J M Johnny

J M Johnny Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from J M Johnny, Video Creator, Araihazar.

আরে ভাই আমি এখনো বিয়ে করিনি 🥺😅! Only legend 🤣
13/10/2023

আরে ভাই আমি এখনো বিয়ে করিনি 🥺😅!

Only legend 🤣

13/10/2023

মোনাজাতে ঝড়ে পড়া চোখের পানি কখনো বিফলে যায়না🤎
হযরত মুহাম্মদ (সঃ)

13/10/2023

আল্লাহ্ তুমি সবার দোয়া কবুল করুন 🤲♥️

29/09/2023

আলহামদুলিল্লাহ ♥️

29/09/2023

যারা যারা জুম্মার নামাজ আদায় করছেন শুধু তারাই বলুন আলহামদুলিল্লাহ 🤲♥️

28/09/2023

আলহামদুলিল্লাহ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ১২ রবিউল আউয়াল আমাদের প্রিয় নবি হযরত মোহাম্মদ (স)জম্মদিন🥰💖

15/09/2023

আলহামদুলিল্লাহ আজ পবিত্র জুম্মার দিন ♥️🤲

09/09/2023

আজকের তারিখ টা অনেক সুন্দর (09/09/2023) হতে পারে কারো জীবনের সুন্দর তারিখ আবার হতে পারে কারো জীবনের অনেক কষ্টের হতে পারে এই তারিখটা স্মৃতিময় হয়ে থাকবে সারা জীবন।

08/09/2023

সবাইকে জুম্মা মোবারক 🤗

08/09/2023

আল্লাহ তুমি সবার দোয়া কবুল করুন 🤲

07/09/2023
03/09/2023

লালছল্লি কবুতর অনেক সুন্দর দেখতে 🕊️ #কবুতর

31/08/2023

আগামীকাল পবিত্র জুম্মার দিন সবাই বলুন আলহামদুলিল্লাহ 🤲♥️

30/08/2023

- যিনি রাতের পর সকাল দেন,🌼
তিনি হাজারো কষ্টের পর সুখ দিবেন ; ইনশাআল্লাহ।😊🤍

29/08/2023

আপনি আমার নাদেখা অনুভুতি ইয়া রাসুলুল্লাহ😊
صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

29/08/2023

মা পৃথিবীর সুন্দরতম নারী!🖤

29/08/2023

আপনার কাছে ভালোবাসা মানে কি?🥀

28/08/2023

Good night Jaan 😴💤

28/08/2023

ওই শুনো হে আপনাকে ওই আর কতদিন সিঙ্গেল থাকবে 😅😃

28/08/2023

কখনো বলা হয়নি মা তোমাকে ভালোবাসি ❤️😇

28/08/2023

আল্লাহ তুমি আমার মাকে সব সময় সুস্থ এবং হাসিখুশি রেখো 🤲❤️

28/08/2023

যদি কেউ গল্প শেয়ার করতে চান তো নক করুন মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে হোয়াটসঅ্যাপ লিংক প্রোফাইলে দেওয়া আছে।

and our forever has only just begun 🤍  বাকি রইলাম আমি আর আপনি 😅
28/08/2023

and our forever has only just begun 🤍

বাকি রইলাম আমি আর আপনি 😅

Facebook react new update 😅😂
28/08/2023

Facebook react new update 😅😂

27/08/2023

মা'কে ভালবাসলে বলুন আলহামদুলিল্লাহ ♥️😇

27/08/2023

আপনার মা বাবা বেঁচে থাকলে বলুন আলহামদুলিল্লাহ 🤲♥️

27/08/2023

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা-বাবা 🤲♥️

27/08/2023

সবাই বলুন আলহামদুলিল্লাহ ♥️

25/08/2023

Hi all friends jummamubarak ♥️🤗

17/08/2023

আজ একটা গফ নেই বলে 😅😂🤣

16/08/2023

Alhamdulillah 🤗🤲

15/08/2023

অনেক বিষাক্ত এই সাপটি 🐍

21/10/2022

আপনার স্ত্রীর বিভিন্ন অঙ্গ দেখে প্রতিরাতে হাজারো পুরুষের গোপনাঙ্গ উত্থিত হয়। প্রতিদিন সকালে অগনিত ছেলে আপনার স্ত্রীকে কল্পনা করে ফরজ গোসল করে। আপনি নিজেকে পুরুষ মনে করেন কোন হিসাবে? আপনি কাপুরুষের বাচ্চা কাপুরুষ। আপনার বাবা আপনার মত কাপুরুষ জন্ম দিয়েছে তাই আপনার বাবাও কাপুরুষ।

শুনুন.... এই যে ঘরে থাকা মেয়েটা টিকটক লাইকি, ইউটিউবে নাচানাচি করার জন্য রিং লাইট কিনলো।
টাকাটাতো আপনার কাছ থেকেই নিয়েছে। ঠোটে লিপস্টিক মেরে ঠোট কামড়িয়ে নাভি উদম করে নিতম্ব দেখিয়ে হাজারো ছেলের স্বপ্ন দোষ করায় এই লিপিস্টিকের টাকাতো আপনিই দেন.. তাইনা?

অসম্ভব- জ্ঞান দিতে আসবেননা।
আপনার শরিরে রক্ত বলতে কিছুই নেই। আপনি সিরাজগন্জের ভাষায় অমানুষ, বেন্নার বাচ্চা বেন্না।
তানাহলে আপনার ঘরে খেয়ে মেয়েটা হাজারো ছেলের উত্থিত হবার কারন হয় কিভাবে। আপনি কাপুরুষ। আপনার শরিরে রক্ত নেই। সবি পূজ, সবি পূজে ভরা। একথায় চুড়ান্ত।

কি? আমাকে খারাপ লাগে?
হা আমি এভাবেই কথা বলি।
ভাল না লাগলে এখনি আমাকে ব্লক করে চলে যান
পথ খুলা আছে অতএব: জ্ঞান দিতে আসবেননা।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন...
ঐ পুরুষ পুরুষ নয় যে পুরুষ তার অধিনস্হ নারীকে বেপর্দায় চলতে দেয়। সে দায়ূস। দায়ূসের জন্য জান্নাত হারাম। একথা আল্লাহ নবী বলেছেন!

