Oitijjhya.tv

Oitijjhya.tv All kinds of news and views of our land will be published here. News and views
(1)

28/02/2024
28/02/2024
28/02/2024
ভাসানচরে যাচ্ছে আরও ৯৫০ রোহিঙ্গাকক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে দেড় মাস পর আবারও নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছে একদল রোহিঙ্গা। রোববার...
17/10/2022

ভাসানচরে যাচ্ছে আরও ৯৫০ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে দেড় মাস পর আবারও নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছে একদল রোহিঙ্গা। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ৫টি বাসে ৫০০ রোহিঙ্গা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা দেন। পরে রাতে আরও ৪৫০ জন্য রওনা দেন। সোমবার সকালে তারা চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছবেন।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন রোববার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে রওনা হওয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, ভাসানচরে উন্নত জীবন হওয়ায় রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে আগ্রহী।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১৭ দফায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠিয়েছে। এর আগে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করায় ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নেওয়া হয়।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আগে-পরে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কপবাজারে বসবাস করছেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে কপবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।

খাদ্য নিরাপত্তায় স্বস্তিতে বাংলাদেশসারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা থাকলেও এই মুহূর্তে বাংলাদেশ অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে। ...
17/10/2022

খাদ্য নিরাপত্তায় স্বস্তিতে বাংলাদেশ

সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা থাকলেও এই মুহূর্তে বাংলাদেশ অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরনের হুমকি নেই। যেকোনও ধরনের খাদ্য সংকট এড়াতে বাংলাদেশ অনেকটাই প্রস্তুত। বোরোর বাম্পার ফলনের পর অনাবৃষ্টির নেতিবাচক প্রভাবে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শুরুতে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও এখন আর তা নেই। এরপরও ইতোমধ্যে সম্ভাব্য সংকট এড়াতে অতিরিক্ত ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল দেশে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ একাধিক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, হাইতি, নাইজার, কেনিয়া, মালাউ, বুর্কিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, মাদাগাস্কার ও মালি। এসব দেশের অনেক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তায় ভুগবে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষই তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে। এর প্রভাবে দারিদ্র্য বাড়বে সারা বিশ্বে।

১৯৮৮ সালে প্রণীত সরকারের বর্তমান খাদ্যনীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে— প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করার মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষকদের অধিক খাদ্য ফলনে উৎসাহ প্রদান, ফসল তোলার সময় কৃষকদের কাছ থেকে ভর্তুকি মূল্যে বা উৎসাহব্যঞ্জক মূল্যে শস্য ক্রয়, দেশে উৎপাদিত শস্যের সুষ্ঠু সরবরাহ এবং বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, নিম্ন আয়ের ব্যক্তির কাছে খাদ্যপ্রাপ্তি সহজ করা, শস্যের উৎপাদন খরচ এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খাদ্যমূল্য স্থির রাখা, উৎপাদিত কিংবা অন্য কোনও উৎস থেকে সংগৃহীত খাদ্যের যথাযথ সংরক্ষণ, দুর্যোগকালীন অবস্থা মোকাবিলার জন্য ‘খাদ্য মজুত’ ব্যবস্থা অথবা দুঃসময়ে ব্যবহৃত শস্যভাণ্ডার গড়ে তোলা, খাদ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে শক্তিশালী করে ক্রমান্বয়ে খাদ্যে ভর্তুকি কমিয়ে আনা ইত্যাদি। এগুলো অর্জনের জন্য ২০টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে ৩২টি নির্দেশমালা প্রস্তুত করা হয়। খাদ্য নীতিমালা কখনও কখনও লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্ভরযোগ্য কার্যক্রম গ্রহণ করারও পরামর্শ দেয়। নীতিমালার প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে— ধীরে ধীরে খাদ্যঘাটতি কমিয়ে আনা এবং জনপ্রতি খাদ্যগ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে প্রতিদিন তা জনপ্রতি ১৬ আউন্সে উন্নীত করা।

