Nazrul Islam Tipu

Nazrul Islam Tipu This Page will use only Information Purpose only.

14/06/2024

তিনি (আল্লাহ) মানুষকে কথা শিখিয়েছেন! কথা বলা রহস্যের ২য় পর্ব নিচের লিঙ্কে দেখা যাচ্ছে। আগ্রহী শুভাকাঙ্ক্ষীদের আহবান রইল সংক্ষিপ্ত ভিডিও দেখার জন্যে।

প্রাণীদের লিঙ্গ থাকে দেহের ভিতরে আর মানব লিঙ্গ বাহিরে! কি রহস্য : নজরুল ইসলাম টিপুপৃথিবীর সকল প্রাণীদের লিঙ্গ দেহের অভ্য...
01/06/2024

প্রাণীদের লিঙ্গ থাকে দেহের ভিতরে আর মানব লিঙ্গ বাহিরে! কি রহস্য : নজরুল ইসলাম টিপু

পৃথিবীর সকল প্রাণীদের লিঙ্গ দেহের অভ্যন্তরে লুকায়িত কিন্তু মানব লিঙ্গ আছে দেহের বাহিরে। কখনও ভেবে দেখেছেন কি, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের এমন অদ্ভুত রহস্যময়তার কারণ কি? প্রাণীদের লজ্জা নেই, ওরা ইতর, তবুও ওদের যৌনাঙ্গ চামড়ার ভিতরে আবদ্ধ। মানুষের মত বাহিরে থাকলে এমন কি সমস্যা হত।

ওদিকে মানুষের লজ্জা আছে, মানুষ মর্যাদা-শীল ও স্বীয় সম্ভ্রম রক্ষায় সচেষ্ট। কিন্তু মানুষের যৌনাঙ্গ বাহিরে! এই ব্যতিক্রম মানুষকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। মানুষের নিজ প্রয়োজনেই নিজের যৌনাঙ্গকে ঢেকে রাখা কিংবা গোপন করার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। এই একটি সমস্যার থেকে রেহাই পেতেই মানুষ পোশাক সৃষ্টি করেছে। মানুষ নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে সস্ত্রীক আলাদা ঘরে থাকে। শুধু তাই নয়। শুনে আশ্চর্য হবেন যে, বিশ্বজগতের যত নান্দনিক সৃষ্টি মানুষের হাতে বিনির্মাণ হয়েছে; তা সবই হয়েছে, মানুষের লিঙ্গকে উন্মুক্ত করে দেবার কারণে....

এই বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে বিস্তারিত উপস্থাপিত হয়েছে, আমারই লিখিত বই

"মানুষ : পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণী" গ্রন্থে।

মৌলিক বিষয়ে লিখিত তাত্ত্বিক এই বইটি পাঠকের মনে রেখাপাত করবে বলে আমার দৃঢ় আস্তা। গার্ডিয়ান প্রকাশনী এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশ করে, সহযোগিতা করার জন্যে প্রকাশনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বইটি পেতে লিখক কিংবা প্রকাশনী কিংবা প্রতিটি বড় শহরের প্রসিদ্ধ স্টলে যোগাযোগ করতে পারেন...

বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের একটি মহৎ উদ্যোগ : নজরুল ইসলাম টিপুআপনাদের অনেকেই হয়ত  #মানবিক_শওকত নাম শুনে থাকবেন। পুলিশ বিভা...
24/05/2024

বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের একটি মহৎ উদ্যোগ : নজরুল ইসলাম টিপু

আপনাদের অনেকেই হয়ত #মানবিক_শওকত নাম শুনে থাকবেন। পুলিশ বিভাগে চাকুরী করতেন এবং নিজেকে মানবিক কাজে জড়িত রেখেছিলেন। পরবর্তীতে চাকুরীর বদলে এমন মহৎ কাজকেই তিনি নেশা এবং পেশা বানিয়ে নিয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অদূরে আমার থাকার সুবাদে তাদের কিছু কর্মকাণ্ড সচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছিল। মানবিক শওকতের সাথে কাজ করেন আমারই পরিচিত এক সুহৃদ Rotaract Giash Uddin. জনকল্যাণে নিবেদিত এই যুবকের যেন ক্লান্তি নেই। সারাদিন অফিস করে, সন্ধ্যার পরে বেরিয়ে যেতেন, শহরের নানা স্থানে অযত্ন অবহেলায় পরে থাকা বেওয়ারিশ মুমুর্ষ অসহায় মানুষের সন্ধানে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলাম তাদের কর্মকাণ্ড নিজের চোখে দেখার জন্যে। তাদের সংগৃহীত রোগীগুলোর কারো পা পচে গেছে, কারো শরীরে ঘা, কেউ আগুনে পুড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এদের দুর্গন্ধের কারণে আপনজনেরাও ফেলে চলে গিয়েছে। এ ধরনের বহু রোগী। মেডিক্যালের কোন এক কোনায়, করিডোরে, বাহিরে গাছের ছায়ায়, যাকে যেখানে রাখার মত সুযোগ হয়েছে, সেখানেই রেখে তারা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

তাদের এই কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমেরিকা থেকে কয়েকজন প্রবাসী তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। ফলে এসব রোগীদের দেখভাল, খানা খাওয়ানো, ব্যান্ডেজ পড়ানো, ইনজেকশন সংগ্রহ ও মেডিক্যালের পরিসেবা পাইয়ে দেবার জন্যে কয়েকজন যুবকদের নামমাত্র ভাতায় নিয়োগ দিয়েছেন।

মেডিক্যালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরে থাকা সে সব অসহায় রোগীদের দেখার জন্যে গিয়েছিলাম। নারী ও পুরুষ অনেক ধরনের রোগীর সাক্ষাত ও ছবি ধারণ করেছিলাম। তার কিছু ছবি তুলে ধরলাম। যদিও ছবিগুলো অন্তত ছয়মাস পুরানো। ইতিমধ্যে তাদের কর্মকাণ্ড আরো ব্যাপকতর হয়েছে যা পরবর্তীতে আরো লিখব। আল্লাহ তাদের কাজ কর্মকে কবুল করুন।

কেমন বেকার যুবককে সাহায্য করবেন : নজরুল ইসলাম টিপুউক্ত বিশ্লেষণের ভিতরে যাবার আগে প্রথম জানতে হবে, বেকার যুবক কে বা কারা...
01/04/2024

কেমন বেকার যুবককে সাহায্য করবেন : নজরুল ইসলাম টিপু

উক্ত বিশ্লেষণের ভিতরে যাবার আগে প্রথম জানতে হবে, বেকার যুবক কে বা কারা? অর্থনীতির পরিভাষায় বেকার হল সেই ব্যক্তি, "যে একটি কাজের সন্ধানে আছে কিন্তু করার মত কাজ পাচ্ছে না"। সেই হল প্রকৃত অর্থে বেকার।

আবার কিছু মানুষ আছে, যে চায়ের দোকানে ঝড় তুলে বক্তব্য ঝাড়ছে যে, তাকে যদি তার বড় ভাই কিংবা বোন; পিতা-চাচা কিংবা শ্বশুর লাখ দু'য়েক টাকা দিয়ে দাঁড়াতে সাহায্য করত। তাহলে সে আজ শিল্পপতি হয়ে যেত। অর্থনীতির ভাষায় সে বেকার নয়! আমাদের দৃষ্টিতে সে একজন বেকার হলেও, প্রচলিত ভাষায় তাকে বলে "ভাদাইম্যা।" কেননা সে তার নীজের শক্তির পরিমাপ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়ে, অন্যের বোঝা হতে চাচ্ছে।

আপনি হয়ত হাঁসছেন কিংবা রেগে চটে আছেন! সত্যি করে বলছি, এটাই ভাদাইম্যার প্রকৃত পরিচয়। এটাই বাস্তবতা এবং এটাই সত্যি। এই ধরনের যুবক সারাজীবনেও কোনদিন পথ খুঁজে পাবেনা। যে যুবক রাস্তায় নেমেছে স্রেফ দু'টো হাত ও দু'টো পা'কে সম্বল করে এবং সেই অবস্থাতেই সে তার কিঞ্চিত রিজিকের ব্যবস্থা করতে পেরেছে। এই যুবক অচিরেই নিজের পায়ের উপর দাঁড়াতে পারবে। হয়ত সে ব্যবসা শিখবে নতুবা কর্মে দক্ষ হবে। তার পিছনে ব্যয় করলেই সে অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। তার পিছনে যাকাতের অর্থ দান করলেও, যাকাতের ব্যয় যথার্থ হবে।

জিন-ভুত তাড়াতে তাবিজের ব্যবহার বেড়েছে : নজরুল ইসলাম টিপুজগতের গতি সামনের দিকে এগিয়ে চললেও তাবিজ-কবজ, তন্ত্র-মন্ত্রের প্র...
24/03/2024

