Abdullah Al Montasir

Abdullah Al Montasir এসো ইসলামের পথে।
(3)

08/01/2025
আলহামদুলিল্লাহ live. আসতেছে
08/01/2025

আলহামদুলিল্লাহ live. আসতেছে

08/01/2025

ইনশাআল্লাহ আজকে সৈয়দ আহমেদ (কলরব) এর ওয়াজ লাইবে আসবে বাদে মাগরিব ।

25/08/2024

সবাই শেয়ার করুন

24/07/2024

আপনি খুশি কারণ আপনার ইন্টারনেট ফিরে এসেছে, কিন্তু তাদের মা খুশি নয় , কারণ তার ছেলে বাড়িতে ফিরেনি💔😭😭
দোয়া রইলো সকল শহীদদের প্রতি

11/07/2024

মেঘের অসাধারণ কিছু দৃশ্য

08/07/2024

আলহামদুলিল্লাহ

01/07/2024

রাতে নিয়মিত যে ৭ আমল করতে বলেছেন বিশ্বনবি

আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরির গুরুত্বপূর্ণ সময় রাত। মুমিন বান্দা আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করে। আবার দুনিয়ার যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকতে রাতে নিয়মিত ৭টি আমল করে থাকেন। আমলগুলো কী?
মুমিনের রাতের ৭ আমল
১. অজু করা।
২. আয়াতুল কুরসি ও সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত পড়া।
৩. সুরা মুলক পড়া এবং ইসতেগফার করা।
৪. তিন কুল (সুরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাস) পড়া।
৫. সুরা কাফেরূন ও সুরা ফাতেহা পড়া।
৬. তিন তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার) পড়া।
৭. ঘুমানোর আগে দোয়া পড়া এবং ডান কাতে শোয়া।
সংক্ষেপে ৭ আমলের যত ফজিলত ও বিবরণ
১. অজু করা।
ঘুমানোর আগে অজু করা ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। এতে দুইটি নেয়ামত অর্জিত। হাদিসে এসেছে-
> ফেরেশতার ক্ষমা প্রার্থনা
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু বর্ননা করেন, নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘তোমরা তোমাদের শরীরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তোমাদেরকে পরিচ্ছন্ন করে দেবেন। আর যখন আল্লাহর কোনো বান্দা ওজু করে বিছানায় ঘুমাতে যায়, আল্লাহ ওই ব্যক্তির সঙ্গে (তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনায়) একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন। ঘুমের মধ্যে ওই বান্দা যখনই নড়াচড়া করে কিংবা এপাশ-ওপাশ করে তখনই ওই ফেরেশতা তার জন্য এ বলে দোয়া করে- ‘اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِعَبْدِكَ (আল্লাহুম্মাগফির লি-আবদিকা) হে আল্লাহ! আপনার এ বান্দাকে ক্ষমা করে দিন।‘ কেননা সে পবিত্রতা অর্জন করে ঘুমিয়েছে।’ (তাবারানি, ইবনে হিব্বান)
> দোয়া কবুল হয়
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো বান্দা যখন ওজু করে পবিত্র হয়ে ঘুমায় আর ঘুমানোর পর যদি কোনো কারণে রাতে ঘুম ভেঙে যায় তবে সে যেন (একটু হলেও) আল্লাহর জিকির করে। যদি কেউ জিকির করার পর আল্লাহ কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনা করে তবে আল্লাহ তাআলা তাকে (চাহিদা অনুযায়ী) তা-ই দিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
২. আয়াতুল কুরসি এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা।
ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়েলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকারী থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।’ হাদিসের পুরো বর্ণনাটি এমন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার দেখতে পেলেন একজন ব্যক্তি সাদকার মাল চুরি করছে। তখন তিনি তার হাত ধরে বললেন, ‘আল্লাহর শপথ! আমি তোমাকে আল্লাহর রাসুলের কাছে নিয়ে যাব।’ তখন ওই ব্যক্তি বলল যে, সে খুব অভাবী আর তার অনেক প্রয়োজন। তাই দয়াবশত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে ছেড়ে দিলেন ।
পরদিন সকালে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসার পর তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘গতকাল অপরাধীকে কী করেছো?’
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানালেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘অবশ্যই সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবারও আসবে।
এভাবে ওই চোর পরপর ৩দিন সাদকার মাল চুরি করতে আসে। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুও তাকে প্রত্যেকবার ছেড়ে দেন। সর্বশেষ সে (ওই চোর) তাকে আয়াতুল কুরসির আমলের কথা বর্ণনা করে। (আয়াতুল কুরসির ফজিলত এভাবে বর্ণনা করে)-
‘আমি তোমাকে এমন কিছু বলে দেব; যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করবেন?
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সেটা জানতে চাইলে (ওই) চোর বললো- ‘রাতে যখন ঘুমাতে যাবে তখন আয়াতুল কুরসি (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম) পড়ে ঘুমাবে তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য একজন ফেরেশতাকে পাহারাদার নিযুক্ত করবেন। যে তোমার সঙ্গে থাকবে আর কোনো শয়তান সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে আসতে পারবে না।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘যদিও সে চরম মিথ্যাবাদী কিন্তু সে সত্য বলেছে। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘তুমি কি জান সে কে?’ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘না’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সে হচ্ছে শয়তান।’ (বুখারি)
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত
রাতের বেলায় ভয় ও অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বাঁচতেও সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের আমল কার্যকরী। যা মানুষকে দুনিয়ার যাবতীয় অনষ্টিতা থেকে মুক্তি দেয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মাসউদ বদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের বেলায় সুরা বাকারার শেষ আয়াত দুটি তেলাওয়াত করবে, তার জন্য এ দুটিই যথেষ্ট।’ (বুখারি)
অর্থাৎ সুরা বাকারা শেষ আয়াত দুটির তেলাওয়াত সে রাতের অপ্রীতিকর জিনিসের মোকাবেলায় যথেষ্ট হবে। আর তাহলো-
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ - كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ - وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ - لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا - لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ - رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا - رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا - رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ - وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا - أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
উচ্চারণ : আমানার রাসুলু বিমা উংযিলা ইলাইহি মিররাব্বিহি ওয়াল মুমিনুন। কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালায়িকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিমমির রুসুলিহি। ওয়া কালু সামিনা ওয়া আত্বানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির। লা ইকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসআহা – লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাসাবাত – রাব্বানা লা তুআখিজনা ইন-নাসিনা আও আখত্বানা – রাব্বানা ওয়া লা তাহমিল আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু আলাল্লাজিনা মিং ক্বাবলিনা – রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা মা লা ত্বাকাতা লানা বিহি – ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা – আংতা মাওলানা ফাংচুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮৫-২৮৬)
৩. সুরা মুলক তেলাওয়াত করা এবং ইসতেগফার পড়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা মুলক তেলাওয়াতের আমল করবে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে।’ (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম)
সুরা মুলক রাতের বেলা পড়া উত্তম, তবে অন্য যেকোনো সময়ও পড়া যাবে। হাদিসে পাকে এসেছে-
> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা মুলক তেলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না।’ (তিরমিজি)
> হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলিফ লাম মীম তানযিল ও তাবারাকাল্লাজি (সুরা মুলক) না পড়ে কখনো ঘুমাতে যেতেন না।’
৪. সুরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাস ৩ বার পড়া।
নিরাপত্তার জন্য এ তিন সুরার আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক্ব এবং সুরা নাস ৩বার পড়বে; এগুলোই তার সবকিছুর (নিরাপত্তার) জন্য যথেষ্ট হবে।’ হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এ সুরার অনেক বৈশিষ্ট্য ও প্রাপ্তির কথা ওঠে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন এবং উভয় হাতে ফুঁক দিতেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।’ (বুখারি)
৫. সুরা ফাতিহা ও সুরা কাফিরূন পড়া।
সুরা কাফেরূন রাতের বিশেষ আমল হিসেবে পরিচিত। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-
> এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আরজ করলেন, আমাকে ঘুমের আগে পড়ার জন্য কোনো দোয়া বলে দিন। তখন তিনি ‘সুরা কাফিরূন’ পড়তে আদেশ দেন এবং বললেন এটা শিরক থেকে মুক্তিপত্র।’ (আবু দাউদ; তাবারানি, তাফসিরে ইবনে কাসির)
৬. তিন তাসবিহ পড়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর ৩ তাসবিহ- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রত্যেক নামাজের পর তাসবিহ পড়ার আদেশ করেছেন। আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘ফাসাব্বিহহু আদবারাস সুজুদ’ দ্বারা তিনি এ অর্থ করেছেন। এর মানে ‘এবং সেজদাসমূহের সমাপ্তির পর’ অর্থাৎ নামাজ শেষে তাসবিহ পড়।’ (বুখারি)
আয়াতের ব্যাখ্যায় এসেছে, ‘আল্লাহর তাসবিহ পাঠ কর; বলতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যে তাসবিহ পড়তে বলেছেন। তাহলো-
> সুবহানাল্লাহ- ৩৩বার;
> আলহামদুলিল্লাহ- ৩৩বার; এবং
> আল্লাহু আকবার- ৩৪বার।
শুধু প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরই নয়, এ তিন তাসবিহ সকাল-সন্ধ্যায় যেমন পড়া কথা বলেছেন বিশ্বনবি তেমনি তিনি রাতে শোয়ার সময়ও এ৩টি তাসবিহ পড়া কথা বলেছেন। সুবহানাল্লাহ-৩৩ বার, আলহামদুল্লিাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৩/৩৪বার পড়া।
৭. ঘুমানোর সময় দোয়া পড়া এবং ডান কাতে শোয়া।
اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَ اَحْيَا
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনার নামে মৃত্যুবরণ করি এবং জেগে ওঠি।’
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রাতে ঘুমানোর আগে উল্লেখিত ৭ আমল নিয়মিত করার মাধ্যমে হাদিসের অনুসরণ ও অনুকরণ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাতের ৭টি আমল নিয়মিত করার মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ পাওয়ার তাওফিক দান করুন। যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Address

Deira, Dubai
Dubai
58294

Telephone

+971563824812

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdullah Al Montasir posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abdullah Al Montasir:

Videos

Share