04/01/2022
........।।...সিজেল...।। ..........
লেখক: আবির হাসান
পর্ব: ০৩
আমরা মেঝেতে পরে গেলাম, আমিও ঠিক মেয়েটার গায়ের উপরে পরলাম, সামলাতে না পেরে টি টেবিলের কোণায় মেয়েটার ড্রেসের একটা অংশ আটকে গিয়ে একটানে ছিড়ে গেছে,পায়ের কাছ থেকে, আমি তার সুন্দর মশৃন পায়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম ৷আমি পুরো ঘাবড়ে গেছি, কিন্তু মেয়েটার চোখে বিন্দু মাত্র লেশ দেখতে পেলাম না, সে মেঝেতে শোয়া অবস্খায় ই বলতে লাগলো
- আরে আবির,তুমি তো খুব দুষ্টু,আমার ড্রেসটা ছিড়ে ফেলছো..... উহ! কোথায় কোথায় হাত দিচ্ছো।
আমি ছলছল কন্ঠে,আমতা আমতা করে বলতে লাগলাম
- আমি! আমি আমি! জেনে শুনে কিচ্ছুটি করিনি ...
হঠাৎই আমার হাত ধরে একটা টান দিয়ে মেঝেতে ফেলে আমার বুকের উপর একটা হাত রেখে মিষ্টি কন্ঠে বলছে,
- আবির,আমার খুব ঠান্ডা লাগলছে
- কিন্তু আমার গগগ....
কোনো মতে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে উঠে দাড়ালাম, দৌড়ে দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবার পিছনে ফিরে এলাম,মেয়েটা শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসে আবার আমার দিকে সেই অপরুপ সুন্দর হাসিটা ফুটিয়ে তুললো, আমি তার দিকে ফিরে বললাম ,
- মাফ করবেন সুন্দরী
তাড়াতাড়ি ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে,আরেক হাতে ক্যান্ডিকেন টাকে নিয়ে দরজার দিকে দৌড়াতে লাগলাম , মেয়েটা আবার ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটিয়ে বলে উঠল
- এক নাম্বারের একটা গাধা!
এই বলে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো৷ গেট দিয়ে বের হয়ে জঙ্গলের এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা দিয়ে জোড় পায়ে তাড়াতাড়ি হেঁটে যাচ্ছিলাম
- না-না-না, ভাই আবির, বের হ এখান থেকে নইলে এই সুন্দরী, কুমারী হয়ে তোর সর্বনাশ করে দিবে ... হুহুহু ৷
ভাবতে ভাবতে কখন যে জঙ্গলে পৌছে গেলাম খেয়াল ছিলো না ,মেয়েটা উড়ে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে আরেকটা গাছের ডালে নেমে আড়ালে আমাকে দেখতে লাগলো
- ভাই আবির, তুই একটা মেয়েকে দেখে এইভাবে . হুহুহু..!সামলা নিজেকে, নিজের চাহিদার উপর কাবু রাখ আহ আহ হুহুহু
কেউ জেনো হাওয়ায় ভেসে ভেসে আমাকে পিছু নিচ্ছিলো কিন্তু আমার সেই দিকে কোনো খেয়াল ছিলো না। মনে মনে নিজেকে বলতে লাগলাম আর জোড়ে নিশ্বাস নিতে লাগলাম,মাটি থেকে একটা পাথর তুলে বলতে লাগলাম
- আবির ভেঙ্গে পরিস না,মজবুত হ ঠিক এই পাথরের মতন !
এই বলে পাথরটা উপরের দিকে ছুড়ে ফেললাম, সাথে সাথেই গাছ থেকে ধুম করে কিছু একটা নিচে পরার আওয়াজ পেলাম ,
ঐদিকে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মেয়েটাও অবাক হলো
- এইডা মারলো কেঠায়, উরি মা! হাড্ডি ভেঙ্গে দিছে!( লোকটা)
- দুঃখিত মাফ করে দেন(আমি)
- ঐ তুমি মারছিস নাকি
বলে লোকটা তেড়ে আসতে লাগলো,
- না-না-না ভাই...
- তোরে আজ আমি শেষই...
