Asif Mahmud Ababil ar Abbu

Asif Mahmud Ababil ar Abbu Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Asif Mahmud Ababil ar Abbu, Digital creator, Daulatpur, Basa Kushtia.

❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️

চিরন্তন সত্য এটা জেনেও যে দুনিয়া আমাদের শেষ গন্তব্য নয়, তবুও আমরা পৃথিবীতে অযথা ঠাঁই খুজতে ব্যস্ত।

😭মিথ্যে হাসি😭

🥰আসিফ মাহমুদ আবাবিল এর আব্বু 🥰
🥰হুমায়রা পাখি আবাবিল এর আম্মু 🥰

মরণ তুমি এসো হেটে যাবো আমি মায়ার বাঁধন কেটে,

সাত প্রকার ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিবেন না১।যে ছেলে অশ্লিল ভাষা ব্যাবহার করে গালি গালাজ করে।এবং উগ্র মেজাজি, তার সাথে মেয়ে...
14/12/2024

সাত প্রকার ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিবেন না

১।যে ছেলে অশ্লিল ভাষা ব্যাবহার করে গালি গালাজ করে।এবং উগ্র মেজাজি, তার সাথে মেয়ে বিয়ে দেবেন না।কারণ এটা জারস সন্তানের আলামত।

২। যেই ছেলে দায়িত্ব পালণে অবহেলা করে।
যে দায়িত্ব পালণে অবহেলা করে তার ঘরে মেয়েরা
কখনো শান্তি পায়না।এটা পরিক্ষিত কথা।
দায়িত্ব বোধহীন ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দেবেন না।

৩। যেই ছেলে নেশা করে তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিবেন না।আজকে সমাজে দেখা যায় মেয়েরা স্মার্ট সিগারেট খোর ছেলে পছন্দ করে।
আবার ছেলের সিগারেটের আগুন গালফ্রেন্ড ধরিয়ে
দেয়।আহা কি লাইলি মজনুর প্রেম।স্মার্ট নেশা খোর ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিবেন না।নয়তো সারাজীবন সংসারে অশান্তি হবে

৪। যে ছেলে জুয়া খেলে তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিবেন না।নয়তো অন্যের কাছে আপনার মেয়েকে
বন্ধক রাইখা জুয়া খেলবে।
সব জুয়া খোর এক নয়,বরং সংসারে বরকত নষ্ট
হয়ে যাবে।

৫। যে ছেলে হালাল হারাম বেচে চলে না। তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিবেন না।মেয়ের বাবা আজকে চাকরি জিবি টাকা ওয়ালা ছেলের সাথে বিয়ে দেয়।
একবারো যাচাই করেনা।ছেলেটা হালাল হারাম মেনে চলে কিনা।এদের পরিবারে যে বাচ্চা গুলো আসে বেশির ভাগ প্রতি বন্ধি হয়।
কারণ মা বাবার কিছু পাপ সন্তানের বহন করতে হয়
যদিও বাচ্চাটি নিশ্পাপ

৬। যে ছেলে নবীর সুন্নাত মানে না। তার সাথে মেয়ে বিয়ে দেবেন না।কারণ ওই ছেলে আপনার মেয়েকে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী চালাতে পারবে না।

৭। যেই ছেলেরা অহেতুক ব্যায় করে বেশি তার সাথে মেয়ে বিয়ে দেবেন না।কারণ এদের কারণে অভাব দূর হয়না।জীবনে উন্নতির মুখ দেখতে পায়না।

মেয়েকে বিয়ে দেবার আগে দেখুন ছেলে মানুষ
নাকি জানোয়ার।কারণ একটা মেয়ে না খেয়ে মারা যায় না।মারা যায় তো জানোয়ার গুলোর অত্যাচারে।তাই সরকারি চাকরি প্রবাসী খোজার আগে তার দ্বীনদারিতার খবর নিন...!!!!
মা বাবার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সারা জীবন মেয়েকে
কষ্টের বুঝা বহন করতে হয়।
সাবধান মা বাবা কিয়ামতের দিন কিন্তু আসামির কাট গড়ায় দাড় হতে হবে।

বর্তমান সমাজে মুসলিমরা যেসব রীতি মেনে বিয়ে করেনঃ১। অ্যাংগেজমেন্টের আংটি পড়ানো = খ্রিস্টান রীতি২। গায়েহলুদ = হিন্দু রীতি৩...
14/12/2024

বর্তমান সমাজে মুসলিমরা যেসব রীতি মেনে বিয়ে করেনঃ

১। অ্যাংগেজমেন্টের আংটি পড়ানো = খ্রিস্টান রীতি
২। গায়েহলুদ = হিন্দু রীতি
৩। যৌতুক = হারাম। মানুষ বলে সামাজিক রীতি
৪। ঝাকজমক লাইটিং = লোক দেখানো রীতি

৫। ২০০-৩০০ লোক নিয়ে বরযাত্রা = শ্বশুরবাড়ির উপর জুলুম রীতি
৬। বিশাল অংকের মোহরানা ধরা হয় কিন্তু অন্তরে পরিশোধের নিয়ত নাই = মুনাফিকি রীতি।

আপনার বিবেকের কাছে প্রশ্ন____

আপনার বিয়ের গোসল অন্যদের দিয়ে করাতে হবে কেন?-
আপনি কী মরেছেন?

গোসলের পর মেয়েকে কোলে করে আনতে হবে কেন?-
তার কি পা নেই?'

বর মুখে রুমাল দিবে কেন?
লজ্জা বেশি?
পুরুষ হয়ে এতই লজ্জা !
আপনাকে বিয়ে করতে কে বলেছে?

বরকে হাত ধোয়াতে হবে কেন?
সে নিজে হাত ধোয়ে কখনো খায়নি??
নাকি তার হাতে প্যারালাইজড!!

মানুষকে দাওয়াত করে টাকা নেন কেন? অভাব বেশি?
তাহলে এই আয়োজনটা করতে কে বলেছে আপনাকে?

ছেলেকে এই দিতে হবে, সেই দিতে হবে কেন?
আরে তোমার ছেলে বউ পালতে পারবে না, বিয়ে করাইতাছেন
কেন?- নাকি ছেলে বিক্রি করছেন?
বিক্রি করা ছেলেতো বউয়ের কথাই শুনবে।.

মেয়েকে বিয়ের দিন এতো মেকাপ করাতে হবে কেন?-
মেয়ের মুখের উপর কী ঠাডা পরছে নাকি?

নতুন বউকে পর পুরুষ কোলে নিবে কেন ?-
তাঁর পায়ে কী গেঁজ আছে যে খোঁড়ায় হাটে !'

দুলা ভাইকে শালীদের সাথে ডলাডলি করতে হবে কেন?
নিজের বউ থাকতে শালীর সাথে দুষ্টামী কেন?
নাকি চরিত্রের দোষ আছে!!!!

দুলা ভাইকে গেইট থেকে যুবতি মেয়েরা রিসিভ করবে কেন?-
বাড়ির ছেলেরা কী হিজড়া হয়ে গেছে?
নতুন বউয়ের রুম সাজাতে ছেলেরা কেন?

মেয়েরা কী হিজড়া হয়ে গেছে?'
অনাচার গুলো আর কারো নয়___আমাদেরই তৈরী!
আমরা এর নাম দিয়েছি সামাজিক রীতি!

তাই আসুন আমরা সবাই মিলে এসব শরিয়াত বিরোধী ও ফালতু সামাজিক রীতি নীতি সমাজ থেকে দূর করার প্রতিজ্ঞা করি_____ইনশা আল্লাহ্‌.....

