09/10/2023
"এমএলএম প্রতারণা"
বনাম
"এমএলএম বিজনেস"
ইদানীং বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম ও সুশীল সমাজের কিছু মন্তব্য দেখে বেশ হতাশ হয়েছি। মনেহলো-
আমরা কি আমাদের সহজাত বিচারবুদ্ধি কখনোই প্রয়োগ করতে শিখবো না?
সকল আর্থিক প্রতারণার মধ্যেই আমরা এমএলএম এর একটা মোড়ক লাগাতে চাই। তাহলে আমাদের বুঝতে হবে এমএলএম একটি শক্তিশালী সিস্টেম যা প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা যদি একটু সচেতন ভাবে এই শক্তিশালী সিস্টেমকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারি তাহলেই এই দেশের লক্ষ লক্ষ বেকারের একটা হিল্লে হয়। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। আসলেই কি "এমএলএম প্রতারণা?" না-কি "এমএলএম এর নামে প্রতারণা?" আসলেই কি ই-কমার্স একটি প্রতারণামূলক সিস্টেম, না-কি একটি স্বার্থান্বেষী মহল ই-কমার্সের সুনামকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করছে? আপনাদের (সুশীল সমাজ/মিডিয়ার) কাছে আমার প্রশ্ন?
ইন্টারন্যাশনাল এমএলএম নীতিমালা থেকে জানতে পারি সকল এমএলএম-ই ই-কমার্সের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু সকল ই-কমার্স এমএলএম এর অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ এমএলএম কোম্পানিগুলো ই-কমার্স পরিচালনার এখতিয়ার রাখে, তবে সকল ই-কমার্স এমএলএম করার এখতিয়ার রাখে না। একটু ব্যাখ্যা দেয়া যাক- একজন এসএসসি পাস স্টুডেন্ট প্রাইমারী পড়ুয়া কাউকে টিচিং দিতে পারে, আবার একজন অনার্স পাস করা স্টুডেন্ট প্রাইমারী, এসএসসি উভয়কেই টিচিং দিতে পারে। এখানে এমএলএম অনার্স পাস এর জায়গায়। ডিজিটাল /এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং / ই-কমার্স নিয়ে বহির্বিশ্বে গবেষণা শুরু ১৯৯৫ সাল থেকে, যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসে ২০১০ সালে। দাপটের সাথে চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। যখন এই সিস্টেম এর সব খাওয়া শেষ, তখন শুধু আটিটা নিয়েই আমরা মহা পরিকল্পনায় ব্যস্ত। অথচ আর কয়েক বছরের (২০৩০এর) মধ্যেই ই-কমার্স তার জৌলুস হারাবে। স্থান করে নিবে "এমএলএম"। যা আমার কথা নয়- বিল গেটস, জন কেলেন্স, রবার্ট কিসোয়াসকি, ফিলিপ কটলার সহ প্রায় সকল বিশেষজ্ঞদের একই মত। তাদের মতে একবিংশ শতাব্দীতে বাজারকে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করবে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং সিস্টেম। তাছাড়া স্ট্যাটিসটিক দেখলেই আপনারা ধারণা করতে পারবেন। যখন বিদেশি এমএলএম কোম্পানি গুলো বাংলাদেশে দাবিয়ে বেড়াবে তখন আমরা স্টাডিতে বসবো, পর্যালোচনা করবো, সুশীল সমাজের আবির্ভাব ঘটবে। বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এমএলএম উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবেন। সরকার বাজেটে এমএলএম নামক এই বিশ্বনন্দিত