এবার " দেখি আপনার বউকে, বোনকে, মেয়েকে।
বোরকা পড়িয়ে টকটক করিয়ে কিভাবে জান্নাতে যান। জনাব: ধর্মকে পাগল মনে করেন তাইনা?
পাগল মনে হয় ইসলামকে আপনার? যে মনে যা চায় তাই করে জান্নাতে চলে যাবেন?

অতএবঃ আপনার পরিবারের যে মেয়ে টিকটক,লাইকিতে নাচানাচি করে। হাজারো ছেলেরকে আনন্দ দেয় তাকে নসিহত করার পরেও যদি কথা না শুনে ওর খাবার বন্ধ করে দিতে হবে। দেখি না খেয়ে সে কতদিন এই রংঢং করতে পারে। দেখি না খেয়ে কতদিন সে নাচে।

বেত দিয়ে নিতম্বের চামড়া তুলে ফেলতে হবে তবেই আপনি পুরুষ। এতটুকই মনে রাখুন......

 #সুখ
21/10/2022

#সুখ

আমার স্ত্রীর সাথে আমাকে মানায় না এটা আমার যতটা না মাথাব্যথা তার চেয়ে মাথাব্যথা আমার পরিবারের! প্রতিবেশীদের ও আমার বন্ধুবান্ধবদের। একটা মানুষের চেহারায় কি সবচেয়ে বড় বিষয়? মনের দিকটা কেউ বিবেচনা করবে না।
আমাদের বিয়েটা পারিবারিকভাবে হলেও বিয়েটা ছিল অন্যরকম আমি রবিউল ইসলাম গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের টিচার সেই সুবাদে আমার বাবা-মা চাইছিল খুব সুন্দরী একজন ছেলের বউ সংসারে নিয়ে আসতে।
এ কারণে প্রায় ২০-২৫ টা মেয়ে দেখে ফেলে কাউকে তাদের পছন্দ হচ্ছিল না আমার স্ত্রী শায়লা গায়ের রং কেমন ফর্সা নয় উচ্চতার দিক দিয়েও তেমন বেশি নয়। তাকে দেখতে গিয়ে আমার পরিবারের কারো পছন্দ হয়নি। আমি যে মেয়েই দেখতে যেতাম দেখতে যাবার আগে মেয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নিতাম। শায়লার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি মেয়েটা অনেক ভালো! ব্যবহারের দিক দিয়েও চরিত্রের দিক দিয়েও। শায়লাকে দেখে আমার পছন্দ হয়ে যায়! আমার পছন্দ হলে কি হবে বাবা মায়ের পছন্দ না হওয়ায় বিয়েটা ভেঙে দেয়। আমরা যখন দেখতে যাই শায়লাকে আমি শায়লার সাথে একান্তে আলাপ পরিচয় হবার জন্য কথা বলি! তখন তার কাছ থেকে ফোন নাম্বারটা নিয়ে নেই। বিয়ে ভেঙে যাবার পর তাকে আমি মাঝে মাঝে ফোন দিতাম সে চাইতো না তাকে আমি ফোন দেই। বলতো যেখানে আমার বিয়েটা ভেঙে গেছে আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই না। আমি তাকে বলতাম তুমি আমাকে কিছুটা সময় দাও আমি সব ঠিক করে নেব তোমাকে আমি বিয়ে করবো। সে আমার কথার উপর ভরসা করে। মূলত শায়লার সাথে কথা বলে আমি এটা বুঝতে পারি সে অনেক ভালো মন মানসিকতার মানুষ আমার সাথে তার সবকিছুতেই মিল আছে! শুধু পার্থক্যটা সৌন্দর্যের, সৌন্দর্য দিয়ে তো আর সবকিছু হয়না মানুষের মনটাই হল আসল। মন যদি কুৎসিত থাকে যত সৌন্দর্য থাকুক সেটা কিছু সময় পর তিতে হয়ে যায়! সম্পর্ক মধুর হয় দুজনার মন এক হলে। আমি উপলব্ধি করতে পারি শায়লার সাথে আমার মনের মিল আছে। আমি আমার বাবা মাকে রাজি করিয়ে শায়লাকে বিয়ে করি! কিন্তু আমার পরিবার মন থেকে বিয়েটা মেনে নিতে পারেনা। বিয়ের পর থেকে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সবাই বলতো কেমন ছেলে কেমন বউ পছন্দ করে বিয়ে করেছে। এতে আমার কোনকিছু যায় আসে না আমি সব সময় শায়লার পক্ষ নিতাম তাকে বুঝাতাম সবাই এমনটা করবে তারপর আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার মা এটা নিয়ে খুব কথা শোনাতো শায়লাকে! বলতো আমার ছেলেটাকে কালো জাদু করে নিজের বাধ্য করে রেখেছো তুমি, আমি চেয়েছিলাম আমার মনের মত বউ ঘরে আনতে কিন্তু তোমার কারনে পারলাম না। মায়ের কথায় শায়লা মন খারাপ করতো! আমি তাকে বুঝাতাম। বন্ধু-বান্ধবদের কাছেও শুনতে হয়েছে শায়লাকে নিয়ে কটু কথা সবাই বলতো তোর মত হ্যান্ডসাম ছেলে কলেজে অনেক মেয়ের ক্রাশ ছিলি আর এখন তুই এমন একটা মেয়েকে বিয়ে করলি যার জন্য তোর কথা শুনতে হয়। আমি বলতাম আমার পছন্দ হয়েছে আমি বিয়ে করেছি এতে অন্য কারো কি যায় আসে কেন আমার ব্যাপারে কথা বলবে মানুষে। শায়লা অনেক কিছু সহ্য করে আমার সংসারে টিকে থেকেছে আমার হাতে হাত রেখে সংসারটাকে গুছিয়ে নিয়েছে! সংসারটাকে সুখী সমৃদ্ধ করেছে। আমি যে সুখের আশায় শায়লাকে বিয়ে করেছিলাম সেই সুখ আমি পাচ্ছি সে সুখের বারতা বয়ে গেছে আমার সংসারে। এখন আমার বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন আস্তে আস্তে উপলব্ধি করতে পেরেছে শায়লাকে বিয়ে করে আমি ভুল করিনি শায়লা সংসারটাকে আপন করে নিয়ে সবাইকে আপন করে নিয়েছে। বিয়ের পাঁচ বছর পর আমি এখনো বলতে পারি আমাদের মাঝে এখনো ঝগড়া হয়নি আমি মাঝে মাঝে রাগ করলেও সে শান্তভাবে সবকিছু ম্যানেজ করে নেয়! আমার মা-বাবাকে নিজের মা বাবার মত দেখে। আমাদের যমজ সন্তান হয়েছে বয়স তিন বছর তাদের নাম রুদ্র ও রুহি। মা বাবা আমার দুই সন্তান নিয়ে আমার সুখী পরিবার।

