অদ্ভুতুড়ে

অদ্ভুতুড়ে অদ্ভুতুড়ে পেইজে আপনাকে স্বাগতম.. আমাদ?

যারা " সিকদার বাড়ির সাপ সিজন - ১ " পড়েননি তারা এখুনি এই গ্রুপে জয়েন হন 🧟‍♂️ সব পর্বের লিংক একসাথে দেয়া আছে। https://www....
26/08/2022

যারা " সিকদার বাড়ির সাপ সিজন - ১ " পড়েননি তারা এখুনি এই গ্রুপে জয়েন হন 🧟‍♂️

সব পর্বের লিংক একসাথে দেয়া আছে।

https://www.facebook.com/groups/abirsfamily/permalink/2472725466228325/

26/01/2022

….।।..সিজেল..।।….

পর্বঃ ০৮
লেখকঃ আবির হাসান

বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। চোখ মুছতে মুছতে উঠে পাশে তাকাতেই সিজেল কে বসে থাকতে দেখলাম,আমি অবাক হয়ে সিজেল এর দিকে তাকিয়ে বললাম,

-- একি সিজেল,তুমি এখনো এখানে বসে কি করতে ছো?

সিজেল মাথা নিচু করে চুপ করে রইলো।

মাষ্টার ইব্রাহিম চোখ বন্ধ করলেন, হাত দুটো ছড়িয়ে দিতেই সে হাওয়ায় ভেসে উপরে উঠলো। মুখ থেকে বিড়বিড় করে দোয়া পড়তে লাগলেন। আর ঐ দিকে অজস্র সুঁচ তার দিকে ছুটে আসতে লাগলো হঠাৎই মাষ্টার ইব্রাহিম চোখ মেললো,আর সাথে সাথেই নিচ থেকে কতগুলো কফিন উড়ে এসে তার চারপাশে দেয়াল হয়ে গেলো এবং সুঁচ গুলো এসে কাঠের কফিন গুলোয় গেঁথে গেলো। মাষ্টার ইব্রাহিম হাত মুঠো শক্ত করতেই কাঠের কফিন গুলো ফেটে চারপাশে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেলো। দ্বিতীয় শয়তান টা তার পিঠে পেচানো ভয়ানক চাবুক টা বের করেই মাষ্টার ইব্রাহিম এর উপর আক্রমণ চালালো। ইব্রাহিম সঠিক সময় সরে যাওয়াতে চাবুক টা তার পিছনে থাকা পাথরের দেওয়ালে আঘাত করে এবং দেওয়াল টা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এইভাবে একের পর এক আঘাত করতে থাকলো,আর মাষ্টার ইব্রাহিম কোনো মতে নিজেকে বাঁচিয়ে নিচ্ছে, বিষয় টা ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে কারন চারপাশে ধারালো সুতো পেচানো। একটু ভুল হলেই কেটে টুকরো হয়ে যাবেন তিনি। মাষ্টার ইব্রাহিম লাফিয়ে দেয়ালে গেঁথে থাকা তরবারি টা নিতে যাবে অমনি চাবুকটা তাকে পেঁচিয়ে ধরলো, এবং তাকে একটানে একটা আছাড় মারলো। সে ছিটকে দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে নিচে পরলো। সে সাথে সাথে নিজের হাত দিয়ে শরীর কে ব্যালেন্স করে নিলো নইলে সোজা গিয়ে ঐসব সুতোর উপর পরতো। বিকট শব্দে আতকে উঠলাম আমি, আমি কিছুক্ষণ পর পর শব্দ শুনতে পারছি। আমি চারদিকে তাকাতেই মেয়েটার হাত ধরে বললাম

-- সিজেল,আমার তুমি এখান থেকে চলে যাও। মাষ্টার ইব্রাহিম তোমায় দেখতে পেলে মেরে ফেলবে!

কিন্তু সিজেল চুপচাপ বসে রইলো, আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম

-- সিজেল কি হলো তোমার!
- তোমাকে মারতে এসেছি

আমি অবাক হয়ে বললাম,

-- কি!

ধীরে ধীরে চোখ তুলে আমার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো

-- তোমাকে মারার আজই আমার শেষ সুযোগ!

কথাটা শুনে আমি একটু ঘাড়বে গিয়ে সিজেল এর থেকে একটু দূরে সড়ে গেলসাম। ঐদিকে তো মাষ্টার ইব্রাহিম ও দুই শয়তানের মাঝে প্রচুর লড়াই চলতেছে, আমি কিছুক্ষণ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তারপর আবার কাছে এসে বললাম,

-- সিজেল, যাবে আমার প্রাণ তোমার জন্য জরুরী হয়ে থাকে, তাহলে.. তাহলে ঠিক আছে… তাহলে তুমি আমায় হত্যা করতে পারো!

বলেই সাথে সাথেই চোখ বন্ধ করে ফেললাম। আর ভয়ে বিচলিত হচ্ছিলাম, চোখের পাতাদুটো কাঁপছে। বারবার মনে হচ্ছে এই বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়বে আমার উপর এই চিন্তা ই মাথায় ঘুরঘুর করত লাগলো। কিছু সময় কেটে গেলো কিন্তু কিছু হলো না। আমি তো চোখ বন্ধ করে কাঁপতে লাগলাম। হঠাৎই মনে একটা প্রশ্ন জাগলো একি এতোক্ষণ হয়ে গেলো কিছু হচ্ছে না কেনো! নাকি আমার ভাবতে ভাবতেই আমাকে মেরে ভুত বানিয়ে দিয়েছে নাকি! তাড়াতাড়ি চোখ মেলে নিজের শরীর স্পর্শ করে দেখতে লাগলাম! না বেঁচে আছি। সিজেল ধীরে ধীরে আমার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো

-- অনেক বোকা তুমি…

আমি মাথা নিচু করে রইলাম,সিজেল যখন কথা বলতেছে তার চেহারা জেনে ভেঙে পরতে লাগলো। চোখের কোণায় অশ্রু ফোঁটা হয়ে বের আসতে লাগলো।

-- চলে যাও...দাই চলে আসলে তুমি বাঁচবে না
-- আর তুমি কি করবে?
-- তুমি আমার কথা ভেবো না
-- নাহ! আমরা যদি যাই তাহলে একসাথে যাবো।

এরমধ্যেই আমি মাষ্টার ইব্রাহিম এর আওয়াজ শুনতে পেলাম।আমি চমকিয়ে বললাম
-- মাষ্টার ইব্রাহিম! সিজেল তুমি এখানে থেকো আমি ইব্রাহিম কে দেখে আসি! বাহিরে যেও না

আমি গিয়ে দেখলাম, শয়তান দুটোর একটি ইব্রাহিম কে পিছনে থেকে চেপে ধরছে অন্য টা সামনে থেকে গলা টিপে ধরেছে। আমি ছুটে ইব্রাহিম এর কাছে আসবো অমনি সে হাতের ইশারায় আমাকে থামিয়ে বললো

-- থেমে যা ওখানে,

আমি দেখলাম চারদিকে অনেক সরু চিকন সুতোর জাল বুনো,এইগুলো খুব ধাড়ালো হয়ে থাকে। ঠিক সময় না থাকলে টুকরো টুকরো হয়ে যেতাম। আমি মাষ্টার ইব্রাহিম এর দিকে তাকিয়ে বললাম

-- মাষ্টার ইব্রাহিম! আপনি ঠিক আছেন? আমার সাহায্য লাগবে আপনার!

শয়তান দুটো ইব্রাহিম কে চেপে ধরছে, সে কোনো মতে চিৎকার করে বললো

-- ওবে,লান্ডুরে আমার তরবারি টা দে!.
-- তরবারি! ওহ হ্যাঁ কই তরবারি!

চারদিকে তাকিয়ে হঠাৎই দেয়ালে গেঁথে পরা তরবারি টার দিকে তাকিয়ে বললাম

-- ঐ তো,

এইবলে বড় বড় পাথর বেঁয়ে উপরে উঠতে লাগলাম। এদিকে বড় শয়তান টা ইব্রাহিম এর গলা শক্ত করে চেপে ধরে মাটি থেকে উপরে তুলতে লাগলো। মাষ্টার ইব্রাহিম কোনরকম চাপা কন্ঠে বলতে লাগলো

-- তাড়াতাড়ি!

তরবারি টা অনেকখানি দেওয়ালে গেঁথে গেছে। এতো টানাটানি করছি কিছুই বেড়িয়ে আসছে না!

-- তুই কি আজ আমারে মেরে ফেলবি নাকি!
-- চেষ্টা করছি তো,এটা শক্ত হয়ে রয়েছে

এতো টানার চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই পারছি না। এদিকে ছোট খাটো শয়তান টা তার হাতের চাবুকটা আমার দিকে ছুড়ে মারলো। আমার সেই দিকে খেয়াল ছিলো না। কিন্তু হঠাৎই কেউ আমাকে সেখান থেকে যথা সময়ে সড়িয়ে নিলো এবং চাবুকের আঘাতে দেয়াল এ ফাটল ধরলো। আমি সাথে সাথেই পিছনে তাকিয়ে দেখলাম সিজেল আবারও একবার আমাকে বাঁচিয়ে নিলো। আমি পিছনে ফিরে মুচকি হেসে বললাম,

-- সিজেল,তুমি!

