23/11/2023
আমাদের জীবনের সার্থকতা কোথায়। মানুষ কেন নিজেকে পরিবর্তন করতে চাই না?🥲
আল্লাহ তায়লা আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন। আমরা কী একটুও চিন্তা করতে পারি না। আমরা দুনিয়াতে কতকিছু না করতেছি ,,,কেন করতেছি??
প্রতেক মানুষের কোন না কোন একটা উদ্দেশ্য থাকে তাই না। হুম,, থাকতেই পারে। তো আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাজ থেকে সেইম কিছু চাইতো।
মহান আল্লাহ মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদত করার জন্য। তবে তিনি
ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্ষমতাও মানুষকে দিয়েছেন। তাই কেউ আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষমতা যথার্থ ব্যয় করে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করেছে এবং কেউ এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই জন্য আমাদের অনেক জ্ঞানী এবং চরিত্রবান হতে হবে। আসলেই এই বর্তমান যুগের মানুষের জ্ঞানী এবং চরিত্রর গাট্টি থাকার কারণে মানুষ একে অন্যকে খুব কম সময়ে ধোকা দিতে পারে।
আসলেই ভাল করে একটু চিন্তা করে দেখেন তো। বর্তমান সময়ে মানুষের যে সব রিলেশনশিপ,ভালোবাসা,প্রেম সব মিথ্যের অপশ্রুতি মধ্যে লিপ্ত। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আগে আবহাওয়াবিদরা যেমন পূর্বাভাস পেয়ে থাকেন তেমন মিথ্যা ভালোবাসার কিছু লক্ষণ আছে। মাথা কাটিয়ে ভালো করে চিন্তা করে দেখেন বুঝতে পারবেন। এই বর্তমান সমাজ এরকম হয়ে গেছে। একটা মেয়ে অথবা ছেলে সম্পর্কে জড়ালে কয়েক দিন ব্যবধানে কত কিছু না করে পেলে,, সবকিছু খুলে না বলাই ভালো বুঝে নেন। তো এটাই আমাদের চরিত্রবান ভালোবাসা।???
আসলেই আমি এটা বলতেছি না,,,ভালোবাসা হারাম, ধরেন,,, আপনি প্রথম কোন একটা মানুষকে দেখলেন, তাকে আপনার ভাল লেগে গেছে এটা তার প্রতি আকর্ষণ। সত্য কারের ভালোবাসা কী?,, ভালবাসা সবসময় ধৈর্যশীল এবং দয়ালু। ভালোবাসা কখনো অহংকারী নয়। এটা কখনো অভদ্র বা স্বার্থপর, বেইমানি,ধোকা নয়। এটি অপরাধ গ্রহণ করে না এবং বিরক্ত হয় না। এটা সবসময় অজুহাত দিতে, বিশ্বাস করতে, আশা করতে এবং যা আসে তা সহ্য করতে প্রস্তুত থাকা যায়।
আবার ভালোবাসা নানা ধরনের নানা ভাবের মধ্যেই প্রকাশ পায়। যেমন মা তার সন্তান কে ভালোবাসে। নিজে না খেয়েও তার সন্তান কে খাওয়ানো, তার প্রতিনিয়ত কোথায় কি প্রয়োজন সেদিকে খেয়াল রাখা, এমনকি যদি চলতে গিয়ে সন্তান পড়েও যায় তাহলে সন্তানের ব্যাথা লাগুক বা না লাগুক, ব্যাথা অবশ্যই মায়ের বুকে আঘাত করে। এটা সত্যিকারের ভালোবাসা। সত্যিকারের ভালোবাসায় কোন স্বার্থ খুঁজে পাওয়া যায় না।
সুতরাং,কাউকে ভালবাসলে দূর থেকে ভালবাসো। তাকে ভালোবাসার নাম দিয়ে কেন চরিত্রহীন মেলামেশা করতেছেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ধৈর্যের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিল না?, 'মহাকালের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়।
এই জন্য নিজের চরিত্র ঠিক রেখে ধৈয্য ধারণ করুন। আল্লাহকে সরণ করে যদি একটা ভাল কাজ কর,,, আল্লাহ তুমাকে তার প্রতিধান শতগুণ দিয়ে দিবে। এমন কাজ ভুলেও কর না,, চরিত্রহীন মানুষের সঙ্গে মিশে নিজেকে ডিপ্রেশন ও ধংশ নিয়ে যাইও না। প্রয়োজনে সারা জীবন একাঁ থাকবো। তবু্ও নিজেকে ভুল মানুষের সাথে মিশতে দিব না। দুই দিনের দুনিয়ায় মারা গেলে তো সব শেষ। এতকিছু করার কী ধরকার আছে??,,,, এমন চরিত্র হওয়া যাবে না,,, দিনশেষে সবকিছু হারাতে হবে। আল্লাহকেও হারাতে হবে । আল্লার উপর বরশা রেখ। আল্লাহ তায়ালা তুমাকে এমন কিছু দিবে যা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। 🥹