19/01/2024
জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিম অবদান
মুসলিম ইতিহাসের পাঠ যারা করেছেন তারা বিচ্ছিন্নভাবে আমাদের সোনালী দিনগুলোর জ্ঞান-বিজ্ঞানের অবদানের কথা উল্লেখ করে থাকেন। যদিও বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আবিষ্কারে মুসলিম জাতির ব্যাপক সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ার কারণে মুসলিম তরুণ-যুবারা এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন।
বিস্তারিতভাবে উল্লেখ না করে কেউ যখন দাবি করে বসেন– আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের ১০০০ বছরের অবদান আছে তখন অনেকেই জানতে চান সেই ১ হাজার বছরের মুসলিমদের বিজ্ঞানের কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে অবদান ছিলো?
যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিমদের অতীত-বর্তমান অবদানের কথা জানেন তারা সম্মিলিতভাবে এই হীনমন্যতা দূর করে ভবিষ্যতকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে সচেষ্ট হবেন বলে আমার বিশ্বাস। এ বিষয়ে তথ্যগত ভুল সংশোধন করে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা জরুরী।
ইসলামী সভ্যতা যে বিশ্বের উন্নতির সর্বক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও আবিষ্কারের জনক, তা এক ঐতিহাসিক সত্য।
রসায়নে মুসলিম অবদান
দেখুন রসায়ন বা কেমিস্ট্রি কাদের হাত দিয়ে আবিষ্কৃত হয়েছে? এই রসায়নের ইতিহাসে যার নাম সর্ব প্রথমে আসবে তিনি আর কেউ নয় তিনি হচ্ছেন– আল জাবির। ছোটখাটো আবিষ্কারের ফিরিস্তি দিতে গেলে তো লেখা অনেক লম্বা হয়ে যাবে, তাই বিশেষ বিশেষ আবিষ্কারের উল্লেখ করে শেষ করতে চাই এই লেখা। প্রস্তর নিক্ষেপ যন্ত্র, বারুদ, বন্দুক, কামান তো মুসলিমরা করেছিলো। যুদ্ধের উন্নত কৌশল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারাই প্রথম আরবি ভাষাতে বই লিখেছিল বিশ্ববাসীর জন্য। সে বইটির নাম ‘আলফুরুসিয়া ওয়াল মানাসিব উল হারাবিয়া’।