আমার বন্ধু নিজাম অস্ট্রেলিয়া ছিল! দেশে ফিরেছে বিয়ে করার জন্য। তার বিয়ের দাওয়াত দিয়েছে, শায়লাকে নিয়ে ও আমার দুই সন্তানকে নিয়ে গেলাম বিয়ের দাওয়াতে। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমার বন্ধুর স্ত্রীদের সাথে কথা বলছিল শায়লা এমন সময় আমার বন্ধু স্বপন বলল ভাবীকে দেখলে মনে হয় তোর চেয়ে বয়সে বড় তুই যে ভাবীকে পছন্দ করে বিয়ে করছিস আমি এটা ভাবতেই অবাক হয়ে যাই! তোর জন্য কত সুন্দরী মেয়েরা পাগল ছিল। স্বপনের এই কথায় শালার মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমি স্বপনকে বলি আচ্ছা আমার স্ত্রীকে নিয়ে যদি আমার প্রবলেম না হয় তোদের কিসের প্রবলেম? তাকে নিয়ে ভালো আছি সুখে শান্তিতে আছি এতে তোদের সমস্যা হবার কথা নয়! তুই তো বিয়ের দুই মাস পর বউকে নিয়ে আলাদা হয়ে গেলি ছোট ভাইবোনদের পড়াশুনা খরচ পর্যন্ত দেস না।
আর আমি দেখ পাঁচ বছর ধরে বাবা-মাকে নিয়ে একসঙ্গে আছি ছোট বোনকে বিয়ে দিয়েছি বোন জামাই নিয়ে আসলে আমার চেয়ে আমার বউ তাদের বেশি আদর যত্ন করে। সুন্দর অসুন্দর বলতে কোন কিছু নেই যার মন সুন্দর সেই সুন্দর আমি তো ভালো আছি আমাকে ভালো থাকতে দে। আর কি বললি শায়লার বয়স বেশি মনে হয় আমার চেয়ে, শায়লা বয়সে আমার তিন বছরের ছোট সে দুইটা বাচ্চার মা হয়েছে বাচ্চা দুইটাকে মানুষ করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে! যমজ বাচ্চা লালন পালন করার চাট্টিখানি কথা নয়, আমার স্ত্রীর বয়স বেশি দেখাবে সেটা যদি আমি মেনে নিতে পারি আর কারো কি প্রবলেম। স্বপন চুপ হয়ে গেল আমি শায়লাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলাম। সায়লা বলল যা সত্যিই মানুষ তাই বলে তুমি কেন যে আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করলে। আমি তাকে বললাম একদম চুপ থাকবে আমার পছন্দ নিয়ে কেউ কথা বলবে সেটা আমি সহ্য করব না শায়লা আমার দিকে তাকালো! তার দৃষ্টিতে আমার জন্য শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা অফুরন্ত সেটা আমি দেখতে পেলাম।

সমাপ্ত

#সুখ
#জান্নাত_নূর

আজব চিঠি টা লেখার জন্য স্ত্রীকে ধন্যবাদ।স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হচ্ছে একে অপরকে বুঝতে পারা। তাই এই আজব চিঠি টাই  স্বামীর ...
21/10/2022

আজব চিঠি টা লেখার জন্য স্ত্রীকে ধন্যবাদ।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হচ্ছে একে অপরকে বুঝতে পারা। তাই এই আজব চিঠি টাই স্বামীর কাছে দারুণ ♥️ চিঠি।

স্ত্রী চিঠি লিখছে স্বামীর কাছে। কিন্তু, দাড়ি-কমা সম্বন্ধে কোন জ্ঞান না থাকায় ভুল স্থানে দাড়ি বসাতেই সেই প্রিয় চিঠি হয়ে গেল আজব চিঠি !
চিঠিটি হলো••••

" ওগো, সারাটা জীবন বিদেশেই কাটালে এ ছিল। তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলিয়া উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডু*বিয়া গিয়াছে ছোট খোকা।স্কুলে যেতে চায় না ছা*গ*লটা। সারাদিন ঘাস খাইয়া ঘুমাইয়া থাকে তোমার বাবা। বার মাস পেটের অ*সুখে ভুগিতেছে বাগানটা।আমে ভরিয়া গিয়াছে ঘরের চালটা। স্থানে স্থানে ফুটো হয়ে গিয়েছে গা*ভীর পেট। দেখিলে মনে হয় বা*চ্চা দিবে করিম এর বাপ। রোজ দুই হালি করিয়া ডিম দেয় বড় বউ। রান্না করিতে গিয়া হাত পু*ড়িঁয়া ফেলেছে কুকুর ছানাটা। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়ে গা*ল কাটিয়া ফেলেছে নুড়ীর মা। প্র/স/ব বেদনায় ছটফট করিতেছে নুড়ীর বাপ। বার বার ফিট হইয়া যাইতেছে ডাক্তার। সাহেব আসিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় তুমি বাড়ী আসিবে না । আসিলে অত্যন্ত দুঃখিত হইব।

ইতি
তোমার বউ।

 #জনি
21/10/2022

#জনি

জনি তার বাবা-মা'র সাথে খেতে বসেছিল।

জনি হটাৎ বলল, বাবা গতদিন তুমি যখন একজন আন্টির হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছিলে, আমি কিন্তু তোমাকে দেখেছি

বাবা ধমকে উঠে বলল, তোমাকে একদিন বলেছি না খাবার মুখে কথা বলবে না

মা বলল, কেন শুধুশুধু ধমকাচ্ছ? কি বলতে চায়, শেষ করতে দাও না। হ্যা বাবা তারপর কি হয়েছে?

