24/12/2024
বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী দলকে আগামীতে অনেকগুলা ফ্রন্টে একসাথে লড়তে হবে , বিএনপি শান্তি পাবে না , বিএনপিকে শান্তিতে থাকতে দেয়া হবেনা।
বিএনপি এর থিংক ট্যাংকই নাই । এক এইচটি ইমাম আওয়ামিলীগ যতো নোংরা বুদ্ধি বাতলে দিতে পারতো - বিএনপির ১০০ জনের মাথা থেকেও এমন নোংরা বুদ্ধি বের হবেনা , সাদা কাগজে লিখে রাখেন। আওয়ামিলীগ মতো কালপ্রিট , ফ্যাসিস্ট দলের সাথে লড়তে হলে বিএনপির থিংক ট্যাংক লাগবে , বিশাল অনলাইন এক্টিভিস্ট গ্রুপ লাগবে , মিডিয়া সেল লাগবে ।
বর্তমান মিডিয়া সেল যথেষ্ট দূর্বল। তারা কি করে জানিনা, বুঝিনা। শহীদ জিয়াউর রহমান কে নিয়ে , মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার অবদান নিয়ে একটা ধারাবাহিক ডকুমেন্টারীই তৈরি করতে পারলো না মিডিয়া উইং। বিএনপির মিনিমাম ২০ টা স্ট্রং সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে ।
বিএনপি আবেগী দল , থাবার বদলা থাবা দিতে পারেনা, ইটের বদলা পাটকেল দিয়ে নিতে পারেনা। হার্ড লাইনে যেতে পারেনা প্রতিপক্ষের উপর। ১৮ বছরের প্রতিটি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে জুলুমের বিচার বিএনপিকে করতে হবে। মার্সি নামক শব্দটাকেই বিলুপ্ত করে দিতে হবে।
আওয়ামী হায়নারা যতোই কান্না করুক, বিএনপি শুধু বলবে - " স্যরি, নো মার্সি "
বিএনপির ভারত ঘেঁষা বাম উইংকে দূর্বল করে পঙ্গু করে দিতে হবে , তৃণমূলের সাথে যতো গাদ্দারী , টাকা পয়সা খেয়ে পদপদবী প্রদান, হাসিনা আর র এর সাথে আঁতাত - সব কিছুর কলকাঠি নেড়েছে এবং নাড়ছে এই বাম উইং। এদেরকে পক্ষাঘাতগ্রস্হ বানিয়ে নিয়ে Ishraque Hossain - ইশরাক হোসেন এর মতো নেতৃত্বকে মূল্যায়িত করতে হবে, যারা প্রয়োজনে নিজে মরে যাবে তাও কর্মীদের রক্তের সাথে গাদ্দারী করবেনা।
জামাত বিএনপির দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু হবার পরও তারা এখন প্রধান বিরোধী দল হবার স্বপ্নে বিভোর। এজন্য স্পেসিফিক বিএনপি কেন্দ্রিক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে তারা ফেসবুক সহ তাদের পরিচালিত মিডিয়াগুলাতে । অথচ জামাত ভুলে যাচ্ছে - তাদের নেতাকর্মীদের রক্তের কথা, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সহ হাজার নেতাকর্মী মার্ডারের কথা ! ভোটের হিসাবে আম্লীগ সমর্থকরা কেনোদিনও তাদের ভোট দেবেনা। তাদের মূল ভোট ১৫ থেকে ২০% । জোট বদ্ধ না হলে আগামী ২০ বছরেও তারা ক্ষমতায় আসবে না। এটাও আগাম বলে দিলাম।
আর আওয়ামিলীগ যদি নির্বাচলে আসে - হিসাব হবে আরও জটিল, জামাতের সাথে আওয়ামিলীগ সংঘর্ষ হবে অবধারিত। এই সংঘর্ষ জামাতকে ট্যাকেল দিতে হবে একাকী , যদি তারা বিএনপির সাথে কৌশলগত সম্পর্কটুকু মেনটেইন না করে।
বিএনপির তৃণমূলে বাম উইং তাদের পছন্দের নেতৃত্ব বসাচ্ছে, ডেডিকেডেট নেতৃত্ব বাদ পড়ছে। এই বাম উইং এর নির্দেশনাতেই আওয়ামিলীগ তোষণ চলমান। এতে করে দলের ভেতর বিশ্বাসহীনতা বাড়ছে বৈ কমছে না।
নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও আওয়ামিলীগ এবং র যৌথ প্রযোজনায় গুপ্ত হামলা, বাসে ট্রেনে আগ্নি সংযোগ , জনগণকে গুম খুন সহ সব কর্মকান্ড চলবে , Tarique Rahman এর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই হবে আওয়ামিলীগ এবং ভারতের মূল টার্গেট । একই সাথে শুরু হবে জঙ্গী হামলা, বোমা হামলা - বহির্বিশ্বকে এটাই প্রমাণ করতে চাইবে মুনাফিক আম্লীগ , যে বিএনপির আমলেই মৌলবাদ মাথা চাড়া দেয়। একই সাথে ভারত আরও এক্টিভেট হবে - যে কোনো মূল্যে তারেক রহমানকে গুপ্ত হত্যার।
দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র জামাতও ব্যাকস্টেব করে এক্টিভ থাকবে - আওয়ামিলীগ সাথে চিরবৈরিতা ভুলে বিএনপির বিপক্ষে প্রচারণার।
এটাই হবে বাস্তবতা।
শাহবাগীরা আবারও লম্ফ ঝম্ফ শুরু করবে , গাঁজাখোর আইনস্টাইম, কাল মার্কস আর লেলিনের দল + শহবাগী বড়লাল লালটিপ আর হাতাকাটা ব্লাউজ পড়া চেতনাজীবীরা ইস্যুর পর ইস্যু তৈরি করবে। বিএনপিকে মারাত্মক স্ট্রংলি এসব বুলশিটদের দমন করতে হবে, একদম বোল্ডলি।
সময়, ৭১ , ডিবিসি সহ যতো মিডিয়া ছিলো ফ্যাসিস্ট পন্থী সবগুলাকে কৈফিয়তের আওতায় আনতে হবে , অথবা জুলাই গণহত্যার সহযোগী হবার কারণে প্রচারণা বন্ধ করে দিতে হবে চিরতরে।
মনিপুর খ্রিস্টান স্টেট হয়ে স্বাধীনতা পেলে বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়বে, ওদিকে আরাকানও স্বাধীনতা পেলে বাংলাদেশ ভৌগলিক ভাবে এম্বুশড হবে , ফেনী এবং চিকেন নেক অঞ্চলে একের পর এক ঝামেলা পাকাতে থাকবে ভারত। একই সাথে ভারত এক্টিভ থাকবে সীমান্ত হত্যা সহ বাংলাদেশ বিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপ তৈরিতে।
সামনের সময় বহু ক্যালকুলেটিভ,
সামনের পথ বহু কঠিন,
বিএনপির নরম রাজনীতি করার দিন ফুরিয়ে আসছে ,
হার্ড হও বিএনপি ,
থিংক ট্যাংক বানাও, নিজস্ব মিডিয়া উইং স্ট্রং করো,
সবার উপরে - দেশবিরোধী ভাটতপন্থী বাম উইং খেদাও।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