবং গুরুত্ব পাওয়া যায় না, সেখান থেকে মানুষ ধীরে ধীরে সরে যেতে চায়। সম্পর্ক তখন মানসিক যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়ায়, ভালোবাসা নয়।

সম্পর্কের অনুভূতি নষ্ট হওয়ার কারণ:
১। অবহেলা:কোনো মানুষ যখন তার সঙ্গীকে অবহেলা করে বা গুরুত্ব দেয় না, তখন তা ধীরে ধীরে সঙ্গীর মনে হতাশা তৈরি করে। প্রতিনিয়ত অবহেলা একজনের প্রতি অন্যজনের বিশ্বাস এবং ভালোবাসা ভেঙে দেয়।

২। মিথ্যা এবং লুকোচুরি: সম্পর্কে সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মিথ্যা বলা বা সত্য আড়াল করার প্রবণতা সঙ্গীর প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়। এতে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয় এবং সম্পর্ক দুর্বল হতে শুরু করে।

৩। অসম্মান এবং অপমান: যদি এক সঙ্গী অন্যজনের আত্মমর্যাদা বা অনুভূতিকে সম্মান না করে, বারবার ছোট করে কথা বলে বা অপমান করে, তাহলে সেই সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়।

৪। মনোযোগের অভাব: সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যত্ন, সময়, এবং আন্তরিকতা প্রয়োজন। যখন সঙ্গী মনোযোগ দেয় না, তখন অপরজন একাকিত্বে ভুগতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে তার মনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।

৫। অপ্রত্যাশিত ব্যবহার: আচরণের পরিবর্তন, অনিরাপত্তা তৈরি করা, এবং অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক মনোভাব সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।

অনুভূতি নষ্ট হওয়ার ফলাফল:
১। ভালোবাসার অভাব: একবার অনুভূতি নষ্ট হয়ে গেলে, আগের মতো ভালোবাসা আর ফিরে আসে না। এমনকি যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, সেই টান আর আগ্রহ কাজ করে না।

২। সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি: যখন দুইজনের মধ্যে অনুভূতির অভাব দেখা দেয়, তখন মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। একসাথে থেকেও সঙ্গীরা একাকিত্ব অনুভব করে।

৩। অসন্তুষ্টি এবং মানসিক যন্ত্রণা: যেখানে ভালোবাসা আর যত্ন নেই, সেখানে থেকে যাওয়াও কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যাওয়ার ফলে মন এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকে।

৪। বিশ্বাস ভেঙে যাওয়া: অনুভূতি নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাসের জায়গাটাও দুর্বল হয়ে যায়। তখন কোনো কথাই আর হৃদয়ে গেঁথে বসে না, সবকিছুতে সন্দেহ কাজ করে।

৫। সম্পর্ক থেকে মুক্তি: অনেক ক্ষেত্রে মানুষ এই ধরনের সম্পর্ক আর টিকিয়ে রাখতে চায় না। একমাত্র উপায় হিসেবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পথ বেছে নেয়।

কীভাবে সম্পর্ক রক্ষা করা যায়:
১। সততা বজায় রাখা: মিথ্যা এবং লুকোচুরি পরিহার করে সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা।

২। গুরুত্ব দেওয়া: প্রতিদিন ছোট ছোট কাজে সঙ্গীকে অনুভব করানো যে, তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

৩। সম্মান দেখানো: কথায় ও কাজে সঙ্গীর অনুভূতিকে সম্মান করা। কোনো পরিস্থিতিতেই তাকে ছোট না করা।

৪। সময় দেওয়া: সম্পর্কের জন্য সময় এবং মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। একসাথে ভালো মুহূর্ত কাটানো।

৫। সমস্যার সমাধান করা: সম্পর্কের মধ্যে কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত।

সম্পর্ক ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে টিকে থাকে। অনুভূতির প্রতি যত্ন না নিলে, অবহেলা করলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে সঙ্গীর অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। অন্যথায়, সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং একসময় তা ভেঙে যাবে।

Learn with Shamim

পড়াশোনা শুধুমাত্র একগুচ্ছ বইয়ের পাতা উল্টানোর প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি জীবনের দর্শন। এটি আমাদের শেখায় কিভাবে অজানাকে জানার...
04/01/2025

পড়াশোনা শুধুমাত্র একগুচ্ছ বইয়ের পাতা উল্টানোর প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি জীবনের দর্শন। এটি আমাদের শেখায় কিভাবে অজানাকে জানার চেষ্টা করতে হয়, কিভাবে অদৃশ্য স্বপ্নগুলোকে দৃশ্যমান বাস্তবে রূপান্তর করতে হয়। পড়াশোনার শক্তি আপনাকে আপনার চারপাশের দুনিয়াকে নতুন চোখে দেখতে শেখায়—যেখানে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ একটি সম্ভাবনা, প্রতিটি ব্যর্থতা একটি শিক্ষার সুযোগ।

আপনি যদি ভাবেন যে আপনার বর্তমান প্রতিকূলতাগুলো আপনাকে পিছু টানছে, তাহলে একবার ভাবুন সেইসব মানুষদের কথা, যারা শূন্য থেকে শুরু করেও নিজেদের সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গেছেন। আব্রাহাম লিংকন, মাদার টেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা কিংবা মালালা ইউসুফজাই—তাদের সবার জীবনের মূলমন্ত্রই ছিল জ্ঞানার্জন। কারণ তারা জানতেন, জ্ঞান হলো একমাত্র সম্পদ যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না।

জীবনে যে বাধাগুলো আমাদের থামিয়ে দেয়, সেগুলো আসলে আমাদের পরীক্ষা করার জন্য আসে। পড়াশোনা সেই শক্তি দেয় যা দিয়ে আপনি সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করতে পারেন। এটি আপনাকে শেখায় কিভাবে সমস্যাকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করা যায়। ব্যর্থতা কোনো শেষ নয়, এটি একটি নতুন শুরু। প্রতিটি ব্যর্থতা আমাদের জন্য একটি পাঠ—যা আরও ভালোভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ নির্দেশ করে।

যখন আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন, যখন মনে হবে সবকিছু থেমে গেছে, তখন নিজেকে মনে করিয়ে দিন—এই অন্ধকার শুধুমাত্র সাময়িক। পড়াশোনার আলোয় নিজেকে আলোকিত করুন, কারণ এটি আপনাকে সেই সাহস দেবে যা দিয়ে আপনি জীবনের সমস্ত অন্ধকারকে জিততে পারবেন।

আপনার স্বপ্নগুলো বড় হোক। বিশ্বাস রাখুন আপনার নিজের ওপর। পড়াশোনা শুধু একটি হাতিয়ার নয়, এটি একটি পথ—যে পথে আপনি আপনার সেরা সম্ভাবনাকে খুঁজে পাবেন। মনে রাখবেন, যে মানুষ পড়াশোনাকে নিজের জীবনের সঙ্গী বানায়, তার সামনে দুনিয়ার কোনো কিছুই বাধা হতে পারে না। এগিয়ে যান, শিখুন, এবং আপনার জীবনের গল্পটিকে অনুপ্রেরণার উৎস বানান।