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এসব কুপ্রথা পরিহার করার তৌফিক দান করুন।।

কবিতা,,,, হুজুরনীর অপেক্ষায়হুজুর হুজুরনী স্ত্রী  অনেক দামীআমিও যেন পাই আল্লাহ তুমি কবুল করদ্বীন দার হুজুরনি চাই আসে পাশ...
14/12/2024

কবিতা,,,,

হুজুরনীর অপেক্ষায়
হুজুর

হুজুরনী স্ত্রী অনেক দামী
আমিও যেন পাই
আল্লাহ তুমি কবুল কর
দ্বীন দার হুজুরনি চাই

আসে পাশে ঘরুক যত
বেহায়া সব মেয়ে
মাথা তুলে তাকায় নাতো
ওদের দিকে চেয়ে

হুজুরনী আমার অনেক প্রিয়
মত পর্দা করে বেশি
সন্ত্রাসী বা আড্ডা বাজির
ধারে কাছেও যাইনা

আযান হলে যাই ছুটে যাই
আল্লাহর পানে
অনেক সুখে দিন কেটে যায়
আল্লাহর গুন গানে

হুজুরেরনীর গেয়ানী গুনী
শান্ত ভদ্র হয়
স্বাম্মীর হক আদায় করে
গুরু জনে কয়

নিত্য নতুন স্বপ্ন দেখি
এমন হুজুরনী নিয়ে
তাই তো আজি ঠিক করেছি
হুজুরনী করবো বিয়ে

আমার প্রিয় হুজুরনী🥰                                   𝐀𝐬𝐬𝐚𝐥𝐚𝐦𝐮 𝐀𝐥𝐚𝐢𝐤𝐮𝐦তোমাকে প্রয়োজন  আমার বাকি অর্ধেক দ্বীন পূরণ করার ...
14/12/2024

আমার প্রিয় হুজুরনী🥰

𝐀𝐬𝐬𝐚𝐥𝐚𝐦𝐮 𝐀𝐥𝐚𝐢𝐤𝐮𝐦

তোমাকে প্রয়োজন
আমার বাকি অর্ধেক দ্বীন পূরণ করার জন্য।☺️

তোমাকে প্রয়োজন,
আমার চরিত্র হিফাজত করার জন্য।🥰

তোমাকে প্রয়োজন,
আমার দৃষ্টির হিফাজত করার জন্য।🙂

তোমাকে প্রয়োজন,
একসাথে জান্নাতে যাওয়ার জন্য।😘

তোমাকে প্রয়োজন,
আমার চক্ষু শীতল করার জন্য।🤗
তোমাকে প্রয়োজন,
আমাকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য।

তোমাকে প্রয়োজন,
আমার অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য।😌

তোমাকে প্রয়োজন,
আমার একাকীত্ব দূর করার জন্য।👩‍❤️‍💋‍👨

তোমাকে প্রয়োজন,
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি মুহূর্তে।😇

তোমার আমার ভালোবাসা🥰
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ,, 🥰

-অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি উপকার আপনি কি জানতে চান-?-এই সমাজ তোমাকে ভালকিছু দিতে চায়নাবরং তোমাকে পাপের সাগরে ডুবাতে চায়এইভা...
14/12/2024

-অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি উপকার
আপনি কি জানতে চান-?

-এই সমাজ তোমাকে ভালকিছু দিতে চায়না
বরং তোমাকে পাপের সাগরে ডুবাতে চায়
এইভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের চরিত্র
পারছিনা যৌবন কে পবিত্র রাখতে-😓

-কারণ হচ্ছে যৌবন এক ধরণের ক্ষুদা।
ক্ষুদা লাগলে যেমন খাবারের দরকার হয়
ঠিক তেমন যৌবনের ক্ষুদা লাগলে বউ দরকার হয়-

-কিন্তু সমাজ বলছে আগে প্রতিষ্ঠিত হও।
তারপর বিয়ের পিড়িতে বসো-😾

আল্লাহ বলেন :

-বিয়ে করো,তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি
আল্লাহর......!!!!!!অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। আল্লাহ বলেন ধনী হতে চাও বিয়ে করো-🥰

আবার রাসুল (সা.) বলেছেন,

তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তায়ালার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়।
১। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদকারী-🖤

২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী
সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়-💚

৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়-💛

হাদিসটি পাবেন

🙂- অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু
সময় পাওয়া যায়।কেন এতো বিয়ে করতে দেরি
করছেন।আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন-!

-আল্লাহ তোমাকে বড়লোক বানিয়ে দেবেন তার
ওয়াদা দিয়েছেন-😊🙆

-শুধু খামাখা কেন দেরি করছেন, বিয়ে করুণ......
যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল
অফার টাকে গ্রহণ করুণ-🙈
বিয়ে করুণ-🙆

বিয়ে করলে যে উপকারিতা পাবেন তা হলো-!

১। লজ্জা স্থানের হেফাজত হয়-!

২। বিবাহ চক্ষু নিচু করে-!

৩। তাড়াতাড়ি ধনি হওয়া যায়-!

৪। ইমান পরিপূর্ণ হয়-!

৫। অসুস্থতা দূর হয়-!

৬। ইবাদতে মজা পাওয়া যায়-!

৭। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়-!

৮। মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
এমন তৃপ্তি যেটা শুধু নিজের বউয়ের কাছে পাবেন
যেনা করতে গিয়েও তা পাবেন না-!🙃

৯। মেজাজ ঠান্ডা থাকে।মাথা কখনো হট হবেনা-!

১০। যৌবনের ক্ষুদা নিবারণ হয়-!

-আরো অনেক উপকারিতা আছে...............!

খাবার না পেলে যখন ক্ষুদার যন্ত

"মাদ্রাসা মেয়েদের    বিয়ে করার কয়েকটি ফায়দা,, ১।বেশির ভাগ খাস পদার্শীল তাই আপনি তার জন্য গুনাহগার হবে না। ইনশাআল্লাহ,, ২...
14/12/2024

"মাদ্রাসা মেয়েদের
বিয়ে করার কয়েকটি ফায়দা,,

১।বেশির ভাগ খাস পদার্শীল তাই আপনি তার জন্য গুনাহগার হবে না। ইনশাআল্লাহ,,

২।সহীহ করে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে
অনেকে আবার আরবীতে হাদিস এবং তরজমা ও বুঝে

৩।আপনার সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় সহীহ কোরআনের আওয়াজ তার কানে যাবে।
ইনশাআল্লাহ আশা করা যায়।

৪।(অল্প তুষ্ট) ছোট বেলা থেকে মাদ্রাসার নরমাল অভ্যস্ত হওয়ার তার খাবারের জন্য খুব অথ খরচ করতে হয় না।সে অল্প তুষ্ট হয়ে থাকে।

৫।(বিলাসিতা মুক্ত) ছোট বেলা থেকে মাটিতে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত হওয়ার দামী আসবাবের নেশাটা খুব বেশি থাকে না।

৬।(সম্পদের হেফাজত) ছোট বেলা থেকে হিসাব করে চলতে হয় তাদের কারণ ছেলেদের যা অথ পরিবার দেয় তা মেয়েদের দেয়না। আর মাদ্রাসা মেয়েদের ক্ষেএে সেটা আরো অল্প। তখন তাদের ইচ্ছা খরচ ও করতে পারে না।তাই তারা আপনার সম্পদের ব্যপারে সচেতন হবে। ইনশাআল্লাহ।