মাষ্টার ইব্রাহিম শয়তানটাকে একটা ধাক্কা মেরে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো

-- ওবে ওই! ঐ শয়তানের কাছে দাড়িয়ে আছিস কেনো!
-- এ আমার বন্ধু!
-- বন্ধু! দ্যাখ আমার কাছেও দুই-দুই বন্ধু আছে,খুবই ভালো আপ্যায়ন করতেছে! পরিচয় করাবো নাকি?
-- নানানা!
-- দেরি না করে, তরবারি টা দে!

দেয়ালে তরবারি বরাবর ফাটল ধরায় তরবারি টা নিচে পরে গেলো আমি তরবারি টা তুলতে গিয়ে বুঝলাম এটা খুব ভারী! কোনো রকম তরবারি টা তুলে ইব্রাহিম এর দিকে ছুড়ে মারলাম! মনে হয় একটু বেশিই জোড় লাগিয়ে ফেলছি, তরবারি টা মাষ্টার ইব্রাহিম ও শয়তান দুটোর মাঝখানে গেঁথে পরলো। মাষ্টার আমার দিকে তাকিয়ে রইলো, আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম

-- সরি! একটু জোড়ে…..

বড় শয়তান টা তরবারি টা স্পর্শ করতেই শয়তানটির হাতটা আগুন এ পুড়ে গেলো। মাষ্টার ইব্রাহিম ছুটে গিয়ে হাতে তরবারি নিয়ে,চারদিকে চালিয়ে নিজের পজিশন নিলো,এবং ধারালো সুতো গুলো কেটে নিচে পরে গেলো। সে বড় শয়তানটির দিকে তাকিয়ে বললো,

-- চলো কিছু হাঙ্গামা করা যাক,

এই বলে তরবারি নিয়ে ঝাপিয়ে পরলো, শয়তান টির উপর। আর একের পর এক আঘাত চালিয়ে যেতে লাগলো। এদিকে ছোট শয়তানটা তার চাবুক দিয়ে আবার আমাকে আঘাত করতে যাবে অমনি সিজেল হাত দিয়ে চাবুক টা ধরে ফেললো। আর একটা টান দিতেই চাবুকসহ শয়তান টা ছিরকে পরলো। আমার হাত ধরে বললো,

-- এইখানে বিপদ আছে, চলো এখান থেকে!

-- আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!

এইবলেই ইব্রাহিম তার শক্তি বাড়িয়ে দিলো এবং আরও বেশি বেশি আঘাত করতে লাগলো। শয়তানটা তার শক্তির কাছে হার মানলো,এবং কেঁটে টুকরো টুকরো হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। মাষ্টার ছোট আর খাটো শয়তান টার দিকে তাকিয়ে বললো

-- এর তো খেল খতম, চল তোকে ও টা টা বাই বাই করে দেই!

শয়তান টা হিংস্র গর্জন করে তার দিকে ছুটি আসতে লাগলো। মাষ্টার ইব্রাহিম এক ইশারায় তরবারি দিয়ে শয়তানটির মাথা দু ভাগ করে দিলো! শয়তান এর দেহটা কাচের আকার ধারণ করে মেঝেতে আছড়ে পরে ভেঙ্গে পড়লো।

সিজেল আমার হাত ধরে প্রাসাদ থেকে বেড়িয়ে এলো, আর দৌড়াতে লাগলো।

-- জলদি করো,ওদের কে দাই পাঠিয়েছে! দাই আমাদের আশেপাশেই আছে!

দৌড়ানোর অবস্থায় হঠাৎই আমার হাত থেকে দোয়ার বইটা পরে গেলো। আমি দোয়ার বইটা নিতে যাবো কিন্তু সিজেল আটকিয়ে বললো,
-- তাড়াতাড়ি করো
-- বইটা পরে গেছে
-- আমাদের এখন সময় নেই

এইবলে ছুটতে লাগলাম। হঠাই চারদিকে কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। মাটি ফুরে ভয়ংকর সেই লতা গুলো বের হয়ে আসতে লাগলো।

-- দাই চলে এসেছে, আমাদের তাড়াতাড়ি এখান থেকে পালাতে হবে

হঠাৎই চারদিক থেকে সেই ভয়ংকর লতা গুলো আমাকে আর সিজেল কে চারদিক থেকে ঘিরে ধড়লো! লতাপাতা গুলো কিলবিল করতে লাগলো। আমি সিজেল এর হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলাম। হঠাৎই একটা আওয়াজ আসতে লাগলো। লতাগুলো ভেদ করে দাই বের হয়ে বললো

-- সিজেল!

সিজেল চোখ বড় করে,মুখে আতংকের ছোপ নিয়ে বলে উঠলো
-- দাই!

To Be Continued

গল্পটা দেরী করে দেয়ার জন্য আমি দুঃখিত। আসলে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড জ্বর থাকায় আমি আর লিখতে পারিনি। যারা প্রথম থেকে পড়তে পারেন নি তারা আমার আইডিতে পোস্ট দেয়া আছে।পড়ে নিতে পারবেন। ভালো লাগলে জানাবেন, ইনশাআল্লাহ সব ঠিক থাকলে কাল শেষ পর্ব দিব।

#আবির

12/01/2022

..।।.. সিজেল..।।…..

লেখক আবির হাসান

পর্বঃ ৭

-- ওওও,শুধুমাত্র একটা শয়তান ই এতো সুন্দর হতে পারে

সিজেল হঠাৎই রেগে উঠে দাড়ালো, আমি ভয়ে পিছু পা হতে লাগলাম আর বলতে লাগলাম,

-- সিজেল,সিজেল!

সে আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো, আমি ভয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। কিন্তু সিজেল আমাকে বাঁধা দিলো। কিন্তু আমার হাতে থাকা দোয়ার বইটার কারনে সে ছিটকে একটু দূরে আছাড় খেয়ে পড়লো। আমার দেখে খারাপ লাগলো। আমি ছুটি গিয়ে সিজেল কে ধরতে যাবো কিন্তু আমার হাতের দোয়ার বইটার জন্য সিজেল ব্যাথায় আরও ছটফট করতে লাগলো। আমার সিজেল কে এই অবস্থায় দেখে খুব মায়া লাগলো। সিজেল আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো কিন্তু বইটা দেখার সাথে সাথেই আবার ব্যাথায় কাতর হয়ে গেলো। আমি বইটা সড়িয়ে ফেললাম। সিজেল ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে লাগলো, কোনো মতে উঠার চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু তার শক্তি জেনো আরও কমে আসলো। আমি সিজেল এর দিকে তাকিয়ে বললাম

-- তুমি যাও এখান থেকে

সে আমার দিকে তাকিয়ে কোনো মতে উঠে বললো
-- তুমি আমাকে যেতে দিবে?
-- জলদি যাও এখান থেকে,মাষ্টার চলে আসলে তুমি আর বাঁচবে না
-- আমি দয়া ভিক্ষে নিবো না, যদি আমাকে যেতে দাও,পরে পস্তাবে

এই বলে চোখের পলকে দরজা খুলে সিজেল উড়ে গেলো। আমি দরজার কাছে এসে বললাম "সিজেল" কিন্তু শুনলো না সে

-- দুর্ভাগ্যক্রমে সে একজন শয়তান,যদি সে মানুষ হতো

সরোবরের পাশে নরম ঘাসের উপর চিৎ হয়ে সিজেল শুয়ে আছে। তার পিঠে পুড়ে যাওয়া স্থানে অন্তরা হাত স্পর্শ করতেই "উহ" বলে চিৎকার করে উঠলো সিজেল

-- মাষ্টার এর বইয়ে আমি আজ মরেই যেতাম… কিন্তু জানিনা কেনো ছেলেটা আমাকে ছেড়ে দিলো
-- তোমার মাঝে আজ অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে
-- এমনটা না,
-- আজ হয়তো কাল ও দাইয়ের হাতে মারাই যাবে… তুমি নিজেকে ওর জন্য বরবাদ করো না

সিজেল উঠে বসে বললো,

-- আমি জানি
-- সিজেল,সব ছেলেরা একরকমই হয়,ও শুধু তোমার সামনে নিজেকে ভালো বানানোর অভিনয় করছে
( সিজেল নিশ্চুপ)
-- ওরা শুধু মাত্র আমাদের ব্যাবহার করতে পারে…. তারপর ফেলে দেয়
-- তুমি চিন্তা করো না, আমি ওকে মারবো শুধুমাত্র রাত হতে দাও

এইবলে সিজেল সরোবর এর স্বচ্ছ পানির উপর ভেসে থাকা নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকালো।

সকাল হয়ে গেলো, চারদিকে আলো ছড়িয়ে গেলো। আমি আমার জায়গা থেকে একটু নড়লাম না,দোয়ার বইটা হাতে নিয়ে বলতে লাগলাম

-- এতো সুন্দর একটা মেয়ে, শয়তান হলো কি করে
--
যৌবনে আমরাও একসময় প্রেম ভালোবাসার জন্য পাগল ছিলাম,
চলতি পথে শুধু মাত্র ছুটে যেতাম
এক অজানা পথে পাড়ি দিতাম
আর ভাবতাম, জীবনের পূর্ণতা কোথায়!