ফুলের চেয়েও মানুষের সুবাস তীক্ষ্ণ,,,,কাউকে খোঁচা দিয়ে আমরা কী পাই জানি না কিন্তু যাকে খোঁচা দেই সে ব্যথা পায়। যে ব্যথায় ...
04/01/2025

ফুলের চেয়েও মানুষের সুবাস তীক্ষ্ণ,,,,

কাউকে খোঁচা দিয়ে আমরা কী পাই জানি না কিন্তু যাকে খোঁচা দেই সে ব্যথা পায়। যে ব্যথায় কেউ কেউ কাঁদে, কারো কারো বুকের পাজর ভাঙে। কাউকে ব্যথা দিয়ে আমিও কী তৃপ্তি পাই? কোনো সুখ আমাকে কী আলাদা প্রশান্তি দেয়? যদি তৃপ্তি পাই তবে মানুষ হওয়ার পাঠশালায় আরেকবার দীক্ষা নিতে হবে। কাউকে ব্যথা দিয়ে যদি সুখী হই তবে অসুখ এমনভাবে ভেতরকে গ্রাস করেছে যেখানে সব শুদ্ধতা অশুদ্ধ লাগে! সকল দুষণে তৃপ্তির বর্ষণ ছড়ায়! কারো দুর্বলতায় আঘাত করে, কারো আমানতকে খেয়ানত করে যারা পৈশাচিক আনন্দ পায় তারা মানুষ কম, পশু বেশি! যারা মানুষকে নিয়ে হাসে, পরের নিন্দা করে বাঁচে তাদের মনোবৈকল্যের চিকিৎসা দরকার। ব্যক্তিগত আক্রমন করা থেকে প্রত্যেকের নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত।

আমরা হাসতে হাসতে মানুষকে কাঁদাই। জনসম্মুখে অপমান করি অথচ কেউ যদি বড় ধরনের দোষ করেও ফেলে তবে তাকে সবার সামনে বিব্রত করা একেবারেই ঠিক না। একাকী পরিবেশে তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। যত ছোট মানুষ হোক, আত্ম-সম্মান সবার থাকে। কারনে-অকারনে জনে জনে বকাবকি, লোক-সমাজে তাকে ছোট করায় টার্গেটের সম্মানের কতোখানি অসম্মান হয় সে বিচার বিতর্ক সাপেক্ষ কিন্তু যিনি এমন কাজ করেন তিনি সবার কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সাবলীল এবং অকৃত্রিম সম্মান প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। এমনকি দীর্ঘশ্বাসের কণায় কণায় তার জন্য অশুভ নিরন্তর হয়। আপনার চোখে যিনি ক্ষুদ্র তিনি তাঁর পরিমন্ডলে বৃহৎ। হয়তো আপনার চেয়ে বড়। আকাশের মত উঁচু। ক্ষমতা বাহিরের সবকিছু পিষে ফেলতে পারে কিন্তু মানুষ হতে হয় ভেতর থেকে। সেজন্য চেষ্টা থাকাও জরুরী।

কারো বিশ্বাস নষ্ট করার মত বড় পাপ নাই। কারো ভরসায় আঘাত করে সুখে বাঁচা যায় না। অহেতুক মানুষকে খোঁচা দেয়া মানসিক বিকারের প্রথম ধাপ। কারো দূর্বলতা জানলেও সেখানে আঘাত করে জিতে যাওয়ার মানসিকতা চেষ্টা হিসেবে ঘৃণার। বরং কারো দোষ লুকাতে পারলে, কাউকে গোপনে শোধরানোর পরামর্শ দিলে, কারো কোন ভুল আঁকড়ে না ধরলে তবেই তো আত্মার শুদ্ধতা প্রকাশিত হয়। ফুলের সুবাসের চেয়েও মানুষের সুবাস তীক্ষ্ণ । যাকে ভরসা করা যায়, যার থেকে সহযোগিতা আশা করা যায়, যাকে বিশ্বাস করা যায় চোখ বুঝে সেই মানুষের চেয়ে সুন্দর সুগন্ধির উৎস আর কী কোথাও আছে?

সম্ভাবনার উল্টো পাশেই শঙ্কাটুকুও লেপ্টে থাকে! কাজেই মানুষের থেকেই সবচেয়ে বেশি দুর্গন্ধ বের হতে পারে। যে মানুষ অপরের ক্ষতির মওকা খোঁজে, অপরের মানসিক পরিস্থিতি না বোঝে তাদের সাথে সময় কাটানো কঠিন। যে রোজ রুটিন করে বিশ্বাস ভাঙ্গে, যে মাঝপথে ভরসার হাত ছাড়ে তার দুর্গন্ধে মানবিক অনুভব-অনুভূতি কলুষিত হয়। মানুষের ওপর বিশ্বাস স্থাপনের সিঁড়ি যারা পিচ্ছিল করে তারা নিজেদের ট্রাপেই একসময় নিজেরা হারে। সবাই ছাড় দিতে পারে, মাফ করতে পারে চোখ বুঝে কিন্তু প্রকৃতির শোধ ফিরে আসে অ-শোধের দেশে। যেটুকু ভেজানো হয় সেটুকু ভিজতে হয়-প্রস্তুতির বিহিতে!

মানুষ হিসেবে ভালো মানুষ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যে মানুষকে ব্যথা দেয় না, দেয়া কথা ফিরিয়ে নেয় না-সেই তো মানুষ। ধরার সুযোগ থাকার পরেও ক্ষমা করার মাঝে সৌন্দর্য আছে। খারাপ কথার বাইরে লুকিয়ে আছে জাগতিক সকল মাধুর্য। ইচ্ছে হলে নিজেকে দূষিত করার সুযোগ আছে আবার সুবাস ছড়িয়ে মানুষকে মুগ্ধ করার, মানুষকে বুকে টানারও বিপুল সুযোগ আছে। আপনি কোন পথে নিজেকে জাহির করবেন সেটা দ্বারাই সময় আপনাকে মূল্যায়ণ করবে। তবে আপনি ভালো হলে একটি পরিবর্তিত সংসার-সমাজের স্বপ্ন দেখতে পারি। নিশ্চয়ই সে সৌভাগ্য থেকে সমাজের বৃহৎ স্বার্থকে বঞ্চিত করা বুদ্ধিমানের অভিধানে সংযোজিত হবে না।

Learn with Shamim

গল্পের নাম: "মা ছাগল ও বাচ্চার শিক্ষা"একটি শান্ত পাহাড়ি গ্রামে ছিল একটি মা ছাগল ও তার ছোট্ট বাচ্চা। মা ছাগলটি ছিল খুবই অ...
03/01/2025

গল্পের নাম: "মা ছাগল ও বাচ্চার শিক্ষা"

একটি শান্ত পাহাড়ি গ্রামে ছিল একটি মা ছাগল ও তার ছোট্ট বাচ্চা। মা ছাগলটি ছিল খুবই অভিজ্ঞ এবং সতর্ক, আর বাচ্চাটি ছিল নরম ও স্নেহময়, তবে অনেক কিছু জানতো না। প্রতিদিন মা ছাগল তার বাচ্চাকে প্রকৃতির নানা রূপ দেখাতো, তাকে শিখাতো কীভাবে সতর্ক থাকতে হয়, এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতাগুলো কিভাবে বুঝতে হয়।

একদিন, মা ছাগল ও তার বাচ্চা খেতে বেরিয়েছিল। মা ছাগল বাচ্চাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ঘাস খাচ্ছিল, কিন্তু একসময় তারা একটি নতুন জায়গায় পৌঁছালো, যেখানে কিছু লোক খাবার রেখে যাচ্ছিল। এক ব্যক্তির হাতে ছিল প্রচুর তাজা ফল, আর সে মা ছাগল ও তার বাচ্চাকে দেখে সেই ফলগুলো ছড়িয়ে দিলো। "ওহ, কী ভালো খাবার! খাও, খাও!"—সে বললো।

মা ছাগল ফলের দিকে তাকিয়ে বাচ্চাকে বলল, "তুমি খেয়াল করো, বাচ্চা, দুনিয়াতে অনেক কিছুই আমাদের সামনে আসে, কিন্তু সব কিছুই আমাদের জন্য নয়। এই ফলগুলো দেখে মনে হতে পারে যে এটি ভালো, কিন্তু সত্যি কি এটা আমাদের জন্য উপকারি হবে?"