৭।(সন্তানের জন্য রকমত)আপনার সন্তান যখন কথা বলতে শিখবে তখন সে তার মায়ের শিক্ষাটা পাবে।

৮।(অনুগত্য) তারা ১০/১২ বছর উস্তাদের অধিনে থাকে উস্তাদকে মা বাবার মত সম্মান করে। তাদের খেদমত নিজের ধন্য মনে করে। অনেক সময় তাদের ভয়ে নিজের ইচ্ছার বাহিরে চলে। আশা করা যায় আপনার অধিনে আসলে সেই সম্মানটুকু করবে।

৯।(আবব্ধ থাকা) চার দেওয়ালে আবব্ধ থাকতে জেনারেল মেয়ে চাইবেনা এটাই সাভাবিক।কারণ তারা সপিংয়ে ও মেলার পরিবারের সাথে গিয়ে থাকে। মাদ্রাসা মেয়েরা চার দেওয়ালে আবব্ধ থাকে এবং সেটাকেই শান্তি অনুভব করে।

বিঃদ্রঃ কলেজের মেয়েরা ভাল না,পদা করে না দীন মানে না, এগুলো বলা হইনি বলা হয়েছে মাদ্রাসার মেয়েদের বিয়ে করার ফায়দার কথা।..........

পারিবারিক জীবনের অশান্তি বর্তমান সমাজের একটা অত্যন্ত বড় সমস্যা, অধিকাংশ পরিবারেই এটা বিরাজমান। এর কারণ গুলো কি কি চলুন দ...
14/12/2024

পারিবারিক জীবনের অশান্তি বর্তমান সমাজের একটা অত্যন্ত বড় সমস্যা, অধিকাংশ পরিবারেই এটা বিরাজমান। এর কারণ গুলো কি কি চলুন দেখি!
প্রথমত যে কারণে দুজনের মাঝে অশান্তি দেখে দেগ সেটা হলো কম্প্রোমাইজ না করা, বর্তমান মেয়েরা স্বামীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে নারাজ অতচ স্বামীকে আল্লাহ স্ত্রী তথা পরিবারের সবার কর্তা নিযুক্ত করেছেন। এখন আপনি যদি আল্লাহ এই বিধান না মানেন যদি স্বামীর মুখে মুখে তর্ক করেন তাহলে শান্তি কোথা থেকে আসবে?
তারপর ছেলেরাও স্ত্রীকে প্রাপ্য স্নেহ ভালোবাসাটুকু দেয়না, স্ত্রী চাকরানি না ঘরের রানী, সুতরাং সে আপনার একটু প্রসংশা পাওয়ার দাবিদার, ছোটখাটো ভুলগুলো ভালবাসা দিয়ে শুধরে দিতে শিখুন তাহলে দেখবেন সেও সবটুকু উজাড় করে দেবে আপনাকে!

এরপর যেটা অন্যতম প্রধান সমস্যা সেটা হচ্ছে সময় না দেওয়া, অফিস থেকে সারাদিন পরে বাসায় ফিরে ঘুমানোর আগের সময়টা মোবাইল না টিপে স্ত্রীর সাথে একটু গল্পগুজব করুন এতে দূরত্ব কমবে, স্ত্রীর জন্যও একই কথা। দুইজন নারী একত্রে হলে ত বাজার জমিয়ে ফেলেন তাহলে স্বামীর সাথে একটু গল্প করতে এতো কার্পন্য কেন?
এরকম ছোট ছোট দুরত্বের ফলে একটা সময় পরে সম্পর্কটা পুরোনো হয়ে যায় পানসে লাগে, তখন নিয়ম করে একটু সংঘম করা ছাড়া আর কিছু করার মতো খুজেই পান না ফলে আস্তে আস্তে অশান্তি বাড়তে থাকে।
শুনেন দেহের চাহিদার চেয়ে মনের চাহিদা বেশি ভয়ংকর। দেহের চাহিদা কন্ট্রোল করা যায় কিন্তু মনের যে অশান্তি একাকিত্ব থেকে আসে তা কন্ট্রোল করা যায় না। তাই শুধু নিয়ম করে দৈহিক সংঘম করাটাকেই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক না ভেবে নিয়ম করে দুজন দুজনার মনের সাথে সংঘম করতে শুরু করুন, দুজন দুজনার সাথে নিরবে গল্প করুন দুজনের মন খারাপ গুলো বুঝতে চেস্টা করুন, দুজন দুজনার ছোটখাটো ব্যাপারেও প্রসংশা করতে শিখুন। তাহলে সম্পর্কটা পানসে লাগেবেনা, দূরত্ব বাড়বেনা বরং কাছে আসার আগ্রহ বাড়বে!

দাম্পত্য জীবনের ১০টি ভুলের কারণে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদঃমানুষের জীবনে দাম্পত্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাম্পত্য জীবন সুখের ...
14/12/2024

দাম্পত্য জীবনের ১০টি ভুলের কারণে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদঃ

মানুষের জীবনে দাম্পত্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাম্পত্য জীবন সুখের না হলে বা বুঝার জায়গাতে মিল না হলে জীবন হয়ে উঠতে পারে বিষাদময়। দাম্পত্য জীবনে ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে প্রবাহমান জীবনের সঠিক রাস্তা হতে ছিটকে পড়তে পারি আমরা । অথচ একটু সচেতন হলে এড়ানো যায় এসব সমস্যা।

জগত সংসারে নারী ও পুরুষ একে অপরের সাথে সৃষ্টিলগ্ন থেকে জড়িত। সৃষ্টিকর্তা একে অন্যকে পরিপূরক করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। যার কারণে নারী-পুরুষের বৈবাহিক বন্ধন একটি স্বর্গীয়, সামাজিক এবং শাশ্বত বিষয় হিসেবে বিবেচ্য হয়। পুরো জীবনের একটি সিদ্ধান্ত নিতে পরিবার ও ভবিষ্যৎ দম্পতি অনেক কিছু যাচাই-বাছাই করতে থাকেন।

তারপর ব্যাটে-বলে মিলে গেলে দু’জনের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সারাজীবন একে অন্যের হয়ে যান। কিন্তু সুখের আশায় বুক বাঁধলেও সেই বুকের পাঁজর সবার ক্ষেত্রে অক্ষত থাকে না। সংসার জীবন কারো কারো কাছে স্বর্গীয় আশীর্বাদ না হয়ে নারকীয় অভিশাপ হয়ে যায়। দুজনের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় না পারতে পেরে একটা সময় আলাদা হবার সিদ্ধান্তও চলে আসে।

পৃথিবীর কোন সুস্থ সংস্কৃতি বিবাহ বিচ্ছেদকে সমর্থন করে না। কিন্তু মনের সমর্থন যেন উর্ব্ধে চলে যায় সবকিছুর। পশ্চিমা বিশ্বে বিবাহ বিচ্ছেদ একটি শঙ্কার নাম সেতো অনেক আগের কথা। আর আমাদের দেশে সম্প্রতি হয়ে উঠছে।

ডয়চে ভেলের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় –

“ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দু’টি এলাকায় ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তালাক কার্যকর হয় ২৩০৯টি, যার মধ্যে ১৬৯২টি স্ত্রী কর্তৃক আর স্বামী কর্তৃক ৯২৫টি৷ ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত তালাকের সংখ্যা ৩৫৮৯টি৷ এর মধ্যে ২৩৮১টি স্ত্রী কর্তৃক আর স্বামী কর্তৃক হয়েছে ১২০৮টি৷ এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, তালাক দেয় পুরুষ ৩০ শতাংশ, আর নারী ৭০ শতাংশ৷”