জিন-ভুত তাড়াতে তাবিজের ব্যবহার বেড়েছে : নজরুল ইসলাম টিপু

জগতের গতি সামনের দিকে এগিয়ে চললেও তাবিজ-কবজ, তন্ত্র-মন্ত্রের প্রসারও বেড়েছে প্রচুর। আমি যখন দশম শ্রেণীর ছাত্র তখন মোখছেদুল মোমেনিন, নেয়ামুল কোরআন, বেহেশতি জেওর এবং কিছু কলিকাতার ছাপা কোরআন শরীফে ইসলামী সংখ্যা ভিত্তিক তাবিজ পাওয়া যেত। সেগুলো যথেষ্ট নরম একশনের তাবিজ বলে, উর্দু-ফার্সিতে রচিত খাবনামা-ফালনামা ভিত্তিক কয়েকটি ছোট কেতাব পাওয়া যেত। এ সকল কেতাবের তাবিজ গুলো সংগ্রহ করলে বড় একটি বইয়ের সমান মোটা হবে না।

আবার ভারতের বিহার, আসাম, কামরূপের কিছু তাবিজ মিলিয়ে 'লজ্জাতুন নেছা' নামক এক অলীক গ্রন্থের কথা চাউর হতো। বলা হতো, শত্রু নিধন, প্রতিবেশী দমন, অপছন্দের মানুষের ক্ষতি, মেয়েদের পাগল করার জন্যে এই গ্রন্থে বহু তন্ত্র-মন্ত্রের সন্নিবেশ ছিল। না এটা তখন ছাপানো আকারে ছিল না। এক তান্ত্রিক অন্য তান্ত্রিক কে সহযোগিতার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হত। আমি সে গ্রন্থের হাতে লিখিত বেশ কিছু কপি তখন সংগ্রহ করেছিলাম।

সময় বদলিয়েছে! এখন তন্ত্র-মন্ত্রের যথেষ্ট বই বাজারে পাওয়া যায়। পাঠকের অবিশ্বাস জন্মাবে এই কথা জেনে যে, যদি বর্তমান বাজারের সবকটি তাবিজের বই সংগ্রহ করা হয়। তাহলে ওগুলোকে স্থান করে দেবার জন্যে, একটি বড়সড় একটি বুক শেলফে জায়গা হবেনা!

বিশ্বাস হবে কিনা জানিনা, জ্বিন-ভূত তাড়ানোর যারা কাজ করে তাদের আয় একজন এমবিবিএস ডাক্তারের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! তাদের অনেকেই এটা করে শহরে প্লট-ফ্ল্যাট কিনে নিয়ে দেদার বৈদ্যগীরি চালাচ্ছে। বাংলাদেশে দু'ধরনের তাবিজের খ্যাতি আছে। একটি মুসলিম পদ্ধতি, অন্যটি মঘা শাস্ত্রীয় পদ্ধতি। কৌতূহলের ব্যাপার হল, মুসলিম সমাজে মঘা পদ্ধতি এবং অমুসলিম সমাজে ইসলামী তাবিজের ব্যবসা জমজমাট। এখানে ইসলামী তাবিজ বলতে, আরবি হরফ আর অক্ষর দিয়ে লিখিত তাবিজ। সেটার পিছনের লম্বা ইতিহাস রয়েছে।

এখানে কিছু কিতাবের ছবি, প্রকাশিত বইয়ের একটি তালিকা এবং মঘা সমাজে প্রচলিত আয়াতুল কুরসির একটি দেহ বন্ধনী মন্ত্রের ছবি দেওয়া হল। আয়াতুল কুরসির এই মন্ত্র আগে হাতে লিখিত হলেও; বর্তমানে লাইন চিনলে ডিজিটাল সুবিধা সম্পন্ন মন্ত্র বাজারে পাওয়া যায়।

যে দরগাহের গম্বুজের শীর্ষে বদনার আসন : নজরুল ইসলাম টিপু নিরিবিলি কাউকে বদনা হাতে হাঁটতে দেখলে নিশ্চয়ই মনে করবেন, তিনি প্...
19/03/2024

যে দরগাহের গম্বুজের শীর্ষে বদনার আসন : নজরুল ইসলাম টিপু

নিরিবিলি কাউকে বদনা হাতে হাঁটতে দেখলে নিশ্চয়ই মনে করবেন, তিনি প্রকৃতির ডাকে যথেষ্ট প্রেশারে আছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম শহরের এই দরগাহের আশে পাশে এমনটি হতে দেখলে; বুঝে নিতে হবে মানুষ তার অন্তরের মনোবাঞ্ছা পূরণের নিমিত্তে, বদনা হাতে দরগাহে চলছেন।

একদা বদনা একটি অতিপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সামগ্রী ছিল। মানুষ খোলা জায়গায়, ঝোপ-জঙ্গলে প্রকৃতির কাজ সারত। ফলে বদনা হাতেই জঙ্গলে প্রবেশ করা লাগত। বিয়েতে হবু বরের জন্যে যে স্টেজ বানানো হতো, সেটার নিচেই থাকত একটি সুন্দর বদনা। পা ধুয়েই বর স্টেজে উঠত কিংবা ওজু করত। এই বদনাই হত শ্বশুর বাড়ীর প্রথম দৃশ্যমান উপহার। দুর-যাত্রার মুসাফিরের বস্তার সাথে রসি দিয়ে বাঁধা থাকত একটি বদনা। ত্রিশ বছর আগেও তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের গ্যাঁটের সাথে একটি করে বদনা লটকানো থাকত। সাধু-সন্ন্যাসীদের জীবন ছিল এক কাপড়ে মোড়া। তবুও তাদের জীবনেও একটি বদনা গুরুত্বপূর্ণ সম্বল হিসেবে দেখা যেত।

ফলে একটি পিতলের বদনা; পীর, আউলিয়া, খানকাহ, ওস্তাদ, মুরুব্বী, গুরুজনের পা ধোয়ানোর অন্যতম মাধ্যম ছিল। মেহমানকে সম্মান জানানো এবং অতিথিদের হাত ধুইয়ে, কুলি করানোর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল এই বদনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বদনার প্রতিচ্ছবি, চট্টগ্রাম শহরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান; তথা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সীমানা চৌহদ্দি ঘেঁষে অবস্থিত মাজারের গম্বুজের উপর শোভা পাচ্ছে! এই বদনা খচিত গম্বুজ দেখে পথিক বুঝে নিতে পারে এটা বদনা শাহের মাজার।

বহু আগে এই মাজারের গম্বুজে কোন বদনা ছিল না। তলে তলে কোন এক সময়ে মাজার কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা গম্বুজের শীর্ষে কায়দা করে একটা বদনা বসিয়ে দেয়! জানিনা এই কাজটি হযরত মোহাম্মদ শফি শাহ ইয়েমেনি (রহ) প্রকাশ বদনা শাহের প্রতি সম্মান নাকি অবমাননা। অবমাননা হলেও মাজার ব্যবসায়ীদের কিছু আসে যায় না। কেননা তাদের দরকার নগদ টাকা। কথিত আছে তিনি প্রায় আড়াই-শত বছর আগে সুদূর ইয়েমেন থেকে চট্টগ্রামের এই এলাকায় আসেন এবং এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পীর মোহাম্মদ শফি শাহের সাথে তলা-বিহীন একটি ধাতব বদনা ছিল। একটি কথা রচিত আছে যে, সেই বদনার তলা না থাকলেও, তাতে নাকি পানি ভর্তি থাকত। পীরের এই কেরামতির ফলে তার পিতৃদত্ত নামটি হারিয়ে গিয়ে বদনা শাহ হয়ে গেছেন!

দেশের অন্যান্য মাজারের সামনে মোমবাতি, আগরবাতির দোকান থাকলেও; বদনা শাহের মাজারের সামনে আছে কিছু বদনার দোকান! হতাশাগ্রস্ত, দিকভ্রান্ত, ধর্মীয় জ্ঞান শূন্য মানুষ, নানা নিয়ত করে দোকান থেকে একটি বদনা কিনে, তাতে পানি ভরে, দরগাহের খাদেমের কাছে রেখে যায়। পরের দিন তারা সেই পানি সংগ্রহ করে পান করেন! গায়ে মাখেন, মাথায় ছিটান; এমনকি অদূরে অবস্থিত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফ্লোরে রোগে কাতরানো রোগীর শরীর ধুয়ে দেন!

আপনি হয়ত ভাবছেন খারাপ কি? এটাতে দেশের বদনা শিল্পের উন্নতি-অগ্রগতি হচ্ছে! বহু শ্রমিক কাজ করছেন, তাদের পরিবারের জীবন ধারণ চলছে! না বিষয়টি মোটেও এমন নয়। দরগাহে আগত ক্রেতারা পরের দিন পানিগুলো সংগে আনা অন্য আরেকটি পাত্রে ভরে নিয়ে, নগদ-দামে কেনা বদনাটি বিনা-দামে মাজারের খাদেমকে উপহার দিয়ে যান। তা ছাড়া এমন পানি ভর্তি বদনা নিয়ে, রাস্তাঘাটে চলা যায়? না বাসে উঠা যায়? না মেডিক্যালে ঢুকতে দিবে? এমন বিদঘুটে সমস্যা মোকাবেলা করার চেয়ে বরং মাজারের খাদেমকে দিয়ে দেয়াই উত্তম। বহু গভীর চিন্তা করে এমন একটি বুদ্ধি আবিষ্কার করেছে পীরের মুরিদ আর বংশধরেরা। আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, গেটের মুখে অবস্থিত বদনার দোকানগুলো কোত্থেকে নতুন বদনার যোগান পায়?