পিছনে ফিরে তাকাতেই মাষ্টার ইব্রাহিম কে দেখতে পেলাম। আলসেমি দিতে দিতে এসে দাড়ালো আমার সামনে। আমি বলে উঠলাম

-- সারারাত কি ঘুমান নি?
-- নাক ডাকতে ডাকতে ঘুমিয়েছি! এই দুনিয়ায় প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে বিপদ! হয় ফিরে যা নইলে লড়াই কর লান্ডুরে! আর এই ফালতু স্বপ্ন বাদ দে
-- তুমি কি জানবে বাবুমশাই! মানছি আমরা বিপদ এ আছি, তাই বলে তো স্বপ্ন দেখা বন্ধ হতে পারে না!

অন্ধাকার গুহার ভিতর থেকে দাই ও নিতু (দাই এর সহকারী) হাটঁছিলো

-- দাই! এই সিজেল এখোনো ফিরে এলো না, আপনি কি সত্যিই ও কে মাফ করে দিবেন?
-- তুই খুব বড় একটা মুর্খ! অমরতা লাভের জন্য আমার ঐ সিজেল এর আত্মা লাগবে

এই বলে দাই পাথরের দুইটা মূর্তির সামনে গিয়ে বলতে লাগলো

-- উঠো তোমারা! আর কতো ঘুমাবে তোমরা, বেড়িয়ে এসো! তোমাদের শিকার করার সময় এসে গেছে

সাথে সাথেই মূর্তি দুটো কাঁপতে লাগলো! এইটা দেখে দাই খিলখিলিয়ে হাসতে লাগলো।

-- রাত নেমেছে,শয়তান এখন চারদিকে তার শিকার খুজছে! আর অন্যথায় তুমি তার শিকার হবে (মাষ্টার ইব্রাহীম)

তিনি প্রাসাদের চক্কর কাটতে লাগলেন

আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম, আমার পাশে কারোর উপস্থিতি টের পাচ্ছি, ঘুমের মধ্যে থেকেই বলে উঠলাম

-- সিজেল!

আমার পাশে বসে থাকা মেয়েটা নিশ্চুপ হয়ে গেলো, হঠাৎই মাষ্টার ইব্রাহিম থেমে গেলেন,তার তরবারি টা আবার গতকাল রাতের মতন কাঁপতে লাগলো। মাষ্টার ইব্রাহিম সেদিক তাকিয়ে হেসে বললো

-- আবার কোনো শয়তান এসে গেছে,ব্যাটা তোরা পারোস ও বটে!

বলেই তরবারি হাতে নিয়ে দৌড় দিলো, হলরুমের কাছে আসতেই দেখতে পেলো দুটো ভয়ংকর দাবনের ছায়া দাড়িয়ে আছে

মাষ্টার ইব্রাহিম এর তরবারি টা আগের থেকে বেশি কাঁপছে! এটা সাধারণ কোনো শয়তান না! মাষ্টার ইব্রাহিম তাদের দিকে তাকিয়ে বললো

-- দোকান এখন বন্ধ আছে, তাই কোনো খাবার পাবি না

দানব দুটোর একটা ভয়ংকর কন্ঠে বলে উঠলো যে

-- আমরা আজ তোকে দিয়েই মানুষ শিকার শুরু করবো,
-- তাহলে দেখা যাক!

এই বলে মাষ্টার ইব্রাহিম তার তরবারি টা ছায়া মুর্তির দিকে ছুড়ে মারলো,

-- তোর মতন একটা সাধারণ মাষ্টার আমাকে আটকাবে!

এইবলে ছায়ামূর্তি তার একটা হাতের ইশারায় করতেই একটা কফিন তার সামনপ এসে থামলো এবং ইব্রাহিম এর তরবারি সোজা এসে কফিন এ গেঁথে গেলো এবং পুনরায় হাতের ইশারা করতেই কফিন টা ফেটে গেলো এবং তরবারিটা সোজা দেওয়ালে গিয়ে আটকে পরলো! বিশাল আকারের ছায়ামূর্তিটা ইব্রাহিম এর দিকে তেড়ে আসতে লাগলো। মাষ্টার ইব্রাহিম হাতের ইশারা করতেই তার সামনে কতগুলো পাথরের দেয়াল দাড়িয়ে গেলো এবং ছায়ামূর্তি টা সেগুলো একটার পর একটা ভেঙে তার দিকে ছুটে আসতে লাগলো আর অন্য টা মাষ্টার ইব্রাহিম এর চারদিকে ঘুরপাক খেতে লাগলো!

দ্বিতীয় শয়তান টা ইব্রাহিম এর চারপাশে অজস্র সরু সুক্ষ্ম ধাড়ালো সুতোর জাল বিছিয়ে দিলো, একটু ভুল হলেই মাষ্টার ইব্রাহিম এর শরীর কেটে ছিড়ে ফালা-ফালা হয়ে যাবে! অন্য দিকে ছায়ামূর্তি টা ইব্রাহিম কে একটা সজোরে আঘাত করায় সে ছিটকে দেওয়ালে গিয়ে আছড়ে পরলো

শয়তান দুটো মাষ্টার ইব্রাহিম কে চারপাশে থেকে ঘিরে ধরেছে! তার তরবারি টাও অন্য পাশে দেওয়ালে গেঁথে আছে, লাফিয়ে নিয়ে আসাতাও সহজ না! চারপাশে ধাড়ালো সুঁতো বোনা আছে যা খালি চোখে দেখতে পারাটা অসম্ভব!

এরমধ্যেই দ্বিতীয় শয়তান টা তার মাথার চুলের মধ্যে থেকে একটা সুচ বের করে মাটিতে বসে পরলো! চোখ বন্ধ করে কিছু একটা বলতেই সেটা একটা থেকে কয়েক হাজার হয়ে ইব্রাহিম এর দিকে ছুটে আসতে লাগলো

To Be Continued

আর বেশি বাকি নেই, ভালো লাগলে জানাবেন, আগের সব পর্ব আমার আইডিতে পাবেন
#আবির

09/01/2022

.....।।…সিজেল...।।…..

লেখকঃ আবির হাসান

পর্বঃ ০৬

মাষ্টার ইব্রাহিম সাথে সাথেই দৌড়ে প্রাসাদ থেকে বেড়িয়ে আসলো এদিক ঐদিক তাকাতে লাগলো এবং নাক শুঁখে ঘ্রাণ নিতে লাগলো আর বললো

"পিশাচের সুগন্ধ….!"

এরমধ্যেই হঠাৎই একটা সাদা কাপড় হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে তার সামনে থেকে ছুটে যাচ্ছিলো। সে ঐ দিকে ফিরে বললো

-- তুই পালাচ্ছিস, কোথায়

এই বলে মাষ্টার ইব্রাহিম তার তরবারি টা সাদা কাপড়টার উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারলো একটুর জন্য মিস করে তরবারি টা গিয়ে একটা কাঠের পিলারের সাথে গেঁথে গেলো
সাদা কাপড় টা জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে গেলো

-- তোর মনে হয় তুই এখান থেকে পালাতে পারবি?

বলে ইব্রাহিম লাফিয়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে গেলো।

ভয়ংকর এক বাজের শব্দে ঘুম ভেঙে লাফিয়ে উঠে বসে পরলাম, তাড়াতাড়ি ছোট দোয়া বইটা বের করে দোয়া পড়তে লাগলাম। হঠাৎই দরজা খটখটানোর আওয়াজ আসতে লাগলো। এইবার আমর খুবব ভয় করা শুরু করলো। বইটা সামনে রেখে ভয়ে কাঁপতে লাগলাম, ওদিকে দরজায় কেউ ধাক্কা দিয়েই যাচ্ছে! একটা নারী কন্ঠ ভেসে আসতে লাগলো

-- কেউ বাঁচাও আমাকে সাহায্য করো!
-- আমি তোমাকে ভয় পাইনা
- বাঁচাও আমাকে… কেউ বাঁচাও
- আমার ওকে বাঁচাতেই হবে

এইবলে আমি বইটা হাতে নিয়ে আমি দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। দরজা খুলতেই একটা সুন্দরী মেয়ে দৌড়ে ভিতরে ঢুকে পরলো, এবং গিয়ে মেঝেতে বসে পরলো। মোমবাতির আলোয় মেয়েটির সৌন্দর্য জেনো আমাকে বিমোহিত করছে। আমি অপলক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইলাম। আর ভাবছি সত্যি ই কি এতো সুন্দর মেয়ে হতে পারে, রুপ,বডি সাইজ, ফিগারে একদম পার্ফেক্ট! তার উপর সাদা ড্রেস! জেনো এক অপ্সরী, এ মানুষ না পরী। আমি তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করেই মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি ফুটিয়ে বললাম,

-- এ তো সিজেল….!