অন্যদিকে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় বিবিএসে একটি রিপোর্টের বরাত দিয়ে বলা হয় –

“ঢাকায় প্রতি ঘন্টায় গড়ে একটি তালাকের ঘটনা ঘটছে”।

সংবাদমাধ্যমগুলোর এমন প্রতিবেদনের বিভিন্ন কেস স্টাডিতে দেখা যায় কোন একটি নির্দিষ্ট পক্ষ সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। বরং দুজনই বা কখনো কখনো সন্তানের উপরও এর প্রভাব পড়ছে।

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, “এত তালাকের ঘটনা কেন?” তালাক কিংবা বিচ্ছেদের ঘটনার পেছনে মূলত দায়ী আমাদের বৈবাহিক জীবনের কিছু ভুল। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমন ১০টি ভুলের কথা।

১) নেতিবাচক মনোভাবঃ

পৃথিবীতে কেউ সাধু নয়। ভালো-মন্দের মিশ্রণে মানুষ গড়ে উঠে। সঙ্গীর ভালো দিকগুলো আপনাকে অবিষ্কার করতে হবে। শুধু আবিষ্কার নয়, সেগুলো আপনাকে প্রশংসা করতে হবে। মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে এবং আপনার সঙ্গীকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে তাঁর সেই ভালো দিকগুলোর জন্যে আপনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। আগেই নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করা হতে বিরত থাকুন ।

এবার আসি খারাপ দিকের কথায়। যে মানুষের মাঝে একটিমাত্রও ভালো দিক আছে, তিনি ভালোর গুরুত্ব একটু হলেও বুঝবেন। নেতিবাচক দিকগুলোর জন্যে তাকে দোষারোপ না করে তাকে ভালো হবার জন্যে সাপোর্ট দিন।কম্প্রোমাইজ করে একসাথে পথ চলা হবে সবচেয়ে ভালো সমাধান।

২) সঙ্গীর কথা না শোনাঃ

ডয়চে ভেলের রিপোর্টে কয়েকজন নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈবাহিক জীবন তাদের কাছে কারাগারের মত মনে হওয়াতে মুক্ত জীবন তাদের কাম্য ছিলো। ঠিক একই বিষয়টি পুরুষের ক্ষেত্রেও। একবার ভাবুন, আপনি সারাজীবন একটা মানুষের সাথে কাটাবেন অথচ সে বক্তব্য প্রকাশে স্বাধীনতা পাচ্ছে না। কতটা অমানবিক!

কয়েকজন নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈবাহিক জীবন তাদের কাছে কারাগারের মত মনে হওয়াতে মুক্ত জীবন তাদের কাম্য ছিলো
এতে করে তার মনে হতেই পারে – আপনি প্রতিনিয়ত তাকে অবজ্ঞা করছেন। মনে হতে পারে, আপনি তাকে যথাযথ উপায়ে বুঝতে পারছেন না। আপনি যদি কাউকে বুঝতে চান তাহলে আপনার প্রথম কাজ হবে তাকে শোনা। আর আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষটিকে বুঝতেই না পারেন তাহলে হয়ত আপনি নিজেও পূর্ণ হতে পারবেন না।

৩) শারীরিক ঘনিষ্ঠতার অভাবঃ

একটা বন্ধনে আবদ্ধ হবার পরে আপনাদের খুব ভালো কিছু সময় কাটানো প্রয়োজন। এই ভালো সময়গুলো একটা ভালো ভিত গড়ে দিতে পারে আপনাদের মাঝে। সংকোচ কাটানোর একটা উপায় হিসেবেও এটিকে ধরা যেতে পারে।

আর যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি সংকোচ কাটাতে পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত সঙ্গীর সাথে সহজ হওয়া আপনার জন্যে দুরূহ হয়ে পড়বে। যাতে অন্য মানুষটি এটাও ভাবতে পারে, আপনি তাকে মানসিক দিক থেকে এখনো স্বীকৃতি দেন নি।

৪) অসততাঃ

কমিটমেন্টের সবচেয়ে বড় জায়গাটি হলো সততা। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সাথে সৎ থাকতে পারেন তাহলে দুজনের মধ্যে খুব ভালো একটা বোঝা-পড়া গড়ে উঠবে।তবে অবশ্যই এই বিষয়টি দুজনের মধ্যে থেকেই আসতে হবে।

এতে করে আপনার সঙ্গী নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করবে আপনার মত একজনকে পেয়ে। সুতরাং আপনি তার পাশে থাকলে আপনা থেকেই তার মধ্যে একটা তৃপ্তি চলে আসবে। এক ছাদের নিচে থাকার জন্যে আত্মতৃপ্তিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

৫) নিজেকে সঙ্গীর সব মনে করাঃ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, “বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়”। প্রায়োরিটি নিয়ে আমাদের সবার খুব ভালো রকমের একটা সমস্যা আছে। যেমনঃ স্বামী যখন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে দুপুরের খাবারটা সারতে পারেননি, তখন স্ত্রী ক্ষেপে আগুন। কেন? কারণ স্বামী কেন দুপুরের খাবারের ফাঁকে কথা বলল না।

আপনার সঙ্গীকে জানিয়ে দিন, আপনি এখনো তাকে ভালোবাসেন, আপনাদের প্রেম এখনো পুরোনো হয়ে যায়নি
স্ত্রী তখন ভেবে নিতে আরম্ভ করে তিনি তার স্থানটি হারিয়ে ফেলছেন। কিন্তু বস্তুত, পুরো পৃথিবীতে আপনি ছাড়াও তার একটা দুনিয়া আছে। সেখানে তাকে ইনভলভ থাকতে হয়। তাকে সে সময়টুকু ছেড়ে দিন, বোঝাপড়া আরো ভালো হয়ে উঠবে।

৬) খোটা দেওয়াঃ

দাম্পত্য জীবনে এটা হয়ত সবচেয়ে বেশি ঘটে। যদিও এসব আমাদের সংস্কৃতিতে এমনভাবে চলে এসেছে যে তাতে তেমন কোন প্রভাব পড়ে না। কিন্তু আপনার সঙ্গী কিন্তু এসব নিয়ে একটা সময় বাধ্য হয়ে ভাবতে শুরু করে। আর আপনার কাছ থেকে আড়াল করে কষ্টও পায়।

এগুলো দিনে দিনে জমতে জমতে আপনি তার কাছে চরিত্রের একটা খারাপ দিক প্রকাশ করে ফেলেন। স্বর্গীয় ব্যাপারটা তখন চলে যেতে থাকে। কারণ আপনাকে কেউ কষ্ট দিলে আপনি নিজেও ভুলতে পারবেন না। ভুলতে ভুলতে একটা সময় কিছু একটা অবশিষ্ট থেকে যাবে।

দাম্পত্য জীবনে তৈরী হচ্ছে দূরত্ব
৭) আগ্রহ হারিয়ে ফেলাঃ

ডেল কার্নেগীর একটা লেখায় পড়েছিলাম, তিনি বলছেন, অফিস থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় একটা গোলাপ ফুল নিয়ে যাবেন। গোলাপ ফুল নিয়ে যাওয়ার কারণ আহামরি কিছু না। শুধু আপনার সঙ্গীকে একটু জানান দেওয়া আপনি এখনো তাকে ভালোবাসেন, আপনাদের প্রেম এখনো পুরোনো হয়ে যায়নি।