ইসলামের প্রতি প্রবল আকর্ষণের কারণে, একদা পীর আউলিয়ার জীবন ও তাদের দরগাহ নিয়ে যথেষ্ট লেখাপড়া করেছিলাম। এ সম্পর্কিত যত বই বাজারে ছিল সবই আমার সংগ্রহে ছিল। সবগুলো পর্যালোচনা করে বুঝতে পেরেছি যে, মাজার-দরগাহের মূল পূঁজি হল একটি প্রমাণহীন কেরামতের প্রচার। এই অঞ্চলের মানুষেরা গল্প, পুঁথি, কবিতা, গান পছন্দ করত। কিছু গল্পকে সত্যের মত বিশ্বাস করত। ফলে তারা কেরামতের নামে বিভিন্ন কল্প-কাহিনীকেও বিশ্বাসের যায়গায় স্থান দেয়। এটাই মূলত সকল মাজার-দরগাহ গুলোর ইনকামের মূল মন্ত্র।

দরবারী খাদেম ও পোষ্যদের ব্যতীত কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, সে নিজের চোখে সরাসরি কখনও পীরের কারামত দেখেছে কিনা। সবাই উত্তর দিবে, নিজের চোখে দেখিনি তবে শুনেছি। এই শোনা কথা প্রচারের মাধ্যমেই দেশের সকল দরগাহ গুলো জীবিত আছে। আর সাধারণ মানুষের ঈমান ও বিশ্বাস নিয়ে ব্যবসা করছে মাজার কেন্দ্রিক এক প্রকার টাউট ফড়িয়া।

সৃষ্টি জগতে মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কথা বলতে না পারার রহস্য : নজরুল ইসলাম টিপুসৃষ্টি জগতে একমাত্র মানুষের কাছেই রয়েছে চ...
13/03/2024

সৃষ্টি জগতে মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণী কথা বলতে না পারার রহস্য : নজরুল ইসলাম টিপু

সৃষ্টি জগতে একমাত্র মানুষের কাছেই রয়েছে চিবুক; যা আর কোন প্রাণীর কাছে নেই! মানুষের সাদৃশ্য বিশিষ্ট প্রাণী বানর, শিম্পাজি, গরিলার মুখমণ্ডলেও চিবুক নেই। অনেকের কাছে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও, এর আড়ালেই লুকিয়ে মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

"মানুষ : পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণী"

গ্রন্থে আমরা দেখতে পাব, এই চিবুকের কল্যাণেই মানুষ কথা বলতে পারছে। এই চিবুক না থাকলে মানুষ কখনও কথা বলতে পারত না। মানুষ তার কণ্ঠে সুর সৃষ্টি করতে পারে! কম্পন সৃষ্টি করতে পারে! গাইতে পারে। এমন কি নিত্য নূতন সুর ও স্বরের জন্ম দিতে পারে। সৃষ্ট জগতের এই সুবিধা আর কারো কাছে নেই বলেই তারা কথা বলতে পারে না। সেটা মনে করিয়ে দিয়েই তো মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন,

"পরম দয়ালু (আল্লাহ)! এ কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন! তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে কথা শিখিয়েছেন...."

এ ধরনের বহু অজানা বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় বিশ্লেষণে বইটি সাজানো হয়েছে। কমেন্ট বক্সে অনলাইন লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। সেখানে অর্ডার করলে কুরিয়ারের মাধ্যমে বইটি আপনার কাছেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মানুষ বড় দুর্বল, পৃথিবীর পরিবেশ মোকাবেলায় অক্ষম : নজরুল ইসলাম টিপুএই পৃথিবীতে বেশী সংখ্যক মানুষ ব্যথা বেদনায় কষ্ট পায়। ত...
10/03/2024

মানুষ বড় দুর্বল, পৃথিবীর পরিবেশ মোকাবেলায় অক্ষম : নজরুল ইসলাম টিপু

এই পৃথিবীতে বেশী সংখ্যক মানুষ ব্যথা বেদনায় কষ্ট পায়। তার মধ্যে সবচেয়ে চেয়ে বেশী কোমর ব্যথার সমস্যা। WHO এর তথ্য মতে ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের ১ কোটি ৪৯ লাখ কর্মঘন্টা নষ্ট হয়েছে শুধুমাত্র কোমরের ব্যথার কারণে। অর্থাৎ চাকুরীজীবী মানুষেরা অফিস থেকে যে ছুটি নেয়, তার বেশীরভাগই হয়, ব্যথা বেদনা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে। ফলে অকালেই মানুষ অকেজো হয়ে পড়ে। কেউ ৮০ বছর বয়স পেলেও ৫০ এর পরেই রোগাক্রান্ত হওয়া শুরু হয়।

পৃথিবীর অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি দেখা দেয় না। মৃত্যু রোগ না আসা পর্যন্ত অন্য প্রাণীরা সুঠাম-সবল থাকে। ভারী বোঝা বহন করতে পারে। লড়াই করে খাদ্যের অন্বেষণে টিকে থাকতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষের এই সমস্যার অন্যতম কারণ মেরুদণ্ডে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব! বর্তমানে দুনিয়ায় যে পরিমাণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিরাজমান; তা মানুষের স্বাস্থ্যের প্রয়োজনের চেয়ে অন্তত ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশী। এ কারণেই মানুষ শরীরে ভারী বোধ করে, সামান্যতে কষ্টকর বোঝা অনুভব করে, কর্মে অস্বস্তি আসে ও অসুখী লাগার মূল কারণ.... অথচ এই কথাটি পবিত্র কোরআনেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, 'মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে'....

মানুষ : পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণী

গ্রন্থটিকে এ ধরনের অগণিত কৌতূহলী কোটেশন সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব অভিনব তথ্য পড়তে গেলে পাঠক নিজের অজান্তেই দৃষ্টিতে বইয়ের পাতার দিকে নিবদ্ধ রাখতে বাধ্য হবে। উপরোক্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে বহু গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকীর সহায়তা নিতে হয়েছে। যা সময় সাপেক্ষ ও অর্থ ব্যয়ের একটি বিষয়ও বটে। একজন পাঠক হিসেবে আপনার কাছে আহবান থাকবে আপনিও আমার সাথে এই চিন্তার জগতে সহযাত্রী হউন এবং একটি বই নিজের জন্যে রাখুন এবং অন্যকে রাখতে উৎসাহ দিন।

আলহামদুলিল্লাহ! ধন্যবাদ গার্ডিয়ান প্রকাশনীকে : নজরুল ইসলাম টিপুগার্ডিয়ান প্রকাশনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার পক্ষ হতে আন্ত...
08/03/2024

আলহামদুলিল্লাহ! ধন্যবাদ গার্ডিয়ান প্রকাশনীকে : নজরুল ইসলাম টিপু

গার্ডিয়ান প্রকাশনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার পক্ষ হতে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। একজন লেখক নিজে নিজে কখনও স্বনামধন্য ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, যতক্ষণ না একটি খ্যাতিমান প্রকাশনীর নীরব সহযোগিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা না থাকে। গার্ডিয়ান সেই কাজটি আমার নিরলস লেখার পিছনে দিয়েছে। গার্ডিয়ান কে আবারো ধন্যবাদ। বইটি হাতে নেওয়া মাত্রই বুঝা যায়, অনেক উন্নত মানের বাঁধাই। কাগজ, ঢাল, পাতা, প্রচ্ছদ ও হেডিংয়ে এমবোস ব্যবহার করতে প্রকাশক মোটেও কার্পণ্য করেন নাই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বইটিকে উন্নত মলাট-বদ্ধ করার কারণে বহুবছর পর্যন্ত সবল স্বাস্থ্য নিয়ে টিকে থাকবে বইটি।

রোজার আগেই বাড়ী-ঘরের প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করার জন্যে গ্রামের বাড়ীতে ছিলাম। তখনই খবর পাই আমার অনেক অধ্যবসায়ে লিখিত বইটি বাজারে এসেছে। এমন সংবাদ একজন লেখকের জন্যে খুবই খুশির। গ্রামে বসেই একটি পোষ্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ দিয়েছিলাম। আজ শুক্রবার সকালে শহরে আসার খবর পেয়ে আমার এক শুভানুধ্যায়ী ছবির বইগুলো নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অটোগ্রাফ নিতে। তিনি একটি আমাকে উপহার দিলেন। তার মাধ্যমেই বইটি হাতে নিয়ে প্রথম দেখার সুযোগ হল। এ ভালবাসা মূল্য দিয়ে কখনও পরিশোধ করা যায় না।

