03/04/2023
বাক স্বাধীনতা নিয়ে সমাজের কিছু মানুষ ভুল ব্যাখ্যা প্রায়ই দিয়ে থাকে, তদের মতে যখন যা খুশি তাই বলতে পারাই বাক স্বাধীনতা 😆
সত্যিই কি তাই,সংবিধান কি আপনকে সত্যিই যা খুশি তাই বলার স্বাধীনতা দিয়েছে,,,???🤔🤔
চলুন সংবিধান অনুযায়ী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখি,,,
সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী---
৩৯। (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল।
(২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং
(খ) সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার
নিশ্চয়তা দান করা হইল।
এখানে ৩৯ এর উপধারা (২) ভালো করে লক্ষ্য করুন,বলা আছে,
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা>>>> এমন কোনো কথা বলা যাবেনা যা দ্বারা রাষ্ট্রের স্বাভাবিক নিরাপত্তার ব্যাঘাত ঘটে,
বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক >>> আপনার কোনো কথা দ্বারা বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর প্রভাব পরে,,,
জনশৃঙ্খলা>>>> আপনার কথার কারনে জন সাধারণের স্বাভাবিক পরিবেশের ব্যাত্যয় ঘটা,
শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে >>> কথার ভাষা শালীন এবং নৈতিকতা বিরধী না হওয়া,,,,
আদালত-অবমাননা>> আদালত কতৃক আরোপিত আদেশ নির্দেশ অবমাননা না করা,,,,
মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা>> এমন কোনো কথা বলা যাবে না যা দ্বারা অন্যের সম্মান নষ্ট হয় এবং কথা দিয়ে অপরাধ সংঘটনের জন্য অন্যকে উদ্ভুদ্ধ করা।
এবং দেশের প্রচলিত আইনে বাধানিষেধ আছে এমন কথা বলা ছাড়া, প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।
তার মনে খেয়াল করে দেখুন,আপনাকে আপনার সুষ্ঠ বিবেক বিবেচনা দিয়ে চিন্তা করার যেমনি অধিকার দেওয়া হয়েছে তেমনি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাঁধা নিষেধ ও দেওয়া হয়েছে। যেটা দেশ এবং সমাজের জন্য একান্তই প্রয়োজন।
চাইলেই আপনি আবেগর তাড়নায় বিবেকহীন কথাবার্তা বলতে যেমনি পারবেন না, তেমনি আপনার সুষ্ঠ চিন্তা যা দেশের উন্নতির সার্থে আপনার বিবেকবান যুক্তি দায়ের করতে বাঁধা ও কেউ দিবেনা।
কিন্তু আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর লোক আছে যারা সংবিধানের শিরোনাম দেখে বুঝে নিয়েছে তাদের বাকস্বাধীনতা আছে, তাই যেখানে সেখানে যা খুশি বলে বিপদে পড়ে। আর যখন এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় তখন রাষ্ট্রের দোষ দিয়ে বলে, "আমাদের বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে"। অথচ এরা দেখে না যে বাকস্বাধীনতা ঠিক কোথায় কোথায় দেওয়া আছে আর কোথায় নাই।
তাই আসুন আইনকে আইনের মত করে জানি, শিরোনাম নয়,পূর্নাঙ্গ ভাবে আইনের বিশ্লেষণ করে পড়ি।কারন আইন না জেনে অপরাধ করলে, ভুল হয়েছে বলে পার পাবার কোনো উপায় নেই,,,,,