30/11/2024
১০/১৫ হাজার টাকা দিয়ে
যাদের সংসার চলে
তাদের কেউ একজনকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, লাস্ট কবে খাসির মাংস খেয়েছেন?
সে উত্তর দিবে সেই দোল পূৰ্নিমার সময়।
এরপর জিজ্ঞাসা করেন, আপনার এলাকায় ফলের দোকান কোন দিকে?
সে আমতা আমতা করবে। কারণ ফলের দোকানে যাওয়ার রাস্তাটা সে ভুলে গেছে অনেক আগেই। সারা বছরে কিছু আম- কাঁঠাল ছাড়া আর কোন ফল তাদের কপালে জোটে না। লিচুর দোকানের পাশ দিয়ে তারা মাথা নিচু করে হেঁটে যায়।
আপেল- কমলা- আঙুরের ঘ্রাণ তারা অনেক আগেই ভুলে গেছে।
মাছে- ভাতে বাঙালী ইলিশ মাছ এখন স্বপ্নেও দেখে না। রুই- কাতলাও এখন দিবাস্বপ্নের মত। শিং মাছ এখন সারাজীবনে একবার কেনা হয়। হ্যা, তারাও মাছ খায়। ঘাস টাইপের তেলাপিয়া আর পাঙ্গাস মাছও এখন বিলাসিতা।
দাম এত কেন? এইটা জিজ্ঞাসা করবেন?
সেই উপায় নাই। দোকানদারদের রেডিমেড উত্তর আছে। তারা বলবে, বেতন বাড়ছে, বেতন ডাবল হইছে। অথচ বেতন বাড়ছে মাত্র ৪% মানুষের। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যেদিন ডাবল করা হল তার আগের সপ্তাহে খাসির মাংস ছিল ৬৫০ টাকা। বেতন ডাবলের ঘোষণার পর হল ৭০০। আর এখন কিনতে গেলে লাগে ৮০০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগি, তেলাপিয়া- পাঙ্গাসের ছোট ছোট পিসও এখন সাধ্যের বাইরে..
তারা বলে দেশ দুই দিন পর মালায়েশিয়া হবে, তারপর সিংগাপুর- দুবাই হবে। অথচ এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের চোখের সামনেই দেশটা একদিন সোমালিয়া হয়ে যাবে
চালের দাম আমার সাধ্যের মধ্যে এনে দেন। সপ্তাহে একদিন অন্তত ভাল- মন্দ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন, ফলের দোকানে যাওয়ার রাস্তাটায় আমাকে একটু এগিয়ে দেন...
ভরসা অটোমেটিক চলে আসবে। কোন ফ্রেম- পোস্টার লাগবে না।
দুঃখিত,
৫০/৬০ টাকা কেজি মোটা চালের ভাত খেয়ে ভরসাটা ঠিকমত আসে না।
✍️ সংগৃহীত