এই বইটি আমি বহু সংখ্যক আলেম এবং বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এমন পাঠকের কাছে রিভিউর জন্যে দিয়েছিলাম। তাদের আগ্রহ ও মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেওয়া পূর্বক বইটি বাজারে এসেছে। একজন আলেম যিনি উপশহরের একটি মসজিদের ইমাম, তিনি জানিয়েছেন, বইটি বাজারে আসার অনেক আগেই তিনি তার মসজিদে বহু আলোচনায় এই বইয়ের বহু বিষয় বয়ানে তুলে ধরেছেন। বিষয়বস্তু মুসল্লিরা মন দিয়ে শুনতেন। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী শুভানূধ্যায়ীদের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন এই বইটিকে তাদের সংগ্রহ শালায় স্থান দেন। নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনাদের অর্থ ও সময় ব্যয় বৃথা যাবে না ইনশায়াল্লাহ।

টিপুভাই.কম ব্লগে আমন্ত্রণ : নজরুল ইসলাম টিপুঅনলাইনে লেখালেখি করছি প্রায় দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে। আমাকে সবাই ব্লগার হিসেব...
04/03/2024

টিপুভাই.কম ব্লগে আমন্ত্রণ : নজরুল ইসলাম টিপু

অনলাইনে লেখালেখি করছি প্রায় দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে। আমাকে সবাই ব্লগার হিসেবে চিনে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্যারাগ্রাফ আকারে লেখার সুযোগ করে দেবার পর এবং ব্লগগুলো নানা কারণে সরকারী বাধা-বিপত্তির মুখে পড়ার কারণে কিছুটা অন্তরালে চলে গিয়েছে। নানা কারণে আমিও নিজের লিখা বহু আর্টিক্যাল হারিয়ে ফেলেছি। সেটা থেকে রক্ষা পেতে এবং নিজের আর্টিক্যাল গুলো বাঁচানো এবং আগ্রহী পাঠকেরা যেন পড়তে পারে, সে নিমিত্তে আমার নিজের একটি ব্লগ সাইট বানানো হয়েছে। এই ব্লগেও প্রায় সাড়ে আট'শ আর্টিক্যাল রয়েছে।

লেখা আমার পেশা নয়, বলা চলে নেশা। সময় সুযোগ পেলে লিখে থাকি। লেখা-লেখি দিয়ে আয়-রুজি করতে পারি না, এমন বেকার কাজে সময় দেই বলে অনেকে উষ্মা প্রকাশ করে। এতগুলো আর্টিক্যাল দিয়ে কয়টি বই হয় জানিনা। প্রবাসে থাকার কারণে তেমন একটা বই প্রকাশ হয়নি। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আমার সেই দুর্বলতাটি কাটিয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে। তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

আমার ব্লগে এই পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ বত্রিশ হাজার ভিজিটর এসেছে। আপনাদের প্রতি আহবান রইল, ব্লগটিতে ঘুরে আসুন। কোন একটি টপিকস দেখুন। কোন পরামর্শ থাকলে সাদরে গ্রহণ করা হবে।

আলহামদুলিল্লাহ! গার্ডিয়ান প্রকাশনী থেকে আরেকটি বই বের হল।মানুষ : পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণীভূপৃষ্ঠে প্রাণীদের জন্যে নিরা...
04/03/2024

আলহামদুলিল্লাহ! গার্ডিয়ান প্রকাশনী থেকে আরেকটি বই বের হল।

মানুষ : পৃথিবীর অনুপযোগী এক প্রাণী

ভূপৃষ্ঠে প্রাণীদের জন্যে নিরাপদ একটু জায়গা হলেই তাদের ঘুমের জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু মানুষের বসবাসের জন্য, এক কক্ষের ঘর হলেই চলে না। মানুষের জন্য এক কক্ষের ঘর, শুধুমাত্র বাঁচার প্রয়োজন নয়! আলাদা একটি কক্ষ মানুষের চিত্ত বিনোদনেরও বড় মাধ্যম। সে কারণে মানুষের জন্যে বহু ঘরের দরকার; ঘরের উপরে ঘর তুলে হলেও সমস্যা লাঘব করা লাগে। সেজন্য মানুষের মধ্য থেকেই কেউ স্থপতি হয় কাউকে প্রকৌশলী হতে হয়; তাদের হাত ধরেই সৃষ্টি হয় নিত্য-নূতন দৃষ্টিনন্দন ঘর-বাড়ী ও নান্দনিক স্থাপনা।

এক সূর্যের আলোতে একই আকাশের নীচে পৃথিবীর সকল মানুষ ও প্রাণীদের বসবাস। গভীর ভাবে তাকালেই দেখা যায়, এখানেও মানুষের জীবন ধারা এক ধরণের আর অন্য প্রাণীদের জীবন হয়েছে ভিন্ন। এর পিছনের অন্তঃনিহিত ঘটনাগুলোই বিজ্ঞানীদের তাজ্জব ও চিন্তার ঘোরে আবদ্ধ করেছে। পৃথিবীর বুকে চলমান নানা প্রাণী ও মানুষের জীবনের উপরে বর্ণিত তফাৎ হাতে গোনা কয়েকটি নয়; বরং অসংখ্য এবং অগণিত! মানুষ ও প্রাণী জীবনের উপাত্ত থেকে সৃষ্ট, বহু প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের কাছে নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বিজ্ঞানের এমন অমীমাংসিত উত্তর পবিত্র কোরআনে আছে। সে সবের উল্লেখযোগ্য কিছু উপস্থাপন করাই এই বইয়ের মুল প্রতিপাদ্য।

আমার হিতাকাঙ্ক্ষী বন্ধুদের প্রতি আহবান রইল, বইটি পড়ুন এবং প্রিয়জনকে উপহার দিন। এই বই আপনাদের মূল্যবান সময়ের হক আদায় করবে। এই বইয়ের পাঠকের শ্রম ও সময় বৃথা যাবে না...

প্রিয়জনের চেহারা দেখা ও ধরা, শিশুর দৃষ্টিশক্তির অন্যতম অনুভূতি : নজরুল ইসলাম টিপু  দুনিয়ার জীবনে শিশুদের দ্বিতীয় অন্যতম ...
20/02/2024

প্রিয়জনের চেহারা দেখা ও ধরা, শিশুর দৃষ্টিশক্তির অন্যতম অনুভূতি : নজরুল ইসলাম টিপু

দুনিয়ার জীবনে শিশুদের দ্বিতীয় অন্যতম যোগ্যতা হল দেখার সক্ষমতা অর্জন করা। মায়ের পেটে থাকাবস্থায় শিশুর দুটো আস্ত চোখ থাকলেও সেখানে কিছু দেখার সুযোগ পায় না। তাই দুনিয়াতে আসার সাথে সাথেই নবজাত শিশুর দুটো খোলা চোখ থাকলেও, সে সময় তারা সব কিছুই দেখে না। সদ্যজাত একটি শিশু মাত্র আট থেকে দশ ইঞ্চির দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পায়।

বাস্তব জীবনে মানুষের চোখের দশ ইঞ্চি দূরত্বে কোন বস্তু থাকলে সেটা ভাল করে দেখতে গিয়ে অনেকেই অস্বস্তি অনুভব করে কিন্তু শিশুরা এই দূরত্বে অবস্থান করা জিনিষ ভালই দেখতে পায়। সঙ্গত কারণে একটি পরিবারে এত কাছাকাছি দূরত্বের অবস্থানে কিছু থাকেনা। ফলে শিশুরা জন্মের শুরুতে বাহিরের সবকিছু ঝাপসা দেখতে পায়। আস্তে আস্তে বেশী দূরের জিনিষ দেখতে পায়।

একটি শিশু জীবনে দেখার শুরুতে যদি অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর অবয়বের কিছু দেখে তাহলে সে আতঙ্কিত হয়ে উঠতে পারে। স্বাভাবিক জীবন চালাতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এই ক্ষতি তাকে সারা জীবন বহন করতে হবে। ফলে যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দয়া করে মানুষকে চোখ দিয়ে দেখার ক্ষমতা দিয়েছেন; তিনি শিশুদের সে চোখ দিয়ে প্রথমে তার মায়ের চেহারা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।

মা যখন শিশুকে কোলে নিয়ে বুকের দুধ দেয়, তখন মায়ের মুখখানি সদ্যজাত শিশুর দৃষ্টির দশ ইঞ্চি দূরত্বের মধ্যেই থাকে। ফলে শিশু প্রথমেই তার মায়ের চেহারা চিনার সুযোগ পায়। মায়ের মুখ তার চোখে দেখা প্রথম অবয়ব। শিশু যতদিনই অসহায় থাকে, এই চেহারাখানিই তার নিরাপত্তার চাদর হয়ে থাকে।
তাই এটাই হয়ে উঠে শিশুদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় চেহারা। মানব শিশু দুনিয়াতে এসেই একটি নির্ভরযোগ্য চেহারা দেখে আত্মবিশ্বাসী হয়। পরিচিত কণ্ঠের, পরিচিত গন্ধের, পরিচিত স্পর্শের ছোঁয়া পেয়ে মায়ের মুখপানে তাকায়।