এদিকে বৈশ্বিক বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশ্বব্যাংক তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে— বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকির মাত্রা ভয়ানকভাবে বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা খাদ্য নিরাপত্তার বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। তবে এই ঝুঁকিতে বাংলাদেশ নেই। কিন্তু বাংলাদেশে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ থেকে চাল রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ জুন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে সরকার। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আগামীতে আরও বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ ইউরিয়া সার ইউরোপ থেকে সরবরাহ করা হয়। গ্যাসের সংকটে একদিকে সারের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সারের দামসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দামও বাড়ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। এতে কৃষিপণ্যের দামও বাড়বে। তবে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কৃষিপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু আগামীতে এর দাম আবারও বাড়তে পারে বলে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কয়েকটি দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে খাদ্য দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে। ৮৮ শতাংশ স্বল্প আয়ের দেশে, ৯১ শতাংশ মধ্য আয়ের দেশে ও ৯৩ শতাংশ উচ্চ আয়ের দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখন ৫ শতাংশর ওপরে রয়েছে। এসব দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। ইতোমধ্যে অনেক দেশে এ হার ডাবল ডিজিট অতিক্রম করেছে।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে যে ১০টি দেশ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে— জিম্বাবুয়েতে ৬৮ শতাংশ, লেবাননে ৩৬ শতাংশ, ইরানে ৩২ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ২২ শতাংশ, হাঙ্গেরি ১৮ শতাংশ, কলম্বিয়া ১৫ শতাংশ, জিবুতি ১৪ শতাংশ, রুয়ান্ডা ১৪ শতাংশ এবং বুর্কিনা ফাসোয় ১০ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য দরকার মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, সবজির পর্যাপ্ততা। আর পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য উল্লিখিত পণ্যগুলো সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ ও সরবরাহের ব্যবস্থা করা বড় প্রয়োজন। বাংলাদেশে সবজি, মাছ ও ধান উৎপাদন যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, তা ঠিকমতো এগিয়ে গেলে সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে, নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য রফতানিকারক দেশ হতে পারে বাংলাদেশ। পুষ্টি নিরাপত্তায় চালের বাইরে অন্যান্য খাবার গ্রহণ বাড়াতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের খাদ্যগ্রহণের চিত্রে একমাত্র চালের পর্যাপ্ততা আছে। দিনে জনপ্রতি সাড়ে ৩০০ গ্রাম ভাত দরকার। সেই জায়গায় বাংলাদেশের মানুষ গড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ গ্রাম ভাত খায়।

বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় দেশ। চীন ও ভারতের পর গত অর্থবছরে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। প্রায় ১৮ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিনই কৃষিজমি কমছে। সেখানে আমাদের প্রধান পণ্য চাল উৎপাদনের ধারাবাহিক যে সফলতা আসছে, তার বড় অবদান আমাদের কৃষকদের। সেই সঙ্গে কৃষি বিজ্ঞানীদের সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নীতি সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে খাদ্যশস্যের কোনও ঘাটতি নেই। সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তায় স্বস্তির জায়গায় রয়েছে।’

একই তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট থাকলেও বাংলাদেশ নিরাপদ এবং স্বস্তির জায়গায় রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশকে খাদ্য ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

সংকটের মাঝেও ইউরোপে বেড়েছে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিরাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে ইউরোপের দেশগু...
17/10/2022

সংকটের মাঝেও ইউরোপে বেড়েছে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো। বৈশ্বিক এই সংকটের মাঝেও ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশ ৪৯৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি করেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দেশভিত্তিক হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে ১৭৬ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। রফতানির এই অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪৩ কোটি ডলার।

অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রফতানি ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ৩২ কোটি ৪০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। ভারতেও বাংলাদেশের রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে ৬৬ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়ায় রফতানি কমেছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ০ দশমিক ১৩ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৪৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে জার্মানিতে পোশাক রফতানি ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে ১৫২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। স্পেনের বাজারে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ফ্রান্সের বাজারে রফতানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। তবে ইইউর অন্যতম সম্ভাবনাময় বাজার পোল্যান্ডে রফতানি জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ২০১ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি। আগের মাসগুলোর হিসাবে এটি প্রবৃদ্ধি হ্রাসের একটি স্পষ্ট লক্ষণ বলে উল্লেখ করেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট বলা যায়, পরবর্তী মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে রফতানি কমবে।’

করোনার প্রভাব থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ১৩ মাস পর গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে ভাটা পড়েছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানির বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৯০ কোটি ডলার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৫৪ লাখ ৫ ডলার। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে আয় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে ৩১৬ কোটি ১৬ লাখ ৭ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৩৪১ কোটি ৮৮ লাখ ৪ হাজার ডলার আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। ওভেন ও নিটওয়্যার— উভয় ধরনের পোশাক রফতানিই কমেছে।

২০২১ সালের জুলাই মাসে পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৭২ লাখ ২ হাজার ডলার, যা ২০২০ সালের জুলাই মাসের চেয়ে ১১ দশমিক ২ শতাংশ কম।

ঢাকায় শিগগিরই চালু হচ্ছে দুটি এপিসি : সহজে মিলবে পাসপোর্ট, কমবে ভোগান্তিরাজধানীতে বসবাসরত ৬৪ জেলার বাসিন্দারা পাসপোর্ট ক...
16/10/2022