বাচ্চা অবাক হয়ে মা ছাগলের দিকে তাকালো। "কিন্তু মা, এটা তো খেতে ভালো দেখাচ্ছে! কেন আমরা না খেয়ে চলে যাবো?"

মা ছাগল ধীরে ধীরে উত্তর দিলো, "দেখো, পৃথিবীতে অনেক মানুষ বা প্রাণী আছে যারা মাঝে মাঝে আমাদের সাথে কিছু শেয়ার করতে চায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সব কিছু আমাদের জন্য ভালো। কখনো কখনো তাদের স্বার্থ লুকানো থাকে, এবং সেই খাবার আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।"

মা ছাগল তখন তার বাচ্চাকে আরও শিখালো, "যতই মিষ্টি কিংবা তাজা দেখাক না কেন, কখনো কিছু খেতে গেলে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে, যে এটি আমাদের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী। কিছু মানুষ শুধু নিজের লাভের জন্য আমাদের সাথে কিছু ভাগ করে দেয়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।"

বাচ্চা বুঝে গেলো। সে বললো, "তাহলে আমরা কী খাবো মা?"

মা ছাগল হেসে বলল, "আমরা খেতে পারি সেই খাবার, যা প্রকৃতি থেকে আমরা সঠিকভাবে পেয়েছি। প্রকৃতি আমাদের জন্য সব সময় ভালো কিছু দেয়, যদি আমরা সতর্ক থাকি। মানুষ কখনো কখনো আমাদের বুঝাতে চায় যে কিছু খাবার ভালো, কিন্তু আমাদের নিজের বুদ্ধি ও দৃষ্টি ব্যবহার করতে হবে।"

এভাবেই মা ছাগল তার বাচ্চাকে দুনিয়ার স্বার্থপরতা, ভ্রম ও ধোকা থেকে সাবধান থাকার শিক্ষা দিলো। সে জানতো, জীবনে কখনো কখনো আসা প্রলোভনগুলি পরিহার করতে হলে সঠিক জ্ঞান ও বিচক্ষণতা খুবই প্রয়োজন।

উপদেশ: দুনিয়ার প্রলোভন থেকে দূরে থাকতে, সবসময় সতর্ক ও বিচক্ষণ থাকতে হবে। যে কোনো কিছু খাওয়ার আগে বুঝে-বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যাতে আমাদের স্বার্থ রক্ষা হয় এবং আমরা কখনোই ধোঁকার শিকার না হই।

আমার পরিচিত এক ভাই বিয়ে করেছিলেন সুন্দরী একটা মেয়েকে। তিনি বাসর রাতেই বউয়ের মুখে শুনলেন তার বউয়ের অন্য এক ছেলের সাথে সম্...
03/01/2025

আমার পরিচিত এক ভাই বিয়ে করেছিলেন সুন্দরী একটা মেয়েকে। তিনি বাসর রাতেই বউয়ের মুখে শুনলেন তার বউয়ের অন্য এক ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে।ভাই মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন এখন একটা স্কুলের শিক্ষক এলাকায় যাতে তার সন্মান যাতে ক্ষয়ে না যায় সেজন্য তিনি মেয়েটিকে বললেন,দেখো আমি শিক্ষক মানুষ আমার একটা সম্মান আছে। তুমি তোমার আগের সম্পর্কের কথা ভুলে যাও।মেয়েটা বললো,আপনি কেমন মানুষ

আমার অন্য জায়গায় সম্পর্কের কথা শুনেও
আমাকে মেনে নিচ্ছেন?

ভাই বললো,কেন তাতে কি? বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সুন্দরী মেয়েদের এরকম কিছু ফালতু সম্পর্ক থাকেই।

তাদের বাসর রাত একরকম তর্কাতর্কি করেই পার হলো।

পরের দিন সকালে উঠে বেধে গেলো আরেক বিপত্তি। মেয়েটা সবার সাথে কথা বললেও ছেলেটার সাথে কথা বলতে চায় না।

ছেলেটা বুঝতে পারলো মেয়েটা তার প্রথম প্রেম কোন ভাবেই ভুলতে পারছেনা।

কিছুদিন চলে গেলো মেয়েটা জেদ করেই আছে সে সংসার ছেড়ে চলে যাবে।

একদিন ছেলেটা স্কুল থেকে এসে দেখে ঘরের সব জিনিসপত্র মেয়েটা এলোমেলো করে রেখেছে।

ছেলেটার আর সহ্য হলো না এরকম নিত্য নতুন অশান্তির বাহানা।

প্রচন্ড রাগের বসে মেয়েটার গালে দুটো চর বসিয়ে দিলো।

মেয়েটা ছেলেটার বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে গেলো।

দুইদিন পর মেয়েটাকে আনতে গেলে মেয়েটার মা ছেলেটাকো নানান রকমের কথা শুনিয়ে

একপর্যায়ে বলে দিলো তারা আর সংসার করতে দিবে না। কেন সংসার করতে দিবে না জানতে চাইলে মেয়েটার মা বলে দেয় ছেলেটা

প্রতিদিন তাকে নাকি মারধর সহ নানা রকম অত্যাচার করে।

ছেলেটা তার শাশুড়ীর মুখে এমন ভুলভাল কথা শুনে মেয়েটার সব সত্যি কথা বলে দেয় কিন্তু কাজ হলো না।

তারপর ছেলেটা মেয়েটার হাত ধরে বললো,প্লিজ চলো।

মেয়েটা কোন কিছু না বলে হাত ঝটকা দিয়ে চলে গেলো।

এরপর ছেলেটার বাবা আনতে গেলো কিন্তু মেয়েটা এলো না হাজার অনুরোধ করা সত্যেও এলো না।

বাড়িতে এসে তিনি ছেলেকে বললেন,বাবা তোর বউ আর সংসার করতে চায় না

তারা দেনমোহরের টাকা সহ যৌতুকের টাকা ফেরত চেয়েছে

ছেলেটা অসহায় হয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে থাকলো

এখন কি করবে সে। তাই আবার মেয়েটার কাছে ফোন করলো কিন্তু মেয়েটা কথা বললো না

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একদিন চৌকিদার এসে তাদের বলে গেলো আগামী সোমবার

পরিষদে তাদের ডিভোর্স ব্যপারে মিটিং হবে

তারা যেনো স্ব শরীরে উপস্থিত হয়। না হলো অন্য ভাবে একশান নেওয়া হবে।

চলবে,?