শিশুর প্রথম বেশ কয়েকদিন কেটে যায়, মায়ের মুখের ভ্রু, ঠোট, নাক, কান, দাঁত সহ মুখমণ্ডলের বৈপীরত্ব দেখতে গিয়ে। এত কাছে থেকে শিশু একমাত্র মায়ের চেহারাই বেশী দেখে থাকে। সে অনেক বেশী আগ্রহী হয়ে উঠে। অল্প কয়েকদিন পরে, শিশু তার অনিয়ন্ত্রিত হাত দিয়ে মায়ের চোখ-নাক ধরতে চায়। আবার মা তার শিশুর বাচ্চার এই অনিয়ন্ত্রিত হাতের ছোঁয়াকে কাশ ফুলের পরশের মত উপভোগ করে।

গার্ডিয়ানশিপ বই থেকে সংকলিত

একটি পিচ্ছি টিকটিকি ও দুই হাজার টাকা গচ্ছা : নজরুল ইসলাম টিপুটিকটিকি ঢুকলে ঘরের মানুষেরা সদা তাদের তাড়িয়ে দেয়। বলি, ওরা ...
15/02/2024

একটি পিচ্ছি টিকটিকি ও দুই হাজার টাকা গচ্ছা : নজরুল ইসলাম টিপু

টিকটিকি ঢুকলে ঘরের মানুষেরা সদা তাদের তাড়িয়ে দেয়। বলি, ওরা অত ক্ষতিকর প্রাণী নয়! শুধুমাত্র কখনও ছাদে ঝুলন্ত অবস্থায় তাজা লাদি ফেলে কিংবা আতর পরিমাণ মূত্র ত্যাগ করে মানুষদের নাজেহাল করে। এমন বর্ণনা হয়ত, অনেকের মনে বিতিকিচ্ছিরি ভাবের জন্ম দিবে কিন্তু টিকটিকি যে পরিমাণ মশা-মাছি নিধন করে, সে উপকারের তুলনায় কখনও ছাদে ঝুলে প্রস্রাব করার বিষয়টি খুব ছোট অপরাধ বলেই মনে হবে!

আমাদের ব্যবহার্য ওভেনটি কোন কারণ ব্যতীত নষ্ট হয়ে যায়। দেশে এসে প্রথমে ওটার প্রতি মনোনিবেশ করি। মেশিনটি খোলার পরেই ক্ষুদ্র টিকটিকির মমী-কৃত একটি লাশ উদ্ধার হয়। প্রথম দেখাতেই ফেরআউনের শুকটি মার্কা লাশের কথা পড়ল বটে, পরক্ষণেই মনে পড়ল হায়! এই টিকটিকির আত্মাহুতির কারণেই আমাদের ওভেনের বারোটা বেজেছে।

সর্বসাকুল্যে দুই হাজার টাকা গচ্ছা খাওয়ার মাধ্যমে, ওভেনের সার্কিট বোর্ড ঠিক করে মেশিনটিকে আগের অবস্থায় আনা গেছে কিন্তু অরিজিনাল মেশিনের ক্ষতি তো একবার হয়েই গেল।

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। কমবেশি সবার বাসা বাড়িতে এলইডি টিভি, কম্পিউটার, ওভেন, ফ্রিজ সহ নানাবিধ ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে। লাখ টাকার এত দামী জিনিষ কিন্তু মুহূর্তে নষ্ট করে দিতে পারে একটি তেলাপোকা কিংবা নবজাত একটি টিকটিকি। পৃথিবীর সব দেশে তেলাপোকার মাধ্যমে বেশী সংখ্যক ইলেক্ট্রনিক বোর্ড নষ্ট হয়। সেটি বুঝানোর জন্যেই আজকের এই পোষ্ট।

ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে অগণিত ছোট ছোট সার্কিট থাকে। সে সব সার্কিটের দূরত্ব একটি ছোট মাছির চেয়েও ছোট। তেলাপোকা মাছির ছেয়ে বড় এবং মাংসল শরীর বলে দেহ বিদ্যুৎ পরিবাহী। ফলে তেলাপোকা যখন বোর্ডের উপর নিশ্চিন্ত মনে হাঁটতে থাকে। তখন অগণিত স্থানে নেগেটিভ-পজিটিভ শর্ট সার্কিট ঘটে। এতে বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়ে। এই ক্ষুদ্র সমস্যা বের করতে টেকনিশিয়ানের বেগ পেতে হয় এবং টাকা দাবীর পরিমাণটা বেশী হয়।

সর্বত্র তেলাপোকার বিচরণ একটি অসভ্যতার মত বিষয়। এই পোকা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেকেই তেলাপোকার সাথে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়। কিন্তু নিজের অজান্তে এমন পোকার কারণে বহু টাকার জিনিষ নষ্ট হয়ে যায়, সেটা ধারণার বাইরে রয়ে যায়।

একটি আজানের ধ্বনী ও আমার ইউরোপ ত্যাগ : নজরুল ইসলাম টিপুআমার জীবনের সবচেয়ে দামী চাকুরী ও স্বাচ্ছন্দ্যময়তা জীবন ছিল গ্রীসে...
02/02/2024

একটি আজানের ধ্বনী ও আমার ইউরোপ ত্যাগ : নজরুল ইসলাম টিপু

আমার জীবনের সবচেয়ে দামী চাকুরী ও স্বাচ্ছন্দ্যময়তা জীবন ছিল গ্রীসের জীবনে। খাওয়া, চিকিৎসা, ঘুরাঘুরি, বেড়ানো, বাস ভাড়া, লণ্ড্রী, ঘর ঘোচানো, জিমনেশিয়াম সবই ছিল কোম্পানির দায়িত্বে। আলমারি থেকে লন্ড্রির কাপড় গুলো খুলে পড়াই ছিল ব্যক্তিগত কাজ। এথেন্স শহরের খুবই প্রসিদ্ধ স্থান, সোফিয়াস এভিনিউতে অবস্থিত আমেরিকান দুতাবাসের পাশের ভবনই ছিল আমাদের বাসস্থান।

কিন্তু দীর্ঘ সময়ে একদিনের জন্যেও এখানে আজানের ধ্বনী শুনতে পাইনি! এদেশে কোন মসজিদ নেই। শুক্রবারে অফিস থেকে দুই ঘণ্টার ছুটি নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের গাড়ির গ্যারেজে ঢুকে জনা বিশেক মুসল্লি উপস্থিতিতে জুময়ার সালাত পড়তাম।

১৯৯৬ সালের এক বৃষ্টি-ঘন সন্ধ্যায় বাংলা খবরের আশায় রেডিও টিউন করছিলাম। টিউন করতে গিয়ে খুবই ক্ষীণ শব্দে ইথারে ভেসে আসা আজানের একটি পঙতি শুনে ধড়পড় করে দাড়িয়ে উঠি। বহু চেষ্টা করেও আজানের পরের কথাগুলো আর শুনতে পাইনি। এতে করে আমার মনের উপর এক ঝড় বইতে থাকে। মন থেকে শান্তি ও স্বস্তি দুটোই যেন হাওয়া হয়ে গেল।

সিদ্ধান্ত নিলাম এই চাকুরী যতই ভাল বেতন ও উচ্চ সুবিধা সম্পন্ন হউক না কেন। এই চাকুরী ছেড়ে দিব। যাকেই কথাটা বলি, সেই আমাকে আহাম্মক ভাবে কিন্তু কাউকে আমার মনের অস্থিরতার কথা বুঝাতে পারিনা। আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম যেন একটি মুসলিম দেশে উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন।

আল্লাহ সে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আর এই একটি মাত্র কারণেই আমার দেশকে অনেক বেশী ভাল লাগে। যদিও আমার মাতৃভূমিতে অনেক অভাব আছে, অসঙ্গতি আছে, সমস্যা আছে, কষ্ট আছে কিন্তু আজানের ধ্বনী শোনার মত সুযোগ আছে। মসজিদ থেকে প্রতিদিন ছয়বার করে মানুষকে কল্যাণ ও মুক্তির দিকে ধেয়ে আসতে আহবান করা হয়।

এক সন্তানকে প্রাধান্য দান বিষয়ে রাসুল (সাঃ) : নজরুল ইসলাম টিপুআমাদের সমাজে পিতা-মাতা কর্তৃক একটি সন্তানকে প্রাধান্য দানে...
30/01/2024

এক সন্তানকে প্রাধান্য দান বিষয়ে রাসুল (সাঃ) : নজরুল ইসলাম টিপু

আমাদের সমাজে পিতা-মাতা কর্তৃক একটি সন্তানকে প্রাধান্য দানের দৃশ্য অনেক দেখা যায়। যে সন্তানটিকে ভাল লাগে কিংবা পিতা-মাতা মনে করে যে, ঐ সন্তানটির অবদান বেশী। তখন পিতা নিজেই তার মৃত্যুর আগে সে সন্তানটিকে অগ্রাধিকার দেয় কিংবা তার জন্যে স্পেশালী কিছু জায়গা লিপিবদ্ধ করে যায়। ইসলাম ধর্মে এই কাজকে নিরুৎসাহ করা হয়েছে। রাসুল (সাঃ) সময়ে এমন একটি ঘটনায় আমরা শিক্ষণীয় উপদেশ পেতে পারি।

এক পুত্র তার পিতাকে বহন করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এসে জানালেন। "ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি আমার এই পুত্র নোমানকে এই এই জিনিস দান করেছি।"

রাসুল (সাঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমার সকল সন্তানকে কি অনুরূপ দান করেছ?"