আমি এক পা এক পা করে সিজেল এর কাছে যেতে লাগলাম,আর বলতে লাগলাম

" চাঁদের মতো সুন্দর তুমি।
জেসমিন এর সুগন্ধ….
নেশা তোমার সৌন্দর্যে…
ঘায়েল হলাম আমি…."

আমরা কিছুক্ষণ একে অপরের চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে রইলাম,মেয়েটি চোখের পলক ফেলে বললো

- কি বলছো, তুমি?

আমি নজর নামিয়ে, এদিক ওদিক মুখ ফিরিয়ে বললাম

-- নাহ, আসলে আমার কোনো আশা ই ছিলো না যে তোমায় এখানে পাবো। সুন্দরী

মেয়েটা হাতটা সড়িয়ে নিলো নিজের, তারপর একটু একটু করে হঠাৎই কান্না শুরু করে দিলো। আমি ঘাবড়ে গিয়ে মেয়েটার কাছে গিয়ে মেঝেতে বসে পরলাম আর বললাম

-- সিজেল, সিজেল তোমার কি হয়েছে

ছলছল চোখে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বললো

-- আমার পরিবার কে পিশাচরা মেরে ফেলে। যদি এখানে দৌড়ে পালিয়ে না আসতাম, তাহলে এতোক্ষণ এ হয়তো.. আমিও মরে যেতাম

এই বলেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। মেয়েটির শীতল স্পর্শ আমার সারা শরীরে ছড়িয়ে গেলো। আমি মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরার জন্য হাত দুটো জাগালাম, কিন্তু তার স্পর্শ করলাম না,বরং বলে উঠলাম,

-- সিজেল, এখন তোমার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এখন আমি তোমার সাথে আছি!

এরপর মেয়েটা আমার দিকে তাকালো, তার সাদা ড্রেস টা খুলতে লাগলো, আমি তাড়াতাড়ি নজর সড়িয়ে বলতে, কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলতে লাগলাম,

-- সিজেল, একি করতেছো?
- যা প্রত্যেক ছেলেরা করতে চায়, তুমিও করে নাও!
- সিজেল, আমি তোমাকে ঐ নজরে কখোনো দেখি নাই।

এই বলেই মেয়েটা আমার উপর ঝাপিয়ে পরলো, আমরা দুজনেই মেঝের খড়ের গাদার উপর শুয়ে পরলাম, মেয়েটা তার একটা হাত আমার বুকের উপর রাখলো, আমি বলতে লাগলাম,

-- একি করতেছো সিজেল
- আহ…! আহ…! আহ!
- দেখো সিজেল, এইটা ঠিক না,ভুল করছ!
- কোথায়,কোথায় হাত লাগাচ্ছো আমার!
- আমার এইরকম কোনো ইচ্ছে নাই! না না না না না না!

এই বলে আমি সিজেল কে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে উঠে বসে বললাম

-- আমি আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের দিকে কখনো চোখ তুলে পর্যন্ত তাকাই নি, স্পর্শ করা তো দূরের কথা…. হে আল্লাহ!
- আমার থেকে ভয় পাচ্ছো নাকি?

নার্ভাস কন্ঠে বললাম,

-- জ্বী,না তো

মেয়েটা উঠে পিছন থেকে আমার পিঠ স্পর্শ করে, মুখ কাঁধের কাছে এনে বললো,

-- তাহলে দূরে পালাচ্ছো কেনো!
- না!! আসলে

এমন সময় ঠাস করে কয়েকটা বাজ পরতে লাগলো।সিজেল পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো

-- শয়তান..!! আমার ভয় লাগিতেছে!

আমি সাথে সাথেই উঠে দাড়ালাম এবং দোয়ার বইটা বের করে এদিক ওদিক ফিরে তাকাতে লাগলাম এবং বলতে লাগলাম

-- শয়তান! কোথায় শয়তান!

সিজেল মুচকি হাসলো

-- ভয় পেও না, আমি তোমাকে বাঁচাবো, চিন্তা করো না তুমি!

এই বলে দোয়ার বইটা সিজেল এর দিকে ফিরাতেই দোয়ার বইটা দেখা মাত্র ই সিজেল চিৎকার করে উঠলো!

-- সিজেল, কি হলো তোমার!
- এটা কি?
- এটা, এটা দোয়ার বই, অনেক দোয়া লিখা আছে এখানে অনেক দোয়া লিখা আছে।
এটা তুমি নেও

এই বলে বইটা নিয়ে আমি সিজেল এর কাছে গেলাম

-- এটা তুমি রাখো, এটা শয়তান থেকে তোমাকে রক্ষা করবে

সিজেল হাতের একটা ঝটকায় বইটা ছুড়ে ফেলে বললো

-- সড়াও এটা!

আমি তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে দোয়ার বইটা মেঝে থেকে হাতে তুলে নিয়ে মুছতে মুছতে বলতে লাগলাম,

-- মাষ্টার ইব্রাহিম বলছিলো, এই বইটাকে শুধু মাত্র শয়তান ই এক ভয় পাব…. হু! তুমি কি একটা শয়তান?

To Be Continued…

আসলে বিগত ২ দিন ধরে আমি খুব ঝামেলায় ছিলাম তাই গল্প লিখতে পারিনি। এইজন্য আমি দুঃখিত। আমরা গল্পের প্রায়ই শেষ এ চলে এসেছি৷ আপনাদের অনেক ধধন্যবাদ যে আমার গল্প পড়ে আমার পাশে থেকেছেন, আশা করি আগামী তেও থাকবেন, ভালো লাগলে জানাবেন, শুকরিয়া, আগের সমস্ত পর্ব আমার আইডিতে আছে। যারা পড়েন নি চাইলে পড়ে নিতে পারেন 😊

#আবির

07/01/2022

.......।।...সিজেল...।।..........

লেখক: আবির হাসান

পর্ব: ০৫

মাথা হাত দিয়ে চেপে ধরা অবস্থায় উঠে বসলাম,ততক্ষণ এ চারদিকে দিনের আলো ফুটে উঠেছে,এদিক ওদিক তাকিয়ে মনে মনে বলতে লাগলাম ,

- এই আমি কোথায় এসে গেলাম!

মাথা টা ভার হয়ে আছে,মাথার উপর একটু ভাবনার চাপ দিতেই আমার কাল রাতের ঘটনা মনে পরে গেলো

- ওহ .. আরে নাহ! আমাকে জলদি যেতে হবে

তাড়াতাড়ি পাশে মাটিতে পরে থাকা ভারী ব্যাগটা কাঁধে তুলে নিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলাম

নিজের চিত্রকলার মধ্যে,সরবরের সামনে একটা পাথরের উপর শুয়ে ছিলো সিজেল, অন্তরা সরবর থেকে পানি উঠিয়ে তার কোমল পিঠে ঢালছে,পরিবেশ টা একটা সুন্দর বাষ্পে ভরে গেছে,অন্তরা সিজেল পিঠে হাত রেখে কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো

- চিন্তা করো না, দাই কে আমি দ্বিতীয় বারও তোমাকে মাফ করতে বলবো নে (অন্তরা)
- এই জায়গা নরকের মতন,আর আমরা এখানে ফেঁসে গিয়েছি (সিজেল)

একটু থেমে নিজের ডান হাত দিয়ে সরবরের পানি স্পর্শ করতে করতে বললো

- এই নরকের কোনো মুক্তি হতে পারে না,আমরা এইখানে কয়েদি হয়েছি,অভিশপ্ত হয়ে গেছি আমরা
-(দীর্ঘশ্বাস) কিন্তু তুমি এরকম না,একদিন এখান থেকে তুমি নিশ্চয়ই বাহিরে বের হবে

সিজেল অন্তরার পায়ে একটা পায়েল যার সাথে ছোট একটা ঘন্টা লাগানো আছে সেটার দিকে তাকিয়ে বললো

- যতক্ষণ আমাদের আত্না, বশীকরণ সাথে জুড়ে থাকবে৷ আমরা কোথাও পালাতে পারবো না .......