গল্প: ডিভোর্স
লেখা : Learn with Shamim
পর্ব
বাকি টা সাড়া দিলে আসবে

মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন।মেপে চলুন। কেউ যদি বলে 'বেশি কথা বলে', তবে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিন...
03/01/2025

মেন্টালি স্ট্রং হতে চাইলে অযাচিত আগ্রহ কমিয়ে দিন।মেপে চলুন। কেউ যদি বলে 'বেশি কথা বলে', তবে তার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিন।যখন বুঝবেন আপনার সব অভিযোগ আপনার বিপরীতেই যাবে, আপনার কথা অন্যের কাছে কেবলমাত্র শব্দ দূষণ তখন শুধু শুনুন।বলতে চাইবেন না।
কথা বলতে চাওয়া ,দেখা করতে চাওয়ার যে তেষ্টা; তা একবার পার করে ফেললেই জীবনটা অনেক অন্যরকম হয়ে যায়। ভয়ঙ্কর কথা বলার ইচ্ছেরা গলাকে আঁকড়ে ধরে না।
একসাথে পথ চলার ইচ্ছের দায় যে আপনার একার নয় এটা বুঝে গেলেই ঘ্যানঘেনে ভাবটা চলে যাবে।
"তাকে ভালোবাসি কিন্ত একসাথে যাপন চাই না" কারো প্রতি এইরকমভাবে আগ্রহ চলে যাবার মতো কঠিন আর কিছু নেই। আগ্রহ চলে গেলেই, "হলেই হলো" এমন একটা ভাব নিয়ে দিব্য ঘুরে বেড়ানো যায়। কে কি বলল, কে কি ভাবলো এগুলো নিয়ে বিরাট রকমের মাথাব্যথা আর হয় না। মনে হয়, যে যেটা জানে জানুক। সমস্যা নেই। কেউ আমার লাইফটা লিড করছে না।

অন্যের কাছে গুড ভাইভস্ বজায় রাখার জন্য মানুষ অনেক কিছু হারিয়ে ফেলে। এমনকি গুড ভাইভস্ বজায় রাখতে রাখতে অনেকে মাঝবয়সে এসে জীবন অবধি হারিয়ে ফেলে।

আর যারা জীবন হারায়নি, তারা নিজেকে গুছিয়ে নেবার অদম্য প্রয়াস করতে করতে হাঁপিয়ে গিয়েও হাল ছাড়েনা।
নিজের মধ্যে প্রচন্ড পজিটিভিটি আনতে আনতে একটা সময় টের পাবেন আপনার চারপাশটা নেগেটিভিটিতে ভরে গেছে। পজেটিভ মানুষ যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই তার স্ট্রাগেল বেশি।

"অনুভূতি দিয়ে কিছু হয় না। মনের ভাব প্রকাশের জন্য শব্দ প্রয়োজন, বাক্য প্রয়োজন।" ছোটোবেলার পড়া এই সহজ ব্যাকরণ টা এইবারে আয়ত্ব করে নিন। ঝগড়াঝাটির স্কিলটা নিজে থেকেই কমিয়ে দিন। শব্দ-বাক্যের ঘনঘটা কমে আসলে মন খারাপগুলো থিঁতিয়ে যায়।
নিজের কাছে পরাজিত হয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে পারলে দেখবেন এই উঠে দাঁড়ানোটা ভয়ঙ্কর শক্ত । এর মধ্যে ছিঁটেফোঁটা বাড়তি ইমোশন থাকবে না।

যেখানে আপনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না সেখান থেকে চুপচাপ সরে আসুন। ঈগলের মতো সাহস করে সম্পর্কের সুতো গুলো এক এক করে নিজেই ছিঁড়ে ফেলুন। কোনো মেকি বাঁধন রাখবেন না। যে কাজটা করতে যাচ্ছেন তাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবেন জেনেও করুন একটা সুন্দর ভবিষ্যতের দায়ে।

নিজের শান্তি বজায় রাখার জন্য একপ্রকার মরিয়া হয়ে উঠুন।

ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না
Learn with Shamim

🍁 গতকাল হলো অতীত। আগামীকাল একটা রহস্য। কিন্তু আজকের দিনটি একটি উপহার। একারনেই একে বলা হয় 'প্রেজেন্ট'।🍁 সময়ের সাথে সাথে ...
02/01/2025

🍁 গতকাল হলো অতীত। আগামীকাল একটা রহস্য। কিন্তু আজকের দিনটি একটি উপহার। একারনেই একে বলা হয় 'প্রেজেন্ট'।

🍁 সময়ের সাথে সাথে যদি ভালোবাসা কমে যায়, বুঝে নেবে এটা কখনো ভালোবাসাই ছিলো না। এটা ছিলো সময়ের প্রয়োজনে একটু ভালো লাগা।

🍁 কারো হৃদয়ে আঘাত করাটা সাগরের বুকে পাথর ছুড়ে মারার মত। কেউ জানেনা সেই পাথর কত গভীরে আঘাত করবে। শুধু মাত্র যার হৃদয়ে আঘাত করবে সেই বুঝবে।

🍁 পাশাপাশি থাকা মানেই কাছাকাছি থাকা নয়। দূরে থেকেও কাছাকাছি থাকা যায়। এটা কেবলমাত্র আপনার মানুষিকতার উপর নির্ভর করে।

🍁 পৃথিবীতে ভালো থাকতে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন নেই। একটু খানি সততা, নিজের উপর বিশ্বাস, অল্প কিছু আপন মানুষ যারা তোমাকে চোখ বুঝে বিশ্বাস করবে কিংবা যাদের কাছে প্রান খুলে কথা বলতে পারবে আর অল্পতেই সুখী হবার মানসিকতা। ভালো থাক সবাই, ভালো রাখুক প্রিয় মানুষদের। ভালো থাকুক আপনজনেরাও।

🍁 কখনো কাউকে অযোগ্য বলে অবহেলা করো না। ভেবে দেখো তুমিও কারো না কারো কাছে অযোগ্য। কেউ কারো যোগ্য নয়, যোগ্য বিবেচনা করে নিতে হয়।

🍁 তোমার ভুলগুলোকে নিজের সাথে বহন কোরো না, সেগুলোকে পায়ের নিচে ফেলো এবং সেগুলোর উপর ভর দিয়ে সামনে এগিয়ে চলার কাজে ব্যবহার করো।

🍁 একটি ছাতা হয়তো বৃষ্টিকে থামিয়ে দিতে পারে না। কিন্তু তা আমাদের বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়াতে সাহায্য করে। তেমনি নিজের প্রতি কনফিডেন্স হয়তো নিশ্চিত সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না তবে তা আমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার শক্তি দেয়।

🍁 সেই সময়টা খুব কঠিন, যে সময়ে চোখের পানি ফেলতে হয়। কিন্তু ওই সময়টা তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন,যে সময় চোখের পানি লুকিয়ে হাসতে হয় ।

🍁 অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধই একজনে হয় না ঠিক কিন্তু শুরুটা সাহস করে একজনকেই করতে হয়। বাকিদের কাজ শুধু তার পাশে দাড়িয়ে যাওয়া।