- না-না আমি ইচ্ছা করে মারি নাই
লোকটা এসেই আমার হাত চেপে ধরলো,ক্যান্ডিকেন টা মুখের কাছে তুলে ধরলাম আমি লোকটার মুখটা দেখেই চিনতে পারলাম,আরে এ তো ঐ লোকের মধ্যে একজন কি জেনো নাম, হ্যাঁ মনে পরছে মাষ্টার ইব্রাহিম , যারে আমি খুঁজে বেড়াই তার সাথে ই দেখা। তারে খুঁজতেই বাড়ি থেকে বের হইছিলাম,ঘটনাক্রমে এইখানে এসে পরছি৷ ছোটবেলা থেকেই আমার ভুতপ্রেত এর প্রতি খুব গভীর আগ্রহ আছে। জীবনে সত্যি সত্যি তিন তিন বার জ্বীন দেখার পর আরও কৌতুহল বেড়ে যায়,তারপর এই মাষ্টার ইব্রাহিম এর কথা শুনতে পারি, কোনো ভুুত প্রেত তার কাছ থেকে বাঁচতে পারেনি! যারা বহু প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন মাষ্টার হতে পারে। তাদের কাজই হলো ভুত,প্রেত,দানবের সাথে লড়াই করা
- ওওও তুমি,ঐ সেই(আমি)
সিরাজ আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো
- না আমি সেই নই, আমি মাষ্টার সিরাজ (সিরাজ)
হঠাৎই সে অন্যমনস্ক হয়ে গেলো,
এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো
- কি ফাটা কপাল আমার,এত্তো খোজার পর তোমায় এখন পাইলাম, কত্ত লোকসান করছো আমার.....
মাষ্টার সিরাজ মুখে আঙ্গুল রেখে বললো
- হুসসস,
জঙ্গলে কেমন জেনো অদ্ভুত একটা আওয়াজ আসছে,শুনশান জঙ্গলে কড়কড় করে শুকনো পাতার আওয়াজ,সিরাজ জামার ভিতরের পকেট দিয়ে সিলভারের বাটির মতন দেখতে একটা বস্তু বের করে সামনে ধরলো,আমি অবাক চোখে দেখতে লাগলো, হঠাৎই বস্তুটি ঘুরতে শুরু করলো
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলতে লাগলাম,
- দেখো প্রথম থেকেই ঝামেলায় আছি
,এখন আবার এইটা বলো না যে এইখানে শয়তান আছে
- শয়তান আছে এখানে
- হ্যাঁ আমি জানতাম তুমি এইটাই বলবে
সিরাজ পকেট থেকে সেই হলুদ দুটো কাগজের টুকরো, মানুষের মতন আকার দেওয়া বের করে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলে ছুড়ে মারতেই সেগুলো প্রজাপতির মতন উড়ে যেতে লাগলো ৷ আমি ভয় পেয়ে সিরাজের পিছনে লুকিয়ে পরলাম,সিরাজ চারদিকে গভীর মনোসংযোগ করতে লাগলো,পিছন থেকে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলাম
- এইখানে কি সত্যিই শয়তান আছে?(আমি)
কথাটা শুনে সিরাজ একটু বিচলিত হলো, তার হলুদ কাগজের একটি টুকরো লাল হয়ে ফিরে এলো,সে সেটা হাতে নিয়ে বললো
- পিশাচ অনেক শক্তিশালী!
- তোমার কি এইটা মনে হচ্ছেনা যে এটা হাওয়ার কারণে হয়েছে?
হঠাৎই সেই বস্তুটা কাঁপতে লাগলো
- কি তোমার যন্ত্র ভেঙ্গে গেছে?
মাটি ফুড়ে বের হয়ে আবার ভিতরে ঢুকে এই অবস্থায় কয়েকটা মোটা লতার শিকড় আমাদের দিকে আসতে লাগলো ,এসেই প্রথমে সিরাজকে পেঁচিয়ে শূন্য তুলে একটু দূরে আছাড় মারে আর আমাকে একটা জোড়ে ধাক্কা মারে, আমি ছিটকে একটু দুরে মাটিতে আছড়ে পরি,
- উরে বাবা রে!(আমি)
আবার সেই অদ্ভুত ভয়ংকর হাসির শব্দ কালো লম্বা পোশাক পরা একটা নারী পিশাচ হাসতে হাসতে দৃশ্যমান হলো, চারটা মোটা লতানো শিকড় তার চারদিকে পেঁচিয়ে মোড়ামুড়ি করতে লাগলো,আমি দেখে ভয়ে কোনো মতে উঠে পাশে গাছের পিছনে লুকিয়ে পরলাম ,গাছের আড়ালে থাকা সাদা ড্রেসের মেয়েটা বললো,
- দাই কেনো আসলো!