একটু থেমে অন্তরার দিকে তাকিয়ে বললো

- দাইয়ের কাছে আমি শুধু এক কাঠপুতুলি৷

এই বলে সিজেল একটা দীর্ঘশ্বাস নিলো,অন্তরা সরবরের ঝিলমিলি পানির দিকে তাকিয়ে রইলো

আকাশে মেঘ ছেয়ে গেছে, মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে,আকাশে বজ্রপাত হচ্ছ ইতিমধ্যে জঙ্গলের মাটির রাস্তা ভিজে কাঁদা হয়ে গেলো,কোনোমতে পাশ কাঁটিয়ে এগোতে লাগলাম,

- বাপ রে ! কি বৃষ্টি মনে হচ্ছে বাদল ফেঁটে যাবে

আমি হাঁটতে হাঁটতে কোনো মতে একটা প্রাসাদের কাছে আসলাম,অনেক পুরোনো ১০০ বছরের কাছাকাছি হতে পারে, প্রাসাদের কিছু অংশ ভেঙ্গে পরেছে,এদিকে যেমন প্রচুর বৃষ্টি তেমন আকাশে বাজ পরতেছে, কোনোমতে রাত টা কাটিয়ে দিতে পারলেই হলো আমি কাঁদা এড়িয়ে কোনো
মতে প্রসাদের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম দরজা ঠেলে দিতেই হুমড়ি খেয়ে ভিতরে ঢুকে পরলাম,মাথায় আর বৃষ্টি পরছে না, একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে যেই সামনে তাকালাম, চমকে উঠলাম আমি,প্রাসাদের ভিতরের অবস্থা খুব খারাপ,অন্ধকার, জানালার ফাঁকদিয়ে একটু চাঁদের আলো আসে কিন্তু ঝড় শুরু হয়েছে বলে তা নিতান্তই তুচ্ছ ,আমি খুব ভয় পেলাম যখন দেখলাম আমার সামনেই সারি সারি কতগুলো কফিন সাজানো,আতকে উঠলাম ৷ ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলাম,

- এ আবার কোন মৃত্যুপুরী তে এসে হাজির হলাম, কোথায় এলাম! জনমানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন একটা অঞ্চল।

কাঠের জানালা গুলো কড়মড় কড়মড় করে হাওয়ায় নছড়ে,আমি ভয়ে কুচকে যেতে লাগলাম,হঠাৎই আমার পিছনে কারোর নিশ্বাসের শব্দ শুনলাম, ধীরে ধীরে ঘাড় ঘুরাতেই আমি কালো পোশাক পরা হাতে ক্যান্ডিকেন নিয়ে দাড়িয়ে থাকা একজন লোক কে দেখেই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে উপরে ছাদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলাম,

- ভূউউউউততততত...আআআআ এইখানে ভূত আছেএএএএ!!

লোকটা আমার জামা ধরে টেনে কাছে নিয়ে বললো।

- আমাকে তুই ভূত দেখতেছিস লান্ডুরে!।

আমি কাঁপাকাঁপা কন্ঠে লোকটাকে দেখতে দেখতে বলতে লাগলাম

- তুতুতুতু..... (কন্ঠস্বর টা স্বভাবিক করে) হ্যাঁ তুমি হলে.. ঐ দাড়িওয়ালা!
- ওবে, দাড়িওয়ালা হবে তোর শশুড়! আমি ইব্রাহিম,
- ওহ!
- হুসসস ওব্বে ধীরে বল,এইখানে বহুত ভূত,পিশাচ গভীর ঘুরে ঘুমাচ্ছে ,ওদের কে ভুল করেও জাগাস না

সাথে সাথে নিজের মুখ চেপে ধরলাম। এই বলে ইব্রাহিম চলে গেলো। ঠাসসস করে একটা বাজ পড়লো, মনের ভিতরে জমে থাকা ভয়টা জাগ্রত হয়ে উঠলো, ইব্রাহিম একটু সামনে এগিয়ে বলে লাগলে

- একটা কথা বল, তুই এখানে কি করছিস?
- আমি তো এখানে রাত কাটাতে আসছিলাম
- আসলে আমি তো আসছিলাম আপনার কাছে!

মাষ্টার ইব্রাহিম আমার দিকে একঝলক তাকিয়ে বললো

-আমার কাছে?
- জ্বী হ্যাঁ

রেগেই আমার দিকে তেড়ে এসে বললো

-ঐঐ তুই কি পাগল হয়ে গেছিস?

আমি চুপ রইলাম,সে আবার বলে উঠলো

-এইসব পাগলামি বাদ দিয়ে কাল সকালেই বাড়ি ফিরে যাবি
- কিন্তু আমি তো… আপনার কাছ থেকে ভুত প্রেত জ্বীন এদের বিষয় এ

সাথে সাথেই মাষ্টার ইব্রাহিম আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো

-- দেখ লান্ডুরে! এই যে যারা ঘুমাচ্ছে এদের মধ্যে কেউ জেগে গেলে তোর প্যান্ট ভিজে যাবে

আবার ঠাস-ঠাস করে একেকটা বাজ পরতে লাগলো। আমি ভয়ে,এবং ঠান্ডায় কাঁটা হিরে দিতে লাগলো। ইব্রাহিম একটা মশাল জ্বালালো। আমি তার কাছে গিয়ে বললাম

-- এখানে কি সবাই ভুততত!
- হে হে ঠিক বলেছিস,আমার সাথে আয়
- তাহলে থাক,আমি অন্য কোথাও রাত কাটিয়ে নিবো
মশাল টা রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো

-- ভুতপ্রেত সম্পর্কে জানতে এসে পালাচ্ছিস! অব্বে বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে আর এটাই ঐ সময় যখন ভূত পিশাচ বাহিরে তান্ডব করে বেড়ায়… এর জন্য বাহিরে যাস না,আয় আমি তোর থাকার ব্যাবস্থা করে দিবো।

আমি চুপটি করে তার পিছু পিছু যেতে লাগলাম

-- হেহে লান্ডুরে! তোর কি এখন ও ভয় করতাছে
- কত বড় জায়গা! এত্তো বড় একটা প্রাসাদ প্রেতপুরী হলো কি করে!
- কোনো একসময় এটা একটা জমকালো প্রাসাদ থাকলেও এক রাতে প্রাসাদের কবজ নষ্ট হয়ে যায় এবং ভয়ংকর পিশাচরা হামলা করে আর সবাইকে হত্যা করে। এখানকার স্থানীয় গ্রামবাসীরা তান্ত্রিক, মাওলানা দের সাহায্যে ঐ পিশাচদের উপর কাবু করার চেষ্টা.. কিন্তু পিশাচরা এই গ্রামে লাশের বন্যা বইয়ে দেয় আর তান্ত্রিক, মাওলানা আর হুজুর দের কে হত্যা করে তাদের আত্মা খেয়ে ফেলে!
- তাহলে আপনি কেনো থাকতে চান এখানে আপনি ও কি যাযাবর?

মাষ্টার ইব্রাহিম হুট করে আমার দিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে বললো

-- এই ফালতু প্রশ্ন করিস না, আর তোর মুখে লাগাম দে

আমি সাথে সাথে মুখে হাত রেখে চুপ হয়ে গেলাম। আমার হাতে ক্যান্ডিকেন টা দিয়ে বললো

-- এই নে ধর! এইহলো তোর রুম, নে শুয়ে পর!

আমি চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখতে লাগলাম, কি ভয়ংকর! ভয়ে ঢোক গিলে বলতে লাগলাম

-- আমি কি এখানে একা ঘুমাবো!
- তো কি পুরো গ্রামকে ডাক দিবো!
- নাহ
- এই নে এটা রাখ..( একটা পাতলা বই দিয়ে বললো) এখানে কিছু দোয়া আছে তোকে রক্ষা করবে

এই বলে সে চলে যেতে লাগলো

- আমি কি করবো
- আপাতত শুয়ে পর! আর হ্যাঁ যা কিছু হয়ে যাক দরজা খুলবি না!

রাত ক্রমশ গভীর হচ্ছে

ইব্রাহীম পাত্র থেকে এক ঢোক পানি নিয়ে মুখে কুলি করে ফেললো। তারপর সে কয়েক ঢোক পানি পান করলো। এবং একটা ভাঙ্গা পাথরের সাথে নিজের তরবারি টা রেখে একটা চৌকির উপর বসতে গিয়ে ই থেমে গেলো…! অদৃশ্য কারোর উপস্থিতি টের পেলো! সে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো! হঠাই তার তরবারি টা নিজ থেকে কাঁপতে লাগলো, সে তরবারি টা হাতে নিয়ে,

'' শয়তান"

বলে সাথে সাথেই বেড়িয়ে গেলো

To Be Continued!

sorry একটু দেরিতে পোস্ট করার জন্য, যারা প্রথম থেকে পড়েন নি তারা আমার আইডিতে পড়ে নিতে পারবেন। আমার সাথে থাকুন 😊

05/01/2022

........।।..সিজেল..।। ........