🍁 মন ভালো করার জন্যে খুব বেশী কিছু দরকার হয় না। প্রিয় মানুষ গুলোর একটু হাসিই যথেষ্ট।

🍁 কাপড় রঙিন করতে হয়তো রঙের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু জীবন রঙিন করতে রঙের প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় কিছু ভাল বন্ধুর আর কিছু আপনজনের।

🍁 এমন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করো, যে তোমার গুন গুলো মনে রাখে, আর তোমার ভুলগুলো সংশোধন করিয়ে দিয়ে সেই ভুলগুলোকে ভুলে যায়।

🍁 পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে আকাশটাকে যতটা কাছের মনে হয়, আসলে আকাশটা ততটা কাছের নয়। তেমনি আপাতদৃষ্টিতে কোন কাজ সহজ মনে হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা সহজ নয়।

🍁 মানুষের মন বড় জটিল। সেটাকে বুঝতে হলে তোমাকে অনেকটা সময় নিতে হবে। তুমি যদি খুব তাড়াতাড়ি বুঝে ফেল তাহলে নিশ্চিতভাবেই ধরে নিতে পার, তুমি ভুল বুঝেছ।

🍁 যে কখনো আশা ছাড়ে না, তাকে হারানো সবচেয়ে কঠিন। তুমি তাকে ভেঙ্গে চুড়ে শেষ করে দিলেও সে আবার উঠে দাড়াবে, তুমাকে হারানোর স্বপ্ন দেখবে; ঠিক মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।

🍁 তোমারহাসি যেন শুধু তোমার ঠোঁট থেকে নয়, মন থেকেও যেন আসে। একটি প্রাণোচ্ছল হাসি তোমার সম্পর্ককেও অনেক গভীর করে দিতে পারে।

🍁 জীবনে দুঃখ হতাশা থাকবেই, তাই বলে জীবনটাকে হতাশার মধ্যে ডুবিয়ে রাখা ঠিক নয়, সময় থাকতে চেষ্টা করো ঘুরে দাঁড়ানোর, অবশ্যই তুমি সফল হবে, কারন চেষ্টাই সফলতা বয়ে আনে।

02/01/2025

পুরুষের সাফল্যের পিছনে মা ছাড়া দ্বিতীয় নারী থাকে না, কারণ "দ্বিতীয়"নারী একটি সফল পুরুষকে খোঁজে ❤️‍🩹

কেউ অবহেলা করে এড়িয়ে যাবেন না🙏5-দিনের অনন্য কর্ণাটক গ্রীষ্মকালীন সফরের যাত্রাপথদিন 1: ব্যাঙ্গালোরে আগমন এবং কুর্গে স্থ...
01/01/2025

কেউ অবহেলা করে এড়িয়ে যাবেন না🙏
5-দিনের অনন্য কর্ণাটক গ্রীষ্মকালীন সফরের যাত্রাপথ
দিন 1: ব্যাঙ্গালোরে আগমন এবং কুর্গে স্থানান্তর
সকাল: ব্যাঙ্গালোরে পৌঁছান, তারপর কুর্গে যান (প্রায় 6 ঘন্টা)।
বিকেল:
অ্যাবে জলপ্রপাত: কফির বাগানে ঘেরা এই সুন্দর জলপ্রপাতটি ঘুরে দেখুন।
রাজার আসন: আশেপাশের পাহাড় এবং উপত্যকার অত্যাশ্চর্য দৃশ্য সহ এই বাগানটি দেখুন।
সন্ধ্যা:
মাদিকেরি ফোর্ট: এই ঐতিহাসিক দুর্গটি অন্বেষণ করুন, যেখানে কুর্গের ইতিহাস প্রদর্শনের একটি যাদুঘরও রয়েছে।
রাতের খাবার: পান্ডি কারি এবং বাঁশের শুটের তরকারির মতো খাবারের সাথে একটি ঐতিহ্যবাহী কুর্গি খাবার উপভোগ করুন।
দিন 2: কুর্গ থেকে চিকমাগালুর
সকাল:
দুবারে এলিফ্যান্ট ক্যাম্প: সকালটা হাতির সাথে আলাপচারিতায় কাটান এবং কোরাকল রাইড উপভোগ করুন।
বিকাল: চিকমাগালুর (প্রায় 3-4 ঘন্টা) ড্রাইভ করুন।
সন্ধ্যা:
মুল্লায়ানাগিরি: সময় অনুমতি দিলে, অত্যাশ্চর্য দৃশ্য এবং শীতল বাতাসের জন্য কর্ণাটকের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মুল্লায়ানাগিরি পরিদর্শন করুন।
রাতের খাবার: একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় খাবার উপভোগ করুন, মালনাদের খাবারের স্বাদ নিন।
দিন 3: চিকমাগালুর অন্বেষণ
সকাল:
কফি প্ল্যান্টেশন ট্যুর: একটি কফি এস্টেটের একটি নির্দেশিত সফর নিন এবং কফি তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন।
হেব্বি জলপ্রপাত: হেব্বি জলপ্রপাত থেকে ট্রেক করুন, কফি বাগানের মাঝে অবস্থিত একটি সুন্দর জলপ্রপাত।
বিকেল:
বাবা বুদাঙ্গিরি: গুহা এবং সুফি সাধক বাবা বুদানের মাজারের জন্য পরিচিত এই পর্বতশ্রেণীতে যান।
সন্ধ্যা:
হিরেকোলালে হ্রদ: এই মনোরম লেকের পাশে একটি শান্তিপূর্ণ সন্ধ্যা উপভোগ করুন।
রাতের খাবার: কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁয় স্থানীয় মালনাদের সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিন।
দিন 4: চিকমাগালুর থেকে হাম্পি
সকাল: হাম্পির জন্য তাড়াতাড়ি প্রস্থান (প্রায় 6-7 ঘন্টা)।
বিকেল:
বিজয়া বিট্টলা মন্দির: পাথরের রথ এবং বাদ্যযন্ত্রের স্তম্ভের জন্য পরিচিত এই আইকনিক মন্দিরটি দিয়ে হাম্পি অন্বেষণ শুরু করুন।
বিরুপাক্ষ মন্দির: ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত এই প্রাচীন মন্দিরটি দেখুন, হাম্পির একটি গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক।
সন্ধ্যা:
হেমাকুটা পাহাড়: হাম্পির ধ্বংসাবশেষের উপর একটি শ্বাসরুদ্ধকর সূর্যাস্ত উপভোগ করতে হেমাকুটা পাহাড়ে চড়ুন।
রাতের খাবার: একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় ভোজন করুন, উত্তর কর্ণাটকের ঐতিহ্যবাহী খাবারের নমুনা নিন।
দিন 5: হাম্পি অন্বেষণ
সকাল:
হাম্পি বাজার এবং মনোলিথিক ষাঁড়: প্রাচীন বাজারের রাস্তাটি ঘুরে দেখুন এবং বৃহৎ একশিলা নন্দী মূর্তি দেখুন।
রাজকীয় ঘের: মহানবমী ডিব্বা, স্টেপড ট্যাঙ্ক এবং রাণীর স্নান সহ রয়্যাল এনক্লোসারে যান।
বিকেল:
লোটাস মহল এবং হাতির আস্তাবল: রাজকীয় কমপ্লেক্সের অংশ ছিল এই সুন্দর কাঠামোগুলি অন্বেষণ করুন।
হাম্পি প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর: বিজয়নগর সাম্রাজ্য সম্পর্কিত নিদর্শন এবং প্রদর্শনী দেখতে কমলাপুরের জাদুঘরে যান।
সন্ধ্যা:
মাতাঙ্গা পাহাড়: হাম্পির ধ্বংসাবশেষ এবং ল্যান্ডস্কেপের একটি মনোরম দৃশ্যের জন্য মাতাঙ্গা পাহাড়ে আরোহণ করুন।
প্রস্থান: আপনার অগ্রবর্তী যাত্রার জন্য ব্যাঙ্গালোর (নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন/এয়ারপোর্ট) ফিরে যান।
গ্রীষ্মকালে কর্ণাটকে ভ্রমণের জন্য টিপস
পোশাক: দিনের জন্য হালকা, নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো পোশাক এবং হিল স্টেশনে শীতল সন্ধ্যার জন্য একটি হালকা জ্যাকেট।
পাদুকা: আরামদায়ক হাঁটার জুতা অন্বেষণের জন্য আবশ্যক।
স্বাস্থ্য: হাইড্রেটেড থাকুন, সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি টুপি এবং সানগ্লাস বহন করুন।
বুকিং: শেষ মুহূর্তের ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই থাকার জায়গা এবং প্রয়োজনীয় প্রবেশের টিকিট সংরক্ষণ করুন।
কর্ণাটকে আপনার অনন্য গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ উপভোগ করুন, এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক ঐশ্বর্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মিশ্রণ।