জনি বলল, বাবা আন্টিটাকে নিয়ে পার্কে ঢুকল

মা বলল, তারপর?

জনি বলল, বাবা আন্টিটাকে নিয়ে একটা ঝুপের আড়ালে বেঞ্চে গিয়ে বসলো

মা ব্যস্ত হয়ে বলল, তারপর?

জনি চুপ করে রইল।

মা বলল, তোকে একটা কিন্ডারজয় দিব, বল বল তারপর কি হয়েছে?

জনি বলল, তারপর বাবা ঐ আন্টিটাকে জড়িয়ে ধরলো, যেমন করে পাশের ফ্লাটের মালেক আংকেল তোমাকে জড়িয়ে ধরে।

মা বলল, থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দিব ফাজিল কোন হানের, খাবার মুখে কথা বলতে তোর বাবা একদিন নিষেধ করেছে না?

SB Akash Khan

 #কালো_মেয়ে
20/10/2022

#কালো_মেয়ে

কালো মানেই অবহেলিত নয়।
সুন্দরী হলেই সুন্দর নয়।
সব ছেলেরা সুন্দরের পূজারী না।
তেমনি এক কালো মেয়ের গল্প,,,,

এবারের পাত্র পক্ষ আমাকে দেখতে এসে মাত্র এক লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়েছে। আগের দুইবারের তুলনায় এবারের টাকার পরিমাণ কম হবার পিছনে একটি কারণ অবশ্য আছে। পাত্রের বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। টাক মাথায় চুল বিশ পঁচিশটা হতে পারে। তবুও এক লক্ষ টাকা দাবি করার কারণ, আমি দেখতে কালো।
ঘটক চাচা নাকি পাত্র পক্ষকে বলেছে আমি দেখতে উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। ঘটক চাচার নাম আকবর মুন্সি। তিনি আমাদের এলাকায় থাকেন আমার জন্মের আগে থেকে। এই গ্রামের আরো বহু মেয়ের বিয়ে হয়েছে আকবর চাচার মাধ্যমে। তেমনি অনেক ছেলেকেও বিয়ে করিয়েছেন।
আমার ভাই কিন্তু চাচাকে কখনো বলেনি আমার জন্য পাত্র দেখার জন্য। একদিন তিনি নিজেই বললেন, এই গ্রামের এত ছেলে মেয়ের বিয়ে দিলাম। আর শেফালির বয়স হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। আমি এই গ্রামের ঘটক হয়ে যদি শেফালির বিয়ে দিতে না পারি তাহলে আমার মান থাকে
যে করেই হোক, আমি শেফালিকে বিয়ে দিব

সেই থেকে আকবর চাচা এই নিয়ে তিনটি প্রস্তাব এনেছেন। আগের দুই পক্ষের একজন চেয়েছিল তিন লাখ টাকা যৌতুক আর দ্বিতীয় পক্ষ চেয়েছিল একটি মোটর সাইকেল। আমার ভাই এক টাকাও যৌতুক দিতে রাজী নন। বাবা মা যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে অবশ্যই যৌতুক দিয়ে হলেও আমাকে বিয়ে দিতেন।

আজ আমার মনে হচ্ছে, আমার আর বিয়ে হবে না। ভাবী অবশ্য প্রায়ই বলে, শেফালি তুমি মন খারাপ করো না। আমার মনে হয় তোমার বিয়ে হবে না। না হোক, তাতে কী? তোমার ভাইয়ের সংসারে যতদিন আছো তোমার কোনো চিন্তা করার কারণ নেই।

ভাবীর কথায় মিষ্টতা ছিল নাকি তিক্ততা তা বুঝতে পারি না। তবে আমার বিয়ে না হলে যে ভাবী খুব আরাম আয়েশে দিন কাটাতে পারছেন সেটা কিন্তু মিথ্যে নয়।
পূর্ব পাড়ার শাওন ভাই দুই বছর আগে আমাকে ভালোবাসার কথা জানিয়েছিল।
নদী থেকে কলসি কাঁখে পানি আনার সময় শাওন ভাই পথ আগলে দাঁড়ালেন। ডানে বামে তাকিয়ে দেখছেন কেউ আছে নাকি। মধ্য দুপুরে কেউ থাকার কথাও না। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করে বললেন, শেফালি, আমি মানে শেফালি আমি তোমাকে পছন্দ করি। তুমি রাজী থাকলে আমি তোমাদের বাড়ি প্রস্তাব পাঠাব।
আমার চোখ তখন পলক ফেলতে ভুলে গেছে। কানকে অবিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম কিছু সময়ের জন্য। শাওন ভাই আমাকে কেন ভালোবাসার কথা বলবে? প্রেম ভালোবাসার মত পবিত্র জিনিস নিয়ে কেউ ঠাট্টা করে? আমার চোখের পলক পড়ল।
আমার চোখ ভিজে আসার উপক্রম। নিজেকে শক্ত রেখে বললাম, শাওন ভাই, আমি কালো বলে আপনি আমার সাথে আজ ঠাট্টা করলেন। আপনি জানেন কতটা কষ্ট পেয়েছি?