তিনি উত্তরে বললেন, "না এমন করে দান করিনি!"

রাসুল (সাঃ) সেই ব্যক্তিকে বললেন, "তাহলে তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সাক্ষী বানাও!"

অতঃপর রাসুল (সাঃ) সেই ব্যক্তিকে আবারো প্রশ্ন করলেন, "তুমি কি কামনা করো না যে, তোমার সকল সন্তান তোমার সাথে সমান ভাবে সদ্ব্যবহার করুক?"

প্রত্যুত্তরে সেই ব্যক্তি বললেন, "নিশ্চয়ই আমি এমনটা আশা করি!"

রাসুল (সাঃ) বললেন, "তাহলে এমন কাজ করোনা!"

আমাদের সমাজে আমরা এমন ঘটনা অহরহ দেখতে পাই। যদিও পিতা ইচ্ছে করলে এমন কাজ করার অধিকার রাখে। একজন বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্যে পিতা-মাতার পেরেশানির শেষ থাকেনা। তার জন্যে স্পেশাল কিছু রেখে যেতে পিতা-মাতার মন চায়।

রাসুল (সাঃ) এর বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল এটা বুঝানো যে, পিতা হয়ে অকালে যদি সকল সন্তানদের কাছে সমাদৃত হতে চাও, তাহলে সন্তানদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করোনা। এতে করে পিতা-মাতার উপর যেভাবে সন্তানদের দয়া-মায়া উঠে যায়। আবার সন্তানদের মধ্যেও শত্রুতা সৃষ্টি হয়।

হাদিসের তথ্য সূত্র : আদাবুল মুফরাদ-৯২

আসুন দেশ-প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বদেশী পণ্য কিনি : নজরুল ইসলাম টিপু১৯৯৬ সালে গ্রীসের এথেন্স নগরীর একটি শপিং মলে জিন্সের ট্...
30/01/2024

আসুন দেশ-প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বদেশী পণ্য কিনি : নজরুল ইসলাম টিপু

১৯৯৬ সালে গ্রীসের এথেন্স নগরীর একটি শপিং মলে জিন্সের ট্যাগে Made in Bangladesh দেখে অন্যান্য ব্যান্ডের চেয়েও চড়া মূল্যে সবচেয়ে বেশী দাম দিয়ে বাংলাদেশী পেন্ট কিনেছিলাম। দীর্ঘদিন পড়েছিলাম সেই প্যান্ট। সেদিন আমার কেমন ভাল লেগেছিল কাউকে বুঝাতে পারিনি।

আমিরাতে Marks and Spencer একটি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি আছে। উন্নত মানের পোশাক বিপণনের জন্যে তাদের খ্যাতি অনেক। শীতের এই সময়ে একটি সুয়েটার দরকার ছিল। এক অকৃত্রিম বন্ধু উপহার দেবার জন্যে জোরাজোরি করাতে বললাম, দিতেই যদি চাও, তাহলে টাকা একটু বেশী খরচ হলেও বাংলাদেশী পণ্যই দাও। তিনি খুশী মনে দিয়েই দিলেন এমনকি জানালেন তিনিও বাংলাদেশী পণ্য কিনে থাকেন।

Marks and Spencer থেকে বাংলাদেশী তৈরি এই সুয়েটারটি আমার পছন্দ হয়; ফলে এটাই তিনি উপহার দিলেন। এটার অফার মূল্য হয়েছে ১০৯ দেরহাম, তথা ৩৬৫০ টাকা; শুরুতে যার দাম ছিল ১৪৯ দেরহাম। দেশে হয়ত একটি ৫০০ টাকা দিয়ে পাওয়া যেত। তবুও অন্তরে এই প্রেরণা তাগাদা দিয়েছে, যে দেশ আমাকে একটি পাসপোর্ট দিয়েছে, বিদেশ দেখিয়েছে, তার সম্পদ ব্যবহার করার হকটা আমাদের উপর আছে।

আমি প্রবাসী, বিদেশী জিনিষ কিনার যথেষ্ট সুযোগ থাকা স্বত্বতেও দেশে আমার ঘরের প্রায় জিনিষই দেশী কোম্পানি থেকে ক্রয় করা। RFL, Walton ছাড়াও বহু স্বদেশী কোম্পানির পণ্য কিনে থাকি। প্রয়োজনীয় যে জিনিষটি মেড ইন বাংলাদেশ নাই, সেটাই বিদেশী ব্র্যান্ডের কিনি। আমার পরিবারের সবার চাহিদাও এমন হয়ে গেছে। এটাতে আমি ভিন্ন ধরনের আনন্দ পাই।

মূলত কিছু মানুষের মন নিজের জিনিষ অন্যকে দেখাতে চায় এবং সেটা যাতে ব্যতিক্রমী, দামী এবং সহজলভ্য নয় এমন জিনিষ কিনতে চায়। প্রয়োজনে দাম বাড়িয়ে কিংবা যে দোকান থেকে কিনেছে সেটার নাম গোপন রেখে নিজের কিনা জিনিষের অস্তিত্ব লুকাতে চায়। বস্তুত এভাবে সম্মানীয় হওয়া যায়না কিংবা অন্যের দৃষ্টিতে পড়া যায় না, এই বিষয়টি বেশীর ভাগ মানুষই বুঝতে পারে না। ব্যক্তিত্ব থাকলে যে কোন ব্যক্তিই গুরুত্ব পায়। আর স্বদেশের প্রতি মায়া প্রতিটি দেশ-প্রেমিক ব্যক্তির হৃদয়ে দাগ কাটে।

এবার দেশে ফেরার পালা : নজরুল ইসলাম টিপুজীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় প্রবাসের মাটিতে গত করে, দীর্ঘ ৩২ বছর পরে ফাইনালি দেশের ...
22/01/2024

এবার দেশে ফেরার পালা : নজরুল ইসলাম টিপু

জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় প্রবাসের মাটিতে গত করে, দীর্ঘ ৩২ বছর পরে ফাইনালি দেশের পথে পা বাড়াতে যাচ্ছি। সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়নি। প্রবাস জীবনে বহু বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীর দেখা মিলেছে। সবার সাথে দেখা করার সময় সুযোগ হয়ত আর আসবে না।

উল্লেখ্য, ছাত্র জীবন থেকেই প্রবাস পছন্দ করতাম না। সে কারণে একবার ভিসা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। স্বদেশের প্রতি মায়া বরাবরই টেনে রাখত। একটি মোটা দাগের ব্যাংক লোন পরিশোধের দায় ও ২৯শে এপ্রিল ৯১ এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে সর্বস্ব হারানোর ফলে ২/৪ বছর প্রবাস করার প্রত্যয়ে অন্তরে অনিচ্ছা নিয়ে; দেশের আকর্ষণীয় চাকুরী ইস্তফা দিয়ে, প্রবাসের দিন শুরু করি।

ব্যাংক লোন সহ যাবতীয় সব কিছুই পরিশোধ হয়েছে কিন্তু দেশের প্রতি সেই মায়াবী টান যায় নি। ইউরোপের সুখকর চাকুরী ইস্তফা দিয়ে ও ভিসা ক্যান্সেল করেও দেশের রিজিক সংগ্রহ করা যায় নি! পিতা, মাতা, ভ্রাতা, এক মাসুম পুত্র মারা গেলেও জলদি দেশে গিয়ে তাদের মুখ দেখা কিংবা জানাজা পড়া কোনটাই সম্ভব হয়নি।

এবার মনে হচ্ছে সেই সময় এসে গেল। প্রবাসের রিজিক থেকে হাত গুটাতে হবে। জানিনা প্রিয় স্বদেশের জীবনের বাকি দিনগুলো কিভাবে পার হবে! আমি পরিশ্রমী মানুষ, দেশে গিয়েও কিছু একটা তো করতে হবে। সে সুবাদে অনেকের সাথে নতুন করে হয়ত দেখা মিলবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার জন্যে যে রিজিক বরাদ্দ রেখেছেন সেটা না পাওয়া অবধি বেঁচে থাকব ইনশায়াল্লাহ... সবাইকে আন্তরিক সালাম এবং দোয়ার আর্জি রাখছি।

বাথরুমে সবাই যাই কিন্তু ব্যবহার করতে না জানলে সম্মানী মানুষেরও গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। চলুন সে সব খুঁটিনাটি দেখে নেই এবং ...
13/01/2024

বাথরুমে সবাই যাই কিন্তু ব্যবহার করতে না জানলে সম্মানী মানুষেরও গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। চলুন সে সব খুঁটিনাটি দেখে নেই এবং নিজের সাথে মিলিয়ে নেই