Learn with Shamim

বাবা আর মেয়ের এই দূরত্বের নাম ক্ষুধা!
01/01/2025

বাবা আর মেয়ের এই দূরত্বের নাম ক্ষুধা!

31/12/2024

Happy New Year 2025 to all page friends & Followers,
Learn with Shamim

আর্থিক শিক্ষা কোবে ব্রায়ান্ট ছিলেন একজন আমেরিকান পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড় (Mhsrip) যিনি ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয...
31/12/2024

আর্থিক শিক্ষা

কোবে ব্রায়ান্ট ছিলেন একজন আমেরিকান পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড় (Mhsrip) যিনি ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন NBA-তে $320 মিলিয়ন উপার্জন করেছেন। তিনি 2014 সালে বডি আর্মারে $6 মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছিলেন।

ব্রায়ান্ট পরিবার এই বিনিয়োগ থেকে $400 মিলিয়ন পাবে। যে একক বিনিয়োগ তাকে তার ক্যারিয়ার উপার্জনের চেয়ে বেশি উপার্জন করেছে।

আজ অনেকেই খারাপ ঋণের মধ্যে রয়েছে এবং এমনকি তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তা করে না কারণ তারা শুধুমাত্র আজকের জন্য বেঁচে থাকতে বিশ্বাস করে। এই ধরনের লোকেরা প্রায়শই বলে আগামীকাল নিজের যত্ন নেবে। তারা আজ যতদিন খাবে তাই। সত্য হল আগামীকাল আপনার কাছে আজকের শক্তি থাকতে পারে। আগামীকাল দুর্ঘটনার কারণে আপনার পা, হাত ইত্যাদি থাকবে না, আপনি কীভাবে বাঁচবেন? আমার মনে আছে আমার একজন সাহায্যকারীকে বলেছিলাম যারা কয়েক সপ্তাহ আগে কৌতুকপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়েছিল যে তাদের আজকের শক্তি সবসময় থাকবে না। তাই এটি গুরুত্বপূর্ণ যে তারা এটিকে বুদ্ধিমানের সাথে ব্যবহার করে যাতে এমনকি তার বৃদ্ধ বয়সেও সে নিজের যত্ন নিতে সক্ষম হয়।

কাজ করুন এবং বিনিয়োগ করুন। অনেকে বিনিয়োগ করতে ভয় পান কারণ তাদের বন্ধুরা আগে অর্থ হারিয়েছে। প্রশ্ন হল আপনি কি তাদের ক্ষতির কারণ খুঁজে বের করার জন্য বিরক্ত হয়েছেন? বিনিয়োগ করার আগে বিনিয়োগ সম্পর্কে জানুন। ওয়ারেন বাফেট বলেছেন "আপনি কি করছেন তা না জানা থেকে ঝুঁকি আসে"। আপনার বস আপনাকে একটি ছোট বেতন প্রদানের বিষয়ে অভিযোগ করবেন না এবং এটি সম্পর্কে কিছু করবেন না। আপনার বসের কাজ আপনাকে আপনার বেতন প্রদান করা এবং নিজেকে ধনী করা আপনার কাজ। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন "পাগলতা একই জিনিস বারবার করে এবং ভিন্ন ফলাফলের আশা করে।" যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি এটি সম্পর্কে কিছু না করেন, আপনি বছরের পর বছর একই বেতন পেতে থাকবেন যা খুব কমই বৃদ্ধি পায় কারণ নিয়োগকর্তা আপনার বেতন সহ সমস্ত খরচ কম রাখার চেষ্টা করবেন তাই সেই ঝুঁকি নিন।

যদিও ঝুঁকি এড়ানো যায় না, তবে বিনিয়োগের আগে জ্ঞান অর্জন এবং তদন্ত করে এটি অবশ্যই হ্রাস করা যেতে পারে। আপনি যদি নিশ্চিতভাবে এমন একটি গাড়িতে চড়ার ঝুঁকি নিতে পারেন যেখানে মৃত্যুর সম্ভাবনা 5,000 জনের মধ্যে 1 জন এবং আপনি জানেন যে আপনার কেবল একটি জীবন আছে, আপনি যদি প্রতিদিন অ্যালকোহল পান করতে পারেন যা লিভারের রোগে 5 টির মধ্যে 4 জন মারা যায়, তবে আপনি অবশ্যই কিছু অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনি হয়তো টাকা হারাতে পারেন কিন্তু যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল এই প্রক্রিয়ায় আপনি কতটা বৃদ্ধি পেতেন।
রবার্ট কিয়োসাকি বলেছেন, "পরাজয় তারাই যারা হারতে ভয় পায়।" আপনি যদি আপনার বেতন বৃদ্ধির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তবে আপনি অবসর না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকবেন কারণ সেই বৃদ্ধি যা একবারে আসে তা চক্রবৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতি খেয়ে ফেলবে।" সঠিক কাজটি করুন।

Learn with Shamim

31/12/2024
ঝগড়ুটে বুড়ির গল্পঃ"কিপটে বুড়ি, আমি আর কাজ করবো না তোমার বাড়িতে। হাড়-মাস জ্বালিয়ে খেল, নতুন বছরে দুশো টাকা মাত্র বোনাস ...
30/12/2024

ঝগড়ুটে বুড়ির গল্পঃ
"কিপটে বুড়ি,
আমি আর কাজ করবো না তোমার বাড়িতে। হাড়-মাস জ্বালিয়ে খেল, নতুন বছরে দুশো টাকা মাত্র বোনাস চাইছি, তাও দেবে না ! ওই টাকা নিয়ে তুমি কি স্বর্গে যাবে? তিন কুলে তো কেউ নেই ? কী করবে ওই টাকা দিয়ে তুমি ?"

