04/06/2024
#মানুষ_ও_পশুকে খাসি করা হারাম
এবং বলদ বা খাসি কোরবানি দিলে
কোরবানি হবে না।
কারন একাধিক হাদিস শরিফ রয়েছে রাসুলুল্লাহ ﷺ পশুকে খাসি করতে নিষেধ করেছেন।
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻭﻛﻴﻊ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻧﺎﻓﻊ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻗﺎﻝ ﻧﻬﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺇﺧﺼﺎﺀ ﺍﻟﺨﻴﻞ ﻭﺍﻟﺒﻬﺎﺋﻢ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻓﻴﻬﺎ ﻧﻤﺎﺀ ﺍﻟﺨﻠﻖ
ইবনে উমার হইতে বর্ণীত তিনি বলেন রাসুলে আকরাম ﷺ ঘোড়া ও অন্যান্য প্রানী খাসী করতে নিষেধ করেছেন। এবং ইবনে উমার বলেন ইহাতে সৃষ্টির বংশ বৃদ্ধি আছে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৭৫৫, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস নং-৪৭৯০, মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদীস নং-৯৩৬৭)।
রাসুলুল্লাহ ﷺবলেন, ﻻﺧﺼﻰ ﻓﻰ ﺍﻻﺳﻼﻡ ইসলাম ধর্মে খাসি নেই।
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻧﻬﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺧﺼﺎﺀ ﻝ ﻭﺍﻟﺒﻬﺎﺋﻢ ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺣﻤﺪ )
তারপরও যারা সেচ্ছায় খাসি তথা) খোজা হতে চাইতেন নবীজি ﷺ তাদেরকে নামাজ এবং রোজার জন্য নির্দেশ দিতেন, খোজা হওয়ার জন্য (আহমমদ)
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻧﻬﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺧﺼﺎﺀ ﻝ ﻭﺍﻟﺒﻬﺎﺋﻬﻢ
ইবনে উমার (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণীত রাসুল ﷺ কঠোর হস্তে “মানুষ ও পশুকে খাঁসী করা হতে বিরত করেন।
অনেকে বলে খাসি / বলদ কুরবানী করার একাদিক হাদিস আছে। চলুন দেখি হাদিস গুলো কিঃ-
ﺑَﺎﺏ ﺃَﺿَﺎﺣِﻲِّ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﷺ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﻳَﺤْﻴَﻰ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﺮَّﺯَّﺍﻕِ، ﺃَﻧْﺒَﺄَﻧَﺎ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥُ ﺍﻟﺜَّﻮْﺭِﻱُّ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣُﺤَﻤَّﺪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻘِﻴﻞٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻠَﻤَﺔَ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻭَﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺃَﻥْ ﻳُﻀَﺤِّﻲَ ﺍﺷْﺘَﺮَﻯ ﻛَﺒْﺸَﻴْﻦِ ﻋَﻈِﻴﻤَﻴْﻦِ ﺳَﻤِﻴﻨَﻴْﻦِ ﺃَﻗْﺮَﻧَﻴْﻦِ ﺃَﻣْﻠَﺤَﻴْﻦِ ﻣَﻮْﺟُﻮﺀَﻳْﻦِ ﻓَﺬَﺑَﺢَ ﺃَﺣَﺪَﻫُﻤَﺎ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻪِ ﻟِﻤَﻦْ ﺷَﻬِﺪَ ﻟِﻠَّﻪِ ﺑِﺎﻟﺘَّﻮْﺣِﻴﺪِ ﻭَﺷَﻬِﺪَ ﻟَﻪُ ﺑِﺎﻟْﺒَﻼَﻍِ ﻭَﺫَﺑَﺢَ ﺍﻵﺧَﺮَ ﻋَﻦْ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻦْ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ
আয়েশা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) ও আবূ হুরায়রা (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরবানীর ইচ্ছা করলে দু’টি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধুসর বর্ণের ও ছিন্নমুষ্ক খাসী করা ভেড়া ক্রয় করতেন অতঃপর এর একটি নিজ উম্মাতের যারা আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেয় এবং তাঁর নবুয়াতের সাক্ষ্য দেয় তাদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে কোরবানী করতেন