লেখক: আবির হাসান


পর্ব: ০৪

- এই শিকারী,আমার এলাকা এটা৷ তুই আমার এলাকায় কেনো আসিস(দাই)
- তুমি ঐ দুষ্টু লোকেদের হত্যা করো তাতে আমার কোনো পরোয়া নেই কিন্তু এই ছেলেটার দিকে ভুল করেও নজর দিবেনা, যদিও এ কোনো মহাপুরুষ হবেনা(ইব্রাহিম)
- তুই ভুল করছিস শিকারী,আমি ওকে নিশ্চয়ই মারবো (দাই)
- এই বুড়ি আমাদের কে না বলছে!(সিরাজ)
- তাহলে আমি তোমাদের দুজন কেও মারবো (দাই)

এই বলে দাই হাত মুঠ করতেই আবার মাটি ফুড়ে সেই লতানো শিকড় গুলো বেড়িয়ে আসলো,ইব্রাহিম সিরাজ নিজেদের তলোয়ার বের করে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করলো ৷ কিন্তু হঠাৎই কোথা থেকে জেনো একটা বিকট আওয়াজ আসতে লাগলো, আওয়াজ টা শুনে দাই থেমে গেলো, আওয়াজটা আমার কানের কাছে পৌছাতেই আমার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা শুরু হলো,ইব্রাহিম আর সিরাজ এদিক ওদিক
তাকাতে লাগলো আর বললো

- সাবধান,এইটা কালমুখী পিশাচের সংকেত!

আমি যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে কান দু হাত দিয়ে চেপে ধরে মাটিতে গড়াগড়ি করতে লাগলাম

- আহ-আহ!
- কালমুখী পিশাচের আহব্বান,আজ তোমরা বেঁচে গেছো (দাই)

এই বলে দাই পিশাচ ভয়ংকর হাসি দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো,মেয়েটা চলে গেলো
আমি মাথা চেপে ধরে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যাই ৷
ইব্রাহিম আমার পাশে এসে বসে পরলো

- ঐ লন্ডুরে, চোখ খোল... এর তো,এর কিসমত অনেক ভালো,মনে হচ্ছে মৃত্যু ও একে এখন মারতে চায়না (ইব্রাহিম)
- ও ঠিক আছে তো (সিরাজ)
- দুষ্টু শক্তি ওর শরীরে এসেছিলো,কিন্তু আমি মন্ত্রশক্তি দিয়ে বের করে দিয়েছি,তুই দ্বিতীয়বার ঐ পিশাচের সাথে পাঙ্গা কেন নিছোস? (ইব্রাহিম)
সিরাজ হাত দিয়ে আমাকে দেখিয়ে বললো
- এর জন্য ,আর তাছাড়াও তুমি এই মাঝরাতে এইখানে ভেপু বাজাচ্ছিলিস ?(সিরাজ)
- আব্বে, যদি আমি এইখানে না আসতাম, তাইলে এতক্ষণ এ তুই ভুত হয়ে যেতিস, যদি আমার সাহায্য না চাস৷তাইলে গোল্লায় যা (ইব্রাহিম)

এই বলে ইব্রাহিম চলে যেতে চাইলে সিরাজ সামনে এসে আটকে দিয়ে বলে

- এ-এ-এ তুমি যেতে পারবে না(সিরাজ)
- কেনো(ইব্রাহিম)
- এখন পর্যন্ত ফলাফল হয়নি যে আমাদের মাঝে কে Best

( মাষ্টার ইব্রাহিম ও মাষ্টার সিরাজ দুজনেই ভুত-প্রেত শিকার করলেও বয়স,ক্ষমতায় সিরাজ এর থেকে ইব্রাহিম অনেকটা এগিয়ে, দুজনার বয়সের পার্থক্য তেমন না মধ্য বয়স্ক। তো মাষ্টার সিরাজ সবসময় এই আশায় থাকে মাষ্টার ইব্রাহিম কে পিছনে ফেলতে, তো তারা কয়েকবারই প্রতিযোগিতা চলে বেশিরভাগই ইব্রাহীম জিতে যেতো,যদি ও সিরাজ ভাবে ভাগ্য ইব্রাহিম এর সহায় হয়)

- তাই বুঝি, ঐ দেখ পিশাচ আসছে (ইব্রাহিম)
- কই কোথায়,নাই তো..... (সিরাজ)

সিরাজ পিছনে তাকাতেই ইব্রাহিম সেখান থেকে চলে গেলো

- ঐ আমাকে উল্লু বানিয়ে চলে গেছিস, ছাড়বো না তোকে আমি৷

এই বলে সিরাজ ও চলে গেলো,আমি জঙ্গলের মাটিতেই পরে রইলাম৷

এইদিকে ,দাই দাড়িয়ে আছে তাকে ঘিরে কয়েকটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে,নিচে কালো পিশাচ গুলো হামাগুড়ি দিচ্ছে৷ দাই এর সামনে 9-10 জন পা থেকে মাথা পর্যন্ত লাল জামা পরে দাড়িয়ে আছে, মাথায় বড় টুপিটার কারণে তাদের কারোর ই চেহারা দেখা যাচ্ছে না

- কালমুখী পিশাচ,আমাকে মনে করেছে৷ বলুন আমি তার কি সেবা করতে পারি (দাই)

লোকগুলো পাশে সড়ে গিয়ে মাঝখানে একটু জায়গা করে ফেললো, সেখানে লাল রংয়ের একটা বাক্স আছে যেটা দেখে দাই বললো

- আচ্ছা এই ব্যাপার, যাও তাকে বলো তিনদিন পর মেয়েদের নেয়ার জন্য লোক পাঠাতে৷

,লোকগুলো মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো দাই আবার কাশতে লাগলে,কাশতে কাশতে বললো ,

- ঐ শিকারী গুলো আমার জীবনীশক্তির উপর আঘাত করেছে,ঐ শয়তানি টাকে আমার কাছে আনো৷ (দাই)

দুজন মেয়ে সাদা কাপড় পরা মেয়েটার দুই হাত ধরে টেনে এনে দাইয়ের সামনে ছেড়ে দিলো, মেয়েটা মেঝেতে বসে পরলো দাই ধীরে ধীরে বলতে লাগলো

- আমি সব জানি,যে তুই কি করেছিস
,বেপরোয়া (হঠাই রেগে বললো) বল তুই ঐ ছেলেটাকে কেনো...যেতে দিয়েছিস বল!

দাইয়ের ডান পাশে দাড়িয়ে থাকা নীল ড্রেস পরা মেয়েটা বললো

- দাই,শান্ত হন৷ যদি পিশাচদের শিকারী রা না থাকতো তাহলে সিজেল ওকে (আবির কে)এতক্ষণ এ মেরেই ফেলতো!

দাইয়ের বাম পাশে দাড়িয়ে থাকা কালো ড্রেস পরা মেয়েটা বললো

- হু আমার তো সেটা মনে হয়না ..
- আমি ঐ ওস্তাদ( পিশাচ শিকারীদের) সহজ মৃত্যু দিবো না (দাই)
- দাই, শান্ত হন না! ঐ দুই শিকারী তো সবসময় ছেলেটাকে বাঁচাতে পারবে না। সিজেল, কে আর একটা সুয়োগ দিন,যদি এইবার না পারে তাহলে যা মর্জি করার করবেন ( নীল ড্রেস পরা মেয়েটা)

- দাই, সিজেল একবার ব্যার্থ হয়েছে,কেমন হবে যদি আপনি আমাকে একটা সুযোগ দেন (কালো ড্রেস পরা মেয়েটা)

দাই সাথে সাথে মেয়েটার গালে কষিয়ে একটা চড় মারলো,মেয়েটা মেঝেতে পরে গেলো,রাগে বললো

- তুই বাজে কথা বন্ধ কর! (দাই)

এরপর সিজেল দিকে ফিরে মুচকি হেসে হাঁটতে হাঁটতে সিজেলের কাছে এসে তার বাম হাত টা বাড়িয়ে দিলো,সিজেল দাইয়ের বাম হাতে হাত রেখে উঠে দাড়ালো,দাই মুখে হাসি ফুটিয়ে সিজেল এর দিকে তাকিয়ে বললো

- সিজেল, এই দাই তোকে সবার থেকে বেশি ভালোবাসা দিয়েছে, এই দাই তোর কাছ থেকে শুধু এইটুকুই চায়,ঐ ছেলের যুবক আত্না এনে আমাকে দে...আমায়

নিশ্চুপ

- কিরে আনবি না তুই?

সিজেল ধীরে ধীরে মুখটা পিছনে সড়িয়ে কালমুখী পিশাচের পাঠানো বাক্সটার দিকে তাকিয়ে দাইয়ের মুখের দিক তাকাতেই দাই গর্জন করে উঠলো

- আমার ওকে চাই!!!

সিজেল ভয় পেয়ে বলে উঠলো
- হ্যাঁ দাই

দাইয়ের মুখে হাসি ফুটে উঠলো,দাই হাসতে লাগলো.....

To Be Continued
#আবির

04/01/2022

........।।...সিজেল...।। ..........