"দরকার হলে, রাস্তার ভিখিরিদের দান করে দেব তবু এগারোশো টাকা মাইনের এক পয়সা বেশি পাবি না, এই বলে রাখলাম ।"

এই শেষ, নাক-কান মুললাম, তোমার বাড়িতে যদি আর কাজে আসি তবে নাম বদলে দিও, আমি চললাম।

এই নিয়ে প্রায় বার চল্লিশেক কাজ ছেড়েছে টুম্পা। প্রত্যেক বারই আর না আসার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে চলে গেছে, কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর, খুব বেশি হলে দুপুর ছেড়ে বিকেল, এই হল তার রাগের সীমারেখা। বহু চেষ্টা করে একবার সন্ধ্যে ছ'টা অবধি আসেনি সে, কিন্তু সাড়ে ছ'টায় মৃণালিনী দেবীর একটা ওষুধ আছে। তাই আবার সে ছুটতে ছুটতে গ্যাছে। ওই ওষুধ না খেলে বুড়ি সারারাত দু-চোখের পাতা এক করতে পারবে না।
মৃণালিনী ভবনের এই মস্ত প্রাসাদের মতো বাড়িটার বিশাল গেটটা ঠেলে প্রতিদিনের মতো ভিতরে ঢোকে টুম্পা। তার শরীরে সকালের ঝগড়ার কোন রেশ নেই আর। ঘরে ঢুকেই একেবারে দিদিমনির কায়দায় শাসন শুরু করে দেয় সে -
"এই বুড়ি, দুপুরে খেয়েছো?"
- "না খেয়ে কি তোর জন্যে বসে থাকবো মুখপুড়ি ? আসতে এত দেরি হলো যে? সিরিয়ালের প্রথম পার্টটা তো হয়েই গেল।"
- "সে হোক গে, ওষুধ খেয়েছো ?"
- "না।"
- "দেখলে, একদিন একটু দেরিতে এসেছি অমনি অনিয়ম শুরু।"
- "এই, মেলা জ্ঞান দিস না তো। বক্ বক্ না করে মুড়ি চানাচুরটা মেখে নিয়ে আয় দেখি। কুচি কুচি করে পিঁয়াজ দিস আর হ্যাঁ, একটা কাঁচা লঙ্কা চিরে আনবি।"
- "খালি হুকুম আর হুকুম। এই নাও ওষুধ, গিলে আমায় শান্তি দাও।"
- "হুম, আমি গেলে তুই তো শান্তিই পাস। বুড়ি মরলে তোকে দেখবে কে রে মুখপুড়ি?"
- "ও নিয়ে তোমায় ভাবতে হবে না, আমাকে দেখার লোক অনেক আছে।"
- "কেন রে প্রেম টেম করছিস নাকি? বলিস নি তো !"
- "থামবে তুমি ?"

চলতে থাকে তাদের আবোলতাবোল বক বক। প্রতিদিন প্রায় এভাবেই সন্ধ্যে কাটে দু-জনের।
দিন শুরু হয় ঝগড়া দিয়ে, শেষও হয় ঝগড়া দিয়ে। মাঝে লেগে থাকে এক রাশ অভিমান, আবদার, অভিযোগ আর খুনসুটি। দুজনের বয়সের পার্থক্য কম করে হলেও পঞ্চাশ-বাহান্ন হবে, অথচ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে দুই বান্ধবী বসে ছেড়া পুতুলের মুন্ডু নিয়ে ঝগড়া করছে।

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! দু-জনের ভাগ্য বোধহয় ঈশ্বর একই কলমে লিখে ছিলেন। টুম্পার স্বামী বিয়ের দেড় বছরের মাথায় তাকে ছেড়ে সৌদি আরব চলে যায়। আজ প্রায় সাত বছর হয়ে গেছে আর ফেরেনি সে। গত কয়েক বছর হলো টুম্পা অপেক্ষা করাও ছেড়ে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে 'গুতেল মুন্সি' নামের এক দূর সম্পর্কের কাকু তাকে কলকাতায় নিয়ে আসে মাত্র দুই বছর বয়সে। তাই উত্তর প্রদেশের গ্রামের বাড়ি অথবা তার নিজের মা-বাবার মুখও মনে নেই তার এবং না থাকাটাই স্বাভাবিক।
গুতেল মুন্সি মদ খেয়ে খেয়ে নিজের শরীরটাকে শেষ করে ফেলেছিল, তাই কেউ আর তাকে কাজে নিতে চাইতো না। তাই খুব ছোট বয়স থেকেই এর ওর বাড়িতে কাজ করে, দু দুটো পেট চালাতে হতো টুম্পাকে। তারপর হঠাৎ একদিন রাত তিনটের দিকে খবর এলো তার ভিটেমাটির একমাত্র সাক্ষী, তার ওই গুতেল কাকু মদ্যপ অবস্থায় লরির নীচে পরে পার্থিব কষ্ট থেকে মুক্তিলাভ করেছে। খুব কেঁদেছিল সেদিন টুম্পা, যাও বা কিছু মাত্র শিকড় ছিল তাও সমূলে উপড়ে গেল। এবার সে সম্পূর্ণ উদ্বাস্তু হয়ে গেল। উত্তরপ্রদেশের কোথায় তার বাড়ি ? কে তার মা-বাবা ? কিছুই যে জানে না সে।

অপর দিকে মৃণালিনী দেবীর স্বামী এলাকার বিখ্যাত উকিল উপেন স্যান্যাল, অগাধ সম্পত্তির মালিক। কিন্তু ভগবান সব দিক থেকে দু-হাত ভরে দিলেও মৃণালিনী দেবীর কোল ফাঁকা করে রেখেছিলেন। পার্কে বা স্কুলের সামনে সব মায়েদের তাদের নিজের বাচ্চাদের আদর করতে দেখলে তার বুকটা হু হু করে উঠতো, কিন্তু কিছুই করার ছিল না তার। জরায়ুতে টিউমার অপারেশনের সময় ডাক্তার বলেই দিয়েছিলেন সেই নির্মম সত্যটা। তারপর জীবনের একমাত্র সঙ্গী এই বৃদ্ধ বয়সে এসে, তার হাত ছেড়ে দিয়ে আকাশের বুকে জায়গা করে নিলো তা আজ প্রায় তিন বছর। যৌবন তাও বা কেটে যায় নেশায় নেশায়, বার্ধক্যের ব্যালকনিতে এলে প্রকৃত ভালোবাসার যে অর্থ উপলব্ধি করা যায়, তা তিনি প্রতিটা রাতেই ওপাশের ফাঁকা বালিশটাতে হাত বুলিয়ে অনুভব করতেন।

এই ভাবেই জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে দুই পথ হারানো নাবিক, দিকশূন্য সাগরের মাঝে একটা ছোট্ট দ্বীপ খুঁজে নিয়েছে নিজেদের জন্য।