ঢাকায় শিগগিরই চালু হচ্ছে দুটি এপিসি : সহজে মিলবে পাসপোর্ট, কমবে ভোগান্তি

রাজধানীতে বসবাসরত ৬৪ জেলার বাসিন্দারা পাসপোর্ট করতে নিজ জেলায় না গিয়ে ঢাকার তিনটি অফিসে ভিড় জমান। ফলে পোহাতে হয় নানা ধরণের ভোগান্তি। এসব ভোগান্তি দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। শিগগিরই ঢাকার মতিঝিল ও বসিলায় দুটি এপ্লিকেশন প্রোসেসিং সেন্টার (এপিসি) বা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালুর প্রক্রিয়া চলছে। এরমধ্যে মতিঝিল এপিসির আওতায় থাকবে ঢাকা পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ মতিঝিল, পল্টন, রামপুরা, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, চকবাজার, দোহার ও বংশাল এলাকা।
অন্যদিকে বসিলা এপিসির আওতাভুক্ত হবে ঢাকা পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ আদাবর, সাভার, ধামরাই, শাহ্আলী, তুরাগ, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ এলাকা।
সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকা শহরে সারাদেশের প্রায় ২ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন। এসব নাগরিকের পাসপোর্ট সেবা পেতে নানা ধরণের ভোগান্তি পোহাতে হয়। দীর্ঘ লাইন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট পেতে অনেক সময়ও ক্ষেপণ হয়। তাছাড়া পাসপোর্টের বর্তমান অফিসগুলোও সেবা দিতে হিমশিম খায়। এসব বিবেচনায় পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠি অনুমোদনের পর দ্রুত চলছে এপিসি সেন্টার চালুর প্রক্রিয়া। এতে একদিকে সাধারণ নাগরিকের ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে সহজে মিলবে পাসপোর্ট সেবা।
সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ রাজধানী ঢাকার পূর্বাঞ্চল ও ঢাকা পশ্চিমাঞ্চল অফিস চূড়ান্ত করেছে। ঢাকাতে কোন বাড়ি ভাড়া নিতে গেলে আবাসন পরিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগে। সেজন্য মন্ত্রণালয়ের মাধমে তাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠির উত্তর আসলেই এপিসির কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
তিনটি পাসপোর্ট অফিস থাকার পরও ঢাকায় আরো দুটি এপিসি চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিহাব উদ্দিন খান ভোরের কাগজকে বলেন, গ্রাহকদেরকে নির্বিঘেœ সেবা দিতেই এই কর্মযজ্ঞ। ঢাকায় ৬৪ জেলার মানুষ বসবাস করে। আমাদের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কবে নাগাদ এপিসি সেন্টার দুটি চালু হবে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ঢাকার পশ্চিমে বসিলায় একটি বাড়ি এবং ঢাকা পূর্ব অফিসের জন্য মতিঝিলের পুরনো বিমান অফিস (বলাকা ভবন) পেয়েছি। এই দুটি ভবন আমাদের অফিসের জন্য কতটুকু উপযোগী তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।
লোকবল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিহাব উদ্দিন খান বলেন, আমাদের টেবিল অফ অর্গানাইজেশন এন্ড ইকুইপমেন্টের (টিওএন্ডই) আওতায় না আসা পর্যন্ত আগারগাঁয়ের বিদ্যমান লোকবল রি-শিডিউল করে কাজ চালাতে হবে।

16/10/2022
মেলায় মাজহার সরকারের প্রেরিত পুরুষ এবার গ্রন্থমেলায় প্রকাশনা সংস্থা প্লাটফর্ম থেকে প্রকাশ হয়েছে কবি মাজহার সরকারের আলোচি...
16/10/2022

মেলায় মাজহার সরকারের প্রেরিত পুরুষ

এবার গ্রন্থমেলায় প্রকাশনা সংস্থা প্লাটফর্ম থেকে প্রকাশ হয়েছে কবি মাজহার সরকারের আলোচিত কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেরিত পুরুষ’। প্রকাশ হওয়ার পর বইটি নিয়ে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে সুধী মহলে। এ বই সম্পর্কে স্বনামধন্য কবি আবু হাসান শাহরিয়ার ফেসবুকে লেখেন, ‘কবির নতুন চিন্তাই সেই প্রেরিত পুরুষ। কবিপ্রেরিত পুরুষ। কবি মাজহার সরকারের কবিতায় নতুনত্ব আছে।’

বইটির ফ্ল্যাপে প্রকাশক হেলাল উদ্দিন হৃদয় লিখেছেন, ‘মাজহার সরকার নিঃসঙ্গতার কবি। নাস্তিকতা বা নাথিংনেস তার কবিতায় অস্তিত্বের গহনে প্রবিষ্ট। সরকার এর নৈরাশ্য ঋণাত্মক নয়, কিরণদায়ী। দার্শনিকতা তার কবিতার প্রধান দিক। দর্শনে অস্তিত্ববাদ বা চৈতন্য ও বর্ণনায় অধিবিদ্যা, এ হচ্ছে তার কবিতা। এ বৈশিষ্ট্য তার কবিতায় সম্ভাবনা হয়ে আসে না, সম্ভব হিসেবেই দেখতে পাই। সরকার শুধু কবিতা-লিখিয়ে কবি নন, জীবনযাপনেও কবি। কবিতাকে তিনি সারাক্ষণ স্বভাবে নিয়ে ঘুরেন এমন নয়, তিনি শিক্ষিত মেধাশ্রয়ী কবি। কবিতায় শব্দের ঝনঝনানির চেয়ে শব্দ দিয়ে দৃশ্য তৈরিতে তিনি আগ্রহী। একক মানুষের যন্ত্রণাকে তিনি অর্থবহ করেছেন, স্থানিক দুঃখকে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বোধ।’

