17/12/2023
টেলিপ্যাথি বলতে বুঝায়, মস্তিষ্কের সাথে মস্তিষ্কের যোগাযোগ। মানে এক মস্তিষ্কের সংকেত অন্য মস্তিষ্ক বুঝতে পারা। ব্যাপার টা আসলে অনেক টা নিজের বুঝার বিষয়। এটা নিয়ে আমার জানামতে, অনেক গবেষণা হচ্ছে। কিন্তু এটা মানুষ কিভাবে নিবে বা এর গ্রহণযোগ্যতাই বা কতটুকু হবে তার উপর সন্দেহ রয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা হলো "কোয়ান্টাম মেকানিক্স"। কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলে যে, " পৃথিবীর সকল বস্তু একে অপরের সাথে সংযুক্ত"। প্রশ্ন হতে পারে, এই সংযোগ টা কিরকম? এটা হলো কম্পন। প্রত্যেকটা জীব থেকে একটা নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের কম্পন নির্গত হয়। আমাদের মোবাইল টাওয়ার গুলো যেরকম কম্পনের মাধ্যমে এক টাওয়ার অন্য টাওয়ারের সাথে তথ্য আদান প্রদান করে মস্তিষ্ক ও ঠিক অনুরুপ। আমি একটা উদাহরণ দিতে পারি টেলিপ্যাথির, " ধরুন আপনি আপনার কোনো বন্ধুর কথা ভাবছেন, ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাকে ওই বন্ধু ফোন দিলো বা মেইল করলো"। কিভাবে সম্ভব এটা? আপনি পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকুন না কেনো, দূরত্ব যতই হোক এটা ঘটতে পারে। হয়তো আপনার মস্তিষ্কের সংকেত টা আপনার বন্ধুর মস্তিষ্ক পেয়েছে এবং আপনাকে ফোন দিলো বা অন্য কোনোভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করলো।
আমি ড.ব্রুস লিপটনের একটা লেকচারে এরকম কিছু তথ্য পেয়েছিলাম।
প্রকৃতিতে সকল জীবজন্তুর নিজস্ব কম্পাঙ্ক দিয়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।
কিন্তু আমরা এই সংকেত গ্রহণে অভ্যস্ত নই। সেটা আমাদের শিখে নিতে হয়, মানে চর্চার বিষয়। যোগব্যায়াম এই ব্যাপারে সহায়ক বলে জানতে পেরেছি।