এতে আপনার প্রতি তার আগ্রহ জন্মাবে। একই লেখায় কার্নেগী চল্লিশ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদ নিষ্পত্তি করা জজ জোসেফ সারাফ বরাত দিয়ে বলেন, বৈবাহিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি এসব ছোট ছোট সম্ভাষণ, ছোট ছোট অনুভূতি। কারণ এগুলো ভালো সম্পর্কের চেইন।

৮) ডিভোর্স ভাবনাঃ

সুখ এমন একটি শব্দ যা আপনি রাতারাতি অর্জন করতে পারবেন না। কিন্তু কষ্টকে আপনি রাতারাতি অর্জন করতে পারবেন। একটা সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না তার মানে এই না যে, তা কখনো ভালো যাবে না। দুজন দুজনকে সময় দিন।

আপনি যদি অল্পতেই ডিভোর্সের কথা মাথায় নিয়ে আসেন তাহলে তা আপনার মাথায় বিঁধে যাবে। একটা সময় পান থেকে চুন খসলেই আপনি ডিভোর্স চাইবেন। আপনার এমন আবদার অপর মানুষটিকে সম্পর্কের প্রতি ক্লান্ত করে তুলবে। আপনি যতবার এটি চাইবেন ততবার এই ঘটনার পুরনাবৃত্তি হবে। শেষমেশ বাজে কিছুও ঘটে যেতে পারে।

৯) “ধন্যবাদ” না বলাঃ

খুব ক্লিশেড লাগতে পারে। কিন্তু আপনার একটি ‘ধন্যবাদ’ আপনাকে বড় করে তুলবে। আপনাদের জীবনকে করে তুলবে আরো সহজ আর প্রেমময়। আপনার ভেতর বিন্দুমাত্র ইগো থাকলেও তা ভেঙে যাবে এই একটি শব্দতে।

পাশাপাশি এর কারণে আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার সুখের কারণে সুখী হতে পারবে। সম্পর্কের ভীত আরো মজবুত হয়ে উঠবে।

১০) টাকা-পয়সা ইস্যু হয়ে উঠাঃ

ছোটবেলা আমরা সকলেই একটা সহজ কথা পড়েছি, Money can’t buy happiness. তাহলে ছোটবেলা থেকে পড়ে আসা এই সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথা মানতে বাধা কোথায়। বিচ্ছেদে যাওয়া বেশিরভাগ দম্পতির প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে এটি একটি।

হয়ত অভাব ঘরে ঢুকলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়। কিন্তু এটাও তো বলায় যায়, “যদি হয় সুজন, তেঁতুল পাতায় ন জন”। অর্থনৈতিক সমস্যা হলে পাশাপাশি বসে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সমাধান করুন। বিচ্ছেদ হয়ে গেলে সমস্যার সমাধান হবে– ব্যাপারটি এমন নয়। বরং বাড়তেও পারে।

"বাস্তবে ডিপ্রেশন বলে কিছুই নেই। সবটাই শয়তানের ধোকা। আপনারা যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন, প্রত্যেকেই ইবলিস শয়তান দ্বারা পরিচাল...
14/12/2024

"বাস্তবে ডিপ্রেশন বলে কিছুই নেই।
সবটাই শয়তানের ধোকা। আপনারা যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন, প্রত্যেকেই ইবলিস শয়তান দ্বারা পরিচালিত ।

যারা মহান আল্লাহর রহমত থেকে দুরে সরে যায় , মূলত তারাই ডিপ্রেশনে ভুগে........

খাদিজা(রাঃ) খুব ধনী ঘরের মেয়ে ছিলেন। বিলাসিতার মধ্যেই বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক ।

নবিজীর ইসলাম প্রচারের কারণে অন্যান্য গোত্র যখন কুরাইশদের অবরোধ দিলো, তখন নবিজী আর খাদিজা রাযিঃ এর, গোত্রের শিশুদের আড়াইবছর তীব্র কষ্টে থাকতে হয়েছিলো।

এমনকী খিদের তাড়নায় গাছের পাতা পর্যন্ত খেয়েছিলেন।

বিলাল (রা) ছিলেন হাবশী ক্রীতদাস।
ইসলাম কবুলের অপরাধে তাকে মরুভূমির রোদে ফেলে রাখা হতো, তার গায়ের চর্বি গলে যেতো।

তারপরও তার মুখে লেগে থাকতো প্রশান্তি, রোদের তেজ তাঁর কালিমার তেজের কাছে পরাজিত হতো।

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা তাঁর জীবনে আট বছর জেল খেটেছেন। জেলেই মৃত্যু বরন করেছেন।
অথচ তিনি কী বলেছিলেন, জানেন? বলেছিলেন, দুনিয়াতেও একটা জান্নাত আছে, আমি আমার হৃদয়ে সে জান্নাতের খোঁজ পেয়েছি।

গান শোনা, মুভি দেখা, মোটিভেশনাল বই পড়া বা মানুষের সাথে আড্ডা দিয়েই যদি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যেত, তাহলে গান গাওয়া সংগিত শিল্পি, সিনেমার অভিনেতা, সেলিব্রিটি গন বাস্তব জিবনে ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত নয় কেন.......?

আল্লাহ্ তাআলা, ইসলাম, ইমান আর ডিপ্রেশন এক অন্তরে একসঙ্গে থাকতে পারে না। যদি আপনার মনে বিন্দুমাত্র ডিপ্রেশন থাকে, তার মানে আপনার হৃদয়ে আল্লাহ্ নাই, বরং ওখানে শয়তান বাসা বেঁধেছে।

যারা ডিপ্রেশনে পড়ে বা আত্মহত্যা করে, এরা অজ্ঞেয়বাদী না হয় অবিশ্বাসী। কোনো মুসলিম যদি ডিপ্রেশনের স্বীকার হন, তাহলে আপনার ইমান নিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে।

এবার অনেকেই তেড়ে এসে বলবেন, আমার পরিস্থিতি আপনি বুঝবেন না, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম, মানি প্রবলেম, স্বামী প্রবলেম.....

আরে ভাই থামেন তো!!

কোন পরিস্থিতির গল্প শোনান আপনি? বউ ভালো না? হযরত লূত (আ) এর স্ত্রীও ভালো ছিলো না। হযরত আছিয়া (আ) এর স্বামী ছিলেন কে জানেন? ফেরাউন।
ফেরাউনকে ঈশ্বর না মানার অপরাধে তাঁকে টুকরো করে কেটে গরম তেলের ডোবানো হয়েছিলো।

আরও শুনবেন? চেষ্টা করেও কিছু হচ্ছে না, তাই ডিপ্রেশন?

হযরত নুহ (আ) প্রায় হাজার বছর দাওয়াত দিয়ে আশি জনকে দাওয়াত কবুল করাতে পেরেছিলেন।

আপনজন কষ্ট দিয়েছে? অপবাদ দিয়েছে?

ইউসুফ (আ) এর ভাইয়েরা তাকে কুয়ার মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গেলো। জুলেকার সাথে ব্যভিচার না করায় উল্টো অপবাদ দিয়ে সাত বছরের জেল দেওয়া হলো!!

এরপরও আপনি আমাকে কোন পরিস্থিতির গল্প শোনাবেন?

যারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় তাদেরকে বলা হলো পথভ্রষ্ট!! এরপরও আপনি আমাকে ডিপ্রেশনের গল্প শোনাবেন?