চারু পিন্টুর মলাটে পাঁচ ফর্মার বইটিতে রয়েছে ৫৬টি কবিতা। পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্লাটফর্মের স্টলে (৪৯২ নম্বর স্টল)। কবি মাজহার সরকার বইটি উৎসর্গ করেছেন তার শিক্ষক মো. আবদুর রহিমকে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী রোদের সাঁকো’র জন্য পেয়েছেন সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার-২০১২। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে শরতের বাস টার্মিনাল-২০১৩, শূন্য সত্য একমাত্র-২০১৩, গণপ্রজাতন্ত্র নিঃসঙ্গতা-২০১৫ এবং গল্পগ্রন্থ আগ্নেয় আশ্বিনের তামুক (২০১৫)।

বিদ্যুতের দাম বাড়ছে নাবাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩...
16/10/2022

বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। বর্তমান সার্বিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিইআরসি।

সকাল সাড়ে ১১ টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে থেকে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব জমা দেয় পিডিবি। এরপর ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়। সবকিছুই পর্যালোচনা করে আজ সকালে সভা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের প্রস্তাবের সব দিক বিবেচনা করে দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো না। আগের দামই বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে পিডিবির বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করেছে কমিশন। বিইআরসির নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়ার নিয়ম রয়েছে। এই সময়সীমা১৪ অক্টোবর শেষ হবে। তাই বিইআরসি বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহি, সদস্য বজলুর রহমান, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মো. কামরুজ্জামান, সচিব খলিলুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চলছে শেষ পর্যায়ের কর্মযজ্ঞএকেরপর এক পৌছে যাচ্ছে মেট্রোরেলের কোচ ও ইঞ্জিনইতোমধ্যে মেট্রোরেলের ১৪৪টি কোচ ও ইঞ্জিনের মধ্যে ...
13/10/2022

চলছে শেষ পর্যায়ের কর্মযজ্ঞ
একেরপর এক পৌছে যাচ্ছে মেট্রোরেলের কোচ ও ইঞ্জিন
ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের ১৪৪টি কোচ ও ইঞ্জিনের মধ্যে ১১৬টি কোচ-ইঞ্জিন দেশে পৌছে গেছে।
এর মধ্যে কোচের সংখ্যা ৭৮টি ও ইঞ্জিনের সংখ্যা ৩৮টি। উদ্বোধনের আগেই বাকি ২৮টি কোচ ও ইঞ্জিন পৌছে যাবে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ফের জয় পেল বাংলাদেশএশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ২০২৩-২৫ মেয়াদে জাতিসংঘের মা...
13/10/2022

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ফের জয় পেল বাংলাদেশ

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ২০২৩-২৫ মেয়াদে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে পঞ্চম বারের মতো সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। নির্বাচনে ১৮৯ ভোটের মধ্যে ১৬০ ভোট পেয়েছে বাংলাদেশ।

নিউইয়র্কে মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০২৩-২৫ ​​মেয়াদের জন্য এই ভোট হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মর্যাদাপূর্ণ জয়টি সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি ছিল ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি প্রত্যাশিত ও প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক নির্বাচন।

এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত হিসেবে বাংলাদেশ ইউএনএইচআরসি-এর সাতটি প্রত্যাশিত দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারটি আসনের একটি পেয়েছে। এই অঞ্চল থেকে নির্বাচিত অন্য তিনটি দেশ হল মালদ্বীপ (১৫৪ ভোট), ভিয়েতনাম (১৪৫ ভোট) এবং কিরগিজস্তান (১২৬ ভোট)।

কয়েকদিন আগে বাহরাইন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (১২৩ ভোট) এবং আফগানিস্তান (১২ ভোট) নির্বাচনে হেরেছে।

ইউএনএইচআরসি-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পঞ্চম মেয়াদ এটি। এর আগে ইউএনএইচআরসি নির্বাচনে বাংলাদেশ ২০০৬, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জয় পেয়েছিল।

এই নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির সুস্পষ্ট প্রকাশ বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে আরও বলা হয়, ‘এই জয় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে বিশ্ব দরবারে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে রাজনৈতিকভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ প্রমাণ করেছে। তাদের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে চলমান অপপ্রচার অভিযানকে বাতিল করেছে।

‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল সদস্য রাষ্ট্র। আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত ইউএনএইচআরসি সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ইউএনএইচআরসি নির্বাচনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে উন্নত প্রযুক্তি, ১০০ বছরেও ধরবে না মরিচা উত্তাল যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ...
13/10/2022

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে উন্নত প্রযুক্তি, ১০০ বছরেও ধরবে না মরিচা