বাথরুম ও টয়লেট ব্যবহারের শিষ্টাচার
- বাথরুম ও টয়লেট এমনভাবে ব্যবহার করুন যেন তা অন্যদের ব্যবহারের উপযোগী থাকে।
- বেরিয়ে দরজা, লাইট, ফ্যান বন্ধ করুন; দুর্গন্ধ বিতাড়িত না হওয়া অবধি ফ্যান চালু করে তা দূর করুন।
- ব্যবহৃত টিস্যু বেসিনে, কমোডে বা মেঝেতে না ফেলে নিদ্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলুন।
- বাথরুম/টয়লেটের ব্যবহৃত স্যান্ডেল ঘরে ব্যবহার করবেন না এবং স্যান্ডেল শুকনো রাখতে সচেষ্ট থাকুন।
- প্রয়োজন মতো, পরিমিত পানি ব্যবহার করুন, পানি জোড়ে ছাড়বেন না, এটা আপনার তকদির থেকে চলে যাবে।
- ব্যবস্থা থাকলে ফ্লাশ টানুন, নতুবা নিজ দায়িত্বে কমেট পরিষ্কার রাখুন।
- বাথরুমে থেকে এটা-সেটা চেয়ে চিৎকার করা, টয়লেটে কথা বলা বা গান গাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
-ব্যক্তিগত টয়লেট নিজেই পরিষ্কার করতে সচেষ্ট থাকুন, যাদের টয়লেট সুন্দর তাদের রুচিও সুন্দর।
- টয়লেট কক্ষ দীর্ঘসময় আটকে রাখবেন না, গোসলের পরিধেয় কাপড় গোসল শেষে বাথরুমে রেখে আসবেন না।
- কোন কারণে কারো অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার করতে হলেও সেটা ‘নোংরা-দুর্গন্ধ’ মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।
- কল ছেড়ে রেখে দাঁত ব্রাশ/ শেভ করা, অন্যের মুখের সামনে কুলি করা, গলা পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকুন।

আমরা কোন তাফসির পড়ব? এই প্রশ্নটি বহুবার আসে। অনেকে ফেসবুকে পোষ্ট দেন। কেউ তার প্রিয় তাফসিরের নাম বলে পরামর্শ দেন। কেউ আব...
10/01/2024

আমরা কোন তাফসির পড়ব? এই প্রশ্নটি বহুবার আসে। অনেকে ফেসবুকে পোষ্ট দেন। কেউ তার প্রিয় তাফসিরের নাম বলে পরামর্শ দেন। কেউ আবার বলে দেন যে, নিজে নিজে তাফসির পড়লে সঠিক জ্ঞান পাওয়া যাবেনা, তাই চাই উপযুক্ত মুরুব্বী এবং তারই যথাযথ তত্ত্বাবধানে কোরআনের জ্ঞান শিক্ষা নিতে হবে। ফলে যারা নিজ উদ্যোগে তাফসির পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে চায়, তারা এত ধরনের উত্তর পেয়ে ঘাবড়ে যায় এই ভয়ে যে, কিছু না জেনে আপাতত ইসলামের উপরে আছি, ভালই আছি। বেশী জানতে গিয়ে উল্টো পথভ্রষ্ট হবার ঝুঁকি নেবার দরকার নেই। অথচ কোরআনে বলা হয়েছে, "আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্যে অতএব কোন চিন্তাশীল আছে কি? সুরা কামার:১৭" এই কথার সহজ অর্থ দাঁড়ায়, কোরআন বুঝতে অতিমানবীয় কোন গুণের প্রয়োজন নেই। তাই আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এই পোষ্টটি সাজানো হয়েছে, আমরা কোন তাফসির পড়ব? এটা নিতান্ত আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ, আগ্রহী কারো কাজে লেগে যেতে পারে কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারে।

সে বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে লিঙ্কে ক্লিক করার আহবান রইল...

আমরা কোন তাফসির পড়ব? এই প্রশ্নটি বহুবার আসে। অনেকে ফেসবুকে পোষ্ট দেন। কেউ তার প্রিয় তাফসিরের নাম বলে পরামর্শ দেন। ...

একটি গান সারা ভারতের কত মানুষকে ঈমান হারা করেছে তার হিসেব করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। গানের সুরের প্রতি পাগল মানুষেরা অত ভি...
09/01/2024

একটি গান সারা ভারতের কত মানুষকে ঈমান হারা করেছে তার হিসেব করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। গানের সুরের প্রতি পাগল মানুষেরা অত ভিতরে গিয়ে তল্লাশী করার মনোবৃত্তি সম্পন্ন নয়। সুর ও তাল সুন্দর লাগলে, মুখস্ত করে নিজেরা গায়। অধিকন্তু এমন প্রসিদ্ধ গানের সুর নকল করে ইসলামী গান বানানোর মত বেকুব ব্যক্তিদের অভাবও মুসলিম সমাজে কম নয়। এটি সেই ঐতিহাসিক, গান আপনারা নিশ্চয়ই দুমা দাম মাসকালন্দর গানটি শুনেছেন....

দুমা দাম মাস-কালন্দর, একটি গান সারা ভারতের কত মানুষকে ঈমান হারা করেছে তার হিসেব করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। গানের সুর.....

ইসলাম ও নৈতিকতা - সিরিয়াস ইস্যু : নজরুল ইসলাম টিপুইসলাম ও নৈতিকতা কথাগুলো আলাদা কেন? মূলত এভাবে আলাদা বাক্য বানানোর মধ্য...
04/01/2024

ইসলাম ও নৈতিকতা - সিরিয়াস ইস্যু : নজরুল ইসলাম টিপু

ইসলাম ও নৈতিকতা কথাগুলো আলাদা কেন? মূলত এভাবে আলাদা বাক্য বানানোর মধ্যেই দুরভিসন্ধি লুকিয়ে আছে! হেডিং দেখা মাত্রই একজন জ্ঞানী ব্যক্তির মগজে প্রথমে যে কথাটি উদিত হবে সেটা হল, "ইসলাম ধর্মে নৈতিকতা পরিপূর্ণ নেই"! অথবা "নৈতিকতা সম্পর্কে ইসলামের বাণী যথেষ্ট নয়"; সেটা পূর্ণ করার জন্যে নিমিত্তে অতিরিক্ত আরেকটি চ্যাপ্টার যোগ করা হয়েছে।

মূলত নৈতিকতার অন্যতম প্রধান উৎস হল "আসমানি কিতাব"! অন্য সকল ধর্মেও কিছু না কিছু নৈতিকতার কথা থাকলেও ইসলাম ধর্মের ন্যায় বলিষ্ঠ ও উচ্চকণ্ঠ নয়। মূলত একটি জাতীর নৈতিকতার মান নির্ণয় করতে হলে সে জাতির ধর্ম, বর্ণ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও সামাজিকতাকে সামনে রাখতে হয়। কেননা ধর্ম ও জাতি ভেদে নৈতিকতা ভিন্ন হতে পারে। দেখুন কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হল,

পরকীয়া করা ও অবৈধ সন্তান জন্ম দেওয়া ইসলাম ধর্মে মৃত্যুদণ্ডের মত অপরাধ হলেও অন্য আরেকটি ধর্মে পরকীয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট অবৈধ সন্তান দেবতা-তুল্য হিসেবে সম্মান পায়। সুতরাং নৈতিকতা এখানে ভিন্ন।

ইসলাম ধর্মে মদপান ও মাদক গ্রহণ কড়াকড়ি ভাবে নিষিদ্ধ হলেও, কিছু ধর্মে তাদের ধর্মীয় কাজ শুরু হয় মদপান দিয়ে। কোন জাতীতে পিতা-পুত্র একসাথে মদপান করে। পাশ্চাত্যের বহু দেশে মদ-গাঁজা খুব সাধারণ জিনিষ। ফলে এখানেও দেখা যায় নৈতিকতার বিষয়টি ভিন্ন।

ওয়াদা পালন, পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার, কাউকে মনকষ্ট না দেওয়া, প্রতিবেশীকে নিপীড়ন না করা, সুন্দর ভাষায় কথা বলা, সুন্দর ভাবে চলা, পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা, দেহ-বস্ত্র নোংরা না রাখা, ব্যক্তিত্ব ও গাম্ভীর্য রক্ষা করা, কাউকে খারাপ নামে না ডাকা, গালাগালি না করা, নারীদের সম্মান করা, শিক্ষক মুরুব্বী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের অগ্রাধিকার দেওয়া সহ অগণিত চারিত্রিক গুণাবলী ইসলামে অবশ্য পালনীয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে পালন না করা অপরাধ তুল্য। বিপরীতে দুনিয়াতে বহু ধর্ম আছে সেগুলোতে উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে কোন কথাই নাই। কোন জাতিতে ওয়াদা পালন না করাটাই বুদ্ধি ও চাতুর্যতার কাজ! এখানেও নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ ভিন্ন।

ইসলামে অন্য ধর্মের প্রতি বাড়াবাড়ি নিষেধ হলেও, পাশের প্রতিবেশী দেশে ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের ইঁদুর-বান্দরের চেয়েও অধম মনে করা হয়। ফলে উভয়ে মানুষ হয়েও, ধর্মের নামে অন্য ধর্মের উপরে বর্বরতার হোলীতে মত্ত হয় উঠে। এখানেও নৈতিকতার মান ভিন্ন।

মার্কিন মুল্লুকে ছেলে-মেয়ে পড়তে গিয়ে, প্রতিদিন কোন বীচে গিয়ে, কোন ব্র্যান্ডের মদ, কত বোতল গিলেছে, সেটার ছবি আপলোড দ্যায়। তাঁদের পিতা আবার আমাদের দেশে নৈতিকতার সেরা সবক-দানকারীদের অন্যতম পুরোধা। কেননা, তার কাছে নৈতিকতার চিত্রটা ভিন্ন!