গান বাজনা বা মুভি, বই আপনাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। ডিপ্রেশনের একমাত্র চিকিৎসা হলো আল্লাহর দিকে ফেরত আসা। আপনার শয়তান যখন আপনাকে বলছে তোর অনেক কষ্ট, তোর চেয়ে কষ্টে কেউ নাই, তখন আল্লাহ্ তাআলা বলছেন-

কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে। অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে।

তাহলে সমাধান কী.......?
"জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই অন্তরের সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করা যায়"

আল্লাহ্ তাআলা যেনো আমাদের সঠিক বুঝ দান করেন.....আমিন।

স্ত্রীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা তাদের ভালোবাসেন...জীবন সঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স...
14/12/2024

স্ত্রীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা তাদের ভালোবাসেন...

জীবন সঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা,সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।

সৎ এবং চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। একজন অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে,
তার মধ্যে কয়েকটি হলো:

১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু’জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ চেয়ে তাকে বলেন, “আসসালামু আলাইকুম।”

২) তার জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন। সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।

৩) স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।

৪) যদি তার জীবনসঙ্গী মানুষটা কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।

৫) জীবনসঙ্গীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।

৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন স্বামীর সামনে যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন না। সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।

৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন। এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।

৮) তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।

৯) জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন।

১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।

১১) শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে কেননা পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে। ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।

১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।

-দশটি জিনিস -দশটি জিনিস আপনি অনুতাপ করবেন যখন আপনি বয়োবৃদ্ধ হবেন।১। কেন আমি ঘুরতে যাই নি, যখন আমার সময় ছিল ?২। জীবনে প্র...
14/12/2024

-দশটি জিনিস -
দশটি জিনিস আপনি অনুতাপ করবেন যখন আপনি বয়োবৃদ্ধ হবেন।
১। কেন আমি ঘুরতে যাই নি, যখন আমার সময় ছিল ?
২। জীবনে প্রশান্তি পাবার দিকে কেন লক্ষ্য করিনি?
৩। কেন আমি একই কাজে সারাজীবন ছিলাম ?
৪। কেন আমি মা-বাবার দিকে আরো নজর দেই নি ?
৫। কেন আমি বাচ্চাদের সাথে খেলার জন্য আরো সময় বের করি নি ?
৬। কেন আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে কোনোদিন বলিনি আমি তোমাকে ভালোবাসি ?
৭। কেন আমি নিজেকে করিতে গৌরব দান, অন্যরে করেছি শুধু অপমান ?
৮। কেন আমি গীবত করেছিলাম ?
৯। কেন জেনেশুনে অন্যায়ের কোনো প্রতিবাদ করি নি ?
১০। কেন আমি স্বাস্থ্যকে, তারুণ্যকে ধরে রাখার জন্য নিজেকে সময় দেই নি, ব্যায়াম করিনি ?
তাই কবি বলেছেন, " সময় গেলে সাধন হবে না......"
আপনাদের আর কী কী মনে হয় যা একজন মানুষের বয়োবৃদ্ধ হবার সাথে সাথে মনে পড়বে??

নরমালি ছেলেরা (সেক্সু-য়ালি) এডাল্ট হয় ১২-১৩ বছরে, মেয়েরা ১৫ আরও আগেই।সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেছি ১৮ বছর...
13/12/2024

নরমালি ছেলেরা (সেক্সু-য়ালি) এডাল্ট হয় ১২-১৩ বছরে, মেয়েরা ১৫ আরও আগেই।

সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেছি ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছর। কিন্তু সিস্টেম করে দিয়েছি আবার অন্য রকম। ছেলেদের চাকরির বয়স সীমা ৩২ বছর। গ্রাজুয়েশান শেষ করতে করতে বয়স হয়ে যায় ২৬/২৭ বছর।
গড় আয়ু যদি ৬৫ হয়- তাহলে ৩২ বছর বয়স পযর্ন্ত সে অন্যের টাকায় চলবে। এর পর স্বাবলম্বী হয়ে মানে জব পেয়ে বিয়ে করবে ৩২ এর পর।
যে ছেলেটা সেক্সুয়ালি এডাল্ট হইলো ১৪ তে। সে বিয়ে করলো আরো ১৮ বছর পর।
এই ১৮ বছর সে কি করবে??
পাড়ায় যাবে না? প্রেমিকাকে নিয়ে লিটনের ফ্লাটে যাবে না? পার্কের চিপায় প্রেমিকার শরীরে হাত দিবে না?
দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে পাথর বানিয়ে রাখবে?
কতটুকু পসিবল? লজিক্যালি কতটুকু পসিবল? বোথ ফর বয়েজ অ্যান্ড গার্লস???? তার উপর যে হারে ফিতনা আর ভয়াবহ অশ্লীলতা প্রকাশিত হচ্ছে....!
এই দেশে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ না। কিন্তু হারাম প্রেম নিষিদ্ধ হয়না কিন্তু হালাল বিয়ে কতভাবে নিষিদ্ধ!
একটা ছেলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে ১৭ বছরের আগের ক্ষুধা মিটানোর জন্য। যেহেতু আমরা জীব পাথর না। আমাদের ফিজিক্যাল চাহিদা আছে। তাই বলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে একটা ছেলে/মেয়ে ?
আপনি বা কেউ কি বিলিভ করেন যে কেউ অপেক্ষা করে?
অপেক্ষা করে না দেখেই এই দেশে রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন লাগে। মিরপুর মাজার রোডে ছোট ছোট খুপরি ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্ট লাগে।
পার্কে ছাতা ওয়ালা প্রাইভেসি লাগে। সবই এই সমাজ জানে। একসেপ্ট করে। এক্সেপ্ট না করলে এসব বন্ধ হয়ে যেত। এসবই আমরা মেনে নিচ্ছি। শুধু ছেলে স্টাব্লিশড না হওয়া পযর্ন্ত বিয়ে মেনে নিতে পারতেছি না।
হায়রে মাথা মোটা মোসলমান!
আর এদিকে,আপনি যদি এই দেশের সুপার সাকসেসফুল কোন বিজনেস ম্যান এর জিবনী পড়েন, দেখবেন তারা সাকসেসফুল হয়েছে অনেক পরে। অন্তত ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে। আপনি কি তত দিন অপেক্ষা করবেন?মেয়ে তাদের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ?
আমাদের পিতামাতাগণ সব কিছু ইসলাম অনুয়ায়ী করেন। খালি এই একটা বিষয়ে উনারা ইসলাম মানেন না। সেটা হইলো বিয়ে। পাত্র ভালো জব করে না দেখে উনারা বিয়ে দেন না। সমাজ বলে আগে প্রতিষ্ঠিত হওতার পর বিয়ে কর!
অথচ পবিত্র কুরআনে পাক বলে:-বয়স হলে বিয়ে করো,গরীব হলে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আল্লাহ্‌র!
এবং ইসলাম বলেছে সাবালক হইলেই বিয়ে দিয়ে দাও।
"বউ কে খাওয়াবি কি? "
এটা হচ্ছে আমাদের দেশের বিয়ের সব চেয়ে বড় বাঁধা।
বউ কি হাতি? নাকি ঘোড়া? নাকি...........! তো ১০ কেজি বিচুলি লাগে না ডেইলি। তাইনা?
বিসিএস দিয়ে ৩৩ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার পর বিয়ে! ততদিনে যৌবন বিয়ের আগেই শেষ।

দাম্পত্য জীবনের সাতকাহন -------------------------------------------------এক সাথে একই বিছানায় ঘুমালেই কিন্তু মানুষটার কাছ...
13/12/2024

দাম্পত্য জীবনের সাতকাহন
-------------------------------------------------
এক সাথে একই বিছানায় ঘুমালেই কিন্তু মানুষটার কাছে যাওয়া যায়না! দুজন মানুষ ১০০ স্কয়ার ফিট একটা রুমের ভেতর বছরের পর বছর থেকেও মাঝে মাঝে কাছে আসতে পারেনা!
আমি এরকম বেশ কিছু দম্পতিকে চিনি, যারা বহু বছর পরও সংসারের মানে বুঝে উঠতে পারেনি!