উত্তাল যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ ঘিরে চলছে কর্মযজ্ঞ। নতুন প্রযুক্তির লোহা আর কংক্রিটের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে এই সেতু। অত্যাধুনিক স্প্যানও বসছে সেতুটিতে। এগিয়ে চলছে দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর কাজ।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সেতুতে আলাদাভাবে রং করার প্রয়োজন হবে না। এই প্রক্রিয়াটি বেশ টেকসই। এতে আগামী ১০০ বছরেও সেতুর কাঠামোয় মরিচা ধরবে না। এমনকী আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে গার্ডারের রং।’

সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে নদীর দুই পাড়ে দুই প্যাকেজে চলছে এই সেতুর নির্মাণকাজ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর কর্মীদের তত্ত্বাবধানে রাতদিন সমান তালে চলছে পাইলিং ও সুপার স্ট্রাকচার বসানোর কাজ। এরই মধ্যে সেতুর ৪৭ ও ৪৮ নম্বর পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ স্প্যান।

প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (টাঙ্গাইল অংশ) আব্দুল খালেক জানান, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা উন্নতমানের বিশেষ ধরনের বড় বড় স্টিলের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে স্প্যানগুলো। এরই মধ্যে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছে। এখন দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর কাজ চলছে।

প্রকল্পের নিরাপত্তা কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, এখানে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের সার্বিক নিরাপত্তায় রাতদিন কঠোর নজরদারি চলছে।

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য বলেন, যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আমরা নতুন আশার আলো দেখছি। কেননা ট্রেনে মালামাল বহন অনেকটা সহজ ও সাশ্রয়ী। এতে সিরাজগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে দিনে মাত্র ৩৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

এ পর্যন্ত সেতুর ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেতুটিতে মোট ৫০টি পিলার থাকবে। স্প্যান বসানো হবে ৪৯টি। এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে সব শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মক...
13/10/2022

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে সব শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী

দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। আইসিটি ও প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রতি বছরই পর্যায়ক্রমে সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।’ বিজ্ঞপ্তি

গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন উপাচার্য। প্রশিক্ষণের আওতায় যারা এখনো আসেনি তাদের তালিকা প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন উপাচার্য।

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’ অচিরেই দেশের বিভাগীয় অঞ্চলের কলেজগুলোর অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হবে। এছাড়া সভায় শিক্ষক সমাবেশ, সমাবর্তনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

১০ টাকায় চোখের সব জটিল চিকিৎসাআধুনিক চক্ষু সেবা প্রদান ও ডাক্তার তৈরির সুতিকাগার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাত...
13/10/2022

১০ টাকায় চোখের সব জটিল চিকিৎসা

আধুনিক চক্ষু সেবা প্রদান ও ডাক্তার তৈরির সুতিকাগার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক চক্ষু সেবায় বিশেষায়িত এই হাসপাতালটির যাত্রা। অল্প দিনের মধ্যেই চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসক তৈরির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সারা দেশে পরিচিতি লাভ করে। ২৫০ শয্যার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিটে মেলে চোখের সব চিকিৎসা।

বেসরকারি হাসপাতালে যে অপারেশনে লাগে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা, সেখানে তা হচ্ছে বিনা মূল্যে। আছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। অপারেশন তো হয়-ই, রোগীদের সব ওষুধও হাসপাতাল থেকে ফ্রি দেওয়া হয়। রোগীদের পরীক্ষানিরীক্ষাও হচ্ছে বিনা মূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে। অপারেশনও নিয়মিত হচ্ছে। ১২টি অপারেশন থিয়েটারে সাত ধরনের অপারেশন হয়। অত্যাধুনিক মেশিনে প্রতিদিন ছানিসহ কমপক্ষে ৮০টি অপারেশন হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন আড়াই থেকে ৩ হাজার রোগী এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসেন চিকিৎসাসেবার জন্য। দালালের কোনো উপস্থিতি এই হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। দালাল নিয়ন্ত্রণ করতে মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক তৎপর থাকে। জরুরি বিভাগ খোলা থাকে ২৪ ঘণ্টা। এ হাসপাতালের ৯টি বিভাগ চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—ক্যাটারাক্ট, কর্নিয়া, গ্লুকোমা, রেটিনা, অকুলোপ্লাস্টিক, পেডিয়াট্রিক অপথোমোলজি, নিউরো অপথোমোলজি, কমিউনিটি অপথোমোলজি ও লোভিশন।