শাওন ভাই আবারো ডানে বামে তাকিয়ে বললেন, শেফালি বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি ঠাট্টা করছি না।

-সামনে থেকে সরে দাঁড়ান। আপনাকে আমার আর সহ্য হচ্ছে না। আপনাকে অনেক ভালো মনে করেছিলাম।
কথাটুকু বলে আমি বাড়ি চলে এসেছিলাম সেদিন।

সেদিন রাতে বালিশ ভিজিয়েছিলাম আমার চোখের পানিতে। আমি কালো বলেই কি সব অপমান সহ্য করতে হয়?একমাত্র মা আর বাবা আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। বাবা আমার মাথায় বিলি কেটে বলতেন, শেফালি। মা তুই কি জানিস? পরীরাও কালো হয়।
আমি ঠোঁট ভেঙ্গে বাবাকে বলতাম, বাবা পরীরা সবসময় সুন্দর হয়। তুমি মিথ্যে বলছ।

বাবা বলতেন, অবশ্যই পরীরা সুন্দর। কিছু পরী ফর্সা সুন্দর। কিছু পরী কালোর মাঝে সুন্দর। তুই আমাদের কালো পরী।

আমি জানতাম বাবা আমাকে খুশি করতে এসব বলতেন। একমাত্র ভাই ঝগড়া লেগে আমাকে কালি বলে ডাকতেন। আর শাওন ভাই নাকি আমাকে ভালোবাসেন। এটা ঠাট্টা নয়তো কী? তিনি শিক্ষিত ছেলে। চাকরি করছেন ইউনিয়ন অফিসে। দেখতে উঁচু লম্বা আর ফর্সা।

তিনি চাইলেই অনেক সুন্দর মেয়েকে বিয়ে করতে পারেন। আর তিনি নাকি আমাকে ভালোবাসেন। এর চেয়ে বড় অপমান আর কী আছে? এতই যদি ভালোবাসত তাহলে এতদিনের ভিতর আমার ভাইয়ের কাছে কেন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসল না? কোনটা অপমান আর কোনটা ভালোবাসা সেটা বুঝার বয়স আমার হয়েছে।
ভাবী বসে টিভি দেখছেন। পাশেই নাঈম বসে ভাত খায়। মাত্র দুই বছর বয়স। এখন তাকে আদর করে মুখে তুলে খাওয়ানো উচিত। আর দুই পা ছড়িয়ে ভাত বিছানায় ছিটিয়ে নাঈম আপন মনে ভাত খেয়ে যাচ্ছে। আর ভাবী ভারতীয় সিরিয়াল দেখে কখনো মুখের ভাব কান্নার মত করছে কখনো আপন মনে হেসে যাচ্ছে।
নাঈমের খাওয়া শেষ হলেই বিছানা পরিষ্কার করে ঘর গোছাতে হবে আমাকেই। ভাইয়ের সংসারে থাকি খাই ঠিকই কিন্তু বাড়ির প্রায় সব কাজ তো দিনের পর দিন আমিই করে যাচ্ছি।

বাবা নাকি আমার বিয়ের জন্য ব্যাংকে টাকা জমিয়েছিলেন। সেই টাকাও ভাই নিজের করে নিয়েছে। অথচ আমার বিয়ে দেয়ার সময় ভাই নাকি এক টাকাও দিতে পারবে না। পঁচানব্বইতে জন্ম আমার, আর কিছুদিন গেলে কেউ আর বিয়ে করতেও আসবে না।
ভাবী তো বলেই, আর ক'টা দিন গেলে বিয়ে নিয়ে আর ভাবতেই হবে না। এখন তো বিয়ের জন্য পাত্র পক্ষ দেখতে আসলে শুধু শুধু টাকা নষ্ট।
শুনেছি কালো মেয়েরা নাকি গল্প উপন্যাসেই শোভা পায়। বাস্তবে কেউ কালো মেয়েকে পছন্দ করে না। আমি কি ইচ্ছে করে কালো হয়ে জন্ম নিয়েছি?
তবে একটা জিনিস ভালো লাগে, বাড়ির কাজ কর্ম সব ঠিক ঠাক করে দিতে পারলে ভাবী আমার সাথে ভালো ব্যবহার করে। অন্তত মুখটাকে বাংলা পাঁচের মত করে রাখে না।

নদীর পাড়ে একটি আম গাছ। মাত্র মুকুল আসতে শুরু করেছে। শাওন ভাই সাইকেল দাঁড় করিয়ে গাছে হেলান দিয়ে আছে। আমি বিছার ভয়ে কখনো এই আম গাছে হেলান দেয়ার সাহস পাই না। আমি কলসিতে পানি নিয়ে ফিরছি। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি শাওন ভাইয়ের দৃষ্টি এখনো আমার দিকে। প্রায়ই এই সময়ে শাওন ভাইয়ের দেখা মিলে এই গাছটির নিচে। তবে দুই বছর আগে আমার সে কথাগুলোর পর থেকে আর কোনো কথা বলেনি শাওন ভাই। শুধু তাকিয়েই থাকে।
-শেফালি একটু এদিকে আসো, কথা আছে।
ডানে বামে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। কেন ডাকছে আমাকে? আজও অপমান করার শখ জেগেছে? আমি বললাম, ওদিকে যেতে পারব না। যা বলার ওখান থেকেই বলুন।

শাওন ভাই এগিয়ে এলেন। আমার দৃষ্টি নিচের দিকে হলেও খুব করে বুঝতে পারছি তিনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। পুরুষ মানুষের তাকিয়ে থাকারও অনেক কারণ থাকে। কিছু কারণ ভালো কিছু কারণ মন্দ। শাওন ভাইয়ের তাকানোর ভাষা আমি বুঝতে পারছি না।
-শেফালি, বাড়ি থেকে আমাকে বিয়ের জন্য বলছে। কিন্তু আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি।