সংসার করতে করতে একসময় মানুষ ধরে নেয়, একই বালিশে ঘুমানো! একই টেবিলে খাওয়া!

একই রুমে ঘুরাঘুরি করা কিংবা আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধবের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া আর মাঝে মাঝে জৈবিক প্রয়োজনে সঙ্গমে অংশগ্রহন করাটাই কি সংসার! ব্যপারটা কি আসলে তাই?

তাহলে, কিছু সংসার কখনো কখনো টিকে না কেন? তারাও তো একই বিছানায় ঘুমায়! একই টেবিলে খাবার খায়! জৈবিক প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে দৈহিক মিলনে কো-অপারেট করে! তবুও, সংসারগুলো ভাঙে কেন?

তুমি একটা মানুষের সাথে আছো! পাশে আছো! চোখের সামনে আছো! তবুও মাঝখানে একটা দূরত্ব থাকেই! এই দূরত্বটা অন্যরকম! বলা যায় না! বুঝানো যায় না! সহ্যও করা যায় না!
কারো বুকের উপর শুয়েও মাঝে মাঝে নিজেকে বড্ড একা লাগে!

দাম্পত্য জীবনে আমি আসলে কি চাই? সবই চাই, যা যা সবাই চায় বা করে! আমি সেটাও চাই, যেটা অনেকেই করে না!

সংসার মানে আসলে অভ্যাস! এই কনসেপ্টটা থেকে আমরা কেন জানি বের হতে পারি না! অভ্যাস অবশ্যই, তবুও সবই কি অভ্যাস? নতুন কিছুই কি থাকে না?

আমরা একই ছাদের নিচে থাকি, অথচ কখনো একসাথে আকাশ দেখি না! কখনো সমুদ্র পাড়ে বসে কফির মগ হাতে নিয়ে নির্ভরশীলতার কাঁধে মাথাটা রাখি না!

আমরা কখনো জিজ্ঞেস করিনা " তুমি কেমন আছো? তোমার মন খারাপ কেন?" আমরা হাত ধরে বসে থাকি না! আমরা জৈবিক প্রয়োজন ছাড়া একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরি না!

আমরা বুঝি না, আমার সমস্ত সময় তার সাথে কাটানোর পরও তাকে সময় দেওয়া প্রয়োজন!
আমরা শরীরের দিক থেকে কাছে আসি রোজ রোজ! অথচ,আমাদের মনের দূরত্ব বেড়েই চলে!

রান্না করার জন্য বুয়া রাখলেও হয়! জৈবিক চাহিদার জন্য পতিতাই এনাফ! তবুও সংসার কেন করা লাগে?
সংসারের ডেফিনেশনটা শুধু নিঃশ্বাসের আদ্রতা অনুভব করার মাঝেই সীমাবদ্ধ না!
এর বাইরেও অ-নে-ক কিছু থাকে!

আমি একা! তুমি একা! আমরা একা! প্রচন্ড রকমের একা! একই বিছানায় নগ্ন শরীরের উপরও একা! সঙ্গম শেষেও আমরা একা!

অথচ, দিনশেষে আমার একটা আশ্রয় প্রয়োজন হয়! একজন মানুষ প্রয়োজন হয়! একটা ব্যক্তিগত নির্ভরশীলতার জায়গা প্রয়োজন হয়! সমঝোতা প্রয়োজন হয়! কারো কন্ঠস্বরে আমার জন্য একটু গভীর ভালোবাসা প্রয়োজন হয়!

একটা পবিত্র স্পর্শ প্রয়োজন হয়!
এই স্পর্শটা কামনার স্পর্শ নয়! এটা একটা ভালোবাসার স্পর্শ! কাম ছাড়া ভালোবাসা পূর্নতা পায়না এটা ঠিক! তবে কাম ও যে সবসময় ভালোবাসার জন্ম দিতে পারে না, এটাও কিন্তু ঠিক!

সংসারকে অভ্যাস বলে চালিয়ে দেওয়া মানুষরা আসলে ভালোবাসার দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে যেতে চায়! যে দাম্পত্যে প্রেম থাকে না, সেখানে অভিনয় করে বাঁচতে হয়!

এরকম অনেক দম্পতিই আছে, যারা শুধু অভিনয় করেই একটা জীবন কাটিয়ে দেয় একটা অপছন্দের মানুষের সাথে। একই ছাদের নিচে একই বিছানায় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়!

সারাদিন কাজ করে ঘরে ফিরে স্ত্রীকে সময় দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করা স্বামীও নিয়ম করে জৈবিক প্রয়োজনটা ঠিকঠাক করে! ব্যস্ততা আসলে একটা অজুহাত!অত'টা ব্যস্ত আসলে মানুষ থাকে না! চাইলেই একটু সময় বের করা যায়!
কি জানি, আমরা হয়তো চাই ই না!

যার সাথে সারা জীবন কাটাতে হবে! যার জন্য সারাদিন পরিশ্রম করি!
যাকে প্রতিনিয়ত ভালো রাখার চেষ্টা করি!
মাঝে মাঝে বুঝিই না, সে ভালো নেই!

দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকবেই! এটাকে ইন্সটেন্ট সমাধান করার ক্ষমতা সবার থাকে না! ঝগড়া হওয়ার পর কান্না কাটি না করে, মানুষটাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ বসে থাকলে কেমন হয়! মানুষ কি এতটাই নিষ্ঠুর, যে ভালোবাসাকে অবহেলা করতে পারে!

সংসার শুধু একটা অভ্যাস, এটা থেকে বের হতে হবে! সংসার একটা স্বর্গ! এখানে শুধু সঙ্গম, দুবেলা খাবার আর একই বিছানায় ঘুমানোর বাইরেও প্রেম, ভালোবাসা, নির্ভরশীলতা, গুরুত্ব, প্রায়োরিটি, শ্রদ্ধাবোধ, এডজাস্টমেন্ট সব প্রয়োজন হয়! সব মানে সব!

দাম্পত্য জীবন সুন্দর তখনি হয়, যখন আমরা অভ্যাস থেকে বের হতে পারি!
মানুষটা একটা অস্তিত্ব হোক! অধিকার হোক! বেঁচে থাকার ডেফিনেশন হোক!

একটা দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রী উভয়ের প্রতি এডিকশন হোক! আমাদের সংসার হোক আমাদের নেশাগ্রস্থ থাকার অ্যালকোহল!

আমাদের মাঝে ভালোবাসার মাদকতা থাকাটা জরুরী, ভীষন জরুরী!