লম্বা লম্বা আঙ্গুলগুলো নাড়াতে নাড়াতে বললো
- কি সুন্দর সুগন্ধ ..!( দাই)
- পিশাচিনী আজ তোকে আমি টুকরো টুকরো করে ফেলবো(সিরাজ)
এই বলে সিরাজ সামনে এগিয়ে দুইহাতের দুটো আঙ্গুল উপরে তুলে বিড়বিড় করে দোয়া পড়তে লাগলো এবং সাথে সাথে আকাশের অবস্থা পাল্টে যেতে শুরু করলো,ভয়ানক কালো মেঘে ঢেকে গেলো
বাজ পরতে লাগলো,হাতটা সামনে নাড়াতে ই আকাশ থেকে একটা বাজ ঠিক সিরাজ এর পায়ের কাছ পরলো, সিরাজ লাফিয়ে একটু পিছিয়ে গিয়ে বললো
- এ তো দেখে আমার বিড়াল, আমাকেই মেও
,পিশাচিনী হাসছে, সিরাজ আরেকবার চেষ্টা চালালে, কিন্তু সেই আগের মতনই হলো,সিরাজ উপরে তাকিয়ে বললো
- আমাকে না ওকে মারতে হবে,
এইবলে সিরাজ হাতের ইশারা করতেই কোথা থেকে উড়ে এসে একটা তরবারি তার হাতে চলে আসলো। তরবারি নিয়ে দাইয়ের দিকে এক লাফে ছুটে আসলো। তরবারিটা দাই এর চোখের সামনে আসতেই সিরাজ হঠাৎই থেমে গেলো,সিরাজের কোমড় পেঁচিয়ে ধরলো মোটা একটা শিকড় ,দাই বাম হাতটা একটু নাড়াতেই শিকড় টা সিরাজ কে টেনে নিয়ে আরো একটা শিকড় এসে সিরাজ কে একটা গাছের সাথে পেঁচিয়ে ধরলো,আমি ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলাম
- আরে বাবা,এ তো গেছে আজ
- ছোট ওস্তাদ, তুই তো এখোনো অনেক ছোট! (দাই)
এই বলে দাই তার দুইহাত জোড়ে সামনে বাড়াতেই, দুটো শিকড় আমার দিকে ছুটে আসতে লাগলো, আমি কিছু করার আগেই সেগুলো আমাকে জড়িয়ে পেঁচিয়ে নিলো এবং এক টানে দাইয়ের সামনে নিয়ে গেলো,দাই খপ করে আমার কলার টা ধরে ফেললো,আমাকে তার কাছে টেনে নিলো এবং নাক দিয়ে গন্ধ শুকতে লাগলো,আমি ভয়ে চিৎকার করতে লাগলাম ,
- ছেড়ে দে ওকে!(সিরাজ)
- বাঁচাও আমায় (আমি)
সিরাজ নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো ,দাই আমাকে টেনে তার কাছে নিয়ে নাখ দিয়ে আমার সারা শরীল এর গন্ধ শুখতে শুখতে বলতে লাগলো
- আরে ভাই আমাকে সাহায্য কর!
দাই মুখে ভয়ংকর একটা হাসি ফুটিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
- আমি তোমার আত্মা কে চুষে চুষে খাবো
- ঐ ওকে ছেড়ে দে বলছি(সিরাজ)
দাই পিশাচ হাসতে হাসতে তার মুখ হা করতে লাগলো আর হঠাৎই জেনো আমার দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো,শ্বাস নিতে প্রচুর কষ্ট হতে লাগলো,জেনো দম গলা ফেটে বেড়িয়ে আসবে,তবে এই কি আমার মৃত্যু!
আমি ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করে ফেললাম
হঠাই একটা বড় তলোয়ার এসে দাইয়ের দুটো হাত ছিড়ে বেড়িয়ে গেলো,দাইয়ের হাত দুটো কেটে নিচে মাটিতে পরে গেলো, আমাকে ছেড়ে দিয়ে দাই ভয়ংকর গর্জন করতে লাগলো,তার সাদা মুখটা এখন বিভৎস কালো রংয়ের হয়ে গেলো,কাঁটা হাত দুটো কাঁপতে লাগলো সেখান থেকে কাঁটছে সেই হাতের ভিতর থেকে ছোট ছোট লতা বের হয়ে আবার নতুন দুটো হাতের আকার নিলো,আর দাইকে আঘাত করা তরবারিটা আবার ভাসতে ভাসতে আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা ইব্রাহিমের হাতে গিয়ে থামলো,আমি বলে উঠলাম!
- মাষ্টার ইব্রাহিম!
