20/02/2023
মাতৃভাষা আমাদের পরিচয় ও সংস্কৃতির সারমর্ম অথচ আমরা দিনদিন এই ভাষাকে ভুলিয়ে যাচ্ছি, বিকৃত করছি, অশুদ্ধ বানাচ্ছি দিনদিন। ভাষার এমন বিকৃত কিংবা অশুদ্ধ ব্যবহার হতো না, যদি আমরা নিয়মিত মায়ের ভাষাটা চর্চা করতাম এবং মায়ের ভাষা হিসেবে যথাযথ সম্মান ও গুরুত্ব দিতাম। ভাষার নিয়মিত চর্চা ও যথাযথ গুরুত্বের অভাবে আমরা এখন সম্পূর্ণ ‘খণ্ডকালীন’ তথা বহুলাংশে ‘আনুষ্ঠানিক’ মারমা পার করে মারমাত্ব থেকে বেড়িয়ে আসছি।
খুব ছোট কালে দেখেছি নিজেদের কোন ধর্মীয় কিংবা যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে মাতৃভাষায় ব্যানার, ফেস্টুন এমনকি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা সহ উপস্থাপনা সবকিছুই মাতৃভাষায় লেখা হতো, কথা হতো। এর প্রচলন এখন খুবই কমে যাচ্ছে। এটা কমতে কমতে এমন জাগায় ঠেকেছে যে- প্রায় সব অনুষ্ঠানেই এখন অন্য ভাষায় উপস্থাপনা সহ ব্যানারও দেখা যাচ্ছে, এটে হারিয়ে যাচ্ছে নিজেদের নিজস্বতা অন্যদিকে ক্রমেই মাতৃভাষার গুরুত্ববোধ থেকে সরিয়ে আনছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
অধিকাংশ মারমা ছেলেপেলেরা মনে করে ২১শে ফেব্রুয়ারী মানে শুধুই বাংলার মাতৃভাষা দিবস, এটা মারমাদের কিংবা অন্য কারোর উৎসব নই!! এমনটা শুধু অশিক্ষিতরাই ভাবে তা- কিন্তু নই, অনেক প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিধারীও তা-ই মনে করে। তাই ভাষার মাসেও ভাষা-সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
"কোন ভাষায় যেন এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে না যায়, প্রত্যেকে যেন তাঁর মাতৃভাষায় নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে, আসুন আমরা এটিকে (মাতৃভাষা) লালন করি এবং আগামী প্রজন্মের জন্য এটি সংরক্ষণ করি। সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা।