22/12/2024
রামগঞ্জ ওয়াপদা সড়কের ১১ কিলোমিটার: ২০ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি
মাহমুদ ফারুক:
রামগঞ্জ শিশুপার্ক ব্রীজ চৌরাস্তা থেকে লক্ষ্মীপুর সীমানা পর্যন্ত ওয়াপদা সড়কটি প্রায় ১১ কিলোমিটার। প্রায় ২০বছর থেকে সড়কটিতে কোন ধরনের সংষ্কার বা উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায়-দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে, কোথাও কোথাও ভেঙ্গে গিয়ে পুরো সড়কজুড়ে খানাখন্দে সয়লাভ হয়ে গেছে।
এতে করে এ সড়কের দুই পাশের পৌর এলাকার একাংশ, দাসপাড়া, লামচর, বেড়ি বাজার, পানপাড়া, ডা¹াতলিসহ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পুরো রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে সয়লাভ থাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন এ সড়কে চলাচলরত জনসাধারণ। আর্থিক ও শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলাম, আবু সালেহ, ওমর ফারুকসহ স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বিগত দিনের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধিগণ আশ্বাস দিয়েছেন, এলাকাবাসীকে প্রলোভন দেখিয়েছেন সড়কটি সংষ্কার করা হবে। কিন্তু ভোটের পর তারা এ এলাকার ধারেকাছেও আসেননি। বছরের পর বছর সংড়কটি সংষ্কার না হওয়ায় সড়কটি ভাঙতে ভাঙতে এখন হেঁটে চলাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাঙাচুরা সড়কের কারনে প্রাপ্ত বয়স্ক কন্যাদেরও পাত্রস্থ করা সম্ভব হচ্ছে না। সড়ক দিয়ে বর্তমানে রিক্সা-সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ কোন ধরনের বাহন যাতায়াত করেনা। অধিক টাকা খরচ করে যাতায়াত করতে বাধ্য হন এলাকার লোকজন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে সর্বশেষ ২০০৭ ইং সনে সড়কটি নামমাত্র সংষ্কার করা হলেও পরবর্তী সময়ে কোন জনপ্রতিনিধিই এলাকাবাসীর প্রতি আন্তরিক হয়ে সড়কটি সংষ্কারে এগিয়ে আসেননি। ফলে দূর্ভোগের সময়টা অনেক দীর্ঘায়িত হয়েছে বলেও দাবী করেন তারা। তাদের দাবী অতি দ্রুত যদি সড়কটি সংস্কার করা না হয় তাহলে পুরো সড়কটিই একসময় বিলীন হয়ে যাবে।
সড়কটি সংস্কার বিষয়ে কথা হয় রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাজ্জাদ মাহমুদ খাঁনের সাথে। তিনি জানান, আমি বেশ কয়েকবারই সড়কটি সংষ্কারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি। সার্ভে করেছি, চাহিদা দিয়েছি। রাস্তার দুই পাশ এতটাই ভাঙ্গা যে, বিশাল অংকের টাকার দরকার সড়কটি সংষ্কার করতে হলে। তবে তিনি এসময় জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সড়কটি সংষ্কারে একটি বার্তা পেয়েছি। আশা করছি সুখবর পাবো।