এই হাসপাতালে কোন কোন অপারেশনের জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয়, যার মূল্য ১২ হাজার টাকা। প্রতিদিন ৬০ জন রোগীর ছানি অপারেশন হচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ফ্যাকো সার্জারির মাধ্যমে এখানে চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। এতে করে রোগীকে সাধারণত সকালে অপারেশন করে বিকালে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চোখের যে কোন ধরনের জটিল অপারেশন এখানে হয়। ১০ টাকার টিকিট কাটলেই রোগীর দায়িত্ব শেষ। বাকি সব চিকিৎসা বিনা মূল্যে প্রদান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চোখের লেন্সও ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। অপারেশনে রোগীর প্রয়োজনীয় সব ওষুধ বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়। এমনকি রোগীকে যখন ছাড়পত্র দেওয়া হয়, তখনো বাসায় গিয়ে রোগীর যেসব ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন হয় সেগুলোও বিনা মূল্যে প্রদান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাইরে থেকে ওষুধ ক্রয়ের প্রেসক্রিপশন কোন ডাক্তারই করেন না। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছাড়া অন্য কোন ডাক্তার এই হাসপাতালে নেই। অধিকাংশই চোখের ওপরে এমডি, এফসিপিএস ও উচ্চতর ডিগ্রিধারী। ২৪ ঘণ্টা জরুরি বিভাগ খোলাসহ যে কোন সরকারি বন্ধ ছাড়াই প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বহির্বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন।

যদিও এদের পদ মেডিক্যাল অফিসার, কিন্তু তাদের প্রত্যেকের চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে। ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধি গত শনিবার ও সোমবার দুই দিন সরেজমিন গিয়ে দেখতে পান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অনেক রোগীর ভিড়। সুশৃঙ্খলভাবেই চলছে এখানকার কার্যক্রম। রোগীরাই নিজ উদ্যোগে অনেকটা শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে সেবা নিচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও বেশ সুশৃঙ্খলভাবে কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে। বরিশাল, ঝিনাইদহ, কুমিল্লা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীর সঙ্গে ইত্তেফাকের এই প্রতিনিধির কথা হয়। রোগীরা বলেন, সরকারি হাসপাতালে যে এত সুন্দর চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে না আসলে সেটা বুঝতে পারতাম না। ১০ টাকায় টিকিট কেটে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা ও বিনা মূল্যে ওষুধ পেয়ে রোগীরা খুশি। কুমিল্লা থেকে আসা রোকসানা আক্তার (৫৫) বলেন, ১০ টাকায় টিকিট কেনার পর অপারেশন হয়েছে, লেন্সও লাগানো হয়েছে। কোনো টাকা-পয়সা লাগেনি। ঝিনাইদহ ও রংপুর থেকে আসা আবুল হোসেন (৬৫) ও আক্কাস মিয়ার (৫৫) চোখে জটিল অপারেশন হয়েছে। তাদের বাইরে থেকে কোনো ওষুধ কিনতে হয়নি। সবই হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বহির্বিভাগে আটটি কক্ষে রোগী দেখা হয়। এর মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি (সিনিয়র সিটিজেন), মুক্তিযোদ্ধা ও অটিস্টিকদের জন্য আলাদা কক্ষ আছে।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. ফরিদ হোসেন বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক রোগী চোখের চিকিৎসা নিতে এই হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে যাদের অপারেশনের প্রয়োজন হয়, তাদের অপারেশনের জন্য নির্ধারিত তারিখ দিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত দিনে অপারেশন করা হয়। একই সঙ্গে রোগীর পরীক্ষানিরীক্ষা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়। এখানে এক্সরে, রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব, ইসিজি, সিটিস্ক্যান ও আলট্রাসনোগ্রামসহ সব ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, সর্বাধুনিক চিকিৎসা উপকরণ, দক্ষ চিকিৎসক ও উন্নত চিকিৎসাসেবাই প্রতিষ্ঠানটিকে দেশে এবং বিদেশে পরিচিত করে তুলছে। ১০ টাকার টিকিট কিনে এ হাসপাতালে চোখের সব ধরনের চিকিৎসা ও অপারেশন করা হয়। এই হাসপাতালে চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার জন্যও রয়েছে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি। রোগীদের সব ওষুধ বিনা মূল্যে হাসপাতাল থেকে প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, কোনো ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও দালালের তৎপরতা এই হাসপাতালে নেই। কোনো ডাক্তারই রোগীদের বাইরে পাঠান না। চোখের সব ধরনের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা এখানে আছে। তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে কোনো ডাক্তার বা কোনো স্টাফকে দুর্নীতি করার সুযোগ দেব না। কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। সে যে-ই হোক না কেন। এই হাসপাতালের মালিক জনগণ। আর জনগণকে সেবা দেব আমরা।

আমদানি পণ্যের মূল্য খতিয়ে দেখার নির্দেশআমদানি পণ্যের মূল্য যাচাই-বাছাই করে ঋণপত্র খোলাসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্...
13/10/2022

আমদানি পণ্যের মূল্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ

আমদানি পণ্যের মূল্য যাচাই-বাছাই করে ঋণপত্র খোলাসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলার আগে ব্যাংকগুলোকে যাচাই–বাছাই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমদানিকারকের চুক্তির তারিখে আন্তর্জাতিক বাজারদর বা একই সময়ে পণ্যের আমদানি মূল্য কেমন, তা যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরই লেনদেন করতে হবে ব্যাংককে। ফলে এখন থেকে মূল্য যাচাই এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে পণ্য আমদানির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে ব্যাংকগুলোকে।

আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ওঠানামার কারণে প্রয়োজনের বেশি ডলার খরচ হতে পারে—এই আশঙ্কায় এমন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ডলার-সংকটের মধ্যে ডলারের ওপর চাপ কমানোও এই নির্দেশনার লক্ষ্য।

গত এপ্রিল থেকে দেশে ডলারের সংকট চলছে। আর এতে ডলারের দাম ৮৫ থেকে বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে। আজ সোমবার ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম গড়ে ছিল ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দামে প্রবাসী আয় কিনেছে। আর রপ্তানি বিল নগদায়ন করেছে ৯৯ টাকা দরে।

এদিকে অপর এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, অনলাইন সভার লেনদেন মেটানোর জন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজনে ভার্চ্যুয়াল কার্ড বা একবার ব্যবহার্য কার্ড দিতে পারবে। এই খরচ মেটাতে ব্যাংকগুলো প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। এ নির্দেশনার ফলে জুম, গুগল মিট, সিসকোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনুষ্ঠেয় সভার খরচ মেটাতে গ্রাহকদের সহজে সেবা দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।

মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাত: ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে’ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীরএই নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত...
13/10/2022

মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাত: ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে’ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এই নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় এই নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “আজকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে অন্য কারণে আলাপ করছিলাম। তখন মিয়ানমারের ইস্যুটা স্বভাবতই এসেছে। তিনি আমাদের যা যা করার- সেই দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।”

প্রায় দুই মাস ধরে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনার পাড়া, উত্তর পাড়া, বাইশফাঁড়ি ও চাকমা পাড়াসহ উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে।

এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার দিক থেকে ছোড়া মর্টার শেলসহ বিভিন্ন গোলাবারুদ বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসে পড়ে। মিয়ানমারের জেট ফাইটার হেলিকপ্টারও কয়েকবার আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে কয়েকজনে হতাহতও হয়েছে।

সীমান্তে গোলাগুলির এসব ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েকবার তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে কূটনৈতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তের বিওপি পরিদর্শন শেষে রেজুপাড়া বিওপিতে তিনি বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির মোবাইল, ই-মেইল ও লিখিতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।“

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টারশেল ও গুলি এসে পড়ার বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, প্রতিটি ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

বিজিপির সঙ্গে বিজিবির আলোচনার কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা সম্মতি দিয়েছেন, যে কোনো সময় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আমরা চেষ্টা করছি, উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক করা যায় কি-না। তবে এটি আমাদের রুটিন বৈঠক।”

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সহযোগিতার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত...
09/10/2022

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সহযোগিতার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি আর শেরম্যান। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় র‍্যাব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর আরোপ করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যত দ্রুত সম্ভব তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে তারা বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং অভিন্ন বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রম খাতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ডেপুটি সেক্রেটারি শেরম্যান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়গুলোও আলোচনায় স্থান পায়। এসময় প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে অবিলম্বে ফেরত পাঠাতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

একই সাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন শাহরিয়ার আলম।

মহামারি মোকাবেলায় প্রায় ৮৮ মিলিয়ন কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার জন্য মার্কিন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সুষ্ঠু এবং টেকসই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অর্জনে এলডিসি সম্পর্কিত বিষয়ে ডব্লিউটিওতে মার্কিন সহায়তাও কামনা করেন তিনি।

আসন্ন ২৭তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে জলবায়ু সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে একটি কর্মমুখী আলোচনার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রতিমন্ত্রী।

এছাড়া গত ৪ অক্টোবর মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে দায়িত্ব পালনকালে নিহত ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রতি সমবেদনা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শেরম্যান।

'এই নারী চালিকা শক্তি'- ওয়াশিংটন পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে পাটুলা ডেভোরাকবহু মানুষের ভিড়ে বাবার কাঁধে চড়ে উ...
07/10/2022

'এই নারী চালিকা শক্তি'- ওয়াশিংটন পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে পাটুলা ডেভোরাক

বহু মানুষের ভিড়ে বাবার কাঁধে চড়ে উঁকি দিচ্ছিল ৬ বছরের ছোট শিশু জয়া। রিটজ কার্লটনের বলরুমে কালো কোট পরা অসংখ্য মানুষের ভিড়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এসেছে সে। 'আমি চেয়েছিলাম, সে এক নজর প্রধানমন্ত্রীকে দেখুক।'-কথাটি বলছিলেন জয়ার বাবা আব্দুল্লাহ নিয়ামি। উত্তর ভার্জিনিয়ায় গেল সপ্তাহে এই বিরল দৃশ্য দেখার সুযোগ পায় আমেরিকা। যেখানে একজন নারী সরকার প্রধানকে দেখতে ভিড় জমান অনেকেই, যা পেতে এখনও অপেক্ষমাণ অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের পর নর্দার্ন ভার্জিনিয়ায় থাকার সময় এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শক্তি-সাহসের প্রতিচ্ছবি তিনি। রাশিয়ার জনসংখ্যা থেকে বেশি একটি দেশকে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া এবং ২০ বারের বেশি হত্যা চেষ্টার শিকার হওয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু একজন রাষ্ট্রপ্রধানই নন, এর পাশাপাশি একজন দাদীও। চলতি বছর ৭৬তম জন্মদিন পালন করছেন তিনি। লন্ডন শহরের পাশেই এক শহরে ছেলে ও নাতি-নাতনীদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করবেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী যেমন, তেমনই একজন দাদীও। আমি আমার নাতি-নাতনীদের জন্য রান্না করি। চিকেন বিরিয়ানি বানাই। আর আমার ছেলের বাসায় এ জন্য আলাদা রান্নাঘরও আছে।