লেখক: আবির হাসান

পর্ব: ০৩


আমরা মেঝেতে পরে গেলাম, আমিও ঠিক মেয়েটার গায়ের উপরে পরলাম, সামলাতে না পেরে টি টেবিলের কোণায় মেয়েটার ড্রেসের একটা অংশ আটকে গিয়ে একটানে ছিড়ে গেছে,পায়ের কাছ থেকে, আমি তার সুন্দর মশৃন পায়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম ৷আমি পুরো ঘাবড়ে গেছি, কিন্তু মেয়েটার চোখে বিন্দু মাত্র লেশ দেখতে পেলাম না, সে মেঝেতে শোয়া অবস্খায় ই বলতে লাগলো

- আরে আবির,তুমি তো খুব দুষ্টু,আমার ড্রেসটা ছিড়ে ফেলছো..... উহ! কোথায় কোথায় হাত দিচ্ছো।

আমি ছলছল কন্ঠে,আমতা আমতা করে বলতে লাগলাম

- আমি! আমি আমি! জেনে শুনে কিচ্ছুটি করিনি ...

হঠাৎই আমার হাত ধরে একটা টান দিয়ে মেঝেতে ফেলে আমার বুকের উপর একটা হাত রেখে মিষ্টি কন্ঠে বলছে,

- আবির,আমার খুব ঠান্ডা লাগলছে
- কিন্তু আমার গগগ....

কোনো মতে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে উঠে দাড়ালাম, দৌড়ে দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবার পিছনে ফিরে এলাম,মেয়েটা শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসে আবার আমার দিকে সেই অপরুপ সুন্দর হাসিটা ফুটিয়ে তুললো, আমি তার দিকে ফিরে বললাম ,

- মাফ করবেন সুন্দরী

তাড়াতাড়ি ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে,আরেক হাতে ক্যান্ডিকেন টাকে নিয়ে দরজার দিকে দৌড়াতে লাগলাম , মেয়েটা আবার ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটিয়ে বলে উঠল

- এক নাম্বারের একটা গাধা!

এই বলে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো৷ গেট দিয়ে বের হয়ে জঙ্গলের এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা দিয়ে জোড় পায়ে তাড়াতাড়ি হেঁটে যাচ্ছিলাম

- না-না-না, ভাই আবির, বের হ এখান থেকে নইলে এই সুন্দরী, কুমারী হয়ে তোর সর্বনাশ করে দিবে ... হুহুহু ৷

ভাবতে ভাবতে কখন যে জঙ্গলে পৌছে গেলাম খেয়াল ছিলো না ,মেয়েটা উড়ে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে আরেকটা গাছের ডালে নেমে আড়ালে আমাকে দেখতে লাগলো

- ভাই আবির, তুই একটা মেয়েকে দেখে এইভাবে . হুহুহু..!সামলা নিজেকে, নিজের চাহিদার উপর কাবু রাখ আহ আহ হুহুহু

কেউ জেনো হাওয়ায় ভেসে ভেসে আমাকে পিছু নিচ্ছিলো কিন্তু আমার সেই দিকে কোনো খেয়াল ছিলো না। মনে মনে নিজেকে বলতে লাগলাম আর জোড়ে নিশ্বাস নিতে লাগলাম,মাটি থেকে একটা পাথর তুলে বলতে লাগলাম

- আবির ভেঙ্গে পরিস না,মজবুত হ ঠিক এই পাথরের মতন !

এই বলে পাথরটা উপরের দিকে ছুড়ে ফেললাম, সাথে সাথেই গাছ থেকে ধুম করে কিছু একটা নিচে পরার আওয়াজ পেলাম ,
ঐদিকে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মেয়েটাও অবাক হলো

- এইডা মারলো কেঠায়, উরি মা! হাড্ডি ভেঙ্গে দিছে!( লোকটা)
- দুঃখিত মাফ করে দেন(আমি)
- ঐ তুমি মারছিস নাকি
বলে লোকটা তেড়ে আসতে লাগলো,
- না-না-না ভাই...
- তোরে আজ আমি শেষই...
- না-না আমি ইচ্ছা করে মারি নাই

লোকটা এসেই আমার হাত চেপে ধরলো,ক্যান্ডিকেন টা মুখের কাছে তুলে ধরলাম আমি লোকটার মুখটা দেখেই চিনতে পারলাম,আরে এ তো ঐ লোকের মধ্যে একজন কি জেনো নাম, হ্যাঁ মনে পরছে মাষ্টার ইব্রাহিম , যারে আমি খুঁজে বেড়াই তার সাথে ই দেখা। তারে খুঁজতেই বাড়ি থেকে বের হইছিলাম,ঘটনাক্রমে এইখানে এসে পরছি৷ ছোটবেলা থেকেই আমার ভুতপ্রেত এর প্রতি খুব গভীর আগ্রহ আছে। জীবনে সত্যি সত্যি তিন তিন বার জ্বীন দেখার পর আরও কৌতুহল বেড়ে যায়,তারপর এই মাষ্টার ইব্রাহিম এর কথা শুনতে পারি, কোনো ভুুত প্রেত তার কাছ থেকে বাঁচতে পারেনি! যারা বহু প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন মাষ্টার হতে পারে। তাদের কাজই হলো ভুত,প্রেত,দানবের সাথে লড়াই করা

- ওওও তুমি,ঐ সেই(আমি)
সিরাজ আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো
- না আমি সেই নই, আমি মাষ্টার সিরাজ (সিরাজ)

হঠাৎই সে অন্যমনস্ক হয়ে গেলো,

এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো
- কি ফাটা কপাল আমার,এত্তো খোজার পর তোমায় এখন পাইলাম, কত্ত লোকসান করছো আমার.....

মাষ্টার সিরাজ মুখে আঙ্গুল রেখে বললো

- হুসসস,

জঙ্গলে কেমন জেনো অদ্ভুত একটা আওয়াজ আসছে,শুনশান জঙ্গলে কড়কড় করে শুকনো পাতার আওয়াজ,সিরাজ জামার ভিতরের পকেট দিয়ে সিলভারের বাটির মতন দেখতে একটা বস্তু বের করে সামনে ধরলো,আমি অবাক চোখে দেখতে লাগলো, হঠাৎই বস্তুটি ঘুরতে শুরু করলো
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলতে লাগলাম,

- দেখো প্রথম থেকেই ঝামেলায় আছি
,এখন আবার এইটা বলো না যে এইখানে শয়তান আছে
- শয়তান আছে এখানে
- হ্যাঁ আমি জানতাম তুমি এইটাই বলবে

সিরাজ পকেট থেকে সেই হলুদ দুটো কাগজের টুকরো, মানুষের মতন আকার দেওয়া বের করে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলে ছুড়ে মারতেই সেগুলো প্রজাপতির মতন উড়ে যেতে লাগলো ৷ আমি ভয় পেয়ে সিরাজের পিছনে লুকিয়ে পরলাম,সিরাজ চারদিকে গভীর মনোসংযোগ করতে লাগলো,পিছন থেকে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলাম

- এইখানে কি সত্যিই শয়তান আছে?(আমি)

কথাটা শুনে সিরাজ একটু বিচলিত হলো, তার হলুদ কাগজের একটি টুকরো লাল হয়ে ফিরে এলো,সে সেটা হাতে নিয়ে বললো

- পিশাচ অনেক শক্তিশালী!
- তোমার কি এইটা মনে হচ্ছেনা যে এটা হাওয়ার কারণে হয়েছে?
হঠাৎই সেই বস্তুটা কাঁপতে লাগলো
- কি তোমার যন্ত্র ভেঙ্গে গেছে?

মাটি ফুড়ে বের হয়ে আবার ভিতরে ঢুকে এই অবস্থায় কয়েকটা মোটা লতার শিকড় আমাদের দিকে আসতে লাগলো ,এসেই প্রথমে সিরাজকে পেঁচিয়ে শূন্য তুলে একটু দূরে আছাড় মারে আর আমাকে একটা জোড়ে ধাক্কা মারে, আমি ছিটকে একটু দুরে মাটিতে আছড়ে পরি,

- উরে বাবা রে!(আমি)

আবার সেই অদ্ভুত ভয়ংকর হাসির শব্দ কালো লম্বা পোশাক পরা একটা নারী পিশাচ হাসতে হাসতে দৃশ্যমান হলো, চারটা মোটা লতানো শিকড় তার চারদিকে পেঁচিয়ে মোড়ামুড়ি করতে লাগলো,আমি দেখে ভয়ে কোনো মতে উঠে পাশে গাছের পিছনে লুকিয়ে পরলাম ,গাছের আড়ালে থাকা সাদা ড্রেসের মেয়েটা বললো,

- দাই কেনো আসলো!