বিয়ের পর মেয়েদের সেক্স ইন্টারেস্ট কমে যায় কেন ?শরীরে সাবালকত্ব আসার পর থেকে সেক্স চাহিদা  একটি নরমাল ইস্যু । সময় এবং বয়স...
13/12/2024

বিয়ের পর মেয়েদের সেক্স ইন্টারেস্ট কমে যায় কেন ?

শরীরে সাবালকত্ব আসার পর থেকে সেক্স চাহিদা একটি নরমাল ইস্যু । সময় এবং বয়সভেদে শুরুর দিকে এটি যেমন থাকে, একটি পরিণত বয়স একুশ থেকে পঁচিশে এটি পূর্ণতা পায়, চাহিদা সম্পূরক হয় এবং সেক্স ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়, যা স্বাভাবিক ।

কিন্তু দেখা যায় বিয়ের দুই থেকে তিন বছর পর মেয়েদের সেক্স করার ইন্টারেস্ট কমে যায় । কিন্তু কেন এমন হয় ?

সেক্স ইন্টারেস্ট মানে হলো সেক্স করার ইচ্ছা । এখানে সেক্সের চাহিদা কিন্তু কমে না, সেক্স ডিমান্ড কমে না । শুধু যার সাথে থাকে, তার সাথে সেক্স করতে ইন্টারেস্ট জাগে না মেয়েদের । শরীরে ইচ্ছেটি মরে যায়, কিন্তু ক্ষুধা থাকে । যেমনটি অনেক সময় আমাদের ক্ষুধা আছে পেটে, কিন্তু খেতে ইচ্ছে করে না । কিন্তু কেন এমন হয় ?

ছেলেদেরও বিয়ের পর এমন সমস্যা হতে পারে । তবে তুলনামূলকভাবে শারীরিক অসুস্থতা বা অক্ষমতা ছাড়া ছেলেদের সেক্স ইন্টারেস্টের ক্ষেত্রে বিয়ে তেমন প্রভাব ফেলে না ।

কারণ সিম্পল । ছেলে এবং মেয়েদের সেক্স স্টিমুলেশনের প্যাটার্ন একই ভাবে কাজ করে না । যদিও সেক্স হরমোন দুজনেরই একই ।

বেশ কয়েকটি কারণে বিয়ের পর মেয়েদের সেক্স ইন্টারেস্ট কমে যায় ।

এক. মেয়েদের সেক্স ইন্টারেস্টটি মুডের উপর নির্ভর করে বেশি । মুড মেয়েদের মোটিভেট্যাড্ করে সেক্সের ক্ষেত্রে অনেকখানি । বিয়ের পর সাংসারির ব্যস্ততা এবং বিচিত্রতা এই মুডকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে । সিঙ্গেল থাকা অবস্থায় লাইফ অনেক মনোটোনাস থাকে মেয়েদের ।

দুই. মাতৃত্ব মেয়েদেরকে সেক্সের ব্যাপারে সাবকনসাসলি ডিমোটিভেটেড করে । এর কারণ, সমাজ । সমাজে মাদারহুড কনসেপ্টটি একধরনের ডিসেকচুয়েলাইজ । মা হওয়ার পর মেয়েদের শরীর এবং মনে ভিন্ন একটি মানসিক টার্ন নেয় । এই জন্যে দেখা যায় ছেলে মেয়েরা একটু বড় হতে থাকলে বাবা মা আলাদা বিছানায় ঘুমোতে শুরু করেন, যা তাদের সেক্স ইন্টারেস্টকে আরও কমিয়ে দেয় । কেবল মাঝে মাঝে কর্তা রাতের খাবারের পর ইশারা দেবেন -আজকে আইসো !

তিন. স্ত্রী যদি বার বার কোনো অজুহাত তুলেন যে - তার কিছু করতে ইচ্ছে করছে না, বা শরীর ভালো না, এমন সব বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা যখন ইমোশনালি তার হাজব্যান্ড কিংবা পার্টনারের সাথে কানেক্ট করতে পারে না, তখন মেয়েদের সেক্স ইন্টারেস্ট কমে যায় । সরাসরি বললে সংসারের ক্ষতি হবে ভেবে কোনো একটা অজুহাত তুলে এড়িয়ে যেতে চায় । তবে সংসার ধরে রাখতে ইচ্ছা না থাকলেও মাঝে মাঝে বেল তলায় যায় ।

চার. কোনো মানসিক পীড়া, বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা দীর্ঘদিন একনাগাড়ে চলতে থাকলে মেয়েরা সেক্সে ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলে ।

পাঁচ. সেক্স ড্রাইভকে বলে লিবিডো । সময় এবং পরিস্থিতি ভেবে লিবিডো কম-বেশি হওয়া স্বাভাবিক । কিন্তু যখন শরীরের নিজের কোনো রোগ থাকে, তখন মেয়েদের সেক্স ইন্টারেস্ট কমে যায় । যেমন থাইরয়েড সমস্যা, বিশেষ করে হাইপোথাইরয়েডিজম, আর্থ্রাইটিস, ক্যান্সার, আন কন্ট্রোল ডায়াবেটিস , ক্রনিক স্ট্রেস, হরমোন ইমব্যালেন্স, কিছু মেডিসিন খেলে লিবিডো কমে যেতে পারে, যেমন : এন্টিহিস্টামিন, ব্লাড প্রেশার মেডিসিন কিংবা আন্টি ডিপ্রেসেন্ট ট্যাব্লেটস । জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে প্রতি দশ জনের মধ্যে দুই জনের উল্টো সেক্স ড্রাইভে কমে যায় । শরীরে আয়রন কম থাকলে বা এনিমিক হলে লিবিডো কম থাকতে পারে ।

ছয়. বেশি একটিভ লাইফ মেয়েদের সেক্স ড্রাইভকে অনেক সময় ডিএকটিভ করে দেয় । বিশেষ করে চাকুরীজীবি মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হয় । এর কারণটিও স্বাভাবিক । মেয়েরা চাকুরী করলেও সংসারের কাজগুলো কিন্তু তাদের কমে না । একটি মেয়েকে তিনটি সেক্টরে কাজ করতে হয় তখন । কিন্তু পুরুষরা কেবল ঘরের বাহিরে চাকুরী করলেই দায়িত্ব যেন শেষ । মেয়েরা চাকুরী করলে অফিসে কাজ করে এসে সংসারের কাজ গুলিও করতে হয়, বাচ্চাদের দেখা শোনাও করতে হয় । দিনশেষে নিজের ইচ্ছার কোনো দাম থাকে না । না পেতে পেতে আর খাওয়া হয় না, মন আর খেতেও চায় না ।

সাত. একেকটি মানুষের সেক্স সিগন্যাল একেক রকম । একটি মেয়েরও তাই । বেশিরভাগ দাম্পত্য জীবনে স্বামী বা পার্টনার এটি বুঝে না । মেয়েটি তার মতো সেক্স সিগন্যাল না পেলে স্টিমুলেটেড হবে না । বিয়ের পর মেয়েরা এমন করে তাদের সেক্স সিগন্যালটি না পেয়ে পেয়ে একসময় ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলে । সেটা নিজের ডিজায়ারের প্রতি, সেটা পার্টনারের প্রতি, এমনকি সেটা নিজের ডিমান্ডের প্রতিও ইন্টারেস্টলেস হয়ে উঠতে পারে । ধারালো ছুরিও বেশিদিন ফেলে রাখলে এমনিতেই জং ধরে ।

Address

Daulatpur
Basa Kushtia
KHULNA

Website

https://www.facebook.com/mdasif.mahmud.7737

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Asif Mahmud Ababil ar Abbu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share