25/07/2023
আজ আপনাদের কে জানাবো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পৃথিবীর সেরা প্রাকৃতিক প্রোটিন যুক্ত খাবার স্পিরুলিনা সম্পর্কে।
(Spirulina) পৃথিবীর সেরা খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বিশ্বের বড় বড় সব আর্গানাইজেশন স্পিরুলিনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্পিরুলিনাই হচ্ছে একমাত্র High Nutrient খাদ্য যা বিশ্বব্যাপী এতগুলো প্রতিষ্টানের স্বীকৃতি পেয়েছে।
১৯৬৭ সালে লন্ডনের ম্যাগাজিন নিউ পলেটিসিয়ান স্পিরুলিনা প্রধান উপাদান প্রোটিন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ ফুড কনভেনশনে স্পিরুলিনাকে ভবিষৎতে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ঘোষনা করে।
১৯৮১ সালে জাতিসংঘ খাদ্য কৃষি সংস্থা স্পিরুলিনাকে ২১ শতকে আদর্শ স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে সুপারিশ করে।
১৯৮৩ সালে জার্মানীতে উনষ্ঠিত বিশ্ব খাদ্য প্রর্দশনিতে র্সবকৃষ্ঠ প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে আক্ষয়িত করে।
যুক্তরাষ্ট্র ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিসট্রেশন স্পিরুলিনা কে প্রোটিনের একটি উত্তম উৎস হিসেবে অনুমোদন করে।
চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয় স্পিরুলিনাকে প্রাকৃতিক খাবাবের নতুন উৎস হিসেবে মেনে নেয়।
২০১২ সালে হু পুষ্টি ঘাটতি মেটানোর জন্য স্পিরুলিনাকে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী প্রচারনা শুরু করে।
প্রতি কেজি স্পিরুলিনা ১০০০ কেজি মিশ্র ফল ও সবজীর সমতুল্য NASA
স্পিরুলিনা মানবজাতির জন্য প্রোটিনের শ্রেষ্ট উৎস – FDA
স্পিরুলিনা ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠ খাদ্য – United Nation
স্পিরুলিনা আগামীর জন্য আদর্শ ও নিখুঁত খাদ্য – UNESCO
স্পিরুলিনা ২১ শতকের মানব সম্প্রদায়ের জন্য শ্রেষ্ঠ স্বাস্থকরী খাদ্য – WHO
আমরা বিশ্বের অপুষ্টির প্রতিকার হিসেবে স্পিরুলিনা সুপারিশ করছি ’’ IIMSAM P2
রোগ প্রতিরোধে স্পিরুলিনার উপকারিতা
আয়রন – পালং শাকের থেকে ২৩ গুণ বেশী।
বিটা ক্যরোটিন – ( ভিটামিন অ ) গাঁজর থেকে ৩৯ গুণ বেশী।
ক্যালশিয়াম – দুধের থেকে ২৬ গুণ বেশী।
প্রোটিন – সয়াবিন থেকে ৩.৭০ গুণ বেশী।
স্পিরুলিনায় ওমেগা ৩. ৬ ও ৯ আছে।
৬০-৬৩% উদ্ভিজ্জ আামিষ স্পিরুলিনায় আছে যা কিনা মাংসের চাইতে ৩-৪ গুণ বেশি।
স্পিরুলিনায় অধিক পরিমানে প্রোটিন, ভিটামিন, লৌহ ও একাধিক খণিজ পদার্থ থাকে।
সাধারন খাবার হিসেবে এটি খাওয়া যাবে প্রতিদিন।
• সাইক্লিস্ট ও অ্যাথলেটিকসদের জন্য স্পিরুলিনা উপকারী খাবার।
• স্পিরুলিনা একটি শক্তিবর্ধক সম্পূরক খাদ্য।
• স্পিরুলিনা নিয়মিত খেলে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে পুষ্টিহীনতা, রক্তশূন্যতা, রাতকানা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, বাত, হেপাটাইটিস ও ক্লান্তি দূর হবে।
• স্পিরুলিনার প্রায় অর্ধেকটাই আমিষ।
• দিনে মাত্র ১০ গ্রাম স্পিরুলিনা খেয়ে দৈনিক আমিষ চাহিদার ৭০% মেটানো সম্ভব।
• পেশিকলা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে স্পিরুলিনা । এছাড়াও এটি শরীর থেকে বের করে দেয় দিনের পর দিন জমে ওঠা ক্ষতিকর সব টক্সিন।
• এটি পরিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের ওজনও রাখে নিয়ন্ত্রনে।
• সবুজ শ্যাওলাতে ৬০% এর মত সব ভেজিটেবলের প্রোটিন আছে।
• প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন মাছ, মাংস, দুধ বা ডিমর চাহিদা স্পিরুলিনা পূর্ণ করতে পারে।
বাংলাদেশে স্পিরুলিনার গবেষণাঃ
ফ্রান্সের আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকার বিসিএসআইআর গবেষণাগারে ফ্রান্সের বক্স পদ্ধতিতে স্পিরুলিনার চাষ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা দেশের আবহাওয়া ও অর্থনৈতিক সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে স্পিরুলিনা চাষের কিছু পরিবর্তন করেন। বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ক্ষুদ্র শৈবাল স্পিরুলিনা চাষের শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিসিএসআইআরর কাছ থেকে পদ্ধতিটি ইজারা নিয়ে কয়েকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্পিরুলিনা উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। বর্তমানে বিসিএসআইআর গবেষণাগারের অধীনে বায়োলজিক্যাল রিসার্চ ডিভিশনের বিজ্ঞানীরা স্পিরুলিনার ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে চাষের সম্ভবনাঃ
বাংলাদেশের আবহাওয়া স্পিরুলিনা চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। ১৯৯৩ সন থেকে এদেশে স্পিরুলিনার চাষ শুরু হয়েছে। বাড়ির চৌবাচ্চা, বড় হাঁড়ি, ছাদের জলাধার ও প্লাস্টিকের গামলায় এর চাষ করা যায়।
বাংলাদেশের বাজার সম্ভবনাঃ-
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি বাস করে। স্বভাবতই দানা শস্য খাদ্যের চাহিদা কোনোমতে মিটলেও খাদ্যপ্রাণ অর্থাৎ প্রোটিনের ঘাটতি ব্যাপক। ডিম, দুধ, মাছ, মাংস প্রভৃতি সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য নয়। স্পিরুলিনা নামক শ্যাওলা অতি উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি এই শ্যাওলা দিয়ে ট্যাবলেট তৈরি করে অকল্পনীয় উচ্চমূল্যে বাজারজাত করছে। চিকিৎসকদের রোগীর ব্যবস্থাপত্র স্পিরুলিনা উল্লেখ করতে উৎসাহিত করা হয়। আর বয়স্ক মহিলা রোগীদের ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে স্পিরুলিনা একটি গতানুগতিক আইটেম।
বাংলাদেশে সমুদ্র উপকূলে প্রাকৃতিক উপায়ে স্পিরুলিনা চাষ করলে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম উপায়ে এটির উৎপাদন সম্ভব কিনা তা নিয়েও গবেষণা করা যেতে পারে। বিশ্বে দামি খাবার হিসেবে শৈবালের বেশি চাষ হয় থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বাংলাদেশী টাকায় প্রতি কেজি স্পিরুলিনা ১৪ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার, ইংল্যান্ডে ১০ হাজার, ফ্রান্সে ২৮ হাজার ও বাংলাদেশে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বাংলাদেশে এর চাষ সম্প্রাসারন করা গেলে ভালো ফলাফল আশা করা যায়। বাংলাদেশের বিশাল এই সমুদ্রকে যদি কাজে লাগানো যায়, তবে খাদ্যের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যজীবী চাষীদের বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে শৈবাল চাষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য উন্নত মানের টেকনোলজি সম্মত স্পিরুলিনা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
স্পিরুলিনা পাউডার, ক্যাপসুল, ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়,
স্পিরুলিনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন।
056 880 6619