মাষ্টার ইব্রাহিম খপ করে তরবারি টা ধরে ফেললো,দাই রেগে ফসফস আওয়াজ বের করতে লাগলো, দাই তার হাতদুটো জোড়ে সামনে ঠেলে দিতেই তিনটা বড় শিকড় তিনদিক থেকে আমাদের দিকে ধেয়ে আসতে লাগলো, ইব্রাহিম আমার বুকে হাত রেখে পিছনে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে বললো,
- সড় এখান থেকে
আর সে তার তরবারিটা ঘুরাতে ঘুরাতে শিকড়গুলোর মাথা কাঁটতে লাগলো
আমি তার ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে পিছনে কাত হয়ে পরতে শুরু করলাম, মাটির ওপর একটা সুচালো ডাল গেথে ছিলো আমি ঐটারে উপরই পরতে গেলাম, এরমধ্যেই গাছ থেকে হটাৎই কেউ একজন এসে আমাকে সোজা আকাশে তুলে নিলো এবং আমাকে সুচালো ডালটার উপর পরার হাত থেকে সড়িয়ে নিলো,নইলে ঐটার উপর পরলো ডালটা আমার পেট ফুড়ে বেড়িয়ে যেতো, দাই হাত মুঠ করতে লাগলো,শিকড় গুলো আরো জোড়ে এগিয়ে আসতে লাগলো, ইব্রাহিম লাফিয়ে সড়ে গিয়ে সিরাজের বুকের উপর তরবারি দিয়ে আঘাত করলো ৷ আমাকে একটু আড়ালে মাটিতে নামিয়ে দিলো। আমি তাকিয়ে সেই মেয়েটাকে দেখতে পেয়ে বললাম,
- সুন্দরী তুমি!
তরবারির আঘাতে সিরাজের বুক পেঁচিয়ে থাকা লতাগুলো ছিড়ে গেলো,
- দ্যাখ আমি কিন্তু বাঁচাতে বলিনি (সিরাজ)
- লান্ডুরে এখন এইসব এর সময় না,(ইব্রাহিম)
হঠাৎই একটা শিকড় এসে তাদের দুজনকেই আঘাত করতেই তারা দু দিকে ছিটকে গেলো, এইসব দেখে আমি অন্ধকারের ভিতরে মাটি একটা লাঠি হাতে তুলে নিয়ে একটু সামনে এগিয়ে,মেয়েটাকে আড়াল করে বললাম
- সুন্দরী ! এইখানে শয়তান আছে,তুমি আমার পিছনে লুকিয়ে পরো,
- নিজেকে সামলানোর মুরদ নেই,আসছে আবার আমায়.....!
বলে মেয়েটা উড়ে আবার সেই গাছের ডালে গিয়ে আড়ালে লুকিয়ে পরলো,
- আমি তোমাকে বাঁচাবো....
কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে বললাম,
- সুন্দরী! তুমি কি ......
আমি পিছনে ফিরে মেয়েটাকে দেখতে না পেয়ে এদিক ওদিক চিৎকার করতে করতে বলতে লাগলাম
- সুন্দরী কোথায় তুমি সুন্দরী!
গাছে থাকা মেয়েটা মুখ ভেটকিয়ে বলে উঠলো!
- আসলেই একটা গাধা !
বলে মেয়েটা আবার গাছ থেকে নেমে আসলো,আমি পিছনে তাকাতেই মেয়েটাকে দেখতে পেলাম,
- সুন্দরী! কই তুমি
- আহ ধীরে বলো
- সুন্দরী! কোথায় ছিলে...
দাই আবার শিকড় গুলো গুছিয়ে নিলো, ইব্রাহিম দ্রুত তরবারি চালাতে লাগলো এদিক ওদিক,আর শিকড়ের মাথা গুলো কাঁটতে লাগলো এবং চিৎকার করে বললো
- পিশাচ যাক অন্ধকারে! !
আর সমস্ত শিকড় গুলো মাটিতে ঢলে পরলো
- ভূত পিশাচ সম্ভরম!(সিরাজ)
বলেই হাত এগোতেই আগুনের গোলা এসে পৈশাচিক কালো পাতা গুলো পুড়িয়ে দিলো। মেয়েটি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আর বলছে
- দাই আবার এখানে কেনো আসলো, আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে
আমি গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়াতে দাড়াতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম
- তুমি আবার আমার জীবন বাঁচিয়েছো, যেখানে আমি তোমার নামটাও জানিনা!
মেয়েটা আমার দিকে ফিরে বললো
- সিজেল
আমি কিছুক্ষণ মেয়েটার মায়াবী চোখের দিকে একনজরে তাকিয়ে, সাথে সাথে চোখ নিচু করে আবার মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম,
- সিজেল..! অনেক সুন্দর একটা নাম!
মেয়েটির ঠোঁট এর কোণায় এক চাপা হাসি হাসলো
To Be Continued......
ভালো লাগলে জানাবেন। আগের সব পর্ব আমার আইডিতে আছে, চাইলে পড়ে নিতে পারেন। 😊
#আবির