ﺑَﺎﺏُ ﻣَﺎ ﻳُﺴْﺘَﺤَﺐُّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻀَّﺤَﺎﻳَﺎ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺍﻟﺮَّﺍﺯِﻱُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋِﻴﺴَﻰ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕَ، ﻋَﻦْ ﻳَﺰِﻳﺪَ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﺣَﺒِﻴﺐٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻋَﻴَّﺎﺵٍ، ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻗَﺎﻝَ : ﺫَﺑَﺢَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟﺬَّﺑْﺢِ ﻛَﺒْﺸَﻴْﻦِ ﺃَﻗْﺮَﻧَﻴْﻦِ ﺃَﻣْﻠَﺤَﻴْﻦِ ﻣُﻮﺟَﺄَﻳْﻦِ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻭَﺟَّﻬَﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻧِّﻲ ﻭَﺟَّﻬْﺖُ ﻭَﺟْﻬِﻲَ ﻟِﻠَّﺬِﻱ ﻓَﻄَﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻋَﻠَﻰ ﻣِﻠَّﺔِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﺣَﻨِﻴﻔًﺎ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ، ﺇِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗِﻲ ﻭَﻧُﺴُﻜِﻲ ﻭَﻣَﺤْﻴَﺎﻱَ ﻭَﻣَﻤَﺎﺗِﻲ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﻟَﺎ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻭَﺑِﺬَﻟِﻚَ ﺃُﻣِﺮْﺕُ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻣِﻨْﻚَ ﻭَﻟَﻚَ، ﻭَﻋَﻦْ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﺃُﻣَّﺘِﻪِ ﺑِﺎﺳْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﺛُﻢَّ ﺫَﺑَﺢَ
জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাদ্বীয়াল্লাহু আনহু) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কুরবানীর দিন দু’টি ধূসর বর্ণের লম্বা শিংবিশিষ্ট খাসী করা ভেড়া যবাহ করের। তিনি ভেড়া দু’টিকে কিবলাহমুখী করে শুইয়ে বলেনঃ- ইন্নি ওয়াজহাতু ওয়াজহি লিললাযি ফত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা আলা মিলাতি ইব্রাহীমা হানিফাও, ওয়ামা আনা মিন মুশরেকিন… ইন্না স্বলাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহিয়ায়ি ওয়া মামাতি লিল্লাহি রব্বিল আলামিন লা শারিকা লাহু ওয়াবি যালিকা উমিরতো ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলেমিন আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাক ওয়া আন মুহাম্মাদিন ওয়া উম্মাতিহি অতঃপর তিনি বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে যবাহ করেন।
খেয়াল করুন একাধিক হাদিস শরিফ রয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) খাসি করতে নিষেধ করেছেন আবার কিছু হাদিস শরিফ রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) নিজেই নাকি খাসি কুরবানি করেছেন। তাহলে বিষয়টা এমন বুজা যাচ্ছে যে পশুকে খাসি করা জায়েজ নেই কিন্তু খাসি কুরবানি করা জায়েজ, কি আশ্চর্য।
যদি খাসি করাই জায়েজ নেই তাহলে কুরবানির সময় খাসি কোথায় থেকে আসবে?
যত গুলো হাদিস শরিফে খাসি করতে নিষেধ করা হয়েছে তথায় ﻻﺧﺼﻰ শব্দ এসেছে কিন্তু যেগুলোতে খাসি কুরবানি করার কথা বলা হয়েছে সেথায় ﺧﺼﻰ খাসি শব্দ নেই কেনো? শব্দটা এমন হওয়ার কথা ছিলঃ- التضحية ﺧﺼﻰ
অথবা তাখাসি জাবাহি।
খাসি কোরবানি করেছেন। কিন্তু খাসি কোরবানির হাদিস গুলোতে কোথাও এসেছে ﻣُﻮﺟَﺄَﻳْﻦِ মুউযাহায়নি আবার কোথা এসেছে ﻣَﻮْﺟُﻮﺀَﻳْﻦِ মুউযুউহায়নি এই দুইটা শব্দ ছারা ভিন্ন কোনো শব্দ নেই।
এখানে দুইরকম শব্দ কেনো, তার কারন হচ্ছে
এই ﻣَﻮْﺟُﻮﺀَﻳْﻦِ এই শব্দটা ভুল আরবি ভাষায় নেই ইহার কোন অর্থ নেই , কেউ কোন একজন
খাসিকে জায়েজ করান জন্য এই ﻣُﻮﺟَﺄَﻳْﻦِ কে পরিবর্তন করে ﻣَﻮْﺟُﻮﺀَﻳْﻦِ বানিয়েছে যেনো কেউ এটার সমাধান খোঁজে নাপায়।বিস্বাস নাহলে আরবি ডিকসনারি খোজে দেখুন বা কোন মুফতী সাহেব যদি কোন ডিকসনারি বা আরবের লিখিত ইমামগনের কিতাবে পেয়ে থাকেন কমেন্টে জানাবেন।
আমি আরবি একদিক ডিকশনারি খোজেছি পাইনি এবং আরবের একাধিক ব্যাক্তিকে
এই ﻣَﻮْﺟُﻮﺀَﻳْﻦِ শব্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি তারা অর্থ বলাত থাকক দূরের কথা এই শব্দ তারা কখনো শুনেও নাই দেখেও নাই।
