![জালিম সরকার পতন পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে আমার কিছু অভিমত,পৃথিবীতে কোনো জালিম চিরকাল স্থায়ী হতে পারেনি, পারবেও না।সাবধান,...](https://img3.medioq.com/313/211/791882893132114.jpg)
06/08/2024
জালিম সরকার পতন পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে আমার কিছু অভিমত,
পৃথিবীতে কোনো জালিম চিরকাল স্থায়ী হতে পারেনি, পারবেও না।
সাবধান, প্রিয় দেশবাসী দেশে সরকার পতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, পশ্চিমারা সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাইবে , দেশের অভ্যন্তরে এই সুযোগে কিছু অসাধু লোকের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যেতে পারে ।
এক কথায় দেশে তীব্র অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে, আপনারা কি তা অনুধাবন করতে পারছেন?
অর্থাৎ, এ সময় আমাদের এমন একজন নেতা দরকার যাকে সবাই শ্রদ্ধা করে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে মানুষ যার কথায় আস্থা রাখবে এমন একজন ব্যক্তিত্বকে দেশের নেতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। কে ঘোষণা দেবে হ্যাঁ, আপনার আমার মতো সাধারণ বাঙালি।
এক নজরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার গঠন সম্পর্কেঃ
দেশে জালিম সরকার পতনের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এ কথা চির বাস্তব। তবে এ কথাও চির সত্য নয় কি বাংলাদেশে বর্তমানে যত রাজনৈতিক দল রয়েছে সবার ভাল দিক খারাপ দিক রয়েছে। অর্থাৎ দেশের পূর্ব রাজনীতি ,দুর্নীতির মুলনীতি। তবে কিছুতেই ভুললে চলবে না দেশের পালাবলে, ছাত্ররাই মূল ভূমিকা রেখেছে।
দেশে কোনো নারী সরকারকে আহ্বান করে জাতিকে আবারো পতনের দিকে নেবেন না। হ্যাঁ, আমি একথাও খুব স্পষ্ট করেই বলতে চাই । বর্তমানে দেশের বাইরে সাবেক কিছু নেতার অবস্থন। তবে মেহেরবানী করে দেশে এমন কাউকে সরকার হিসেবে নেবেন না যিনি বিদেশে থেকেও এই আল্দোলনে জাতিকে সুনিপুণ বক্তব্যে উতসাহ প্রদান টুকু করেনা যেখানে অনেক ' শ্রদ্ধাভাজন' বীর ছেলেদের সাহস যোগাচ্ছে।
তবে কি পূর্বের কিছু ইসলামিক দল ???
দয়া করে দেশে এমন কাউকে সরকার ঘোষণা করবেন না যাদের নিয়ে ইতিমধ্যেই ভেদাভেদ রয়েছে অর্থাৎ আন্দোলনে শুধু মুসলিম না হিন্দু ভাইরাও আমাদের পাশে দাড়িয়েছে। সর্বোপরি পূর্বেই দেশের ইসলামিক দলগুলোর শ্রেষ্ঠ মেধাবীরা জালিমের জুলুমের শিকার হয়ে আল্লাহর মেহমান হয়েছেন।
এককথায় চলমান যেকোনো রাজনৈতিক দল দেশে ক্ষমতায় আসলে, দেশ পূর্বের মতোই চলবে হোক সেটা আজ অথবা কাল ।
এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী দের আমরা দেখছি যারা হুট করেই সামনে এসে চলমান কোনো বড় আল্দোলনে, টুপকরে মাথা দিয়ে দিয়ে বর্তমান জালিম সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে। মেহেরবানী করে এইরকম পরিস্থিতিতে ধোকায় পড়বেননা।