শেখ হাসিনার সফরকালে তার কাছ থেকেও এসব গল্প শুনতে পাই। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি একথাগুলো বলেন।

একটি চমৎকার সুন্দর কক্ষে ওই সাক্ষাৎকারের সময় সঙ্গে একজন অনুবাদক ও স্টাফ প্রধান ছিলেন। এ ছাড়া দেয়ালে ছিল তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বড় ছবি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৭জন সদস্যসহ তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তবে পিতার রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

সম্প্রতি জাতিসংঘ অধিবেশনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'শরণার্থী জীবন ভালো নয়। তারা নিজের দেশে ফিরতে চায়।'

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও অভিবাসীদের নিয়ে সংকট চলছে এমন প্রসঙ্গ তুললে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার অভিবাসীদের তুলনা করা চলে না। তাদের প্রচুর জমি আছে। ফাঁকা জায়গা আছে। তাদের তো অভিবাসীদের নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। 'বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ। কিন্তু আমাদের জমি কম। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একটা রাজ্যের সমান।'

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক নানা তদন্তের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এছাড়াও তিনি নিজের দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে কঠোরতার জন্যও পরিচিত। ২০১৫ সালে সন্ত্রাসবাদ দমনে এমন কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকেও শুভেচ্ছা পেয়েছিলেন।

সম্প্রতি 'হুম! ছেলে' শিরোনামে একটি 'মিম পোস্ট' ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন অনেকে।

শেখ হাসিনা এক বক্তব্যে বলেছিলেন, 'নারীরা পুরুষের চেয়ে ভালো।' এ মন্তব্যের পর মুচকি হেসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্রতা, শিক্ষার সংগ্রামে নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন সেটি সত্যিই বড় একটি বিষয়। তাদের স্থবিরতা দেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেবে।

গত এক দশকে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, আবাসন সুবিধা ও দরিদ্রতা দূরীকরণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 'দেশে এখন কুঁড়েঘর নেই। সাধারণ কাঠামোর ঘরও এখন ঢেউ টিনের ছাঁদ ও ইটের দেয়ালের ঘর। আর সেগুলোও দেওয়া হয়েছে নারীদের নামে। ফলে কোনো পরিবার যদি আলাদা হয়ে যায়। তাহলেও ঘরটি কিন্তু নারীই পাবে, পুরুষ নয়।'

বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের জন্ম হয় তখন দেশটি ছিল দরিদ্র। সেখান থেকে এখন দেশটি নিম্ন মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, আবাসন নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে নারীদের বিনিয়োগ দেশকে উন্নত করতে সহায়তা করেছে।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার পর তিনি স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে মনস্থির করেন।

রিটজ কার্লটনের বলরুমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ইউসুফ চৌধুরী। ৬৬ বছর বয়সী ওই বয়োজ্যেষ্ঠ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বলেন, আমি সকাল ৬টায় বোস্টনের উড়োজাহাজে উঠে পড়ি। পরে এখানে চলে আসি।'

প্রধানমন্ত্রীকে ২০বার হত্যা চেষ্টার কথা স্মরণ করে উদ্বিগ্ন ছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরাও। তবে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছ্বসিত ছিলেন হোটেলকর্মীরা। কয়েকঘণ্টার আয়োজনে সেখানে প্রায় ২০০ জন অতিথি অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সবার উদ্দেশ্যে কথা বলবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মালিহা জামান নামে এক নারী বলেন, 'অবশ্যই তাকে একবার দেখার জন্য এসেছি। তিনি এমন এক নারী যিনি আমাদের অনুপ্রেরণা।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষার জন্য যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তার কল্যাণেই বর্তামানে মাস্টার্স শেষ করে ভার্জিনিয়ায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছেন মালিহা।

শাহেদা পারভীন নামে আরেকজন বলেন, 'তিনি প্রবীণদের কথা ভাবেন, শিক্ষা নিয়ে ভাবেন। তিনি যোগাযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু করেছেন। তিনি শিশুদের সম্পর্কে চিন্তা করেন, তিনি গর্ভবতী মহিলাদের সম্পর্কে অনেক যত্ন নেন। যেই বিষয়গুলো নারী হিসেবে আমাদের ভাবায়।'

Address

Lama
Bandarban

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Oitijjhya.tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share