এখন ﻣُﻮﺟَﺄَﻳْﻦِ এর মর্ম- এই শব্দটা বহুবচন বুজানো হয়েছে এর অর্থ - কেউ বলে দুইটা পাটা ছাগল আবার কেউ বলে দুইটা বলদ ছাগল। কিন্তু এই আরবি থেকে হুবুহু ছাগল বলতে কিছু পাওয়া যায় না যেটা যায় তা হল- দ্রুততম বা চটপট, সুস্তসবল- এই ধরনের।
তাহলে আমরা জানি পাটা ছাগল চটপটে হয় এদিক সেদিকে দৌড়াদৌড়ি করে কিন্তু বলদ রোগার মত এক স্থানে দাড়িয়ে থাকে।
আর দেখুন আরব দেশে একটা রীতি রয়েছে
যে,পাটা, পাটি,ভেড়া,ভেড়ি, ছোট, বড় সব গুলোকে মিলে غنم গনম বলা হয়, যার অর্থ বাংলায় খাসি হয় তাই কেউ যদি কোন মাসালা বা কোন ইমামের কিতাবে এই শব্দ পেয়ে থাকেন তাহলে
বলদ বা খাসি মনে করবেন না।
আর দেখুন সুরা নিসা ১১৯-
শয়তান আল্লাহর সাথে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, সে আল্লাহর সৃষ্টির আকৃতি পরিবর্তন করার জন্য এবং পশুর অন্ডকোষ ছেদন করার জন্য মানুষকে কুমন্ত্রণা দিবে।
তাহলে প্রমান হয় খাসি করানো শয়তানের কাজ কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না।
আর দেখুন,
ﻭﺗﻞ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻧﺒﺎﺍﺑﻨﻰ ﺁﺩﻡ ﺑﺎﻟﺤﻖ،، ﺍﺫﻗﺮﺑﺎ ﻗﺮﺑﺎﻧﺎ ﻓﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﺣﺪﻫﻤﺎ ﻭﻣﻦ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﻻٰﺧﺮ، ﻗﺎﻝ ﻻﻗﺘﻠﻨﻚ، ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻤﺎ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺘﻘﻴﻦ
আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত আপনি তাহাদিগকে যথাযত ভাবে শোনিয়ে দিন। যখন তাহারা উভয়ে কোরবানি করিয়াছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হয়েছিল এবং অন্যজনের কবুল হইলনা। সে (কাবিল) বলিল আমি তোমাকে হত্যা করিবই। অপরজন(হাবিল) বলিল অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিনদের কোরবানি কবুল করেন। (পাড়া ৬, সুরা মায়িদা, আয়াত ২৭)
সংক্ষিপ্ত ঘটনা তাহলে বুঝা যায় কুরাবানির প্রথাটা নতুন কিছু নয়। আদম আঃ এর দুই সন্তান হাবিল কাবিলও করেছিল। তাহলে তাদের পশুটাও একটিভ ছিল অর্থাৎ বলদ ছিলনা, কারন বলদ বানানো শয়তানের কাজ।
এই আয়াত শরিফ থেকে আর বুজাযায় যে, যারা দুনিয়ার বুকে, সুূদ,ঘোস,জিনা,হত্যা,,জোয়া,হিংসা, লোভ,মদ,চুরি,ডাকাতি,জুলুম,বেপর্দা, ইত্যাদি এইধরনের স্বভাব যাদের মাঝে থাকবে ১০০% গেরান্টি তাদের কোরবানি হবে না।
এই আয়াত থেকে আর বুঝা যায় যে শয়তানের কুমন্ত্রণা শোনবে অথবা শয়তানের কোন কাজ করবে তার কোরবানি হবেনা তাহলে সুরা নিসা ১১৯ স্পষ্ট বলা হয়েছে পশুকে বলদ বানানো এটা শয়তানের কাজ।
আর দেখুন সুরা আরাফ/ আনামে-রয়েছে
আল্লাহ গরুর, ছাগল,উট ইত্যাদি এগুলো দুইজাত সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু বলদ হলো তিন নাম্বার জাত, তাহলে বুঝা যায় বলদ আল্লাহ বানাইনি মানুষে বানিয়েছে।
বড় আপসোস, পশুকে বলদ না বানানোর জন্য এত এত দলিল থাকা সত্বেও কিছু মানুষ সুস্বাদু গোস্তো খাওয়ার জন্য, কিছু হাদিসের শব্দকে অপব্যাখ্যা করে জায়েজ বানিয়ে দিলো।
জায়েজত হবেই কারন সুদের বিষয়ে কোরআন হাদিসে অনেক নিষেধাজ্ঞা ও কঠিন কঠিন শাস্তির কথা রয়েছে তবুও প্রায় ৭৫% আলেম ও ৯৮% সাধারণ মানুষ সুদ খাচ্ছে এবং ঐ আলেমেরা বিভিন্ন রকমের যুক্তি দিয়ে সুদকে হালাল বানাচ্ছে,
ঠিক তেমনি যুক্তি দিয়ে বলদ কোরবানি করা জায়েজ করেছে।
আর দেখা যায় কউমি মাদ্রাসার আলেমেরা ছাত্র ছাত্রীর সাথে কুকর্ম করে এটাকেও জায়েজ বানানোর বিভিন্ন চেষ্টা চলতেছে।
সুতরাং আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর পরে নিকৃষ্ট হারাম কাজগুলো সব হালাল হয়ে যাবে তখন হারাম বলতে আর কিছুই থাকবেনা।
আল্লাহ্ এই বাতিল ফেরকার কাছে
থেকে পানাহ্ চাই আপনার কাছে।
#প্রচারে_রেজভীয়া_দরবার_শরীফ ❤