ভূলে গেছেন দেশের সরকার পতন পরবর্তী সময়ে চরম উত্তেজনাময় সময়ে একজন আদর্শ নেতাকে নিয়ে কথা বলছি ।
তবে সরকার পতনের সাথে সাথেই দেশে চরম উত্তেজনাময় একটি পরিস্থিতি দাড়াবে এটার ব্যাপারে আপনাদের বিবেক কি বলে ।
যদিওবা আমি এদেশের একজন অত্যন্ত সাধারণ ব্যক্তিত্ব তবুও আমার নিজের পক্ষ হতে আমি বলিঃ
চিরকাল তো রাজনীতির মারপ্যাঁচে পরে গোলামিই করে গেলাম এখন সমাধান এমন ভাবে নিতে হবে যাতে আর পূর্বের রাজনীতির দূর্নীতি না থাকে অর্থাৎ, সমস্ত পূর্বের রাজনৈতিক দল সরকার হওয়ার যোগ্য নয় বলে বিবেচনা করা হোক ।
দেশে নতুন সরকার আসুক, নতুন জননীতি আসুক।
একদিকে সরকার গঠন অন্যদিকে দেশের অস্থিতিকর পরিস্থিতির সামাল দেওয়া অর্থাৎ এমন একজন ব্যক্তিত্ব, এমন একজন যুবক পুরুষ সরকার হয়ে আসুক যাকে সবাই শ্রদ্ধা করে ।
আমি এজন্য কলিজার ভাই মিজানুর রহমান আজহারীকে সরকার করার প্রস্তাব দিলাম আপনারা মতামত জানাবেন।
এ বিষয়ে কিছু প্রশ্নোত্তরঃ
১. উনি রাজনীতি করেননি বা রাজনীতির লেভেলে নয়।
উঃ ভুলে গেলেন, তিনিই সবার প্রথমে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করে বলেছিলেন " শুধু কোঠা নয় গোটা দেশটাই সংস্কার করা প্রয়োজন " কথাটির মর্ম বুঝতে হবে।
তাছাড়া আজীবন সরকার নয় , প্রয়োজনে শুধু দেশ অস্থিতিশীল থাকা অবস্থায় দেশের মানুষকে সঠিক নির্দেশনা দিতে এবং দেশকে স্থিতিশীল হওয়া অবধি এমন একজন অভিভাবক আমাদের একান্তই প্রয়োজন। যাতে মানুষ সময় হাতে পায়, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের। আর আল্লাহ চাইলে তিনিই দেশ চালাবেন ।
"তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন"
২. তিনি তো ইসলামীক স্কলার তাহলে আমাদের আন্দোলনে হিন্দু ভাইরাও অংশ নিয়েছে তাদের প্রতি অবিচার???
উঃ অবিচার শুধু প্রশ্নেই। এখানে হিন্দু মুসলিম বিভেদ নাই। সবাই শান্তির জন্য লড়ছে। তাছাড়া ইসলাম অন্য ধর্মালম্বীদের সাথে মারপিট করে না, জুলুম করেনা, ইসলাম হলো সহানুভূতির ধর্ম । ইসলাম শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের সমস্ত মানুষের মঙ্গলের জন্য যদি তারা বুঝতো।
বর্তমানে দেশে আগে একজন নেতা প্রয়োজন্। এমন নেতা যার সম্পর্কে মানুষের পূর্ব হতেই আস্থা রয়েছে। যিনি আছেন মানুষের ভালোবাসায়। তাছাড়া আল্লাহর কালাম সবজায়গাতেই চলবে দেশ চালানোতে তার ব্যতিক্রম নয়। মনে রাখবেন আজকে যে আন্দোলন করছেন তার বিজয় একমাত্র আল্লাহই দান করেছেন । সেই আল্লাহর দেওয়া বিজয় হাতে পেয়ে তাকেই ভুলে যাওয়া মূর্খের কাজ নয় কি? আল্লাহর দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী দেশ প্রতিষ্ঠা করার এটাই সঠিক সময়।
তবে সম্মানিত পদে রাখবেন আল্লাহ পাক যাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশে নতুন দিগন্ত দান করেছেন।