এবারের কথায় অপমান মনে হয়নি। মনে হচ্ছে সত্যিই শাওন ভাই আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু এমন সুদর্শন মানুষটি আমার মত কালো মেয়েকে কেন ভালোবাসতে যাবে?
আমি বললাম, আমি জানি না আপনি আমাকে সত্যিই ভালোবাসেন নাকি উপহাস করছেন। যদি সত্যিই ভালোবাসেন আমার ভাইয়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান। এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বললে মানুষ খারাপ ভাববে।
-শেফালি আমি তোমার ভাইয়ের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম মামাকে দিয়ে। তোমার ভাই অনেক আগেই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আর কেন ফিরিয়ে দিয়েছে, সেটা তুমি ভালো করেই জানো। তাই তো তোমার সাথে কথা বলার জন্য এসেছি। তুমি যদি রাজী থাকো আমরা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করব।
-আমার ভাইয়ের অমতে আমি বিয়ে করব আপনি ভাবলেন কিভাবে? ভাইয়ের সংসারে এতদিন ধরে আছি আর আজ আপনার কথায় বাড়িতে না জানিয়ে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করব? আমি পারব না, পথ ছাড়েন শাওন ভাই।

আমি বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। শাওন ভাই পেছন থেকে বলছে, শেফালি আমার কী দোষ? আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার ভাই কোনোদিন আমাকে মানবে না। তাই তো বলেছি কাজী অফিসে বিয়ে করতে। তুমি তো জানো তোমার ভাই যে কেন মেনে নিবে না।
আমি তবুও পেছন ফিরে না তাকিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। শাওন ভাইয়ের জায়গায় অন্য কেউ হলে আমার ভাই ঠিকই মেনে নিত। কিন্তু শাওন ভাইয়ের সাথে আমার ভাইয়ের এক জনমের শত্রুতা।
শাওন আর শাহীন ভাই দুইজন ছোটবেলার বন্ধু। আমি তখন অনেক ছোট, তেমন কিছুই বুঝি না। বাবা মায়ের কাছে শুনেছি শাওন ভাই আমার ভাইকে ছাড়া একদিনও চলতে পারত না। কারো সাথে ঝগড়া হলেও দুই বন্ধু একসাথে মারত, মার খেত। কিন্তু অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষার পর দুই বন্ধুর বন্ধুত্ব আর থাকল না।
পরীক্ষার দু'দিন আগেও আমার ভাইয়ের সাথে শাওন ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমার ভাই মারবেল খেলা খুব পছন্দ করত। শাওন ভাই এসে বলল, তুই যে মারবেল খেলছিস পরীক্ষায় তো গোল্লা পাবি। আমি কিন্তু এবার একটুও দেখাব না তোকে।

শাহীন ভাই রেগে গিয়ে বললেন, তুই না দেখালে মনে হয় পাশ করব না আমি? দেখব না তোর কাছ থেকে। তোর সাথে বসে পরীক্ষাই দেব না। অন্য কোথাও বসব।
শাহীন ভাই তবুও মারবেল খেলা ছেড়ে উঠে আসেনি।

পরীক্ষার দিন শাহীন ভাই দেড় ঘন্টা পরই খাতা জমা দিয়ে বের হয়ে গেলেন। আসলে প্রশ্নের কোনো উত্তরই শাহীন ভাইয়ের জানা নেই। সেবারের পরীক্ষায় শাহীন ভাই দুই বিষয়ে ফেল করল। ফেল করেছে নিজের দোষে, কিন্তু সেই থেকে ছোট্ট এই কারণে শাওন ভাইয়ের সাথে চলা ছেড়ে দিল।
শাওন ভাই আমাদের বাড়ি এলে শাহীন ভাই বাড়ির বাইরে চলে যেত, কথা বলত না। একসময় শাওন ভাইও আর এগিয়ে আসেনি। দু'জনের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হল। এই দূরত্বকেই তারা শত্রুতার চোখে দেখে। কিন্তু তাদের মনে কোনো শত্রুতা নেই। অভিমান, জিদ আর একরোখা টাইপের দু'জনই।
তাই তাদের মধ্যে আর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেনি। সেজন্যই ভাই হয়তো শাওন ভাইয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি হেরে যেতে চান না।

পানি নিয়ে বাড়ি ফিরে শুনি ভাই আর ভাবী পাশের ঘরে ঝগড়া করছে। আমি যে বাড়ি এসেছি তারা সেটা দেখেনি। অবাক হলাম যখন শুনি ভাই আর ভাবী আমাকে নিয়েই ঝগড়া করছে।
ভাবী বলছে, আমি সংসারের এত কাজ কর্ম করতে পারব না। আগে একজন কাজের মেয়ে ঠিক করো, তারপর বোনের বিয়ের কথা চিন্তা করো। আর বোনের বিয়ে দিতে টাকা পাবে কোথায়?
ভাইয়াও রেগে বলছে, তোর এত চিন্তা কিসের? তোর বাপের বাড়ি থেকে তো টাকা এনে বোনের বিয়ে দেব না। বাবা মারা যাবার আগে টাকা রেখে গেছেন।
-তোমার ভবিষ্যত নেই? তোমার ছেলে যে বড় হচ্ছে সে খেয়াল আছে? এই বাড়িটা ছাড়া তোমার জন্য তোমার বাবা আর কী রেখে গেছেন?
-তাই বলে কি বোনের বিয়ে দিতে হবে না?
-এই কালো মেয়েকে কে বিয়ে করবে? দেখো না একেকজন কত টাকা যৌতুক চায়?
আমি বাড়ির বাইরে বের হয়ে গেছি। এসব কথা আর শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে না। নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকব। যদি একটু কাঁদতে পারতাম তাহলে মনে হয় ভিতরের চাপা কষ্ট কিছুটা বের করতে পারতাম।
আম গাছের নিচে শাওন ভাই এখনো আছে। এক হাত গাছে ঠেকিয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। আরেক হাতে আধ খাওয়া জ্বলন্ত সিগারেট। সিগারেটের গন্ধ আমি একদম সহ্য করতে পারি না। সিগারেট যার হাতে জ্বলছে, তাকে কি সহ্য করতে পারব? ভাইয়ের সংসারের চেয়ে ভালো নয় কি আমার একটা সংসার হোক?
আমারও আপন একটা মানুষ হোক?

আমাকে দেখে শাওন ভাই সিগারেট ফেলে দিলেন। আমি আসব এটা তিনি ভাবেননি। তার চোখে জিজ্ঞাসা। উত্তর আমার জানা আছে। আমি বললাম,
-আমি তো দেখতে অনেক কালো। আপনি চাইলেই সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করতে পারেন। আপনি আমাকে ভালোবাসেন কেন?

শাওন ভাইয়ের ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসির রেখা। বললেন, শেফালি। ভালোবাসতে না পারার পেছনে অনেক কারণ থাকে। কিন্তু ভালোবাসতে কোনো কারণ লাগে না।

-তবুও আমার জানতে হবে।
-তোমাকে কেন ভালোবাসি জানি না। তবে ছোট থেকেই তোমাকে আমার পছন্দ। প্রথম ভালো লাগা। ছোটবেলা যখন তোমাদের বাড়ি যেতাম, তুমি ছোট ছোট মাটির পাতিলে গাছের লতাপাতা রান্না করার খেলা খেলতে। তখন ভাবতাম, ইশ। আমি যদি শেফালিকে বাজার করে দিতে পারতাম। শেফালি রান্না করত,
আমি গোসল করতে যেতাম। তারপর দু'জনে একসাথে খেতে বসতাম।

-হইছে, বুঝলাম। তো আপনার বাড়িতে আমাকে মেনে নিবে?
-আমার যে বাবা নেই তুমি সেটা জানো। তোমাকে যে আমার পছন্দ মা সেটা জানে। আর জানে বলেই মামাকে দিয়ে তোমার ভাইয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। যখন তোমার ভাই ফিরিয়ে দিলেন। তখন মা বলল, শাহীনের বোনকে যদি তোর কাছে বিয়ে না দেয় তাহলে তো জোরের কিছু নেই। তুই অন্য কোথাও বিয়ে কর।
কিন্তু আমি করিনি, তোমার অপেক্ষাতেই এই নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। এই আমগাছটা সাক্ষি।
আমগাছ আমার পছন্দ না, বিছা থাকে। আপনি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আমাকে নিয়ে চলেন। আমি আর ভাই ভাবীর সংসারে ফিরে যেতে চাই না।
শাওন ভাই আমার হাত ধরলেন। হাতটি খুব বিশ্বাসের মনে হচ্ছে।

সাতমাস পর ভাই আমাকে সব ভুলে আনতে গেলেন। শাওনের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললেন, তোর জন্য আমি দুই বিষয়ে ফেল করেছিলাম, আমি কিন্তু ভুলিনি।
শাওন বলল, আজ যে তুই আমাদের মেনে নিয়েছিস। এর পরও কি তোর মনে হয় তুই ফেল? আমার তো মনে হয় তুই পাশ করেছিস।
শাহীন ভাই শাওনকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। ভাইয়ের চোখ ছলছল করছে।

ভাই আমাদের নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। আকবর চাচা বগলে ছাতা নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোরা নিজেরাই সবকিছু করে ফেললি। এবার একটা অনুষ্ঠান তো করবি নাকি? বিয়ে দিতে না পারি বিয়ের দাওয়াতটাও আমি পাওনা না? সবাই হেসে উঠলাম।

বাড়ি এসে দেখি, ভাবী পাতিল মাজে। আমাকে দেখে খুশি হয়ে দাঁড়িয়ে ভাইকে বলল, ভালো করেছো শেফালিকে নিয়ে এসেছো। তারা আমাদের এখানেই সারাজীবন থাকুক।
ভাই মুখে ভেংচি কেটে বললেন, সারাজীবন তারা থাকবে না। যদি থাকে তাহলে আমিও তোমাকে নিয়ে সারাজীবনের জন্য তোমার বাপের বাড়ি চলে যাব।

ভাবীর হাসি বিলীন হল। পাতিল মাজায় মন দিলেন। আমি ঘরে গিয়ে ভাইয়ের ছেলে নাঈমকে কোলে নিলাম। মনে মনে ভাবছি, সব মেয়েদেরই একটা শ্বশুর বাড়ি চাই, একটা আপন মানুষ চাই।

নিজেকে বদলে ফেলুন তো আপনার জীবন বদলে যাবে।
20/10/2022

নিজেকে বদলে ফেলুন তো আপনার জীবন বদলে যাবে।

৩ বছর প্রেম করার পর যখন গার্লফ্রেন্ড বিয়ের কার্ড হাতে দিয়ে বলে,
"সরি আমার কিছু করার নেই। বাবা মা তোমার মত বেকার ছেলের হাতে আমাকে তুলে দিবে না। আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। ছেলে একটা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিতে জব করে। বেতন ৭০ হাজার টাকা। তাই আমিও আর না করতে পারি নি। যদি চাও আমার বন্ধু হিসাবে আমার বিয়েতে আসতে পারো"
তখন সত্যিকারের প্রেমিকের বিষয়টা মেনে নেওয়া সত্যি খুব কষ্টকর। তাই আমিও মেনে নিতে পারি নি। রাতে দোকান থেকে ৫ টাকা দিয়ে একটা ব্লেড কিনে এনে নিজের হাতের রগ কেটে ফেললাম। আমার হাতের রক্তে বিছানার সাদা চাদরটা ক্রমশই লাল হয়ে যাচ্ছে। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। পরেরদিন যখন আমার জ্ঞান ফিরলো তখন দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। আমার জ্ঞান ফিরা দেখে আমার মা আমার ডানগালে সজোরে থাপ্পড় মেরে বললো,
কুত্তার বাচ্চা তকে ২৪ টা বছর নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে আমি কি পেলাম? আর তুই কি না অল্প কয়েকদিনের ভালোবাসার জন্য নিজের জীবনটা দিয়ে দিচ্ছিলি..
আমার মা, খুব সাধারণ একজন মহিলা। কোনদিন আমাকে গালি দিবে দূরের কথা তুই করে পর্যন্ত বলে নি। সেই মা মনে কতটা কষ্ট পেলে সন্তানকে থাপ্পড় মারতে পারে তা আমার চিন্তার বাহিরে...
আমার পাশে আমার হাত ধরে বসে অনবরত কান্না করছে আমার ছোট বোনটা। বেশ কয়েকদিন ধরে আমার বোনটাকে পাড়ার কিছু বখাটে ছেলে বিরক্ত করছে। আমি আমার বোনকে নিজে কলেজে নিয়ে যায় আবার নিজে নিয়ে আসি। আজ আমি বোনের কথা চিন্তা না করে মরতে বসেছিলাম। আমি মরে গেলে আমার বোনটার কি হতো। হয়তো কোনদিন কোন একটা খবরের কাগজের প্রথম শিরোনাম হয়ে যেতো...
আমার বয়সের ছোট খালাতো ভাই আমার রিপোর্ট হাতে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করছে। অথচ এই ছোট ভাইয়ের কয়েকদিন আগে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। কোথায় আমি ওর পাশে দাড়াবো। ওর ট্রিটমেন্ট করাবো, তা না করে উল্টো নিজে মরতে গিয়েছিলাম। আর ও আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে...
নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হচ্ছে। আমি আমার পরিবারের কথা চিন্তা না করে বোকার মত মরতে বসেছিলাম।
কেন জানি মনের ভিতর আমার গার্লফ্রেন্ডর জন্য ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলো। নিজের সমস্ত আবেগকে মাটিচাপা দিয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা শুরু করলাম। গ্রামে গিয়ে ২ টা পুকুর আর ২ গাভী দিয়ে নিজের যাত্রা শুরু করলাম। আজ ৭ বছর পর আমার গাভীর সংখ্যা ১০৩টা। পুকুরের সংখ্যা ২৬ টা।তাছাড়া আমার মুরগী ছাগলের ফার্ম আছে। আমার এই খামার বাড়িতে কাজ করে ২১ জন লোক। আমার গার্লফ্রেন্ডর স্বামী প্রতি মাসে বেতন পায় ৭০ হাজার টাকা। আর আমার প্রতি মাসে খরচ হয় ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। লাভের কথাটা নাই বা বললাম।
কৃষি দিবানিশির উপস্থাপক শাইখ সিরাজ আমায় প্রশ্ন করেছিলো, আমার এই সফলতার পিছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি? আমি শুধু মুচকি হেসেছিলাম, যদি বলতাম আমার এক্সগার্লফ্রেন্ড তাহলে লোকে হাসতো...
সেদিন রেস্টুরেন্টে বসে আছি হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার এক্সগার্লফ্রেন্ড শ্রাবণী এককোণে বসে আছে।আমি ওর পাশে বসতেই ও চমকে গেলো। কিন্তু শ্রাবণীর চেহারা দেখে আমি আরো বেশি চমকে গেলাম। চেহারার সেই লাবণ্যতা নেই। চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।
আমি ওকে বললাম,
-- তোমার শরীর ভালো আছে তো?
ও মাথাটা নিচু করে বললো,
- সত্যি বলতে ভালো নেই। সাকিবের সাথে বিয়ে হবার পর আমি একটা দিনের জন্য সুখে থাকতে পারি নি। ও আমায় শারিরীক আর মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। তাই ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি। আমার ডিভোর্স দেওয়াটা আমার বাবা মা মেনে নিতে পারি নি। তাই বাবার বাড়িতেও আমার জায়গা হয় নি। তাই নিজে একটা প্রাইভেট ফার্মে জব করছি। তোমায় অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাই নি। পিয়াস চলো না তুমি আর আমি সব ভুলে আবার নতুন করে শুরু ক....
শ্রাবণী কথাটা শেষ করতে পারে নি এমন সময় আমার স্ত্রী সুপ্তি আমাদের পাশে বসতে বসতে বললো,
~ আরে আপনি সাকিব সাহেবের স্ত্রী শ্রাবণী না?
আমি অবাক হয়ে সুপ্তিকে বললাম,
-- তুমি উনাকে চিনো কি করে?
সুপ্তি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
~ আরে আমি আর বাবা উনাদের বিয়েতে গিয়েছিলাম তো।
সুপ্তি শ্রাবণীকে বললো,
~ আপনি সাকিব ভাইকে বলেন যে উনার বস আসলাম সাহেবের মেয়ে সুপ্তি। তাহলেই উনি আমাকে চিনতে পারবেন কারণ উনি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আর আমি উনাকে রাগে থাপ্পড়... সরি সরি আমার এই কথাটা বলা উচিত হয় নি...
আমি শ্রাবণীকে তখন বললাম,
-- ও আমার স্ত্রী। আর আমরা একসাথে খুব সুখে আছি...
শ্রাবণী মাথাটা নত করে চুপ করে বসে আছে। আমি আর সুপ্তি চলে যাচ্ছি। আমি মনে মনে ভাবছি,
দুনিয়ার কি অদ্ভুত নিয়ম। যে ছেলেকে পাওয়ার জন্য আমার গার্লফ্রেন্ড আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছিলো আমি আজ সেই ছেলের বসের মেয়েকে বিয়ে করেছি।
প্রেমে ব্যর্থ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। পৃথিবীতে ৯৫% মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারে না। তাই বলে কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। প্রেমে ব্যর্থ হলে কষ্ট হবে এটা ঠিক কিন্তু তুমি চাইলেই এই কষ্টটাকে তোমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ভাবতে পারো। নিজেকে সময় দাও।সময় সব বদলে দেয়। একটু অন্য রকম ভাবে চিন্তা করো। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলো যেন একটা সময় তোমার এক্স তোমাকে হারানোর জন্য আপসোস করে।
একটা কথা মনে রেখো, কারো ভালোবাসা তোমার পরিবারের ভালোবাসা থেকে বড় না। তাই নিজের পরিবারকে ভালোবাসতে শিখো।আর পরিশ্রম করো দেখবে একটা সময় সফলতা তোমার দরজায় এসে কড়া নাড়বে..
গল্প : হাওয়া_বদল

লেখা : আবুল_বাশার_পিয়াস

Address

Araihazar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when J M Johnny posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category