এই পৃথিবীতে নৈতিকতার সবচেয়ে জীবন্ত কিতাবের নাম "কোরআন"। এই কিতাব নিজেই ঘোষণা করে যে, মানুষের অন্তঃকরণ পরিশুদ্ধ করতেই দুনিয়াতে এর আগমন। নৈতিকতার হেন কোন শাখা-প্রশাখা নেই যেখানে কোরআন-হাদিসের বাণী নেই। মূলত নৈতিকতার জ্ঞানকে কোরআন থেকে সংগ্রহ না করাই এর মুল লক্ষ্য। ছেড়া জাল বুনার মত করে, কোরআনের বানীর সাথে মিশিয়ে, নিজেদের মতামত যোগ করে, সাজিয়ে উপস্থাপনার নাম দিয়েছে নৈতিকতা শিক্ষা। এই কাজ করে এনারা হচ্ছেন মহান ব্যক্তি। লক্ষ্য একটাই কোমল-মতি শিশুদের মনের মুকুন্দে সেই কথাটি ঢুকিয়ে দিতে চায় যে, "নৈতিকতার বাণীতে ইসলাম অপূর্ণ"।

পুনশ্চ: নিচে কয়েকটি স্ক্রিন শট দিলাম এগুলো ইসলাম ও নৈতিকতা বইয়ের প্রশ্নোত্তর থেকে সংগ্রহ করা। ২৬. নং প্রশ্নে নৈতিকতা বলতে কি বুঝায় প্রশ্নে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেটা পুরোটাই ইসলাম ধর্মের কোরআন-হাদিসে আছে। কিন্তু এখানে ধারণা দেওয়া হয়েছে ওটার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই, আছে নৈতিকতার.... সমস্যাটা এখানেই!!

Address

Mapco LLC
Abu Dhabi
2035

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nazrul Islam Tipu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nazrul Islam Tipu:

Videos

Share

Category

আমার পরিচিতি

আমি নজরুল ইসলাম টিপু। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার এক পিছিয়ে পড়া জনপদ ইদিলপুর গ্রামেই আমার জন্ম। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, আধুনিক দুনিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন, বৈদ্যুতিক আলো-বিহীন সমাজে ১৯৬৬ সালের এক ঈদের দিনের সকাল থেকেই আমার জীবন চলার শুরু। অবহেলিত, উপেক্ষিত অন্য দশটা ছেলের মতই আমার জীবনের পথচলা আরম্ভ হয়। তারপরও আমার বন্ধু সংখ্যা ছিল খুব সীমিত! মাত্র একজন! আমার সম বয়সী ছেলেরা সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়াত। তাদের কাছে স্কুলের নিয়ম-শাসন পছন্দনীয় ছিল না। স্কুল প্রাঙ্গণে মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থীরা যখন জাতীয় সংগীতে টান দিত, তারা দলবেঁধে শুনতে আসত! অতঃপর তারা গ্রামীণ খেলা-ধুলোয় হারিয়ে যেত। ইচ্ছে হত এদের সাথে মিলে যাই কিন্তু বারণ ছিল। আমাদের এলাকার নয়, এমন একজন নিরীহ ছাত্র, বহুদূর থেকে হেটে আমাদের বাড়ীর সামনের স্কুলে পড়তে আসত। ঘর থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই হবে আমার বন্ধু এবং শুধু তার সাথেই বন্ধুত্ব করা যাবে! খেলা-ধুলোর প্রতি চরম অনাগ্রহী এই সহপাঠী স্কুল ছুটির পরই সে তার গন্তব্যে রওয়ানা হত!

সীমিত বন্ধু-বান্ধবের কারণে আমার শিশুকাল কেটেছে নিজের সাথে নিজে কথা বলে, আর গাছ পালাকে শাসন করে! স্কুলের পড়া কবিতা, গল্প, ছড়া তাদের শিখাতাম। যথাযথ পড়া আদায় না করার অপরাধে, আমারই স্কুলের শিক্ষক বিজন বিহারী বাবুর অনুকরণে, বাড়ির পিছনে মানকচুর পাতা আর হলুদ ক্ষেতের গাছের সাড়ি, আমার বেত্রাঘাত আর কঠোর শাসনে নেতিয়ে পড়ত! পরদিন তাদের উপর রহম দিল হতাম। উচ্চস্বরে মাইকে শোনা গান গেয়ে মুরুব্বীদের ত্যক্ত করতাম আবার অঙ্গভঙ্গি করে কবিতা আবৃত্তি করে কখনও হাসির পাত্র হতাম! ছাত্র বিবেচিত হওয়া গাছ গুলো পুনরায় তাজা উঠলে আবারো পড়া-লেখার খবর নিতাম, ছুতো-নাথা ধরে কোন একদিন পুনরায় বেত অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। একদিন মা বললেন, “প্রকৃত পক্ষেই আমার স্কুলের শিক্ষক যদি আমার সাথে এমন ব্যবহার করে, তখন আমি কি করব”? এই কঠিন প্রশ্নের কোন উত্তর ছিলনা তবে এ কথায় মনে রেখাপাত হল, সে থেকে থামলাম।

আমি ছিলাম খুবই কৌতূহলী বালক। এই অভ্যাস আমাকে কখনও চরমভাবে ভুগিয়েছে আবার কখনও প্রশান্তি এনে দিয়েছে। মুরগী ডিম পারার আগে অনবরত ডাকে কেন? আবার ডিম পারার পরেই বা সজোরে চিল্লায় কেন? লাঙল কে বানালো? লাঙলের ধাতব ফলা বানানোর কৌশল কার থেকে এলো? কার বুদ্ধিতে গরুর কাঁধে জোয়াল জুড়িয়ে জমিতে নামানো হল। কুড়াল বা বানালো কে? তার পিছনে কায়দা করে বড় ছিদ্র বানিয়ে সেটাতে কাঠের হাতল লাগিয়ে, এই কুড়াল দিয়ে বিরাট গাছ ধরাশায়ী করা যায়! এই চিন্তা প্রথম কার মাথা থেকে এসেছিল! সমাজ-জীবনের চারিদিকে চলতে থাকা এ ধরনের বহু জিনিষে কারো কোন আগ্রহ না থাকলেও আমার মাথায় হাজারো প্রশ্ন কিলবিল করত। এসব প্রশ্ন মুরুব্বীদের দিকে ছুড়ে দিলে তারা কেউ উপদ্রব ভাবত, কেউ পাগল ঠাওরাত! এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কত ভৎসনার মুখে পড়েছি, শিক্ষকদের কাছে তিরস্কৃত হয়েছি, মুরুব্বীদের কাছে অকর্মা হিসেবে বিবেচিত হয়েছি, তার কোন হিসেব করা যাবেনা। অনেকে আমার পিতা-মাতাকে বলত একে জ্বিন-ভূতে পেয়েছে! বৈদ্যি ডেকে জিনের আছর মুক্ত করুন। বাবা সত্যি সত্যিই বাড়ীতে বৈদ্যি ডাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। সে এক ভিন্ন করুণ অধ্যায়। তখন শিশু মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ‘আমি যদি এসব প্রশ্নের উত্তর পাই তাহলে, কাউকে তিরস্কার না করেই উত্তর জানিয়ে দিব’।

এই কৌতূহলী খাসিয়তের জ্বালায় শুধুমাত্র একজন মানুষ কোনদিন পেরেশান হননি! তিনি আমার ‘বাবা’! যাকে হৃদয়ের সমস্ত অভিব্যক্তি দিয়ে সারাজীবন ভালবেসেছি। তিনি আমার মনের কৌতূহল মেটাতে, পারত পক্ষে সম্ভাব্য সকল উপায়ে সাহায্য করতেন। বংশীয় ধারায় তিনিও ছিলেন পড়ুয়া মানুষ! ভাগ্যগুণে আমার বাবার, দাদার দাদা এবং তার বাবা, সবাই ছিলেন শিক্ষিত মানুষ। তাদের গোষ্টি-গত পরিচয় ছিল ‘ভূঁইয়া’ হিসেবে। আর ভূঁইয়ারা অধিক ভূসম্পত্তির মালীর হিসেবে বিবেচিত। মাঝপথে আমার বাবার দাদার উপাধি ‘লালমিয়া পণ্ডিত’! তিনি তৎকালের শিক্ষিত ও বাগ্মী মানুষ হিসেবে পরিগণিত ছিলেন, যার কারণে আমাদের বাড়ীর নাম হয়ে যায় ‘পণ্ডিত বাড়ী’। গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বতনদের কল্যাণে বিচিত্র ধরনের পুরানো বইয়ের একটি যোগসূত্র ছিল আমাদের বাড়ীতে।