সম্মানিত স্থানে রাখবেন, সেই সমস্ত মহান স্যারগনদের যারা নিজেদের বুক পেতে দিয়েছে আমাদের জন্য ।
শহীদদের ব্যপারে বলছেন,
কতই না উত্তম মৃত্যু আল্লাহ তাদেরকে দিয়েছেন। যা প্রত্যেক মুমিনের কাম্য যা প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে থাকে এবং যার পুরষ্কার সয়ং আল্লাহ নিজে দেবেন। আমাদের কাজ তাদেরকে দোয়ায় রাখা। হে যুবকগন তাদের পরিবারের প্রতি সদয় হবেন আর তা যেন ক্ষনিকের জন্য না হয় ।
বাকি রইল বাংলার প্রকৃত বীরছাত্ররা , এরা এমন এক বীর, এমন এক যোদ্ধা, এরা এমন এক মেধা, যারা যুগে যুগে দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে সফলতা বয়ে আনে । তারা নিজেদের কথা চিন্তা করে না চিন্তা করে সমস্ত মাজলুমদের । আল্লাহ পাক বিজয় আমাদেরকেই দান করবেন ইন শা আল্লাহ । আজ বীর ছাত্ররা এ বিজয় যখন নিজ চোখে দেখেছে, যখনি নিজ কানে শুনেছে ঠিক তখনি অন্তরে তারা শীতলতা অনুভব করেছে। যুবক চাইলে কি না করতে পারে...
আল্লাহ পাক যুবক বয়সের ইবাদত এমনি এমনি পছন্দ করেন নাই । আল্লাহ পাক সব জানেন।
দোয়া রইল প্রিয় ছাত্রদের জন্য এবং তাদের পাশে দাড়ানো প্রতিটি ব্যক্তিত্বের জন্য।
আপনাদের মতামত জানাবেন??
আমার প্রস্তাবনায় ভুল হইলে তা মার্জনার চোখে দেখবেন এবং আমার নিকট এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ প্রদান করবেন ।
আমার কথা ঠিক মনে হলে সবার মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে দেবেন।।
যাতে সবাই লড়াই করেছে , তাই সবাই যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে ।
সামান্য কিছু লোক মিলে কমিটি গঠন করে আবারো সরকার গঠন করলে খালাতো ভাইয়ের চেয়ারে ফুফাতো ভাই বসতে পারে । যদিও তাদের সম্পর্কটা অনেক পরে প্রকাশ পেতে পারে। তাই জনগনের মত অনুসারে সরকার গঠন করা হোক ।
গোলামির এক খাচা থেকে বাঙালি আবার যেন অন্য খাচায় প্রবেশ না করে তার প্রতি খেয়াল রেখে আমাদের নজর পরিবর্তন করতেই হবে।
মনে আছে,,,,
ব্রিটিশদের গোলামির শেষ প্রান্তে অবশেষে কানে স্বস্তির আওয়াজ এলো, দেশ স্বাধীন হলো , সত্যি কি স্বাধীনতা পেয়েছিলাম? 'না' পাকিস্তানি আর এক শোষকের গোলামিতে পড়লাম । পাকিস্তানের গোলামির শেষ প্রান্তে আবারো কানে স্বস্তির আওয়াজ এলো, দেশ স্বাধীন হলো। সত্যিই কি স্বাধীনতা পেয়েছিলাম? 'না' আরেক শোষকের জুলুমের শিকার হয়ে গোলামি করতে লাগলাম অবশেষে কানে স্বস্তির আওয়াজ এলো, দেশ স্বাধীন হয়েছে । এবার আর গোলামের পরিচয়ে আমরা বাচতে চাইনা , পড়তে চাইনা কোনো নতুন শোষকের খপ্পরে, আজ সত্যিই গনতন্ত্র মুক্তি পাক স্বৈরাচার নিপাত যাক, আজ দেশের মানুষ চির হাহাকার থেকে চির মুক্তি চায়, মানুষ তার স্বাধীনতা চায়।
মেহেরবানী করে আপনাদের মতামত প্রকাশ করবেন ইন শা আল্লাহ।
(আপনার কাছে যুক্তিযত হলে শেয়ার করে ছড়িয়ে দেবেন)
আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক, আমিন।