"শোনো বুড়ি, বেশী রাত অবধি বই পড়ো না কিন্তু। ঘুম ঠিক করে না হলে কাল সারাদিন কিন্তু মাথা ব্যথা করবে, বুঝলে ?"
- "হুম বুঝেছি, অনেক রাত হয়ে গেল, যা এবার বাড়ি যা।"
- "ধুর-র কোথায় রাত ? সবে সাড়ে নটা বাজে। যাই হোক শোনো, টেবিলের উপর ওষুধ রইলো রাতের, ঘুমাবার আগে খেয়ে নিও। আর গরম জল করে ফ্ল্যাক্সে রেখে গেলাম। ঠান্ডা জল খেয়ে আবার সর্দি বাঁধিয়ে বসো না কিন্তু।"
- "আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, প্রতিদিন একই কথা মুখস্থের মতো আওড়িয়ে যাস। আমার কথা তো আর শুনবিও না।"
- "তোমার আবার কি কথা ?
- "কত করে বলি, রাতটা এখানেই থেকে যা।
না, রাতে তাড়কা রাক্ষসীর ঝুপড়িতে না গেলেই নয়। এই কে আছে রে তোর বাড়িতে ?"
- "দেখো বুড়ি।"
- "এই থাম থাম ! আবার জ্ঞান দেবে। যা তুই যেদিকে মন চায়, কাল সময় মতো চলে আসিস।"

প্রতিদিনই রাতে গেট দিয়ে বেরোনোর সময়, ভীষণ খারাপ লাগে টুম্পার। একা বয়স্ক মহিলা এতবড় বাড়িতে থাকে, রাত বিরেতে কিছু হয়ে গেলে কেউ জানতেও পারবে না।

সত্যিই একদিন তেমনটাই হলো, রাতে ওঠে বাথরুমে গিয়ে আর শোওয়ার ঘরে ফেরা হলো না মৃণালিনী দেবীর। পরদিন সকালে কাজে এসে টুম্পাই প্রথম জানতে পারে। যেদিন গুতেল কাকু মরে গেল সেদিনও এতটা কষ্ট হয়নি তার, যতটা আজ হচ্ছে। তার মনে হচ্ছিল ঈশ্বর যেন তার বুকের বাঁদিক থেকে একটা বড় অংশ কেটে নিয়ে গেলেন। মাকে পায়নি সে, কিন্তু ভগবান মা হারানোর কষ্টটা তার ভাগ্যের খাতায় সন্তর্পনে লিখতে ভুল করেননি। আজ যেন সম্পূর্ণ অনাথ হলো টুম্পা। সময়ের কাঁটা থেমে থাকেনি, চোখের জলের রেখাও বইতে বইতে ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছে আজ প্রায় পাঁচ মাস হতে চললো। বিশাল প্রাসাদের মতো সাদা ওই বাড়িটা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। গেটে তালা ঝোলে, ওপাশে কেউ নেই, এপাশের মানুষটাও কেমন যেন পাথর হয়ে যায় দিনের পর দিন ।

হঠাৎ একদিন বস্তির মোড়ে একটা গাড়ি এসে দাঁড়ালো আর থেকে নেমে এলো কোট-টাই পরা এক ভদ্রলোক। বস্তিতে কোনও বড় গাড়ি দেখলে এমনিতেই সকলে ভিড় করে দাঁড়ায়, এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। লোকটি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে করে সোজা টুম্পার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালো। বাইরের চেঁচামেচি শুনে টুম্পাও ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছে ঘর থেকে। লোকটি জিজ্ঞেস করলো - "আপনি মিস টুম্পা সরকার ?"
- "হ্যাঁ ।"
- "আচ্ছা, আপনার ভোটার অথবা আধার কার্ডটা একবার একটু দেখতে পারি ?"
- "হ্যাঁ, কিন্তু.....মা...মা নে...আমি তো আপনাকে চিনি না আর টিভিতে যে বলে অচেনা কাউকে দরকারি কাগজ পত্র কিছু দিতে নেই।"
- "না না, আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি আমার পরিচয় বলছি। আমি স্বর্গীয় মিস্টার উপেন স্যান্যালের স্ত্রী স্বর্গীয়া মিসেস মৃণালিনী স্যান্যালের উকিল ছিলাম। আসলে মৃণালিনী দেবী নিজের স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে আপনাকে মনোনীত করে গেছেন। এখন আপনাকে এখানে একটা সই করতে হবে আর সেজন্যই একটা প্রমাণ থাকা জরুরি যে আপনিই আসল টুম্পা সরকার। ও হ্যাঁ, এর সাথে একটা চিঠিও রেখে গেছেন।"

কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠিটা ধরলো টুম্পা। আগে হলে হয়তো এটা পড়ার সাধ্যি তার হতো না, কিন্তু মৃণালিনী দেবী তাকে পড়তে শিখিয়েছেন, পনের দিনে একটা গল্পের বই পড়তে হতো তাকে। তারপর তার থেকে মৃণালিনী দেবী প্রশ্ন করতেন। এইসব পুরোনো কথা মনে পড়লেই টুম্পার চোখের জল কোন বারণ না শুনেই অবাধে নেমে আসে। চিঠির ভাঁজ খুলে পড়তে শুরু করলো সে.....

- "শোন মুখপুড়ি, তোর দায়িত্বে সব রেখে গেলাম। জানি তুই হেলায় নষ্ট করার মতো মেয়ে নোস, তবু মনে রাখিস আমি আর উনি কিন্তু উপর থেকে সব দেখছি। আমার বাড়িটা আজ থেকে তোকে দিলাম, আগের মতোই গুছিয়ে যত্ন করে রাখিস । আর শোন, আবার একটা বিয়ে করিস। একা একা সারা জীবন বেঁচে থাকা যায় না, ঝগড়া করারও একটা লোক চাই। আজ তো এই বুড়িটাও নেই যে গাল ফুলিয়ে সকাল সন্ধ্যে ঝগড়া করবি। ভাল থাকিস, নিজের একটু যত্ন নিস, চলি রে !"

ইতি,
তোর ঝগড়ুটে বুড়ি

থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে মাটির উপর বসে পড়ে টুম্পা। প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার সম্পত্তি পেয়েও নিজেকে তার পৃথিবীর সব চাইতে নিঃস্ব ব্যক্তির থেকেও নিঃস্ব মনে হচ্ছিল।

তিন তিনটে বছর কেটে গেছে তারপর, এখন মৃণালিনী ভবন শুধু একটি বাড়ি নয়, এটি একটি বৃদ্ধাশ্রম। এখানে টুম্পা মৃণালিনী দেবীর মতো এমন পঁয়ত্রিশ জনকে নিয়ে এসেছে যাদের সমাজ, পরিবার এমন কি ঈশ্বরও দূরে ঠেলে দিয়েছেন। তাদেরই দু-হাতে বুকে টেনে নিয়েছে টুম্পা, জায়গা করে দিয়েছে মৃণালিনী ভবনে যাতে শেষ কটা দিন তারা যেন একাকিত্বে না বাঁচেন। টুম্পা যেন একা না থাকে, একটা ঝগড়া করার লোক খুঁজে নেয় এই তো ছিল মৃণালিনী দেবীর শেষ ইচ্ছে। সেটাই খুঁজে নিয়েছে সে, একটা দুটো নয় পঁয়ত্রিশটা ঝগড়ুটে বুড়ি। এখন সারাটা দিন মন খুলে সে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে।

Learn with Shamim

Address

Chandpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Learn with Shamim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Learn with Shamim:

Videos

Share