লম্বা লম্বা আঙ্গুলগুলো নাড়াতে নাড়াতে বললো

- কি সুন্দর সুগন্ধ ..!( দাই)
- পিশাচিনী আজ তোকে আমি টুকরো টুকরো করে ফেলবো(সিরাজ)

এই বলে সিরাজ সামনে এগিয়ে দুইহাতের দুটো আঙ্গুল উপরে তুলে বিড়বিড় করে দোয়া পড়তে লাগলো এবং সাথে সাথে আকাশের অবস্থা পাল্টে যেতে শুরু করলো,ভয়ানক কালো মেঘে ঢেকে গেলো
বাজ পরতে লাগলো,হাতটা সামনে নাড়াতে ই আকাশ থেকে একটা বাজ ঠিক সিরাজ এর পায়ের কাছ পরলো, সিরাজ লাফিয়ে একটু পিছিয়ে গিয়ে বললো

- এ তো দেখে আমার বিড়াল, আমাকেই মেও

,পিশাচিনী হাসছে, সিরাজ আরেকবার চেষ্টা চালালে, কিন্তু সেই আগের মতনই হলো,সিরাজ উপরে তাকিয়ে বললো

- আমাকে না ওকে মারতে হবে,

এইবলে সিরাজ হাতের ইশারা করতেই কোথা থেকে উড়ে এসে একটা তরবারি তার হাতে চলে আসলো। তরবারি নিয়ে দাইয়ের দিকে এক লাফে ছুটে আসলো। তরবারিটা দাই এর চোখের সামনে আসতেই সিরাজ হঠাৎই থেমে গেলো,সিরাজের কোমড় পেঁচিয়ে ধরলো মোটা একটা শিকড় ,দাই বাম হাতটা একটু নাড়াতেই শিকড় টা সিরাজ কে টেনে নিয়ে আরো একটা শিকড় এসে সিরাজ কে একটা গাছের সাথে পেঁচিয়ে ধরলো,আমি ভয়ে ভয়ে বলতে লাগলাম

- আরে বাবা,এ তো গেছে আজ
- ছোট ওস্তাদ, তুই তো এখোনো অনেক ছোট! (দাই)

এই বলে দাই তার দুইহাত জোড়ে সামনে বাড়াতেই, দুটো শিকড় আমার দিকে ছুটে আসতে লাগলো, আমি কিছু করার আগেই সেগুলো আমাকে জড়িয়ে পেঁচিয়ে নিলো এবং এক টানে দাইয়ের সামনে নিয়ে গেলো,দাই খপ করে আমার কলার টা ধরে ফেললো,আমাকে তার কাছে টেনে নিলো এবং নাক দিয়ে গন্ধ শুকতে লাগলো,আমি ভয়ে চিৎকার করতে লাগলাম ,

- ছেড়ে দে ওকে!(সিরাজ)
- বাঁচাও আমায় (আমি)

সিরাজ নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো ,দাই আমাকে টেনে তার কাছে নিয়ে নাখ দিয়ে আমার সারা শরীল এর গন্ধ শুখতে শুখতে বলতে লাগলো

- আরে ভাই আমাকে সাহায্য কর!

দাই মুখে ভয়ংকর একটা হাসি ফুটিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো

- আমি তোমার আত্মা কে চুষে চুষে খাবো
- ঐ ওকে ছেড়ে দে বলছি(সিরাজ)

দাই পিশাচ হাসতে হাসতে তার মুখ হা করতে লাগলো আর হঠাৎই জেনো আমার দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগলো,শ্বাস নিতে প্রচুর কষ্ট হতে লাগলো,জেনো দম গলা ফেটে বেড়িয়ে আসবে,তবে এই কি আমার মৃত্যু!
আমি ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করে ফেললাম

হঠাই একটা বড় তলোয়ার এসে দাইয়ের দুটো হাত ছিড়ে বেড়িয়ে গেলো,দাইয়ের হাত দুটো কেটে নিচে মাটিতে পরে গেলো, আমাকে ছেড়ে দিয়ে দাই ভয়ংকর গর্জন করতে লাগলো,তার সাদা মুখটা এখন বিভৎস কালো রংয়ের হয়ে গেলো,কাঁটা হাত দুটো কাঁপতে লাগলো সেখান থেকে কাঁটছে সেই হাতের ভিতর থেকে ছোট ছোট লতা বের হয়ে আবার নতুন দুটো হাতের আকার নিলো,আর দাইকে আঘাত করা তরবারিটা আবার ভাসতে ভাসতে আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা ইব্রাহিমের হাতে গিয়ে থামলো,আমি বলে উঠলাম!

- মাষ্টার ইব্রাহিম!

মাষ্টার ইব্রাহিম খপ করে তরবারি টা ধরে ফেললো,দাই রেগে ফসফস আওয়াজ বের করতে লাগলো, দাই তার হাতদুটো জোড়ে সামনে ঠেলে দিতেই তিনটা বড় শিকড় তিনদিক থেকে আমাদের দিকে ধেয়ে আসতে লাগলো, ইব্রাহিম আমার বুকে হাত রেখে পিছনে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে বললো,

- সড় এখান থেকে

আর সে তার তরবারিটা ঘুরাতে ঘুরাতে শিকড়গুলোর মাথা কাঁটতে লাগলো
আমি তার ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে পিছনে কাত হয়ে পরতে শুরু করলাম, মাটির ওপর একটা সুচালো ডাল গেথে ছিলো আমি ঐটারে উপরই পরতে গেলাম, এরমধ্যেই গাছ থেকে হটাৎই কেউ একজন এসে আমাকে সোজা আকাশে তুলে নিলো এবং আমাকে সুচালো ডালটার উপর পরার হাত থেকে সড়িয়ে নিলো,নইলে ঐটার উপর পরলো ডালটা আমার পেট ফুড়ে বেড়িয়ে যেতো, দাই হাত মুঠ করতে লাগলো,শিকড় গুলো আরো জোড়ে এগিয়ে আসতে লাগলো, ইব্রাহিম লাফিয়ে সড়ে গিয়ে সিরাজের বুকের উপর তরবারি দিয়ে আঘাত করলো ৷ আমাকে একটু আড়ালে মাটিতে নামিয়ে দিলো। আমি তাকিয়ে সেই মেয়েটাকে দেখতে পেয়ে বললাম,

- সুন্দরী তুমি!

তরবারির আঘাতে সিরাজের বুক পেঁচিয়ে থাকা লতাগুলো ছিড়ে গেলো,
- দ্যাখ আমি কিন্তু বাঁচাতে বলিনি (সিরাজ)
- লান্ডুরে এখন এইসব এর সময় না,(ইব্রাহিম)

হঠাৎই একটা শিকড় এসে তাদের দুজনকেই আঘাত করতেই তারা দু দিকে ছিটকে গেলো, এইসব দেখে আমি অন্ধকারের ভিতরে মাটি একটা লাঠি হাতে তুলে নিয়ে একটু সামনে এগিয়ে,মেয়েটাকে আড়াল করে বললাম

- সুন্দরী ! এইখানে শয়তান আছে,তুমি আমার পিছনে লুকিয়ে পরো,
- নিজেকে সামলানোর মুরদ নেই,আসছে আবার আমায়.....!

বলে মেয়েটা উড়ে আবার সেই গাছের ডালে গিয়ে আড়ালে লুকিয়ে পরলো,

- আমি তোমাকে বাঁচাবো....

কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে বললাম,

- সুন্দরী! তুমি কি ......

আমি পিছনে ফিরে মেয়েটাকে দেখতে না পেয়ে এদিক ওদিক চিৎকার করতে করতে বলতে লাগলাম

- সুন্দরী কোথায় তুমি সুন্দরী!

গাছে থাকা মেয়েটা মুখ ভেটকিয়ে বলে উঠলো!

- আসলেই একটা গাধা !

বলে মেয়েটা আবার গাছ থেকে নেমে আসলো,আমি পিছনে তাকাতেই মেয়েটাকে দেখতে পেলাম,

- সুন্দরী! কই তুমি
- আহ ধীরে বলো
- সুন্দরী! কোথায় ছিলে...

দাই আবার শিকড় গুলো গুছিয়ে নিলো, ইব্রাহিম দ্রুত তরবারি চালাতে লাগলো এদিক ওদিক,আর শিকড়ের মাথা গুলো কাঁটতে লাগলো এবং চিৎকার করে বললো

- পিশাচ যাক অন্ধকারে! !

আর সমস্ত শিকড় গুলো মাটিতে ঢলে পরলো

- ভূত পিশাচ সম্ভরম!(সিরাজ)

বলেই হাত এগোতেই আগুনের গোলা এসে পৈশাচিক কালো পাতা গুলো পুড়িয়ে দিলো। মেয়েটি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আর বলছে

- দাই আবার এখানে কেনো আসলো, আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে

আমি গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়াতে দাড়াতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম

- তুমি আবার আমার জীবন বাঁচিয়েছো, যেখানে আমি তোমার নামটাও জানিনা!

মেয়েটা আমার দিকে ফিরে বললো
- সিজেল

আমি কিছুক্ষণ মেয়েটার মায়াবী চোখের দিকে একনজরে তাকিয়ে, সাথে সাথে চোখ নিচু করে আবার মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললাম,

- সিজেল..! অনেক সুন্দর একটা নাম!

মেয়েটির ঠোঁট এর কোণায় এক চাপা হাসি হাসলো

To Be Continued......

ভালো লাগলে জানাবেন। আগের সব পর্ব আমার আইডিতে আছে, চাইলে পড়ে নিতে পারেন। 😊
#আবির

Address

Barishal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অদ্ভুতুড়ে posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category